দূরের যাত্রীঃ অতীত থেকে বর্তমানে ফিরতে সাহায্য চাই বিজ্ঞানী রিচার্ড ম্যালয়ের। কিন্তু যে-সে টাইম-মেশিন ধরলেই সর্বনাশ! তাই দিলেন কঠিন ধাঁধা। সব সলভ হলেই মিলবে জরুরি কোড। তদন্তে নেমে জটিল রহস্যে জড়িয়ে গেল তিন বন্ধু- কিশোর, মুসা ও রবিন! গুপ্তধনের দ্বীপঃ জলদস্যু ক্যাপ্টেন কিড। তার গুপ্তধনের নকশা। ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ মহাসাগর। দ্বীপ। বাতিঘর। বহু পুরানো এক অন্তর্ধান, নাকি খুন-রহস্য? মেইন-এ বেড়াতে এসে এর সব কিছুই জানল, দেখল কিশোর। রোমাঞ্চকর অভিযানের হাতছানি, সঙ্গে পেল নতুন বান্ধবী সারাকে। দেখা যাক, দু’জনের মধ্যে কে বেশি দুঃসাহসী! কুহেলী পাহাড়ের প্রেতাত্মাঃ কে জানত গহীন জঙ্গল ও কুহেলী পাহাড়ে লুকিয়ে আছে মহাবিপদ? ফুরিয়ে গেল তিন গোয়েন্দার খাবার। লোকালয় বহু দূরে। ধূসর মেঘে ছাওয়া নির্জন পাহাড়ে বীভৎস এক প্রেতাত্মার তাড়া খাচ্ছে ওরা, তারপরও রহস্যের সমাধান করতে চাইবে না, তা-ই কী হয়? কাজেই আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গেল ওরা মহা ঝামেলায়! মৃত্যুগোলকঃ আকাশে দেখা গেল জ্বলন্ত অগ্নিগোলক, তারপর শুরু হলো মহামারী। মৃত্যুভয়ে ভীত মানুষ। উজাড় হচ্ছে লোকালয়। ওদিকে, গাঁয়ের জমিদারবাড়িটিতে ঘটছে রহস্যময় সব কাণ্ড-কারখানা। ঘটনাচক্রে, তাতে জড়িয়ে গেল তিন গোয়েন্দা আর হিরু চাচা। চারদিকে শত্রু ওদের। প্রাণ নিয়ে টানাটানি। অপারেশন হ্যানসনঃ গভীর রাতে এল চোর! একই রাতে উঁচু টিলা থেকে সাগরে পড়ল শোফার হ্যানসনের গাড়ি। ওটার ভেতরেই নেই ওর লাশ। খোঁজ নিয়েই তিন গোয়েন্দা বুঝল, বড় কোনও ঘাপলা আছে কোথাও। দেরি হলো না ওদের তদন্তে নামতে!
দস্যুর সমাধি ওই অবোধ শিশুর মত বৃদ্ধ আসলে কে? কেন বলে সাগরে তলিয়ে যাওয়া জাহাজের কথা? তদন্তে নামল কিশোর, মুসা ও রবিন। সব বাধা পেরিয়ে ঢুকে পড়ল ওরা দস্যুদের সমাধির ভেতর! আকাশদস্যু হিমালয়ের দুর্গম এক উপত্যকায় আচমকা উদয় হচ্ছে পুরানো, ভুতুড়ে এক বিমান। ফলে, নিখোঁজ হচ্ছে বৈমানিক, লাপাত্তা হচ্ছে উড়োজাহাজ। ডাকোটা প্লেনে চেপে হিরু চাচার সঙ্গে রহস্যের তদন্ত করতে চলল তিন গোয়েন্দা এবং শামিল হলো রুদ্ধশ্বাস অভিযানে। ভৌতিক মুখোশ ভৌতিক এক মুখোশ বশ করতে চাইছে মুসাকে। ওকে দিয়ে করিয়ে নিতে চাইছে নানান অপকর্ম। রুখে দাঁড়াল মুসা অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে। পাশে পেল প্রিয় দুই বিশ্বস্ত বন্ধু কিশোর আর রবিনকে। জমিদারবাড়ি হত্যা-রহস্য হত্যাকাণ্ড ঘটেছে লুনেনবার্গ ম্যানরে। খুনী ধরাছোঁয়ার বাইরে। তদন্তে নামল কিশোর। ধূর্ত হত্যাকারীকে যেভাবে হোক দাঁড় করাবে বিচারের কাঠগড়ায়। ক্রমেই জড়িয়ে গেল ও জটিল এক রহস্যে। ভয়াল দ্বীপে তিন গোয়েন্দা কে বা কারা দিল ওই অদ্ভুত ধাঁধা! পুরাকীর্তি লুঠেরা দল স্ফি, বদমাশ শুটকি টেরি না তৃতীয় কোনও পক্ষ? কী রহস্য বুকে নিয়ে অপেক্ষা করছে মাকাটাও দ্বীপ! ওখানে গেলে ফেরে না কেন কেউ? হাজারো বিপদ ডিঙিয়ে পাতাল-গুহায় ঢুকে তিন গোয়েন্দা বুঝল, এবার বুঝি মরতেই হচ্ছে ওদেরকে!
আবার মায়ানেকড়ে ব্র্যাডভিয়ার বন থেকে একটা মায়ানেকড়ে ধরে আনলেন রবিনের বাবা মিস্টার মিলফোর্ড। বাড়ির ড্রইংরুমে খাঁচায় ভরে আটকে রাখা হলো ওটাকে। কিন্তু তারপরেও চাঁদনিরাতে কে জখম করেছে মানুষগুলোকে? আলখেল্লা পরা রহস্যময় ওই মানুষটিই বা কে? টি-রেক্স-রহস্য ডাইনোসর জাদুঘর করবে বলে শো করে টাকা তুলছে তিন গোয়েন্দার বন্ধু টনি হার্পার । কিন্তু গ্রীনহিলসে শো করতে এসে জমানো পাঁচ হাজার ডলার চুরি গেল টনির। টাকাটা ছাড়া জাদুঘর দিতে পারবে না ও। কাজেই হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারল না কিশোর, মুসা আর রবিন। নামল তদন্তে। বনের ডায়েরি ম্যাজিক ট্রী হাউসে চেপে তিন গোয়েন্দা এবার ভারতের জঙ্গলে। শ্বাপদসঙ্কুল বনভূমি থেকে জীবন নিয়ে ফিরতে হবে ওদেরকে। পারবে তো?
হিমগিরিতে সাবধান তিন গোয়েন্দা স্কি করতে এসেছে ম্নাশু মাউন্টেন স্কি লজে। কিন্তু নানা কারণে ওদের ছুটিটা মাটি হতে বসেছে। রহস্যজনকভাবে হারিয়ে গেল মুসার পয়মন্ত লকেট। শুধু তাই না, পাহাড়ী ঢালে বিপজ্জনকভাবে ধাক্কা দেওয়া হলো-কে যেন সরিয়ে দিতে চায় ওকে প্রতিযোগিতা থেকে। কেউ একজন মেতে উঠেছে নোংরা খেলায়। কে? সাগরে শঙ্কা ডিটেকটিভ ইন্সপেক্টর ডিক কার্টারকে খুন করবে বলে লোক লেগেছে পিছনে। অফিস থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে: হারিয়ে যাও। রবিনের অনুরোধে তিন গোয়েন্দা ও জিনাকে নিয়ে সান্তাক্রজ আইল্যাণ্ডের আশপাশের কোনও দ্বীপে গিয়ে নিখোঁজ হতে রাজি হলেন তিনি। সেখানে গিয়ে তিন দিনের মাথায় সত্যিই নিখোঁজ হয়ে গেলেন আঙ্কেল ডিক। ধরে নিয়ে গেছে তাঁকে কারা! পরদিন প্রচণ্ড ঝড়ে ভেঙে চুরমার হয়ে গেল ওদের মোটর-বোট সীগাল। অজানা, অচেনা দ্বীপে আটকা পড়ল ওরা। আঙ্কেলকে কীভাবে মু্ক্ত করবে ওরা ভয়ঙ্কর সেই দস্যুদলের কবল থেকে? খেপা জাদুকর লোকে বলে হানাবাড়ি। ওখানে ঘাঁটি গেড়ে বসল খেপাটে এক বুড়া। তার বাড়িতে কাগজ দিতে গিয়ে ফ্যাসাদে পড়ে গেল মুসা। আশ্চর্য ক্ষমতাবলে ওর উপর প্রভাব বিস্তার করে চলেছে বুড়ো জাদুকর। মতলবটা কী তার? তিন গোয়েন্দা আর মলি ধীরে ধীরে জড়িয়ে পড়ল জটিল এক ষড়যন্ত্রের জালে।
পাহাড়ের উপর এই প্রাচীন দুর্গ ঘিরে কী দুয়ে রহস্য রয়েছে কে জানে! আতঙ্কিত গ্রামবাসী কেউ সে-সম্পর্কে একটি শব্দ উচ্চারণ করতে চায় না যে? পরিত্যক্তই যদি হবে, রাতের অন্ধকারে কীসের অতও সঙ্কেত আসে ওটার উঁচু টাওয়ার থেকে? আজও কেন ভিতর থেকে তীক্ষ্ণ আর্তচিৎকার ভেসে এসে কাঁপিয়ে দেয় মানুষের বুঝ? সামনেটা ধসে গেছে, কিন্তু পিছন দিয়েও কি ভিতরে ঢুকবার কোনও উপায় নেই? দেখতে গেল তিন গোয়েন্দা, জিনা ও কিকো এবং অটিকা পড়ল গোপন তলকুঠরিতে।
দহের দানো একাধিক জটিল ধাঁধা। সমাধান করা গেলে মিলবে গুপ্তধন। ফলে, টিকে যাবে তিন গোয়েন্দার মেগনানুর পুরানো রিসোর্ট। কাজে নামল ছেলেরা। সূত্র খুঁজতে গিয়ে টের পেল শত্রু লেগে গেছে পেছনে। সুপারভিলেন কমিকের কাল্পনিক চরিত্রগুলো যদি হঠাৎ করে জ্যান্ত হয়ে ওঠে? বিষয়টা আবিষ্কার করে তাজ্জব বনে গেল কিশোরপাশা। তারপর মহাবিপদে পড়তেই টের পেল কত ধানে কত চাল! ক্যামেরা-রহস্য চিড়িয়াখানায় ছবি তোলার প্রতিযোগিতা। বিজয়ী পাবে দু’হাজার ডলার পুরস্কার। কি সেরা ফটোগ্রাফার জন হাওয়ার্ডের ক্যামেরাটা চুরি গেল। প্রতিযোগিতায় জেতার মত ছবি ছিল ওটায়। তিন গোয়েন্দার সাহায্য চাইল ছেলেটি ফলাফল, নতুন রহস্য। ওদের জড়িয়ে পড়া