মার্ডার মিস্ত্রি হয়তাে পড়েছেন আগে, কিন্তু পজেশন মিস্ত্রি? কোন অশুভ শক্তির ছায়া পড়েছে দেশের অন্যতম প্রভাবশালী পরিবারের একমাত্র মেয়ের ওপর-সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে নিয়ােগ করা হলাে অদ্ভদ এক মানুষকে; অতিপ্রাকৃত ক্ষমতার সাথে যার আছে নিবিড়, তিক্ত অভিজ্ঞতা। কিন্তু তদন্তে ডুব দেবার পরই বুঝতে পারলাে চোরাবালি আসলে কতটা গভীর। একা একা সমস্যার জট খােলা সম্ভব নয়, অন্য এক ধরনের। বিশেষজ্ঞের সাহায্যের দরকার, দরকার এক রিচুয়াল ম্যাজিশিয়ানের। ওরা দুজন মিলে কি এই মারাত্মক রহস্যের জাল ভেদ করতে পারবে? প্রতি পদে অপেক্ষা করছে বিপদ-ছায়ার আড়ালে গা ঢাকা দিয়ে আছে অকল্পনীয় ক্ষমতাধর এক আততায়ী। আর্কনখ্যাত তানজীম রহমানের হরর-গৃলার অক্টারিন-এর পাতায় লুকিয়ে। আছে খুন, জাদু, কিংবদন্তি আর চক্রান্তের আশ্চর্য এক উপন্যাস যা চুম্বকের মতাে আপনার মনােযােগকে আকর্ষণ করবে।
পৃথিবীকে দেখার আপনার একটি নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি আছে... সবারই থাকে। এখন কল্পনা করুন এমন এক ভবিষ্যৎ যেখানে যে কেউ চাইলেই আপনার দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে পৃথিবী দেখতে পারবে। ভাববে আপনার সব চিন্তা, অনুভব করবে আপনার সব অনুভূতি। এ জগতে দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে সবচেয়ে দামি সম্পদ, সবচেয়ে ভয়ঙ্কর মাদক। আর অন্যদের দৃষ্টিভঙ্গি চুরি করার জন্য জন্ম নিয়েছে একদল দুর্ধর্ষ, দক্ষ চোর। এমন এক চোরের সবচেয়ে বিপজ্জনক মিশন থেকে এ গল্পের শুরু। আর্কন, অক্টারিন দিয়ে পাঠকপ্রিয়তা লাভ করার পর কেটজালকোয়াটল এবং সুষ্টিবিনাশ রহস্য-এর মতাে নিরীক্ষাধর্মি নভেলা উপহার দিয়েছিলেন এ সময়ের আলােচিত লেখক তানজীম রহমান এবার তিনি পাঠকের সামনে হাজির হয়েছেন আর আমি হবাে ধ্বংসতারার মতাে কাব্যিক নামের মহাকাব্যিক এক কল্পবিজ্ঞান উপাখ্যান নিয়ে...আর সেটা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা গত্বাধা কোনাে ‘সাই-ফাই' গল্প নয় মােটেও। এখানে আপনি রুদ্ধশ্বাস অ্যাকশনে পূর্ণ অসাধারণ এক রােমাঞ্চযাত্রা উপভােগ করবেন। ভ্রমণ করবেন সম্পূর্ণ নতুন এক পৃথিবীতে, খুলবেন অপ্রত্যাশিত রহস্যের জাল। কে জানে, হয়তাে বইয়ের শেষে বদলে যাবে আপনার দৃষ্টিভঙ্গিটাও!
ফ্র্যাংক অদ্ভুত এক মানুষ। নতুন উত্তেজনা, নতুন সুখের আশা যাকে করে তুলেছে প্রায় উন্মত্ত। সুন্দরী জুলিয়া, স্বামীর প্রতি মন উঠে যাচ্ছে তার ধীরে ধীরে। দিন কাটে নতুন পুরুষের কল্পনায়। ক্রিস্টি, বুদ্ধিমতী কিন্তু লাজুক। জুলিয়ার স্বামীর প্রতি আকর্ষণটা কাটিয়ে উঠতে পারছে না কিছুতেই। এই সবগুলো মানুষকে একসাথে নিয়ে আসবে এক রহস্য। এক ধাঁধা। একটা বাক্স। যে বাক্সের ভেতর লুকিয়ে আছে অনন্ত সুখের চাবি। স্বর্গের দরজা খোলা যাবে এই চাবি দিয়ে। নাকি নরকের? হররপ্রেমীদের বিশ্বে ক্লাইভ বার্কার এক শিহরণ জাগানো নাম...দ্য হেলবাউন্ড হার্ট তার অনবদ্য সৃষ্টি। এই উপন্যাসে উঠে এসেছে ভালোবাসা, আকর্ষণ এবং ভালোবাসার নামে মানুষের বীভৎসতার অসাধারণ সব উদাহরণ। সাথে পাবেন অতিপ্রাকৃত, অন্ধকার জগতের অন্যরকম এক চিত্র। নেভারহোয়্যার বইয়ের ভূমিকাতে গেইম্যানের একটি ছোটগল্প অনুবাদ করে লুকিয়ে রেখেছিলাম। ধারণা ছিল ভূমিকা কেউ পড়ে না (আমি নিজেও পড়ি না)। বই প্রকাশ পাবার এক বছরের বেশি হয়ে গেল, এখন আমি নিশ্চিত, ধারণাটা সত্যি।
একদল খুনি। ওদের কেউ প্রথমবারের মতো খুন করতে যাচ্ছে, কেউ আগে দুর্ঘটনাবশত খুন করেছে, কারও আবার খুন করাটাই পেশা। ওদের সবাইকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে মাটির গভীরে এক রহস্যময় গোলকধাঁধায়। ওরা জানতে পারলো এখানে ওদের জন্য অপেক্ষা করছে ভয়ংকর, অপার্থিব এক প্রাণী। পালাতে চাইলে ওদের যেভাবেই হোক এই প্রাণীকে খুন করতে হবে। শুরু হলো বেঁচে থাকার এক রোমহর্ষক অভিযান। বেরিয়ে আসতে শুরু করলো একের পর এক রহস্যের জাল। গোলকধাঁধার অজানা বিপদ, শিকারী প্রাণীটার নারকীয় থাবা আর একে অপরের ষড়যন্ত্র থেকে কী ওরা কেউ শেষ পর্যন্ত বাঁচবে? তানজীম রহমানের ‘আর্কন’ এক অনবদ্য হরর-থৃলার, যা পাঠককে নিয়ে যাবে শ্বাসরুদ্ধকর, অজানা বিপদে ঘেরা অচেনা এক জগতে।
গোয়েন্দা নেই এ গল্পে, তবে রহস্য আছে। খুন আছে, তবে খুনি অজানা। আছে অনেকগুলো চরিত্র, কিন্তু তাদের মধ্যে সন্দেহভাজন কে? বইমেলার বাইরে ঘটে গেলো নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড। জনপ্রিয় লেখকের মৃত্যুতে কেঁপে উঠলো সারাদেশ। নানাজন দিতে শুরু করলো নানা মত, কিন্তু আসল মোটিভ কেউ বুঝতে পারছে না। নিজের অজান্তেই এই রহস্যে জড়িয়ে যায় আরেক তরুণ লেখক। লেখকচক্রের জটিল জগতের পুরনো বাসিন্দা সে, কিন্তু হারিয়ে যেতে থাকে বিপজ্জনক সব নতুন অনুসন্ধানে। ধীরে ধীরে তার সামনে স্পষ্ট হয় নিষ্ঠুরতার অবয়ব। তানজীম রহমান-এর চতুর্থ উপন্যাস অবয়ব আপনাকে নিয়ে যাবে আধুনিক থৃলার সাহিত্যিকদের অদেখা পৃথিবীতে। লেখক রাহাতের সাথে এই যাত্রায় উন্মোচিত হবে গোপন সব তথ্য, খুলে পড়বে মুখোশ, বদলে যাবে অনেক ধারণা। আর বইয়ের পাতায় আপনি খুঁজে পাবেন অন্যরকম এক রহস্যোপন্যাস।