মুসলিম দুনিয়ার অধিকাংশ মানুষ রাষ্ট্রযন্ত্র সম্পর্কে হেঁয়ালিপনার মধ্যে রয়েছে। যৎসামান্য জানাশোনা থাকলেও তা যাপিত জীবনে খুব দরকারি বলে বিবেচিত হচ্ছে না। একুশ শতকের এই বস্তুবাদী দুনিয়ায় খেয়ে-পরে বেঁচে থাকাটাই যেন একমাত্র দায়! অথচ অজ্ঞাতে রাষ্ট্র তাকে নিয়ন্ত্রণ করছে, কিন্তু রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে প্রাপ্য অধিকারকে নিজের করে নেওয়ার কোনো তাড়না তার ভেতর নেই! উদাসীনতা নাগরিকদের একটা যন্ত্রে পরিণত করছে; যার আল্টিমেট পরিণতি- চালাক, চতুর, বুঝদার এক কায়েমি শক্তির দাসত্ব কবুল করা। মুসলিম মানসে ইসলামি রাষ্ট্রধারণার চরম অনুপস্থিতি বিরাজমান। মুসলমানরা ঠিক জানে না, আদতে কী ধরনের রাষ্ট্র তারা নির্মাণ করতে চায়। রাষ্ট্র, রাষ্ট্রতত্ত্ব বলতে মুসলমানরা ঠিক কী বোঝে, কী বোঝাতে চায় বিশ্ববাসীকে? যারা জাহেলি রাষ্ট্রব্যবস্থার পরিবর্তে ইসলামি জীবনবোধের আলোকে নববি রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্নে বিভোর এবং সে প্রচেষ্টায় নিজের জীবন- যৌবনের সেরাটা ঢেলে দিচ্ছে, ঠিক তারাও রাষ্ট্রচিন্তাকে আন্তরিকভাবে বোঝার কোনো তাগিদ অনুভব করছে না। এই সংকটাবস্থায় ‘ইসলামি রাজনৈতিক তত্ত্বে রাষ্ট্রধারণা’ গ্রন্থে আধুনিক মুসলিম স্কলারদের রাষ্ট্রচিন্তাকে ঠিক তাঁদের বয়ানে তুলে ধরেছে। গ্রন্থটিতে মুসলিম চিন্তকদের জবানে উপস্থাপিত হয়েছে মুসলমাদের রাষ্ট্র, রাষ্ট্রভাবনা ও রাষ্ট্র-কাঠামো।
আনোয়ার ইব্রাহিম | ইতিহাসের আড়ালে যিনি নিজেই ইতিহাসের স্থপতি | মালয়েশিয়ার আকাশস্পর্শী অগ্রগতির সামনে কেবল যে মাহাথির মোহাম্মদকে দেখি, তাঁর ডান হাতের ক্রাচটাই হচ্ছেন আনোয়ার ইব্রাহিম | বিশ্লেষকদের কেউ কেউ বলেন, মাহাথির নয়, বরং ইব্রাহিম-ই প্রকৃত নায়ক। সময়ের গাইতি ঠেলে মালয় সমাজের সবচেয়ে বিশ্বস্ত এই নেতা মূলত দেশের মানচিত্র পেরিয়ে সব মানুষের জন্য গণতন্ত্রের সৌরভ ছড়াচ্ছেন | তাঁর বিরুদ্ধে আনা সমকামিতার জঘন্য অভিযোগ বারবার প্রতিপক্ষকে দমনের 'ভোঁতা অস্ত্র' হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। বিপ্লবের প্রচলিত ধারণাই ভেঙে দিয়েছেন দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে নির্যাতিত নেতা আনোয়ার ইব্রাহিম | প্রচলিত জীবনযাপন, বোধব্যবস্থার প্রতি অবিচল থেকেও কিভাবে তিনি মালয়েশিয়ার সমাজে বিপ্লব ও পরিবর্তন চিন্তার অনুরণন ঘটালেন, তারই অনালোচিত অনালোকিত প্রচ্ছদে আলো ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে 'বিপ্লবী আনোয়ার ইব্রাহিম' বইয়ে |
মুসলিম প্যারেন্টিং (হার্ডকভার) - সন্তান প্রতিপালন গাইড: প্রযুক্তির এই যুগে সন্তানদের যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলা নিতান্তই চ্যালেঞ্জের বিষয়। আকাশ-সংস্কৃতি ও প্রযুক্তির সহজলভ্যতায় ভালো-মন্দ উভয় ধরনের উপাদানই সন্তানদের হাতের নাগালে। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে তাদের দক্ষ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার লড়াইটাও অনেক কঠিন। চারপাশে থাবা বিছিয়ে আছে নৈতিকতাবর্জিত সামাজিক কদাচার। এমন বহুবিধ সংকটের ভেতর থেকেই শিশুমনকে পবিত্রতার চাদরে আবৃত রেখে তাদের গড়ে তোলার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হয়। তাই আধুনিক যুগে প্যারেন্টিং স্কিল আর বিলাসী বিষয় নয়; বরং জরুরি প্রয়োজন। সে প্রয়োজন পূরণের একটি উত্তম সমাধান হতে পারে ‘মুসলিম প্যারেন্টিং’ নামক এই গ্রন্থটি।
মানুষের পার্থিব জীবন খুব ছোট্ট, সংকীর্ণ; তবে স্বপ্ন তার দিগন্ত বিস্তৃত। নানামাত্রিক স্বপ্নের মধ্যে সবচেয়ে চঞ্চল স্বপ্নটি হলো- জীবনটাকে নিপুণভাবে রচনা করা। এই নিপুণ রচনাকে আমরা বলি ‘সফলতা’। সফলতার জন্যই মানুষ হাতে নেয় নানা উদ্যোগ, উদগ্র-উদ্দাম আয়োজন। এ আয়োজনের প্রতিটি পর্বে মানুষ হয় স্বপ্নমুখর, সাধনাক্লিষ্ট, অভীষ্টজাগ্রত, প্রাপ্তি-রোমাঞ্চিত। এ সফলতা ধরার জন্য মানুষের চেতনায় থাকে তৃষ্ণা, চোখে থাকে স্বপ্ন, হৃদয়ে জ্বলে দাউ দাউ আবেগ। সফলতার পাঠশালায় আমরা এসবেরই ক্লাসে থাকব।
বালুর নিচে মুখ গুঁজে থাকলেই ঘূর্ণিঝড় থামে না। আর চাইলেই ঝড় থামানো যায় না; যা ঘটার, তা ঘটেই। প্রাজ্ঞতা হচ্ছে ঝড়ের সময়টাতে ঠিকঠাক নিজেকে হেফাজত করা। কৈশোরের সংকট অবসম্ভাবী বাস্তবতা; চাইলেই কেউ উপেক্ষা করতে পারে না। কীভাবে আমরা তা সুন্দর করে হ্যান্ডেল করছি, সেটাই বিবেচনার বিষয়। এই গ্রন্থে সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে কিশোরদের দৃষ্টি আর্কষণ করা হয়েছে। কিশোর মানসকে পাঠ করা হয়েছে সুনিপুণভাবে। যেন একজন মেন্টর হাতেকলমে শিখিয়ে দিচ্ছে- কৈশোর জীবনকে কীভাবে সুন্দর করে সাজাতে হয়। পিচ্ছিল পথের যাত্রীদের মঞ্জিলে পৌঁছতে হলে খুব সর্তক থাকতে হবে। সেই সর্তকর্বাতা আর আশু করণীয় নিয়েই এই আয়োজন ‘শোনো হে কিশোর’।
সুবহে সাদিক। পিয়ালং উপত্যকায় শুরু হলো এক নতুন ইতিহাস। ফ্র-এর দলটি রওনা দিলো পিয়ালং উপত্যকায়। যেকোনো মূল্যে আহমদ মুসাকে হাতে পেতে জেনারেল বোরিস একেবারেই মরিয়া হয়ে উঠল। ঘটনাচক্রে আহমদ মুসা বন্দি হয় জেনারেল বরিসের হাতে। কিন্তু যাকে ঘিরে ইতিহাস রচিত হতে যাচ্ছে, সে কি আর বন্দিত্বকে বয়ে বেড়াতে পারে? এদিকে হাসান তারিক, আব্দুল্লায়েভ পৌঁছে যায় তিয়েনশানের ওপারে। অন্যদিকে অপেক্ষার প্রহর গুনছে ফাতেমা ফারহানা আর আয়েশা আলিয়েভা। শিহেজি উপত্যকার নতুন এক ট্রাজেডি। আর সিংকিয়াং-এর ভাগ্য অনিশ্চিত। ইতোমধ্যেই জেনারেল বোরিস এক হাত হারিয়ে ভয়ংকর প্রতিশোধের নেশায় ফিরে এসেছে উরুমচিতে। এবার টার্গেট আহমদ মুসার পাশাপাশি মেইলিগুলি। এমতাবস্থায় ককেশাস থেকে আহমদ মুসার কাছে গুরুত্বপূর্ণ একটি চিঠি এলো। চিঠি পেয়েই আহমদ মুসা শুরু করল তার মিশন। ছুটে চলছে আহমদ মুসার গাড়ি। প্রসারিত দৃষ্টিতে দেখছে, ইয়েরেভেন শুধু আর্মেনিয়ার রাজধানী নয়; কমিউনিস্ট এবং খ্রিষ্টানদের শক্তিসন্তান হেয়াইট উলফ-এর রহস্যময় জায়গা। ককেশাসের নিপীড়িত মুসলমানরা মুক্তির প্রহর গুনছে। অভাব কেবল একজন সিপাহসালারের। ঠিক সেই মুহুর্তে দৃশ্যপটে হাজির আহমদ মুসা। তারপর... তারপর ককেশাসের কান্না থামতে না থামতেই যুগোশ্লাভেনেস্কার মুসলিম আজাদি আন্দোলনের উত্তরসূরি বলকানের হাসান সেনজিকের আর্তনাদ। দাদা আর বাবাকে হত্যা করার পর তাকেও খুঁজছে হায়েনারা। কী হতে যাচ্ছে? চলুন, খুঁজতে শুরু করি।