কে যেন তছনছ করেছে তিন গোয়েন্দার বন্ধু রেমনের অ্যাপার্টমেন্ট। কিন্তু কিছুই খোয়া গেল না কেন? তদন্ত করতে নামল কিশোর-মুসা-রবিন। রেমনের বোনকে কি কিডন্যাপ করা হয়েছে? কোথায় তিনি? মুক্তিপণ হিসাবে একটা নোটবুক চাওয়া হলো। কী আছে তাতে? রিজ সিটিতে হাজির হলো তিন গোয়েন্দা। কিন্তু কাকে বাদ দিয়ে কাকে সন্দেহ করবে ওরা? হাতে কোন সূত্র নেই । আসলে ঘটছে কী? লিজকে খুঁজতে কারও কোন আগ্রহ নেই কেন? মাটির নীচে কয়লার খনিতে জ্বলছে সর্বনাশা আগুন। হয়তো সেখানেই লুকিয়ে আছে সব রহস্যের চাবিকাঠি। পাতালের সরু সুড়ঙ্গে নামল ওরা। ধেয়ে এলো পাগলা ট্রেইন! এখনই চাপা দেবে ওদের!
পাহাড়ে আতঙ্ক রুবি মাউন্টেনে হাইকিঙে গেল তিন গোয়েন্দা। ওখানে দেখা পেল অতিকায়, লোমশ এক জানোয়ারের। ওটাই কি কিংবদন্তির সেই দানো সাসকোয়াচ? তিন বন্ধু রহস্য ভেদ করার জন্য উদ্গ্রীব হয়ে উঠল। ভুতুড়ে বর্ম: গোবেল বিচে জিনার বাড়িতে এসে রহস্যের খোঁজ পেয়ে গেল কিশোর। জাদুঘরে গভীর রাতে ভয়ঙ্কর ওটা কী? কোনও পিশাচী? ভুতুড়ে বর্ম থেকে বেরিয়ে এল দানব বাদুড়। এল এক পুরানো প্রেতাত্মা। সঙ্গে এল ভয়ানক জাদুকর। জমে উঠল খেলা! ভূমিকম্প: জাদুর ট্রী-হাউসে চড়ে কিশোর ও জিনা এবার স্যান ফ্রান্সিসকোতে। ওরা ওখানে পৌছনোর কিছুক্ষণ পরেই শুরু হলো প্রবল ভূমিকম্প। বাড়ি-ঘর ভেঙে পড়েছে, রাস্তায় দেখা দিয়েছে ফাটল। নিজেদের জীবন বিপন্ন, এ অবস্থায় অসহায় মানুষদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল ওরা। তারপর…
প্রাচীন বাড়ির রহস্য প্রাচীন, পোড়ো এক বাড়ি। কী রহস্য লুকিয়ে রয়েছে ওটার চিলেকোঠায়? লোকে বলে-গুপ্তধন। বাড়িটাতে সন্দেহজনক সব চরিত্রের আবির্ভাব ঘটছে। এবং তাদের ওপর গোয়েন্দাগিরি করার জন্য তো তৈরি হয়েই রয়েছে কিশোর, মুসা আর রবিন। পাতালবন্দি লিযার্ড লোকটা সাধু না শয়তান? অনেকের কাছে সে দুনিয়ার ত্রাণকর্তা, আবার কারও মতে সে ক্ষমতালি্দু-পৃথিবীর দখল নিতে চায়। কোনটা ঠিক জানার জন্য তার পাতাল গবেষণাগারে হানা দিল কিশোর, মুসা, রবিন আর হিরু চাচা। দেখা যাক, কী হয়.. সেই রক্তচক্ষু হঠাৎ করেই উধাও কিশোর! ফুঁপিয়ে উঠলেন মেরি চাচী, “হয়তো দূরে নির্জন কোনও সেতুর নিচে পড়ে আছে ওর লাশ।” মুসা আর রবিন জেনে গেল-‘রক্তচক্ষু”-র পুরনো সেই কেসের সঙ্গে চারপাশে ভয়ঙ্কর অশুভ সব মানুষ! সম্পর্ক আছে কিশোরের অন্তর্ধানের! তবে কি সমাধান হয়নি সেই কেসটা? রক্তচক্ষু-রহস্য তদন্তে নেমে জটিল ষড়যন্ত্রে জড়িয়ে গেল ওরা। সত্যিই কি খুঁজে পেল প্রিয় বন্ধু কিশোরকে? শেষে ভারতের দুর্গম এক পর্বতে অদৃশ্য-মন্দির খুঁজতে গেল তিন গোয়েন্দা। আর কি প্রাণ নিয়ে ফিরতে পারবে ওরা?
নিখোঁজ যাত্রী জনপ্রিয় কিশোর সাহিত্যিক উইলার্ড প্রাইস আসছেন শহরের লাইব্রেরি পরিদর্শনে। তাঁর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে কিশোর, মুসা, রবিন। ট্রেইন এল, কিন্তু তাতে মি. প্রাইস নেই। অথচ তাঁর ব্রিফকেসটি পাওয়া গেল চার নম্বর বগিতে। তাঁর রহস্যময় অন্তর্ধানের পেছনে কি প্রতিদ্বন্দ্বী লেখক ওয়েসলি হলের কোন হাত আছে? তদন্তে নামল তিন গোয়েন্দা। প্রাগৈতিহাসিক বিনোদন পার্কের প্রাচীন, ভুতুড়ে কোস্টারটিতে শেষবারের মত চড়তে চেয়েছিল জিনা। ওটা যখন থামল, কিশোর দেখল জিনা উধাও। তন্নতন্ন করে ওকে খুঁজছে কিশোর। জানা নেই ওর কী ভয়ঙ্কর বিপদ ওত পেতে রয়েছে, এ-ও জানে না কার পাল্লায় পড়েছে ওরা। ভুতুড়ে সাঁকোর রহস্য ছুটি কাটাতে গাঁয়ের এক প্রাচীন বাড়িতে গেছে তিন গোয়েন্দা। ওখানে খোঁজ পেল অদ্ভুত এক ধাঁধার। ওটার সমাধান করা গেলে মিলতে পারে গুপ্তধন! এর ফলে উপকৃত হবেন বাড়ির মালিক। কিন্তু বাগড়া দিচ্ছে লোকে। উঠেপড়ে লাগল কিশোর, মুসা আর রবিন। টের পেল কাজটা কত কঠিন।
ক্যামেরার চোখ ছুটিতে স্যান ফ্রান্সিসকোতে ফটো জার্নালিস্ট বন্ধু পিটারসনের কাছে বেড়াতে এসেছে তিন গোয়েন্দা। কিন্তু কে জানত, আগে থেকেই মারাত্মক বিপদে পড়ে বসে আছে পিটারসন? নিজের অজান্তেই এমন এক ছবি তুলেছে সে, যা মৃত্যুফাদ হয়ে দেখা দিয়েছে তার জীবনে। বন্ধুকে বাঁচানোর অভিযানে নামতে বাধ্য হলো তিন গোয়েন্দা। ওরাও পা দিল মৃত্যুফাঁদে। ভ্যাম্পায়ারের ছায়া হরর ছায়াছবির বিখ্যাত অভিনেতা কার্ল ব্রিগল। তাঁর জমিদারবাড়িতে বেড়াতে গেল তিন গোয়েন্দা। কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর পর ঘটতে শুরু করল বিচিত্র সব ঘটনা। জানালার পাশে ছায়ামূর্তিটা কার? হৃদকম্পনের দুপ-দুপ শব্দটা কোথেকে আসছে? অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেল রবিন। তিন গোয়েন্দা কি জানত কী ভয়ঙ্কর বিপদ অপেক্ষা করছে ওদের জন্য? ভুতুড়ে বাড়ি ভুতুড়ে এক বাড়িতে বেবিসিটারের কাজ নিয়ে এল কিশোর। উদ্দেশ্য, পকেট মানি সংগ্রহ করা। লিযি নামের ছোট্ট এক মেয়েকে দেখে রাখতে হবে ওর। কিন্তু ও আবিষ্কার করল, মেয়েটি শুধু যে অদ্ভুত তা-ই নয়, তার খেলনা পুতুলগুলো বড় বিচিত্র। কিশোর উপলব্ধি করল, নিজের অজান্তেই ভয়ানক বিপদে পড়ে গেছে ও। ধীরে ধীরে গুটিয়ে আনা হচ্ছে জাল!
ধাঁধা-রহস্য উইসকনসিনের পুরানো বাড়িটিতে কী রহস্য লুকিয়ে রয়েছে? প্রাচীন ধাধাগুলো কি কোন গুপ্তধনের ইঙ্গিত দিচ্ছে? রহস্যের গন্ধ পেল তিন গোয়েন্দা। টের পেল, ধাঁধা-রহস্যের সমাধান করতে বুদ্ধির ঝিলিক দেখাতে হবে ওদেরকে। জাদুশক্তি খেলার ছলে ভাগ্যগণনা করাতে গিয়ে তীব্র বৈদ্যুতিক শক খেল কিশোর। তারপর অবাক বিস্ময়ে আবিষ্কার করল, জাদুশক্তি ভর করেছে ওর ওপর। প্রথমটায়, খুশি হয়ে উঠল ও, তবে বিপদটা টের পেল পরে। অলৌকিক উপায়ে খেপা এক বিজ্ঞানী নিজের ল্যাবে নিয়ে গেলেন ওকে, শুরু করলেন নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষা। তাঁর কবল থেকে কীভাবে মুক্তি পাবে কিশোর? রহস্যনাট্য বহুবছর বন্ধ থাকার পর আবারও চালু হয়েছে সুপ্রাচীন ট্র্যাপ-ডোর থিয়েটারটি। ওখানে মঞ্চস্থ হচ্ছে রহস্য নাটক-লেডি অস্টেনের ধাঁধা। ওটা দেখতে গেল তিন গোয়েন্দা। ধীরে-ধীরে আবিষ্কার করল কত বড় রহস্য লুকিয়ে রয়েছে রহস্যনাট্যটির। ভেতরে।