কুয়াশা, শহীদ ও কামাল। দেশে-বিদেশে অন্যায় অবিচারকে দমন করে সত্য ও সুন্দরের প্রতিষ্ঠা করাই এদের জীবনের ব্রত। এদের সঙ্গে পাঠকও অজানার পথে। দুঃসাহসিক অভিযানে বেরিয়ে পড়তে পারবেন, উপভােগ করতে পারবেন রহস্য, রােমাঞ্চ ও বিপদের স্বাদ। শুধু ছােটরাই নয়, ছােট-বড় সবাই এ বই পড়ে প্রচুর আনন্দ লাভ করবেন।
রুদ্রপ্রয়াগের চিতা আশ্চর্য রোমহর্ষক এক শিকার কাহিনি। আট বছর ধরে যে ভয়ঙ্কর হিংস্র ধূর্ত নিশাচর প্রাণীটি গাড়িয়ালের পাঁচশো বর্গমাইল জুড়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল, বন্দুকের গুলি বা মারাত্মক বিষ পটাশিয়াম সায়েনাইডও যাকে কাবু করতে পারেনি, শেষ পর্যন্ত তাকে পরাজয় বরণ করতে হলো দুর্দান্ত শিকারী জিম করবেটের কাছে। ডক্টর মরোর দ্বীপ দ্বীপটা বিচ্ছিন্ন, কিন্তু সেখানে আছে গোপন ও সুরক্ষিত এক গবেষণাগার। অদ্ভুত কিছু লোক ঘুরে বেড়ায় সে-দ্বীপে, যারা আসলে মানুষ না কী বুঝিনি প্রথমে। …যাচ্ছিলাম ক্যালাও, দুর্ঘটনায় ডুবল জাহাজ, কোনমতে গিয়ে উঠলাম ওই দ্বীপে। যা দেখলাম, সেটা যেন ঈশ্বর ও তাঁর সৃষ্টির ক্ষুদ্র অথচ অদ্ভুত সাদৃশ্যযুক্ত এক সংস্করণ। পার্থক্য একটাই সৃষ্টির উপর স্রষ্টার নিয়ন্ত্রণ হারানোর পরিণতিটাও দেখতে হলো আমাকে। কনটিকি অভিযান ভেলায় চেপে প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি? অসম্ভব! কিন্তু সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করলেন থর হেয়ারডেল এবং তার দুঃসাহসী পাঁচ সঙ্গী, জন্ম দিলেন ইতিহাসের। কীভাবে? জানতে হলে এ বইটি পডুন। সত্য ঘটনা।
স্যাবটাজ ১৯৪৩ সাল। আফ্রিকা-বিজয়ের পর সিসিলি হয়ে আসতে চাইছে মিত্রবাহিনী ইউরোপের অধিকৃত মেইনল্যাণ্ডে। কিন্তু তার আগে ক্যারিডি নামের বিশাল এক জার্মান ট্রেন ফেরি ডুবাতে না পারলে ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে সমস্ত আক্রমণ। বার কয়েক ব্যর্থ চেষ্টার পর স্যাবটাজ-টিমের নেতৃত্বের ভার পড়ল মেজর রাহাতের ওপর। রওনা হলো সে অসাধ্য সাধনে, যেমন করে হোক ডুবিয়ে দেবে ক্যারিডি। বাংলাদেশ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স-চিফের যুবক বয়সের এক রোমহর্ষক কাহিনি। দাগী আসামী দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ চলছে।আজকের মেজর জেনারেল (অব.) রাহাত খান তখন এক তরুণ মেজর। হঠাৎ এক দায়িত্ব চাপল কাঁধে-কোর্টমার্শালে সাজা পাওয়া বারোজন কয়েদিকে দক্ষ করে তুলতে হবে স্যাবটাজে। সুইসাইড স্কোয়াড হিসেবে নাৎসি লাইনের পেছনে কাজ করবে এরা। নেতৃত্বে থাকতে হবে তাকে। ভয়ঙ্কর সব লোকজন; খুনে, বদমাশ। পারবে রাহাত ওদের বাগে আনতে?
ইংল্যাণ্ডের নটিংহাম শহরের কাছেই ছিল বিশাল শেরউড জঙ্গল। সেই জঙ্গলে আস্তানা গেড়েছিল দুর্দান্ত দুঃসাহসী এক মহৎ-হৃদয় দস্যু-রবিন হুড ও তার সাত- কুড়ি দুর্ধর্ষ অনুচর। অত্যাচারী নর্মান শাসক, ব্যবসায়ী মোহান্তদের প্রজা-নিপীড়ক আর অন্তরাত্মা জমিদার, অর্থ-লোলুপ কাঁপিয়ে অসৎ বিশপ- দিয়েছিল রবিন; কিন্তু আবার লুষ্ঠিত অর্থ দীন দুখীদের মধ্যে বিতরণের মাধ্যমে জয় করে নিয়েছিল সাধারণ মানুষের অন্তর। বিপদে সাহায্য চেয়ে কেউ কোনদিন ফিরে আসেনি তার দুয়ার থেকে। আসুন, লেখকের সাথে গিয়ে আমরাও ঘুরে আসি গভীর গহীন সেই শেরউড জঙ্গল থেকে।