সংগীত মানেই প্রাণের কথামালা। ইসলামি সংগীত মানেই বিশ্বাসী প্রাণের অনুরণন। ইসলামের মৌলিক ধর্মীয় বিশ্বাসকে উপজীব্য করে সুরের পরশ দিয়ে রচিত হয় এক একটি গান। লাখো হৃদয়ে তা এক অন্যরকম ব্যাঞ্জনা তৈরি করে। আমাদের পূর্বপুরুষরা বিশ্বাসী চেতনার চাষাবাদ করেছেন প্রতিটি লিরিকের অক্ষরে অক্ষরে। এই প্রজন্মের তরুণরাও অসাধারণ কিছু গান তৈরি করেছে। প্রবীণ-নবীণদের অসংখ্য লিরিক থেকে আমরা ১০০০ গান বাংলাভাষী পাঠকদের সামনে উপস্থপন করছি। এই গ্রন্থের বড়ো বিশেষত্ব হলো- অধিকাংশ গানেই QR CODE রয়েছে; যা আপনাকে সরাসরি ইউটিউবে নিয়ে গান শুনাবে। চলুন, হাজার গানে হৃদয়ের স্বরলিপি আঁকি।
শেষ পর্যন্ত মধ্য এশিয়ার পরমাণু বিজ্ঞানী নভিয়েভকে বাঁচাতে পারল না আহমদ মুসা। ভয়ংকর এক রুশ ষড়যন্ত্র মধ্য এশিয়ার মুসলিম প্রজাতন্ত্রকে অক্টোপাসের মতো ঘিরে ধরেছে। আহমদ মুসা কিছুতেই ওদের গায়ে হাত দিতে পারছে না। কেন তাদের এই ষড়যন্ত্র? কী চায় তারা? কেন এই কালো মেঘ? হঠাৎ করে সামনে চলে আসলো রুশ কন্যা এলেনা ও তাতিয়ানা। শুরু হলো গ্রেট বিয়ারের সঙ্গে আহমদ মুসার সংঘর্ষ। ‘ব্লাক ক্রস’ ক্রুসেডের মতোই নানা জায়গায় ছোবল মারছে। তারই একটা ছোবল গিয়ে পড়ল ক্যামেরুনে, ক্যামেরুন থেকে ফ্রান্সে। ওমর বায়ার সন্ধানে গিয়ে সংঘাতের মুখোমুখি হলো আহমদ মুসা। এই সংঘাত একজন ব্যক্তি বনাম একটি সন্ত্রাসী সা¤্রাজ্যের। ঊর্মিমালার মতো একের পর এক সংকট ঘিরে ধরেছে আহমদ মুসাকে। কী করবে সে? ওমর বায়া কি বাঁচতে পারবে? প্রমাণ হাতে নিয়ে মুসলিম বিদ্বেষী একটি সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য একাই অগ্রসর হলো আহমদ মুসা। শুরু হলো ক্রস এবং ক্রিসেন্টের সংঘাত। এদিকে আফ্রিকায় অন্ধকারের আড়ালে চলছে ভয়ানক ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্র আফ্রিকার পশ্চিম উপক‚ল ছাড়িয়ে গ্রাস করেছে দক্ষিণ ক্যামেরুনকে। ষড়যন্ত্রের নেতৃত্বে রয়েছে কিংডোম অব ক্রাইস্ট (কোক)। আর কোক-এর পেছনে রয়েছে খ্রিষ্টান জঙ্গি সংগঠন ওকুয়া। ষড়যন্ত্র রোধ করতে এগিয়ে আসে আহমদ মুসা। লক্ষ্য শুধু ওমর বায়া এবং ড. ডিফরেজিসের মুক্তি নয়; লাখো মানুষ।
মানুষ স্বপ্ন দেখে প্রতিনিয়ত। স্বপ্নের পেছনে ছুটতে গিয়ে পুরো জীবন অতিবাহিত করে। আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্নে কেউ জীবনের প্রতিটি স্তর সৌখিনতায় সাজিয়ে তোলে। আবার কেউ-বা শুধুই দুবেলা পেট ভরে খাবার খেতে পাওয়ার স্বপ্ন দেখে। স্বপ্ন দুটোই, কিন্তু পার্থক্য বিশাল। প্রত্যেকটা স্বপ্নই যার যার কাছে অনেক বড়ো। সেই স্বপ্নের ধারাবাহিকতায় জীবনের অনেকটা পথ পেরিয়ে আসে কেউ অসংখ্য বাধা অতিক্রম করে। আবার কেউ-বা বাধাহীনভাবে স্বপ্ন পূরণ করে অবলীলায়। পৃথিবীর হাজারো পথ-পরিক্রমার মধ্যে দিয়ে কিছু ভিন্ন ভিন্ন স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘কয়েকটি গল্প’।
ব্যাপক বিপর্যয়ে ক্ষ্যাপা কুকুর হয়ে উঠেছে ব্লাক ক্রস। জ্বলে উঠেছে তাদের হিংসার লেলিহান শিখা। তারই একটি স্ফুলিঙ্গ আঘাত হানল আফ্রিকার গভীরে। এক সেমিনার থেকে কিডন্যাপ করা হলো বিশ্ব বরেণ্য কয়েকজন মুসলিম নেতাকে। সবাই জানে তারা মৃত কিš‘ বাস্তবে তারা পণবন্দি হলো কঙ্গোর কালো বুকে। আহমদ মুসা আত্মসমর্পণ করলেই মিলবে মুক্তি। এবার কী করবে সে? আত্মসমর্পণ নাকি উদ্ধার? একের পর এক মুসলিম সাংবাদিক মরছে ফ্রি ওয়াল্ড টিভি এবং ওয়ার্ল্ড নিউ এজেন্সির। মৃত্যুর কারণ সি সি মাছির আড়ালে ভয়ংকর প্রাণীজ বিষ। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল গোটা জেনেভায়। আফ্রিকা থেকে আহমদ মুসা ছুটল সুইজারল্যান্ডে। দেখতে পেল এক কালো থাবা। ঘটনাচক্রে রুশ কন্যা তাতিয়ানার আবির্ভাব। তাতিয়ানার দেওয়া দায়িত্ব ক্যাথেরিনের সন্ধান করতে গিয়ে ভয়াল এক চক্রের মুখোমুখি হলো আহমদ মুসা। হিংস্র গ্রেট বিয়ার, রুশ সরকার এবং ফরাসি পুলিশের বহুমুখী সংঘাতের মধ্যে পড়ল সে। সবাইকে ফাঁকি দিয়ে ক্যাথেরিনের কাছে পৌঁছতে হবে তাকে। কিন্তু কীভাবে? ছুটতে হলো মস্কোতে। অসম্ভব এক মিশন। এই অসম পরিস্থিতিতে হারিয়ে যায় ডোনা জোসেফাইন। এদিকে আটলান্টিকের ওপাড় থেকে অসহায় বালিকা লায়লা জেনিফার আর্তনাদ। ক্যারিবিয়ানর টার্কস দ্বীপপুঞ্জে কমে যাচ্ছে মুসলিম পুরুষের সংখ্যা। কেন? ছুটল আহমদ মুসা। লুকানো এক অশ্রু সাগরের ভয়াবহ ষড়যন্ত্রের আবর্তে জড়িয়ে পড়ল সে। এ যেন এক রহস্য, রোমান্স, দ্বন্দ্ব-সংঘাতের নতুন অধ্যায়।
আহমদ মুসা। অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক প্রচণ্ড বিদ্রোহের নাম, একজন লড়াকু বীর সৈনিক। অন্ধকার ভেদ করে আলো খুঁজে ফেরেন জনপদ থেকে জনপদে। মুক্তির মিছিল নিয়ে ছুটতে থাকেন ক্লান্তিহীন। সীমানার সীমাবদ্ধতা পেড়িয়ে তিনি একজন বিশ্ব নাগরিক। কখনো সামষ্টিক লড়াই, কখনো দুঃসাহসী একক অভিযানে জুলুমের বিষদাঁত উপড়ে ফেলেন। চ্যালেঞ্জ, ঝুঁকি, ষড়যন্ত্র মাড়িয়ে মঞ্জিলপানে অবিচল আহমদ মুসাকে হামেশাই আবেগ, ভালোবাসা, রোমাঞ্চ এসে এক মায়াবী দুনিয়ার মুখোমুখি করে। তবুুও দুর্নিবার এগিয়ে চলেন মুক্তির পতাকাবাহী আহমদ মুসা। এ এক শিহরণ জাগানিয়া সফর!
মানুষের মনের চেয়ে বেশি রহস্যময় আর কিছু কি এই পৃথিবীতে আছে? কোথাও তাজমহলের শুভ্রতাকেও ম্লান করে মন, আবার কোথায় হিমালয়কেও হার মানায় মনের উচ্চতা। কোথাও-বা আবার তা মিশরের মমির অজানা রহস্যকেও ছাড়িয়ে যায়। মানুষের মন আটলান্টিকের গভীরতাকেও লজ্জা দেয়। প্রতিটি মানুষেরই একটা করে মন আছে, আছে একটা করে বিচিত্র জগৎ। আমরা কয়টা মন চিনি, কজনকে জানি? যাদের জানি বলে মনে করি, আসলেই কি তাদের জানি? মানুষের মনের গভীরে নামতে পারা, তার গভীরতা মাপতে পারা, সেই গভীরতার চিত্র-বিচিত্র রূপ দেখতে পাওয়া কি এতটাই সহজ? না, সহজ নয়। কারণ, মানুষ বড়োই দুর্বোধ্য আর বড়োই রহস্যময় এক প্রাণী! মন যা দেখায়, তার পেছনেও দেখার অনেক থাকে। যা জানায়, তার পেছনেও জানার অনেক কিছু থেকে যায়। মন তো কখনোই নিজেকে পুরোটা মেলে ধরে না। কারণ, নিজের পৃথিবীর এ সিংহাসনে মন নিজেই রাজা। এখানে আর কাউকেই সে ভাগ বসাতে দিতে রাজি নয়। এ জন্যই সে একা, বড়ো একা! কী বৈচিত্র্যময় বৈপরীত্য দেখুন তো। এই বৈচিত্র্যময় বৈপরীত্যই মানুষকে রহস্যময় করেছে। এখানেই তার আলাদা স্বকীয়তা। এই স্বকীয়তার সে আগলে রাখে পরম যতনে। আর আগলে রাখতে গিয়ে সে নীরবে হাসে, গোপনে কাঁদে। আপনার আশেপাশে যারা আছেন, চেয়ে দেখুন- ভিন্ন কিছু দেখতে পাচ্ছেন? হাসির পেছনে লুকোনো কান্না কিংবা কান্নার পেছনে লুকোনো হাসি? এ এক অপার রহস্যই বটে! এই রহস্যটা ধরতে পারাটাই হলো বিশ্বকে পড়তে পারা। আসনু, বিশ্বটাকে পড়ে দেখি...