বিশ্বখ্যাত দুই মহাকাব্য—ইলিয়াড এবং ওডেসি। এই দুই মহাকাব্যের কতটুকু ইতিহাস-নির্ভর? আর কতটুকুর জন্ম হয়েছে মানব কল্পনার গহীন থেকে? যদি কল্পনাই হয়ে থাকে, তাহলে কেন বরফের রাজ্যে আটকা পড়া আরব বজরায় পুরাণের দানোদের হাতে খুন হতে হবে একজন বিজ্ঞানীকে? যদি বাস্তব হয়, তাহলে কোথায় সেই সাইক্লপস? কোথায় সারবেরাস? মিনেটর? অন্য সব দানো? বজরা-রহস্য সমাধানে গ্রিনল্যান্ডে গিয়ে অপহৃত হলো ড. ইলেনা কারগিল। আরেকটা পরিচয় আছে ওর—সে সিনেটর কারগিলের মেয়ে। বান্ধবীকে উদ্ধার করতে সেখানে পা রাখল মারিয়া, সঙ্গে কোয়ালস্কি। ওদের সঙ্গে যোগ দিল গ্রে এবং শেইচানও। বনু মুসা নামের রহস্যময় এক সঙ্ঘ দেখা দিল দৃশ্যপটে। ওদের ধারণা-ওডিসিয়াসে বর্ণিত গল্পের অনেকটাই সত্যি। মহাপ্রলয়কে ত্বরান্বিত করার মানসে সেই দানবদেরকে হাতে পেতে চায় তারা। মুখোমুখি দুই আদর্শ নিয়ে খাড়া হলো সিগমা আর বনু মুসা। কিন্তু গ্রেরা জানে না, এই নাটকের রয়েছে আরো অনেক কুশীলব। টারটারাস কি সত্যি? নাকি হোমারের কল্পনা? সেই প্রশ্নের উত্তর লেখা আছে দ্য লাস্ট ওডিসির পাতায়।
কাহিনী সংক্ষেপ রহস্যের রানি খ্যাত আগাথা ক্রিস্টি বিশ্বের ইতিহাসে সবচাইতে জনপ্রিয় রহস্য লেখিকাদের মাঝে একজন। নাটক, ছোট গল্প, উপন্যাস-সবখানেই রয়েছে তার সদর্প পদচারণা। এরকুল পোয়ারো এবং মিস মার্পল নামের বিশ্বখ্যাত দুটি চরিত্রের জন্মদাত্রী তিনি। আমেরিকান পিতার ঔরসে ও ব্রিটিশ মায়ের গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন আগাথা মেরি ক্লারিসা মিলার। ইংল্যান্ডের টর্কুই নামক স্থানে, ১৮৯০ সনের ১৫ সেপ্টেম্বর তার জন্ম। পারিবারিক ভাবে স্বচ্ছল ছিলেন, তবে ধনী ছিলেন না কখনো। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে একা-একা পড়তে শেখেন তিনি। ১৯১৪ সনে কর্নেল আর্চিবল্ড ক্রিস্টির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন আগাথা। প্রথম স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হবার পর, তিনি পুনরায় বিয়ে করেন ম্যাক ম্যালোওয়ানকে...১৯৩০ সনে। ১৯৭১ সনে ভূষিত হন ব্রিটিশ সরকারের ডেম কমান্ডার অফ দ্য অর্ডার অভ ব্রিটিশ এম্পায়ার উপাধিতে। কিন্তু এই বছর থেকেই আস্তে আস্তে খারাপ হতে থাকে তার শরীর। অবশেষে ১৯৭৬ সনের ১২ জানুয়ারি, বার্ধক্য জনিত কারণে মৃত্যবরণ করেন তিনি। তার লিখিত বিখ্যাত বই থেকে তিনটি বই নিয়ে সাজানো হয়েছে আমাদের আগাথা ক্রিস্টি সমগ্রের ১ম খণ্ড। বইগুলো হলো: অ্যাপয়েন্টমেন্ট উইথ ডেথ দ্য বিগ ফোর পোয়ারো ইনভেস্টিগেটস
গ্যালিলি, ১০২৫, প্রাচীন এক ক্যাথেড্রালে টেম্পলার নাইটদের একজন খুঁজে পেল হাজার বছর ধরে লুকিয়ে রাখা এক নিদর্শন। যেন তেন নয় তা—বাকাল ইশু, যিশু খ্রিষ্টের লাঠি। যার কাছে পাওয়া গেল, তিনিও যেন-তেন কেউ নন। তার দাবী শত শত বছর ধরে পৃথিবীর বুকে হাঁটছেন! সময়কে এক হাজার বছর সামনে নিয়ে আসি। হর্ন অভ আফ্রিকার উপকূলে সোমালি জলদস্যুরা হাইজ্যাক করল এক ইয়ট, সেই সাথে অপহরণ করল এক গর্ভবতী আমেরিকান মেয়েকে। কমান্ডার গ্রে পিয়ার্সকে মা হারাবার শোক ভুলে নামতে হলো কাজে। কেননা এই মেয়েটি কোনও সাধারণ মেয়ে নয়। সে যে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের মেয়ে! সময়ের বিরুদ্ধে লড়তে থাকা গ্রের দলের সাথে যোগ দিল আরও দুজন যোদ্ধা: প্রাক্তন আর্মি রেঞ্জার টাকার ওয়েইন আর তার সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর, কেইন। খোদ আমেরিকার ক্যারোলাইনাতে বোমা বিস্ফোরিত হলো এক ফার্টিলিটি ক্লিনিকে। সর্ষের ভেতর থেকে উঁকি দিল ভূত। জানা গেল, আমাদের জেনেটিক কোড অদল-বদলের চেষ্টায় মত্ত এক গুপ্ত সঙ্ঘ। মনুষ্যত্বকে উদ্দেশ করে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিল সেই সঙ্ঘ: অমর হতে চাও? বাঁচতে চাও চিরদিন?
ব্যাখ্যার অতীত এক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল লন্ডন মিউজিয়াম। নড়ে-চড়ে বসল বিশ্বের বেশ কয়েকটি গোপন সংগঠন। প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বের হলো লেডি কারা কেনসিংটন, সুন্দরী এবং বিদূষী ড. সাফিয়া আল-মায়াজ এবং নামকরা প্রত্নতাত্ত্বিক ওমাহা ডান। প্রবেশ করল এমন এক শহরে, যা কল্পনাকেও হার মানায়। কিন্তু ওদের পিছু পিছু ধেয়ে এসেছে অন্যান্যরা। ওদের উদ্দেশ্য—সারা দুনিয়া জড়ে বয়ে আনবে বিশৃঙ্খলা। সেই সাথে আরব মরুভূমির বিপদ তো আছেই। সবার লক্ষ্যই এক—এমন এক ক্ষমতাকে খুঁজে বের করা যেটা দুনিয়াকে পরিণত করতে পারবে স্বর্গে অথবা ধ্বংস করে দেবে মানব সভ্যতাকে! কে জিতবে শেষ পর্যন্ত?
পপ আইডল হিসেবে তিন বছর কাটাবার পর, কিরিগোয়ে মিমা চায় নিজেকে বদলে ফেলতে। এতদিনের নির্মল, পবিত্র ইমেজ ঝেড়ে ফেলে, নতুন এক আকর্ষণীয় মিমায় পরিণত হবার সিদ্ধান্ত নিল মেয়েটা। কিন্তু নতুন এই মিমা যখন চোখ কপালে তোলার মতো কস্টিউম পরে উপস্থিত হলো মানুষের সামনে, তখন ওর সবচাইতে মোহগ্রস্ত ভক্তদের একজন তা কোনোমতেই মেনে নিতে পারল না। উত্তেজক এক ফটোবুক প্রকাশ করে আগুনে আরও ঘি ঢালল মিমা। আত্মপ্রকাশের দিনগুলোর সেই মিষ্টি মেয়ে মিমায় ওকে ফিরিয়ে নিতে, ভয়ংকর এক পরিকল্পনা সাজালো সেই লোক...যার শেষ ধাপ: মিমার জীবনের ইতি টানা। কিন্তু মধ্যবর্তী ধাপ? যেমন গা শিউরানো, তেমনি বীভৎস!
আমাজনিয়া - অত্যাধুনিক বিজ্ঞান আর প্রাচীন ধর্মীয় মিথের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে কাহিনী: একাধিক বেস্টসেলার অ্যাকশন অ্যাডভেঞ্চার থুলারের লেখক জেমস রোলিন্সের জন্ম ১৯৬১ সালে আমেরিকার শিকাগোতে। ইউনিভার্সিটি অব মিশৌরি থেকে ভেটেনারি মেডিসিনের উপর পড়াশুনা করলেও পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ লেখক হবার জন্যে ত্যাগ করেন সেই পেশা।। ছোটোবেলা থেকেই বই আর অ্যাডভেঞ্চার। লেখার প্রতি দারুণ আগ্রহী রোলিন্স ফারাও। রাজা তুতেন খামেনের কবর আবিষ্কারক। হাওয়ার্ড কার্টারের জীবনকাহিনী থেকে। অনুপ্রাণিত হয়ে শুরু করেন লেখালেখি। কেভ ডাইভিং এবং স্কুভা ডাইভিঙের উপর একাধিক ডিগ্রিধারী এবং অভিজ্ঞ রোলিন্স ব্যক্তিগত জীবনে একজন অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় মানুষ। তার প্রায় প্রতিটি রচনাতেই দেখা যায় অ্যাডভেঞ্চারের ছাপ। তার জনপ্রিয় লেখাগুলোর মধ্যে আমাজোনিয়া, এক্সকেভেশান, আইস হান্ট, সাবটেরেনিয়ান, ডিপ ফ্যাদম এবং স্যান্ডস্টর্ম অন্যতম। এছাড়াও লিখেছেন ইন্ডিয়ানা জোন্সের চতুর্থ সিনেমার। কাহিনী ইন্ডিয়ানা জোন্স দ্য কিংডম অব ক্রিস্টাল স্কাল। ম্যাপ অব বোনস বইটি তার সিগমা ফোর্স সিরিজের দ্বিতীয় বই। আমেরিকাসহ সারাবিশ্বে। ব্যাপক জনপ্রিয় এই সিরিজটির একাধিক বই বেস্টসেলার স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। অ্যাকশন, অ্যাডভেঞ্চার, অত্যাধুনিক বিজ্ঞান আর প্রাচীন। ধর্মীয় মিথের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে এই সিরিজের বেশিরভাগ কাহিনী। জেমস রোলিন্স বর্তমানে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাস করছেন।