মানব শিশুকে Curiosity তথা কৌতূহলী মানসিকতা দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে। শিশু জন্মের পর থেকেই তাদের কৌতূহলের মাত্রা বাড়তে থাকে। শিশুর এই চরিত্রের প্রকাশ বহুভাবে ঘটে। কোন শিশু অশান্ত, কোনটা প্রশান্ত, কোনটা চঞ্চল, কোন শিশু সুবোধ! এ সবই শিশু চরিত্রের ভিন্নতার কারণে হয়। শিশুদের কিছু সাধারণ চরিত্র আমরা দেখতে পাই, যা বড়দের কাছে গুরুত্বহীন। মজাদার শিশু চরিত্র চিন্তাশীল মানুষদের আগ্রহী করে তুলে। একটি গভীরে গেলেই দেখা যাবে, শিশুরা বড়দের চেয়ে বহুগুণে বেশী কাজ করে যাচ্ছে শুধুমাত্র স্বীকৃতি আদায়ের জন্য! এই চরিত্র বুঝে কাজ করতে পারলে, প্রতিটি শিশুকেই সেরা মানব সন্তানে পরিণত করা সম্ভব। মূলত এই বইয়ে শিশুদের নানা চরিত্রকে বিশ্লেষণ করে, চিত্তাকর্ষক ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। যে ব্যক্তি শিশু নিয়ে বিরক্ত ছিলেন তাকেও আগ্রহী করে তুলবে। যাদের শিশু আছে, যাদের শিশু আসবে, যারা নতুন জীবন গড়তে যাচ্ছে কিংবা যারা শিশু গড়ার কারিগর হতে চায়। এই বই এমন সবার চিন্তাকেই অনুপ্রেরণা যোগাবে।
স্পেনের বিধ্বস্ত জনপদে নতুন করে গজাচ্ছিল চারাগাছ। ঠিক সেই মুহুর্তে এলো এক ভয়ংকর বিপর্যয়। ছুটে এলো আহমদ মুসা। আর এদিকে ফাঁদ যেন পাতাই ছিল। নিষ্ঠুর এক শত্রুর জালে পাকা ফলের মতো পড়ে গেল সে। শুরু হলো সংঘাত। একদিকে লাল রক্তের হৃদয়হীন তৃষ্ণা আর অন্যদিকে হৃদয় দেওয়া-নেওয়ার রোমাঞ্চকর দ্বন্দ্ব। এর মধ্য দিয়েই চলছে আহমদ মুসার মিশন। কিন্তু গোয়াদেল কুইভারের অশ্রুতে সেই মিশন কি পিছলে পড়বে? ক্লু-ক্ল্যাক্স-ক্ল্যান মাদ্রিদে মুসলমানদের নতুন অস্তিত্ব এবং স্পেনের স্মৃতিচিহ্নগুলো মুছে ফেলার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে মজলুম মরিসকোরাও জেগে উঠেছে। নিউ ফ্যালকন অব স্পেনের আশাদীপ্ত উত্থান হলো। মুসলিম আন্দালুসিয়ার বিরান প্রান্তরে গোয়াদেল কুইভারের তীরে কি শুরু হচ্ছে আরেকটি পরিবর্তন? কে জিতবে এই পরিবর্তনের লড়াইয়ে? মরিসকো বিজ্ঞানী জোয়ান ও জেনকে নিয়ে চলা ঘটনার শেষ কোথায়? আহমদ মুসা কি মরিকোদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে পেরেছিল? গোয়াদেল কুইভার কি নতুন রাত উপহার দিতে পারবে? স্পেনের মিশন শেষ না হতেই সিংকিয়াং-এ নতুন এক খেলা শুরু হলো। রেড ড্রাগন ও ফ্র-এর খপ্পরে সিংকিয়াং গভর্নর। মুসলমানদের ওপর আবারও শুরু হয়েছে নির্যাতন ও নিপীড়ন। বন্দি হলো আহমদ মুসার স্ত্রী মেইলিগুলি। ছুটল আহমদ মুসা। বন্দি হলো তাদের হাতে। আহমদ মুসাকে বাঁচাতে গুলিবিদ্ধ হলো মেইলিগুলি। তারপর...
মুসলিম প্যারেন্টিং (হার্ডকভার) - সন্তান প্রতিপালন গাইড: প্রযুক্তির এই যুগে সন্তানদের যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলা নিতান্তই চ্যালেঞ্জের বিষয়। আকাশ-সংস্কৃতি ও প্রযুক্তির সহজলভ্যতায় ভালো-মন্দ উভয় ধরনের উপাদানই সন্তানদের হাতের নাগালে। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে তাদের দক্ষ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার লড়াইটাও অনেক কঠিন। চারপাশে থাবা বিছিয়ে আছে নৈতিকতাবর্জিত সামাজিক কদাচার। এমন বহুবিধ সংকটের ভেতর থেকেই শিশুমনকে পবিত্রতার চাদরে আবৃত রেখে তাদের গড়ে তোলার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হয়। তাই আধুনিক যুগে প্যারেন্টিং স্কিল আর বিলাসী বিষয় নয়; বরং জরুরি প্রয়োজন। সে প্রয়োজন পূরণের একটি উত্তম সমাধান হতে পারে ‘মুসলিম প্যারেন্টিং’ নামক এই গ্রন্থটি।
সদ্য পৃথিবীতে আগত শিশুমন প্রতিনিয়তই নতুন কিছু জানতে চায়, শিখতে চায়। শিশুর কমল মন যেন নতুন কিছুকে গ্রহণ করার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকে। মনের আকুলতা থেকে তারা ছুড়তে থাকে একটার পর একটা প্রশ্ন। জানতে চায় বিভিন্ন সাফল্য ও ব্যর্থতার গল্প। তাদের এই কৌতূহল মেটানোর জন্য তৈরি হয়েছে অদ্ভুত সব কল্পকাহিনি; যেগুলোতে না আছে কোনো উপদেশবাণী, আর না আছে তার সত্যতা। ফলে কুঁড়ি থেকেই শিশুমন মিথ্যা গ্রহণ করতে শেখে। মিথ্যার সাথেই গড়ে উঠে তাদের সখ্যতা। তাই শিশুর কোমল মনে সত্যকে ঢেলে দেওয়ার জন্য শিশুদের পাঠোপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে কুরআনে বর্ণিত নবিদের গল্প নিয়ে দশ খণ্ডের সিরিজ- ‘নবিকাহিনি’; যা শিশুর হৃদয়ে নবুয়তি জিন্দেগির নুর জ্বালিয়ে দেবে।
"আমি হতে চাই 'সিরিজ' " বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা: আজকের শিশু আগামী দিনের দেশের কর্ণধার। শিশুদের সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে নৈতিক শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। ‘আমি হতে চাই’ সিরিজের গল্পগুলো শিশুদের সত্যবাদিতা, পরোপকারিতা, উদারতা, সহনশীলতা, পরিচ্ছন্নতা, কৃতজ্ঞতাবোধ, দায়িত্ববোধ, মানুষের প্রতি ভালোবাসা ইত্যাদি মানবিক গুণাবলি অর্জনে উৎসাহিত করবে। গল্পগুলোর ভাষা সহজ ও সাবলীল। ছবিগুলো গল্পের সাথে মানানসই ও চমৎকার। ৬ খণ্ডের এই সিরিজের গল্পগুলো শিশুদের হৃদয়ে মানবীয় মূল্যবোধের ভিত গেঁথে দেবে এবং নরম মনের ক্যানভাসে এঁকে দেবে সুন্দর মানুষ হওয়ার দৃঢ় প্রত্যয়।