আরতি ও শিব বিয়ে করে হানিমুনে যাচ্ছে। বিমানে তাদের সঙ্গে দেখা হয় দুই বাংলার জনপ্রিয় নায়ক ফেরদৌসের সঙ্গে। তারপর এমন ঘটনা ঘটে, ফেরদৌস যা কল্পনাও করতে পারেননি। এত হাসি, আনন্দ, সুখের মাঝে কী এমন ঘটল, যা ফেরদৌসের মস্তিষ্ককে নাড়িয়ে দিল। জানতে হলে পড়তে হবে এ উপন্যাস। এটা কি উপন্যাস নাকি আমার জীবনের কথা? আমি জানি না। আমি ভীষণ সংবেদনশীল, বন্ধুপরায়ণ একজন মানুষ। তাই লিখতে গেলে নিজের জীবনের অনেক ঘটনাই চলে আসে। ভেবেছিলাম আরতি আর শিবের ভালোবাসার পরিণতির গল্প লিখব। কিন্তু কীভাবে যেন আমি নিজেও গল্পের ভেতরে ঢুকে পড়লাম। ভ্রমণকাহিনি পড়তে আমার ভীষণ ভালো লাগে। লিখতে চেয়েছিলাম ভ্রমণকাহিনি, হয়ে গেল প্রেমকাহিনি। আমার ভক্ত, দর্শক, পাঠক বন্ধুরা সবাই আমার প্রচণ্ড ভালোবাসার। এই ভালোবাসার মানুষেরা দুই দশকের অধিক সময় ধরে আমার অভিনয় সহ্য করেছেন। আশা করি, মাঝে মাঝে আমার কষ্টের এই লেখাগুলোও পড়বেন। আমি আনন্দিত হব।
‘বিশ্ব-র্যাংকিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হয় না কেন?’ দিনারজাদির প্রশ্নের জবাবে আরব্যোপন্যাসের নায়িকা শেহেরজাদি একের পর এক কারণ বাতলাতে থাকেন এবং নীরবে শুনতে থাকেন বাদশাহ শাহরিয়ার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিচিত্র সমস্যা এবং প্রকৃত সমাধানের এক অভূতপূর্ব সমাহার। মজলিশি ঢঙে, রম্যরীতিতে রচিত এক অপূর্ব আলাপ-গাথা । আরব্যোপন্যাসের বাদশাহ শাহরিয়ার প্রতি রাতে একটি নিকাহ-এ-মুতা করতেন এবং পরদিন ভোরে সেই বেগমকে কতল করাতেন। এই ঘৃণ্য প্রথার অবসানকল্পে উজিরকন্যা শেহেরজাদি স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে বাদশাহের নিকাহ কবুল করেন। এক রাতের বেগম শেহেরজাদির অন্তিম অনুরোধে বাদশাহ শাহরিয়ারের অনুমতিক্রমে বাসরঘরে আসেন শ্যালিকা দিনারজাদি। রাতের বয়স বাড়লে পূর্বপরিকল্পনামাফিক দিনারজাদি প্রশ্ন করেন: ‘আপা, বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হয় না কেন?’ দ্বাদশ রাত্রি ধরে একের পর এক কারণ বাতলে যান শেহেরজাদি, কমবেশি ছত্রিশটি কারণ। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিচিত্র সমস্যা ও প্রকৃত সমাধানের অপূর্ব সমাহার এই ‘আলিফ-লাইলা’ মজলিশি ঢঙে, রম্যরীতিতে রচিত এক অভিনব রসরচনা।
Since its inception in 1971, the account of Bangladesh as a country has been nothing short of a miracle. Within a mere 50 years, the country's journey has turned its previous label as a "bottomless basket" around, giving way to an emerging "Asian Tiger" as it currently marches towards its goal of becoming developed by 2041. The present book is a scholarly endeavor to depict this astonishing tale of a dream come true, hoping that readers will find the book absorbing and thought-provoking.
খ্যাতিমান সাহিত্য সম্পাদক আবুল হাসনাত যে ‘মাহমুদ আল জামান’ নামে কবিতা লিখতেন, এ তথ্য যেমন অনেকের অজানা, তেমনি বহু অজানা তথ্যের সমাবেশ ঘটেছে তাঁকে নিয়ে লেখা কিছু আন্তরিক রচনার এ সংকলনে। ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী থেকে আবুল হাসনাতের কন্যা দিঠি হাসনাত পর্যন্ত ১৯ জন কবি ও গদ্যকারের লেখায় ফুটে উঠেছে সদ্য প্রয়াত কবি-শিশুসাহিত্যিক, চিত্রসমালোচক, সম্পাদক ও সংস্কৃতিকর্মী আবুল হাসনাতের ব্যক্তিস্বরূপ ও শিল্পসাধনা। নানা ভূষণের অন্তরালে যে সহজ-প্রাণোচ্ছল-অসাধারণ মানুষ ছিলেন আবুল হাসনাত, তার পরিচয় পাওয়া যাবে নিবেদিত এই কটি লেখায়। বিরূপ বিশ্বে নিয়ত একাকী মানুষের সংকট-সংগ্রাম আর স্বপ্ন ফুটে উঠেছে সবার স্মৃতিতে, অনুভবে। সেই সঙ্গে আবুল হাসনাতের নিজের কবিতা ও গদ্যের সংযোজন পাঠকের সঙ্গে তাঁর লেখনশৈলী ও সাহিত্যভুবনের পরিচয় ঘটাবে। আপনজনদের একান্ত আবুল হাসনাতের প্রতিকৃতি এ বইয়ের সূত্রে সবার কাছে বিশ্বস্তভাবে ফুটে উঠবে নিঃসন্দেহে।
ষাটের দশকে ছাত্র ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন এবং স্বৈরাচারবিরোধী গণ-অভ্যুত্থানের দিনগুলোর সঙ্গে একাত্ম হয়ে আছেন শহীদ সুরকার আলতাফ মাহমুদ। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কৃতি সংসদ, ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী ও সোভিয়েত মৈত্রী সমিতির কর্মকাণ্ডেও তিনি ছিলেন একান্ত সুহৃদ। প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ সমর্থন জানিয়ে জনতাকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথে একান্ত প্রেরণা ছিলেন এই গণনায়ক। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন আলতাফ মাহমুদ। মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়দান এবং তাঁদের অস্ত্রভাণ্ডার সংরক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি, যার পরিণাম হয়েছে ভয়াবহ। ১৯৭১ সালের ৩০ আগস্ট পাকিস্তানিরা তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে নিষ্ঠুর নির্যাতনের পর হত্যা করেছে। সাংস্কৃতিক কাজগুলোর সূত্রে শহীদ আলতাফ মাহমুদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্য ছিল এ বইয়ের সম্পাদক মতিউর রহমানের। ছিল অপার মুগ্ধতা। সেই মুগ্ধতা এবং কৃতজ্ঞতা থেকে আলতাফ মাহমুদের অন্তর্ধানের ৫০ বছর পূর্তিতে এ বই। আলতাফ মাহমুদের একান্ত আপনজনদের লেখাগুলো আমাদের সামনে তুলে ধরবে ব্যক্তি ও সুরকার আলতাফ মাহমুদকে; সেলুলয়েডের পর্দার মতো সামনে তুলে ধরবে তাঁর জীবনের শেষ দিনগুলো। নবীন ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের পাঠক ও গবেষকদের আলতাফ মাহমুদকে জানার তৃষ্ণা মেটাবে এ বই।
জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানের খুঁটিনাটি থেকে শুরু করে মহাবিশ্বের প্রকৃতি সম্পর্কে কৌতূহলজাগানিয়া সব প্রশ্নের জবাব পাওয়া যাবে এ বইতে। মহাবিশ্বের নানা রহস্য ভেঙে টুকরো টুকরো করে তা উন্মোচন করেছেন জ্যোতিঃপদার্থবিদ নীল ডিগ্র্যাস টাইসন। তাঁর সহজ-সরল ভাষা ও সহজাত রসিকতার ঢঙে বিজ্ঞানের অনেক জটিল বিষয়ও হয়ে উঠেছে সুখপাঠ্য। কিশোর-তরুণদের জন্য লেখা হলেও মহাবিশ্ব সম্পর্কে সব বয়সী পাঠকের কৌতূহল মেটাবে এ বই।