আটলান্টিকের এক অংশের নাম গালফ অব গিনি। গালফ অব গিনির নীল জল যে ভূখণ্ডে এসে আছড়ে পড়ছে, সেখান থেকেই শুরু বিশ্বখ্যাত চকোফিল্ড কোতদিভােয়া ইংরেজিতে যাকে বিশ্ববাসী চেনে আইভরিকোস্ট নামে। প্রায় অবিভক্ত জার্মানির সমান, তিন লক্ষ সাড়ে বাইশ হাজার বর্গ কিলােমিটার আয়তনের এই বিশাল ভূখণ্ড কোতদিভােয়া উৎপাদন করে সারা দুনিয়ার আশি শতাংশ কোকো, স্থানীয় ভাষায় যার নাম কাকাও। এই কাকাও থেকেই তৈরি হয় সুস্বাদু চকলেট। লম্বাটে ধরনের, দুই মাথা চোখা, পেটমােটা এক একটি কাকাওয়ের ওজন প্রায় ১ কেজি পর্যন্ত হয়। ভেতরে আতাফলের মতাে অসংখ্য কোয়া, যার প্রতিটা কোয়ার ভেতরেই রয়েছে একটি করে বিচি । বিচির পাতলা আবরণটি তুলে ফেললেই এর ভেতরের পুরাে শাঁসটিই হলাে চকলেট। এই শীস গুড়াে করে তৈরি করা হয় চকো পাউডার, আর তা থেকেই তৈরি হয় বিশ্বব্যাপী এত মজার মজার চকলেট।
বায়ান্নর ভাষা শহিদদের মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র ৭ জনের নাম জানা গেছে। তাদের দুজন, রাজমিস্ত্রিপুত্র শিশু অহিউল্লা এবং রিকশা চালক আউয়াল। অন্য পাঁচজনকে নিয়ে আলোচনা হয়েছে, গ্রামের নাম হয়েছে, সড়কের নাম হয়েছে, মিলেছে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। কিন্তু এ দুজন ইতিহাসের অতল অন্ধকারে প্রায় হারিয়েই যাচ্ছে। কাজী জহিরুল ইসলাম এই দুজনসহ সাত ভাষা সৈনিককে নিয়ে লিখেছেন সাতটি গল্প। এই সাতটি গল্পের মধ্য দিয়ে তাদের জীবন, পরিবার, তৎকালীন সমাজচিত্রসহ উঠে এসেছে পুরো ভাষা আন্দোলন। চরিত্রসমূহ এবং ঘটনাগুলো লেখক দিনক্ষণ ঠিক রেখে তুলে এনেছেন ইতিহাস থেকে, ঘটনার পারম্পর্য তৈরি করতে আশ্রয় নিয়েছেন কল্পনার। ইতিহাস ও কল্পনার এক নিপুণ যোগসূত্র তৈরি হয়েছে এই গল্পগুচ্ছে। ভাষা আন্দোলন বাঙালির চেতনার সূতিকাগার। যারা এই সূতিকাগারের স্রষ্টা তারাই আমাদের জাতিসত্তার উত্থানপর্বের নায়ক। এই সাত নায়কের গল্প তাই বাঙালির উত্থানপর্বের গল্প।