আবার মায়ানেকড়ে ব্র্যাডভিয়ার বন থেকে একটা মায়ানেকড়ে ধরে আনলেন রবিনের বাবা মিস্টার মিলফোর্ড। বাড়ির ড্রইংরুমে খাঁচায় ভরে আটকে রাখা হলো ওটাকে। কিন্তু তারপরেও চাঁদনিরাতে কে জখম করেছে মানুষগুলোকে? আলখেল্লা পরা রহস্যময় ওই মানুষটিই বা কে? টি-রেক্স-রহস্য ডাইনোসর জাদুঘর করবে বলে শো করে টাকা তুলছে তিন গোয়েন্দার বন্ধু টনি হার্পার । কিন্তু গ্রীনহিলসে শো করতে এসে জমানো পাঁচ হাজার ডলার চুরি গেল টনির। টাকাটা ছাড়া জাদুঘর দিতে পারবে না ও। কাজেই হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারল না কিশোর, মুসা আর রবিন। নামল তদন্তে। বনের ডায়েরি ম্যাজিক ট্রী হাউসে চেপে তিন গোয়েন্দা এবার ভারতের জঙ্গলে। শ্বাপদসঙ্কুল বনভূমি থেকে জীবন নিয়ে ফিরতে হবে ওদেরকে। পারবে তো?
হিমগিরিতে সাবধান তিন গোয়েন্দা স্কি করতে এসেছে ম্নাশু মাউন্টেন স্কি লজে। কিন্তু নানা কারণে ওদের ছুটিটা মাটি হতে বসেছে। রহস্যজনকভাবে হারিয়ে গেল মুসার পয়মন্ত লকেট। শুধু তাই না, পাহাড়ী ঢালে বিপজ্জনকভাবে ধাক্কা দেওয়া হলো-কে যেন সরিয়ে দিতে চায় ওকে প্রতিযোগিতা থেকে। কেউ একজন মেতে উঠেছে নোংরা খেলায়। কে? সাগরে শঙ্কা ডিটেকটিভ ইন্সপেক্টর ডিক কার্টারকে খুন করবে বলে লোক লেগেছে পিছনে। অফিস থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে: হারিয়ে যাও। রবিনের অনুরোধে তিন গোয়েন্দা ও জিনাকে নিয়ে সান্তাক্রজ আইল্যাণ্ডের আশপাশের কোনও দ্বীপে গিয়ে নিখোঁজ হতে রাজি হলেন তিনি। সেখানে গিয়ে তিন দিনের মাথায় সত্যিই নিখোঁজ হয়ে গেলেন আঙ্কেল ডিক। ধরে নিয়ে গেছে তাঁকে কারা! পরদিন প্রচণ্ড ঝড়ে ভেঙে চুরমার হয়ে গেল ওদের মোটর-বোট সীগাল। অজানা, অচেনা দ্বীপে আটকা পড়ল ওরা। আঙ্কেলকে কীভাবে মু্ক্ত করবে ওরা ভয়ঙ্কর সেই দস্যুদলের কবল থেকে? খেপা জাদুকর লোকে বলে হানাবাড়ি। ওখানে ঘাঁটি গেড়ে বসল খেপাটে এক বুড়া। তার বাড়িতে কাগজ দিতে গিয়ে ফ্যাসাদে পড়ে গেল মুসা। আশ্চর্য ক্ষমতাবলে ওর উপর প্রভাব বিস্তার করে চলেছে বুড়ো জাদুকর। মতলবটা কী তার? তিন গোয়েন্দা আর মলি ধীরে ধীরে জড়িয়ে পড়ল জটিল এক ষড়যন্ত্রের জালে।
পাহাড়ের উপর এই প্রাচীন দুর্গ ঘিরে কী দুয়ে রহস্য রয়েছে কে জানে! আতঙ্কিত গ্রামবাসী কেউ সে-সম্পর্কে একটি শব্দ উচ্চারণ করতে চায় না যে? পরিত্যক্তই যদি হবে, রাতের অন্ধকারে কীসের অতও সঙ্কেত আসে ওটার উঁচু টাওয়ার থেকে? আজও কেন ভিতর থেকে তীক্ষ্ণ আর্তচিৎকার ভেসে এসে কাঁপিয়ে দেয় মানুষের বুঝ? সামনেটা ধসে গেছে, কিন্তু পিছন দিয়েও কি ভিতরে ঢুকবার কোনও উপায় নেই? দেখতে গেল তিন গোয়েন্দা, জিনা ও কিকো এবং অটিকা পড়ল গোপন তলকুঠরিতে।
দহের দানো একাধিক জটিল ধাঁধা। সমাধান করা গেলে মিলবে গুপ্তধন। ফলে, টিকে যাবে তিন গোয়েন্দার মেগনানুর পুরানো রিসোর্ট। কাজে নামল ছেলেরা। সূত্র খুঁজতে গিয়ে টের পেল শত্রু লেগে গেছে পেছনে। সুপারভিলেন কমিকের কাল্পনিক চরিত্রগুলো যদি হঠাৎ করে জ্যান্ত হয়ে ওঠে? বিষয়টা আবিষ্কার করে তাজ্জব বনে গেল কিশোরপাশা। তারপর মহাবিপদে পড়তেই টের পেল কত ধানে কত চাল! ক্যামেরা-রহস্য চিড়িয়াখানায় ছবি তোলার প্রতিযোগিতা। বিজয়ী পাবে দু’হাজার ডলার পুরস্কার। কি সেরা ফটোগ্রাফার জন হাওয়ার্ডের ক্যামেরাটা চুরি গেল। প্রতিযোগিতায় জেতার মত ছবি ছিল ওটায়। তিন গোয়েন্দার সাহায্য চাইল ছেলেটি ফলাফল, নতুন রহস্য। ওদের জড়িয়ে পড়া
সবাই বলে, যেয়ো না ওই রহস্যময় গুহায়, মারাত্মক বিপদ ঘটবে। কেন? জিজ্ঞেস করল কিশোর। জানল, ওখানে বাস করে এক ভূত। গুহার ভেতর বেজে ওঠে ভূতের ঘণ্টি, সতর্ক করে দেয়, পালাও! পালাতে হবে। নইলে ঘটবে ভয়ঙ্কর বিপদ । ভাল চাও তো ওই ভুতুড়ে গুহার ধারেকাছেও যেয়ো না! ঠিক করে ফেলল কিশোর, ও যাবেই যাবে! জিনা, রবিন আর মুসাও চলল ওর সঙ্গে। কি, সঙ্গী হবে নাকি ওদের? সাহস থাকলে সাগরে নৌকো ভাসাও, বিপজ্জনক অভিযান আর গভীর রহস্যে জড়িয়ে পড়ো ওদের সঙ্গে। তবে আগেই সাবধান করে দিচ্ছি, প্রাণ নিয়ে ফিরতে পারবে কি না তা কিন্তু বলা যাচ্ছে না এখুনি!
কে যেন তছনছ করেছে তিন গোয়েন্দার বন্ধু রেমনের অ্যাপার্টমেন্ট। কিন্তু কিছুই খোয়া গেল না কেন? তদন্ত করতে নামল কিশোর-মুসা-রবিন। রেমনের বোনকে কি কিডন্যাপ করা হয়েছে? কোথায় তিনি? মুক্তিপণ হিসাবে একটা নোটবুক চাওয়া হলো। কী আছে তাতে? রিজ সিটিতে হাজির হলো তিন গোয়েন্দা। কিন্তু কাকে বাদ দিয়ে কাকে সন্দেহ করবে ওরা? হাতে কোন সূত্র নেই । আসলে ঘটছে কী? লিজকে খুঁজতে কারও কোন আগ্রহ নেই কেন? মাটির নীচে কয়লার খনিতে জ্বলছে সর্বনাশা আগুন। হয়তো সেখানেই লুকিয়ে আছে সব রহস্যের চাবিকাঠি। পাতালের সরু সুড়ঙ্গে নামল ওরা। ধেয়ে এলো পাগলা ট্রেইন! এখনই চাপা দেবে ওদের!