দক্ষিণ আফ্রিকার উপকূল ঘেঁষে যাচ্ছিল জাহাজটা। ভীষণ ঝড় উঠল সাগরে, জাহাজডুবি থেকে বেঁচে গেল রালফ নামের এক ইংরেজ ছেলে। ওকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে এল আমার মেয়ে সুয্যান। বোয়া হয়ে কী করে ঠাই দিই এক জাতশত্রুকে? কিন্তু নিয়তি চেয়েছিল আমাদের সঙ্গেই থাকুক রালফ ওর সঙ্গে মন দেয়া-নেয়া হোক সুয্যানের। চেয়েছিল ছেলেটার বংশ পরিচয়ের কারণে স্কটল্যান্ড থেকে আফ্রিকায় হাজির হোক দুই ইংরেজ। চেয়েছিল সুয্যানের রুপে উন্মত্ত হয়ে রাল্ফকে গুলি করুক আমার জাতভাই সোয়ার্ট পিয়েট। চেয়েছিল, সুয্যানের ত্রাণকর্ত্রী হিসেবে আবির্ভূত হোক আদিবাসী ডাকিনী সিহাম্বা গেনয়াঈা তারপর? তারপর কী চেরেল নিয়তি?
ডন ইগনাশিয়ো-শেষ অ্যাযটেক সম্রাটের বংশধর, দখলদার স্প্যানিয়ার্ডদের কবল থেকে মেক্সিকোকে উদ্ধারে বদ্ধপরিকর। জেমস স্ট্রিকল্যান্ড- চাকরি-হারানো সুদর্শন অকুতোভয় ইংরেজ। মায়া-রহস্যময়ী এক অপূর্ব সুন্দরী মেক্সিকান-ইন্ডিয়ান যুবতী। যিব্যালবেস্বার্থপর আর পাগলাটে এক সর্দার। কিংবদন্তির স্বর্ণ শহর কী এদের পরিণতি লিখে রেখেছে নিয়তি? সেজন্যই কি জান বাজি রেখে যিব্যালবে আর মেয়েকে বাঁচাতে গেলেন ইগনাশিয়ো আর স্ট্রিকল্যাণ্ড? সেজন্যই কি স্বর্ণ শহর অভিমুখে শুরু হলো অভিযান, ঘটতে লাগল একের পর এক ঘটনা? এবং সেজন্যই কি সিনর স্ট্রিকল্যাণ্ড শপথ করলেন, ‘আমার কাছ থেকে মেয়েকে আলাদা করতে পারবে না কেউ? প্রিয় পাঠক, ডন ইগনাশিয়ো লেখনীতে পুরো ঘটনার বর্ণনা স্যর হ্যাগার্ড এর কাছে পাঠিয়েছেন তাঁর জনৈক বন্ধু জোন্স (ছদ্মনাম)। বিশাল সে-কাহিনীরই রূপান্তর এখন আপনার হাতে। সত্যি করে বলুন তো, সুপ্রাচীন মায়া সভ্যতার উপর ভিত্তি করে লেখা বন্ধুত্ব, অ্যাডভেঞ্চার, প্রেম, ক্ষমতার দ্বন্দ্ব আর প্রতিহিংসার এই অসাধারণ গল্পের পুরোটা না-পড়ে থাকতে পারবেন আপনি?