সমবয়সী কিশোর-কিশোরীর সঙ্গে পাঠকের ঘোরা হবে যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইথিওপিয়া ও সিয়েরা লেওনের হানাবাড়িতে। ঘটবে ভুতুড়ে ঘটনা, অনুভব করা যাবে অনেক বছর আগে মৃত মানুষের নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস। একটি রহস্যময় ফিটনগাড়ির ঘোড়াগুলোর চোখ ঝলসে উঠবে স্বর্ণমুদ্রার মতো। সুড়ঙ্গের অন্ধকারে হায়েনারা হাত থেকে তুলে নেবে মাংস। আর ব্রিটিশ-আমলের হিলস্টেশনে মৃত সাহেব-মেমরা ফিরে আসবেন স্টিমইঞ্জিনে টানা রেলগাড়িতে। একটা গল্প যে ঘোর তৈরি করে তা-ই পাঠককে নিয়ে যাবে শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত।
বাংলার বিস্মৃতপ্রায় ইতিহাসের সংক্ষিপ্ত অথচ সমৃদ্ধ বিবরণ ‘প্রাচীন যুগের বাংলা : গঙ্গারাজ্য থেকে গৌড়’। পলিমাটির স্তূপ, ভগ্ন দালান আর আমাদের আপন অনিচ্ছা-অনাগ্রহের তলায় চাপা পড়ে আছে বাংলার কুড়ি হাজার বছরের সভ্যতার ক্রমবিবর্তনের গল্প। নানা নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে সে গল্পের অংশগুলোকে যোগাড় করে, দুর্বোধ্য ভাষা আর পরস্পরবিরোধী তথ্যের জট ছাড়িয়ে লেখক এক মলাটের ভেতর সাজিয়েছেন। পাঠক চলুন, ঘুরে আসা যাক সময়ের কুয়াশায় ঢাকা বিন্দুসার-অশোক-গোপাল-বল্লাল সেনের ধূসর জগৎ থেকে।
অক্সিজেনশূন্যতার প্রভাবে মস্তিষ্কের ভারসাম্যহীনতা নিয়ে ১৯৯৬ সালের ১০ মে জন ক্রাকাওয়ার এভারেস্টের চূড়ায় গিয়ে পৌঁছালেন। ৫৭ ঘণ্টা তিনি ঘুমাননি । ২৯,০২৮ ফুট (সাধারণত ওই উচ্চতায় আকাশে জেটলাইনার এয়ারবাস অবস্থান করে) উঁচু থেকে যখন তিনি বিপজ্জনক অবতরণ শুরু করলেন অন্য ২০ জন পর্বতারোহী তখনো নাছোড়বান্দার মতো নিজেদের ওপরের দিকে টেনে নিচ্ছিলেন। আকাশটা ঘন মেঘে ছেয়ে যাচ্ছিল, সে ব্যাপারে কেউ সচেতন ছিলেন না। পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু জায়গা এভারেস্টে, প্রাণঘাতী ওই দিনে প্রকৃতপক্ষে কী ঘটেছিল, তারই ভয়ংকর কাহিনি বর্ণনা করা হয়েছে ইনটু থিন এয়ার (১৯৯৭) বইয়ে। এ মর্মান্তিক কিন্তু শ্বাসরুদ্ধকর বর্ণনা পড়তে পড়তে পাঠক ক্রাকাওয়ারের সঙ্গে কাঠমান্ডু থেকে পর্বতের চূড়ায় এক দুর্ভাগ্যজনক অভিযানে হাজির হবেন, যেখানে আরোহীরা অহেতুক ঔদ্ধত্য, লোভ, ভুল মূল্যায়ন ও সম্পূর্ণ দুর্ভাগ্যের শিকার হয়েছেন; আটকা পড়েছেন পর্বতের ভয়ঙ্কর হিংস্রতার ফাঁদে। এটি কোনো কল্পকাহিনি নয়, বাস্তব ঘটনার অভাবনীয় রোমাঞ্চকর বর্ণনা। লেখকের বুদ্ধিমত্তা আর ঘটনাবলির অনবদ্য বিবরণের কারণে ইনটু থিন এয়ার শেষ পর্যন্ত একটি ভয় জাগানো থ্রিলারে পরিণত হয়েছে। পৃথিবীব্যাপী ৩০ লাখ কপির বেশি বিক্রি হয়েছে এ বই ।