ফলিত পদার্থবিজ্ঞানের প্রফেসর নিয়াজী গবেষণা করছিলেন সময় পরিভ্রমণ নিয়ে। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, সময়কে যেভাবে দেখি আমরা, সময় তেমন নয়। সময়ের প্রকৃত রূপ বুঝতে হলে ডাইমেনশনগুলোকে নতুন দৃষ্টিতে দেখতে হবে। তবে সেটা কি মানব সভ্যতার জন্য ভালো হবে? নাকি আমাদের চেনা-জানা রিয়েলিটিকে বদলে দেবে চিরতরে? ওদিকে তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র আবীর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রহস্যময় এক ধরনের মানুষের অস্তিত্ব আবিষ্কার করে। দেখতে অনেকটা মানুষের মতো হলেও তাদের মাথা অস্বাভাবিক রকমের বড়। ক্যাম্পাসের পাহাড়ে, ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে থাকে তারা। বের হয় অন্ধকার নামলে। এই প্রাণীগুলো আসলে কী? কোথা থেকে এসেছে? কেন এসেছে?
তানজিরুল ইসলামের জন্ম লালমনিরহাট জেলায়। বর্তমানে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে যন্ত্রকৌশল বিভাগে অধ্যয়নরত আছেন। তিনি শৈশব থেকে লেখালেখির প্রতি আগ্রহ। ধূলার-সাহিত্যের প্রতি রয়েছে আলাদা ঝোঁক। অনুভূতিহীন’ নামক তার একটি সাই-ফাই গল্প প্রথম প্রকাশিত হয় কলেজ-ম্যাগাজিনে। এরপর বাতিঘর প্রকাশনীর থুলার গল্পসঙ্কলন-৪ ছাড়াও ‘গল্পের আসর’ এবং ‘বিসর্গ’সহ কিছু সঙ্কলনে তার বেশ কয়েকটি মৌলিক গল্প প্রকাশিত হয়েছে। মার্কিন থৃলার লেখক হারলান কোবেনের টেল নাে ওয়ান তার প্রথম অনুবাদ গ্রন্থ। 'প্রজাপতি বসে আছে মাত্রায় তার প্রথম মৌলিক সায়েন্সফিকশন উপন্যাস।
ভেবে দেখুন, বাংলাদেশের প্রথম নভােচারি আপনি, উৎসাহে টগবগ করছেন আর কদিন পরেই রকেটে চড়ে বসার জন্য। কিন্তু ঠিক এই সময়েই আবিষ্কার করলেন একটা খুনের দায়ে ফাঁসানাে হচ্ছে আপনাকে, স্পেস স্টেশনের বদলে হয়তাে যেতে হবে জেলে। লাশ গুম করবেন কিভাবে? আর স্পেস স্টেশনে যেতে পারলেও শান্তি নেই—আপনি জানেন না আমেরিকান এবং রাশিয়ান নভােচারিরা কি গােপন মিশন নিয়ে এসেছে, তারা মহাকাশেই একে অন্যকে মারার জন্য উঠেপড়ে লাগবে কিনা। অভিনব কোনাে বিধ্বংসী মারণাস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে কি তারা? কেনই বা আপনার এক সহকর্মী উদ্ভট আচরণ করতে শুরু করলাে? মহাকাশ থেকে আসা রহস্যময় কোনাে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে কি? বিভং কাকে বলে? এদিকে, যে মহাশক্তিধর অশুভ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের হাত থেকে কয়েক দিন আগেই মুক্তি পেয়েছে মানুষ, সে আবার ফেরার চেষ্টা করছে না তাে? পৃথিবীব্যাপী তার সমর্থকরা কিসের আশায় বিশৃঙ্খলা চালাচ্ছে? সবচেয়ে বড় কথা, সবকিছু বিগড়ে গেলে কিভাবে নিজেকে বাঁচিয়ে পৃথিবীতে ফিরবেন আপনি? সুপারন্যাচারাল-থলার শ্বাপদ সনে দিয়ে শুরু, তারপর স্পাইথুলার বাজিকর আর বাজি দিয়ে পাঠকপ্রিয় লেখক নাবিল মুহতাসিম এবার টান টান উত্তেজনার সায়েন্সফিকশন-থৃলার বিভং নিয়ে হাজির পাঠকের সামনে।
শাফায়েত জেনেটিক্সের ছাত্র। ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হয়েছে কিছুদিন আগে। এমন সময় তার সামনে এলাে অনাকাঙ্খিত এক সুযােগ। কিন্তু সে কি ধারণা করেছিল সুযােগটার সাথে জড়িয়ে থাকবে তার জীবনের ভয়াবহ এক অধ্যায়?। ড. নাওয়াজ রহমান বিশ্বখ্যাত এক জীববিজ্ঞানী। খ্যাতি আর প্রতিপত্তির নেশায় সে কি বিসর্জন দিয়েছে নিজের মূল্যবােধ? তার মতাে একজন সম্মানীত বিজ্ঞানী কি নামতে পারে এতটা নিচে?। মােহাম্মদপুরের এক কবরস্থানের কাছ থেকে অপহৃত হলাে এক পথশিশু। কেন? কী পরিণতি তার? গভীর রাতে গােরস্থানে সদ্যমৃত কিশােরির লাশ তুলতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়লো ‘খুচরা আফসার। পুলিশ তার কাছে যা শুনলাে, তা শুনে যারপরনাই বিস্মিত। কী করবে তারা। এখন? সাবের বুকের ভেতরে বয়ে বেড়ায় বিষন্নতার সমুদ্র। কিন্তু কেন? ঘটনাক্রমে শাফায়েত পড়ে যায় ভয়াবহ বিপদে। কী করে পরিত্রাণ মিলবে ওর? প্রজাপতি বসে আছে মাত্রায়-এর পর তানজিরুল ইসলাম এবার হাজির হয়েছেন টানটান উত্তেজনায় ভরপুর এক সায়েন্স-ফ্যান্টাসি উপন্যাসিকা নিয়ে।
বিখ্যাত বিজ্ঞানী ডক্টর কিজিলকে হয়তাে আপনারা কেউ কেউ চিনে থাকবেন, লােকটার বিচিত্র আবিষ্কারের নেশা আর উদ্যোক্তা হিসেবে অদ্ভুত সব কাণ্ডে নিজের। এবং অন্যদের জন্য বিপদ আর উটকো ঝামেলা বয়ে নিয়ে আসেন প্রায়ই। তেমন। কয়েকটি রােমহর্ষক অ্যাডভেঞ্চারময় ঘটনা এ বইয়ে বর্ণনার দায়িত্ব নিয়েছেন তার । সহকারী হাসান। এছাড়াও বইয়ে যুক্ত হয়েছে হাফ ডজনের বেশি নানা আমেজের বৈজ্ঞানিক কল্পগল্প; তার কোন কোনােটি গম্ভীর বা ডিস্টোপিয়ান, কোনটা একদমই হালকা মেজাজের। ভেন্ট্রিলােকুইস্ট এবং মিনিমালিস্ট-এর পর বাতিঘর প্রকাশনী। থেকে মাশুদুল হকের এই বৈজ্ঞানিক কল্পগল্পের জগতে আপনাদের আমন্ত্রণ।
সেই অসহনীয় আর্তনাদ...সেই অপার্থিব কি কি শব্দ...এখনাে দুঃস্বপ্নের মাঝে তাড়া করে ফেরে আমায়। যে ভয়াল অস্তিত্ব ছিনিয়ে নিয়েছিল আমার ভালােবাসাকে, সেই অস্তিত্বের জন্ম পৃথিবীতে হয়নি। সত্যটা আমি জানতাম। কিন্তু আমার হাতে প্রমাণ ছিল না। তাই স্মৃতির শৃঙ্খল থেকে পালিয়ে বেড়িয়েছি পনেরােটি বছর। কিন্তু ড. এডওয়ার্ড খান হাল ছাড়েননি। তাই তাে আজ এতগুলাে বছর পর, কিলিমানজারাের একটি গুহায় অসম্ভব এক সত্যের মুখােমুখি হয়েছি, সাক্ষি হয়েছি লক্ষ বছরের পুরনাে ইতিহাসের। এক লক্ষ বছর আগে ওরা এসেছিল পৃথিবীতে। স্বজাতির অস্তিত্ব রক্ষায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিল সেই প্রজাতির তিনজন প্রতিনিধি। তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল কিছু প্রাচীন মানুষ। আদিম প্রবৃত্তিকে পুঁজি করে অবতীর্ণ হয়েছিল অসম এক যুদ্ধে। এই গল্প মানুষের গল্প। পৃথিবীর বুকে শ্রেষ্ঠত্ব রক্ষার এক রক্তক্ষয়ী ইতিহাসের আখ্যান। আমের আহমেদ আদিম পৃথিবী নিয়ে লিখেছেন ভিন্নধর্মি এই সায়েন্স-ফিকশনটি।