আনোয়ার ইব্রাহিম | ইতিহাসের আড়ালে যিনি নিজেই ইতিহাসের স্থপতি | মালয়েশিয়ার আকাশস্পর্শী অগ্রগতির সামনে কেবল যে মাহাথির মোহাম্মদকে দেখি, তাঁর ডান হাতের ক্রাচটাই হচ্ছেন আনোয়ার ইব্রাহিম | বিশ্লেষকদের কেউ কেউ বলেন, মাহাথির নয়, বরং ইব্রাহিম-ই প্রকৃত নায়ক। সময়ের গাইতি ঠেলে মালয় সমাজের সবচেয়ে বিশ্বস্ত এই নেতা মূলত দেশের মানচিত্র পেরিয়ে সব মানুষের জন্য গণতন্ত্রের সৌরভ ছড়াচ্ছেন | তাঁর বিরুদ্ধে আনা সমকামিতার জঘন্য অভিযোগ বারবার প্রতিপক্ষকে দমনের 'ভোঁতা অস্ত্র' হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। বিপ্লবের প্রচলিত ধারণাই ভেঙে দিয়েছেন দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে নির্যাতিত নেতা আনোয়ার ইব্রাহিম | প্রচলিত জীবনযাপন, বোধব্যবস্থার প্রতি অবিচল থেকেও কিভাবে তিনি মালয়েশিয়ার সমাজে বিপ্লব ও পরিবর্তন চিন্তার অনুরণন ঘটালেন, তারই অনালোচিত অনালোকিত প্রচ্ছদে আলো ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে 'বিপ্লবী আনোয়ার ইব্রাহিম' বইয়ে |
রেজেপ তায়্যিপ এরদোয়ান। বর্তমান বিশ্বের অন্যতম একজন ক্যারিশম্যাটিক ও জনপ্রিয় নেতা। বিংশ শতাব্দীর শেষ ও একবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে এই নেতার উত্থান। ২০০১ সালে একে পার্টি গঠনের মাধ্যমে ‘নতুন তুরস্ক’ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে ২০০২ সালের নির্বাচনে জনগণের ব্যাপক সমর্থন নিয়ে প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় আসেন তিনি। টানা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায়। তাঁর নেতৃত্বকেই তুরস্ক বিশে^র বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ও অবকাঠামোসহ সকল খাতে ব্যাপক উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। বর্তমান তুরস্ক উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্বের কাছে প্রাধান্য পাচ্ছে। শুধু উন্নয়নই নয়; এরদোয়ান জয় করেছেন তাঁর দেশের সাধারণ জনগণের হৃদয়ও। তুরস্কের সীমানা ছাড়িয়ে দুনিয়াব্যাপী তাঁর জনপ্রিয়তা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। বিশ্ব রাজনীতিতে এরদোয়ান একজন অন্যতম নীতিনির্ধারকে পরিণত হয়েছেন। বিশ্বের মজলুম মানুষের পাশে তিনি সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে দাঁড়িয়েছেন। তবে এরদোয়ানের এই দীর্ঘ সফলতার পথচলা মোটেই সহজ ছিল না।
বৈবাহিক জীবনবোধ, রোমাঞ্চ ও ভালোবাসার সাবলীল বোঝাপড়া দাম্পত্য রসায়ন সঙ্গীর মনের প্রতিটি ভাঁজে বিচরণ ও উপলব্ধি এবং তার হৃদয়-পাতাকে অধ্যয়ন করা দাম্পত্য সুখের অপরিহার্য শর্ত। স্বামী-স্ত্রীর শারীরিক ও মানসিক বৈশিষ্ট্য ও গঠন সৃষ্টিগতভাবেই ভিন্ন। এই দুই ভিন্ন সত্তা যখন একই ধ্যানের মৃণাল ধরে জীবন সাজাতে সংকল্পবদ্ধ হয়, তখন পরস্পরের গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে অবগত হওয়া আবশ্যক হয়ে পড়ে। অন্যথায় দাম্পত্যজীবনের উষ্ণ লেনাদেনাকে যান্ত্রিক ও আরোপিত বলেই মনে হয়। ‘দাম্পত্য রসায়ন’ পাঠকের চিন্তা ও বোঝাপড়ায় এমন এক বোধ দিতে চায়, যা সঙ্গীর মনের ভাষা পড়তে সহায়ক হবে। দাম্পত্য সম্পর্ক প্রাণোচ্ছল করতে ‘দাম্পত্য রসায়ন’ পুস্তিকাটি হতে পারে স্বামী-স্ত্রীর দারুণ এক টোটকা।
বায়তুল মুকাদ্দাস ফিলিস্তিনে অবস্থিত। কাবা শরিফের পরে এই মসজিদ নির্মাণ করা হয়। সেদিক থেকে এই মসজিদ পৃথিবীর দ্বিতীয় মসজিদ। মুসলিম, ইহুদি, খ্রিষ্টান... সবাই এই মসজিদকে অত্যন্ত সম্মান করে। বায়তুল মুকাদ্দাস ছিল মুসলমানদের প্রথম কিবলা। তোমরা কি জানো কিবলা কি? কিবলা হলো- যার দিকে ফিরে মানুষ নামাজ আদায় করে। কাবা শরিফের আগে মুসলমানরা এই মসজিদের দিকে ফিরে নামাজ পড়তেন। পরে আল্লাহ মুসলমানদের কাবা শরিফের দিকে ফিরে নামাজ পড়ার আদেশ দেন। বায়তুল মুকাদ্দাসের মর্যাদা অনেক। তিনটি মসজিদে নামাজ পড়লে অন্য সব মসজিদের চেয়ে অনেক বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। সে মসজিদগুলো হলো- ১. মসজিদে হারাম অর্থাৎ কাবা শরিফ, ২. মদিনার মসজিদে নববি অর্থাৎ যে মসজিদে আমাদের নবি নামাজ পড়তেন এবং ৩. বায়তুল মুকাদ্দাস বা মসজিদে আকসা। সোলায়মান আলাইহিস সালামের সময়ে বায়তুল মুকাদ্দাস নতুন করে বানানো হয়। জিনেরা অনেক সময় নিয়ে মসজিদের কাজ করে।
ধর্ম, ভাষা, সংস্কৃতি আর ভৌগলিক পরিবেশ বিবেচনায় ৫৬ হাজার বর্গমাইলের এই ভূখণ্ডে ইসলামি রাজনীতি সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য হওয়ারই কথা ছিল। কিন্তু আজতক তা প্রত্যাশিত পর্যায়ে নেই। বাংলাদেশের ইসলামপন্থিদের আটকাবস্থা ও সীমাবদ্ধতা নিয়ে পর্যালোচনা তাই খুবই প্রাসঙ্গিক। ইসলামি রাজনৈতি সংগঠনগুলোর ব্যাপারে রয়েছে অন্ধ বিরোধিতা; নয়তো অন্ধ সমর্থন। দুধরনের অদ্ধত্বকে উপেক্ষা করে ইসলামপন্থিদের দেখতে হবে তৃতীয় নয়নে। ইসলামি রাজনীতি নিয়ে সত্যিকারের গবেষণা আমাদের দেশে হয় না। নানান মিথ আর প্রিজুডিশ ধারণা নিয়ে ইসলামি রাজনীতিকে উপেক্ষার সাগরে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা এই গ্রন্থে বাংলাদেশের ইসলামি রাজনীতি নিয়ে একটা পূর্ণাঙ্গ ছবি আঁকতে চেয়েছি।
পিতার সন্তান থেকে সন্তানের পিতা হয়েছি। সন্তান হিসেবে আমাকে নিয়ে পিতামাতার পেরেশানী উপলব্ধি করতে পারি আজ মধ্যবয়সে এসে পৌঁছে। মা-বার বুকের ভেতরটা পড়তে পারছি কলিজার টুকরো মেয়েদের দিকে তাকালেই। একটা বিশ্বাসী জীবনবোধের মধ্য দিয়ে বড়ো হয়েছি। আমার জীবনবোধে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন এবং তার প্রিয় রাসূলুল্লাহ সা.-এর উপস্থিতি। এমন এক বিশ্বাসের দেয়াল ছুঁয়ে আজ এখানে এসে পৌঁছেছি, যেখানে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র নিয়ে কমপ্লিট সলিউশন প্যাকেজ রয়েছে। একজন প্রফেশনাল ব্যাংকার হিসেবে আমার জগতটা হিসাব ও কারবার নিয়ে। সেই অভ্যাসেই কিনা, আমি প্রতিনিয়ত আমার সন্তানদের নিয়ে হিসাব করি, ভাবনার রাজ্যে হারিয়ে যাই। সেই ভাবনাগুলোই কলমের ছোঁয়াতে কাগজে সংরক্ষণ করেছিলাম। একজন বাংলাদেশী মুসলিম পিতার প্যারেন্টিং ভাবনা। এই ভাবনাগুলো ছাপার অক্ষরে হাজারো পিতামাতার কাছে পৌঁছবে ‘প্যারেন্টিংঃ সন্তান প্রতিপালনে সফল হওয়ার উপায়’ বইয়ের মাধ্যমে।