নেতৃত্ব একটি শিল্প। এই শিল্পে দক্ষ কুশলীর প্রচণ্ড অভাব। নেতৃত্বের সংকটে একটি জাতি ধ্বংসের মুখোমুখি হয়। তাই জাতি আজ চাতক পাখির ন্যায় বলিষ্ঠ নেতৃত্বের আবির্ভাবের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে। কিন্তু প্রকৃত নেতৃত্ব তখনই গড়ে উঠে যখন কতগুলো নির্দিষ্ট বিষয় একযোগে কাজ করে এবং তাতে সফলতা অর্জিত হয়। অপরদিকে নেতা ভুল করে বসলে সবই পণ্ড হয়। ‘সমকালীন চ্যালেঞ্জ : নেতা ও নেতৃত্ব’ গ্রন্থে লেখক নেতৃত্ববিষয়ক একটি পূর্ণাঙ্গ স্কেচ এঁকেছেন। আমরা আশাবাদি, এই স্কেচ আগামী দিনের নেতৃত্বের জন্য একটা পথরেখা নির্দেশ করবে; যে পথরেখা ধরে সফলতা ছুঁয়ে দেওয়া সম্ভব। চলুন, জীবনঘনিষ্ঠ ইস্যু নেতৃত্ব নিয়ে কিছু বোঝাপড়া করি।
মুক্তির মিছিল শুরু হলো ফিলিস্তিনে। আহমদ মুসারা ইজরাইলি গোয়েন্দা সিনবেথের সাংকেতিক পরিভাষা বুঝতে পেরেছিল। টের পেয়ে সিনবেথ পালটে ফেলে কমিউনিকেশন কোড। তখন এগিয়ে এলো ইজরাইল রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাকালীন কর্ণধার ডেভিড বেনগুরিয়ানের মেয়ে এমিলিয়া। কর্নেল মাহমুদের প্রতি দুর্বল এমিলিয়া ইসলাম গ্রহণ করে। সরবরাহ করে নতুন সাংকেতিক কোড। ইহুদি গোয়েন্দারা এমিলিয়াকে আটক করে অমানবিক নির্যাতন চালায়। খবর পেয়ে আহমদ মুসা উদ্ধার করে তাকে। স্বাধীন হয় ফিলিস্তিন। কিন্তু বন্দি হয় আহমদ মুসা। তাকে নেওয়া হয় মিন্দানাওয়ে। সেখান থেকে মুক্ত হয় সে। একের পর এক ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করতে থাকে। আহমদ মুসাকে হাতের মুঠোয় পেতে মুর হামসার ছোটো বোন শিরিকে অপহরণ করা হয়। শিরিকে উদ্ধার করতে আহমদ মুসাকে যেতে হয় জাম্বুয়াঙ্গোতে। সাগরপথে যাত্রাকালে আবারও বন্দি হয় আহমদ মুসা। শিরিকে হাজির করা হয় তার সামনে। নিহত হয় শিরি। সেখান থেকে আহমদ মুসাকে কফিনে ভরে প্লেনে করে নিয়ে যাওয়ার সময় প্লেন ক্রাশ করে কফিন পড়ে যায় পামিরের আল্লাহ বকস গ্রামে। দৃশ্যপটে চলে আসে ফতিমা ফারহানা, হাসান তারিক, আয়েশা আলিয়েভা, উমর জামিলভ, কর্নেল কুতাইবারা। বরফে মোড়া পামির, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তানের পাথুরে মালভ‚মি, আগুনঝরা মরুমাঠ আর আমুদরিয়া, শিরদরিয়ার স্বচ্ছ নীল পানি সবটা জুড়ে প্রচণ্ড একটা ঝড়। ফ্র-এর অসুর শক্তির সঙ্গে সাইমুমের বিশ্বাসী শক্তির এক রক্তক্ষয়ী সংঘাত। এ সংঘাতের পরিণতি কী? আহমদ মুসা, হাসান তারিকরা এক অসম্ভব এবং অসম মিশনে হাত দিয়েছে। উদ্দেশ্য একটাইচ- মজলুম মানুষের মুখে হাসি ফোটানো।
মুসলিম মস্তিষ্ক (হার্ডকভার): বিজ্ঞানের অনবদ্য গল্প পপুলার কালচারে আমরা ‘অন্ধকার যুগ’ কথাটার সাথে অনেক পরিচিত। সাইন্স, টেকনোলজি, ফিলোসফির জন্য ইতিহাসে এক কালো গহ্বর। আবার অন্যদিকে বিভিন্ন মুসলিম দাওয়াহ সংগঠনকে প্রচার করতে শুনি-এটা ইউরোপিয়ানদের জন্য অন্ধকার সময়কাল, আর মুসলিম বিশ্বে তো চলছিল এক স্বর্ণযুগ। আর এখন অনেক পপুলার মাধ্যমে এই কথাটাও প্রতিষ্ঠা পেয়ে গেছে। তাহলে অন্ধকার যুগ ন্যারেটিভের বাস্তবতা কতটুকু? স্বর্ণযুগ ন্যারেটিভও-বা কতটুকু সত্য? বইটির গল্পগুলোর মধ্যে দিয়ে সেসবেই আলো ফেলার প্রচেষ্টা...
একুশ শতকের তারুণ্যকে বুঝতে হবে তাদের ভাষায়। সাধারণভাবে সব শ্রেণিপেশার মানুষই প্রবৃত্তির গোলামী করতে অভ্যস্ত। তরুণ-তরুণীরাই প্রবৃত্তির গোলামীতে মত্ত হয় বেশি। বলা যায়, তারুণ্যের সময়টুকু প্রবৃত্তির গোলামীর ভরা মৌসুম। এই সময়ে কেউ নিজেকে নিয়ন্ত্রণও করতে পারে আবার গড্ডালিকাপ্রবাহে নিজের জীবনকে ভাসিয়েও দিতে পারে। তারুণ্য যেমন ধ্বংসলীলায় মাতোয়ারা, আবার সেই তারুণ্যেই সৃষ্টি সুখে বিভোর! কেউ ভাঙছে, কেউ আবার গড়ছে। তারুণ্য নিয়ে হতাশা আছে, তবে মুদ্রার অপর প্রান্তে আশাবাদী হওয়ার যথেষ্ঠ উপাত্ত আছে। আজকের তরুণরা কোন পথে এগোচ্ছে, কীভাবে ভাবছে, কীভাবে সঙ্কটের খাঁদে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছে আর কীভাবেই-বা সঙ্কট মোকাবেলার পথ খুঁজছে-আমরা তা জানার চেষ্টা করব তরুণদের কলম থেকেই। 'প্রজন্ম ক্ষুধা' সমকালীন তারুণ্যের মনে কথামালা। আজকের দুনিয়াকে তরুণদের চোখে দেখার এই আয়োজনে আপনাকে স্বাগত। চলমান সময়কে তারুণ্যের আয়নায় দেখার সফরে আপনাকেও অংশ নেওয়ার বিনীত আমন্ত্রণ!
মানব শিশুকে Curiosity তথা কৌতূহলী মানসিকতা দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে। শিশু জন্মের পর থেকেই তাদের কৌতূহলের মাত্রা বাড়তে থাকে। শিশুর এই চরিত্রের প্রকাশ বহুভাবে ঘটে। কোন শিশু অশান্ত, কোনটা প্রশান্ত, কোনটা চঞ্চল, কোন শিশু সুবোধ! এ সবই শিশু চরিত্রের ভিন্নতার কারণে হয়। শিশুদের কিছু সাধারণ চরিত্র আমরা দেখতে পাই, যা বড়দের কাছে গুরুত্বহীন। মজাদার শিশু চরিত্র চিন্তাশীল মানুষদের আগ্রহী করে তুলে। একটি গভীরে গেলেই দেখা যাবে, শিশুরা বড়দের চেয়ে বহুগুণে বেশী কাজ করে যাচ্ছে শুধুমাত্র স্বীকৃতি আদায়ের জন্য! এই চরিত্র বুঝে কাজ করতে পারলে, প্রতিটি শিশুকেই সেরা মানব সন্তানে পরিণত করা সম্ভব। মূলত এই বইয়ে শিশুদের নানা চরিত্রকে বিশ্লেষণ করে, চিত্তাকর্ষক ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। যে ব্যক্তি শিশু নিয়ে বিরক্ত ছিলেন তাকেও আগ্রহী করে তুলবে। যাদের শিশু আছে, যাদের শিশু আসবে, যারা নতুন জীবন গড়তে যাচ্ছে কিংবা যারা শিশু গড়ার কারিগর হতে চায়। এই বই এমন সবার চিন্তাকেই অনুপ্রেরণা যোগাবে।