The Siliguri Conference held on 5 and 6 July 1971, is an entirely undiscussed chapter of the Liberation War of Bangladesh. This conference eliminated much of the confusion and aided in the formulation of the policies used during the war. This, in turn, generated cohesion, expedited the war, and led to a swifter victory. Detailed descriptions and official proceedings of the conference have not been conserved anywhere. This book, for the first time, contains along with a detailed introduction a crucial part of the formal meetings proceedings and informal discussions which took place during the conference.
নয় মাসের স্বাধীনতাযুদ্ধে ২ নম্বর সেক্টর এবং 'কে' ফোর্স ছিল বেশ তৎপর। সেক্টর এলাকার বিভিন্ন প্রান্তে চলত বিরামবিহীন অভিযান। এ গ্রন্থে এসব অভিযানের ধারাবাহিক বর্ণনা দিয়েছেন সেক্টর এবং ফোর্স কমান্ডার মেজর (পরে লে. কর্নেল) খালেদ মোশাররফ। গ্রন্থটি ২ নম্বর সেক্টর এবং ফোর্সের স্বাধীনতাযুদ্ধের ইতিহাস। কমান্ডারের বর্ণনার পাশাপাশি রয়েছে যুদ্ধসংশ্লিষ্ট দলিল, ছবি, মানচিত্র এবং আরও কিছু অতিরিক্ত তথ্য। সেক্টর ও ফোর্স কমান্ডারের কেউ কেউ তাঁদের এলাকার আংশিক বা খণ্ডিত ইতিহাস লিখেছিলেন, কিন্তু মেজর খালেদ রেখে গেছেন ২ নম্বর সেক্টর এবং কে ফোর্সের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সময়ের খতিয়ান।
এ উপন্যাস গণিত নিয়ে। এর প্রধান দুই চরিত্র গণিতবিদ মেজোকাকু এবং ‘গণিতের রানি’ বলে খ্যাত নাম্বার থিওরি। বইটি হাতে নিলে পাঠক হারিয়ে যাবেন গণিতের আনন্দময় এক রাজ্যে।
১৯৭৫ সাল বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে এক অস্থির সময়। বাকশাল গঠন, সেনা অভ্যুত্থানে বঙ্গবন্ধুর সপরিবার নির্মমভাবে নিহত হওয়া, নভেম্বরে আবার সামরিক অভ্যুত্থান, জাতীয় চার নেতার হত্যা, পাল্টা সামরিক অভ্যুত্থান—সব মিলিয়ে বছরটি ছিল বাংলাদেশের একটি গভীর সংকটের কাল। এত অল্প সময়ে এত সব তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসে আর ঘটেনি। ঘটনাগুলো নিয়ে লেখা হয়েছে অনেক। কিন্তু কোথাও এই সময়ের একটি পুরো চিত্র পাওয়া যায় না। এ বইয়ে ১৯৭৫ সালের নভেম্বর মাসের ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ ও মতামত তুলে ধরা হয়েছে। সঙ্গে আছে দেশি ও বিদেশি নানা দলিল। সংশ্লিষ্টদের জবানবন্দি, সাক্ষাৎকার ও কাছ থেকে দেখা ব্যক্তিদের স্মৃতিকথা হিসেবে লেখাগুলো বহু সময় ধরে বহু চেষ্টায় সংগ্রহ করা হয়েছে। পঁচাত্তরের অস্থির সময়ের পুরো চিত্র তুলে ধরেছে এ বই।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একটি সম্পূর্ণরূপে অনালোচিত অধ্যায় ১৯৭১ সালের ৫ ও ৬ জুলাই অনুষ্ঠিত শিলিগুড়ি সম্মেলন। এই সম্মেলন অনেক বিভ্রান্তি দূর করে যুদ্ধের সময় অনুসরিীত নীতি প্রণয়নে সহায়তা করে। এই সম্মেলন নিয়ে আসে সংহতি, ত্বরান্বিত করে পরিকল্পিত যুদ্ধ এবং বাংলাদেশ এগিয়ে যায় দ্রুত বিজয়ের দিকে। কিন্তু অতীব গুরুত্বপূর্ণ এই সম্মেলনের বিস্তারিত বিবরণ ও দাপ্তরিক কার্যপ্রণালি কোথাও সংরক্ষণ করা হয়নি। প্রথমা প্রকাশিত 1971: The Siliguri Conference বইটিতে প্রথমবারের মতো সম্মেলনের সময় অনুষ্ঠিত আনুষ্ঠানিক বৈঠকের কার্যপ্রণালি এবং অনানুষ্ঠানিক আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ প্রকাশিত হয়। সঙ্গে ছিল বিশদ ভূমিকা। এই বই সেই ঐতিহাসিক দলিলের নির্ভরযোগ্য সুসম্পাদিত বাংলা অনুবাদ।
"এ অঞ্চলের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সূচনা হয় পনেরো শতকের শেষ দিকে, যখন ইউরোপীয়রা ভারতবর্ষে আসতে শুরু করে। তারা নিজেদের মধ্যে বাজার ও ভূখণ্ড দখলের প্রতিযোগিতায় নামে। তাদের পক্ষে-বিপক্ষে থাকে এদেশীয় সামন্ত শাসকেরা। একপর্যায়ে অঞ্চলটি হয় ব্রিটিশ উপনিবেশ। পরস্পর-বিচ্ছিন্ন রাজ্যগুলোকে একসঙ্গে জুড়ে তারা আধুনিক ভারত রাষ্ট্রের গোড়াপত্তন করে। প্রায় দু’শ বছর রাজত্ব করে তারা চলে যায়। আমাদের ইতিহাসের এ পর্ব নানান উত্থান-পতনের সাক্ষী—ষড়যন্ত্র, যুদ্ধ, বিদ্রোহ আর বিয়োগান্ত ঘটনায় ভরা। সেটা ছিল মধ্যযুগের শেষ আর আধ্ুনিক যুগের শুরু। এ সময়ের তিনটি ঘটনা ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দেয়—১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধ, ১৮৫৭ সালে সিপাহি বিদ্রোহ এবং ১৯৪৭ সালে ভারতভাগ, যার পরম্পরায় জন্ম হয় পাকিস্তান নামে নতুন এক রাষ্ট্রের। এ ঘটনাক্রমের সঙ্গে জড়িয়ে আছে নানান সামাজিক শক্তির ক্ষয় ও বিকাশ। নানান সূত্র ঘেঁটে এ বইয়ে তুলে ধরা হয়েছে সেসব ইতিহাস। "