লোকে বলে, আর্টেমিস ফাউল এই শতাব্দীর বড় বড় প্রত্যেকটা অপরাধের সাথে জড়িত! মাত্র বারো বছর বয়সেই, অপরাধ জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রে পরিণত হয়েছে সে। দুর্নীতি আর অপহরণকে পুঁজি করে বাড়িয়ে তুলতে চাচ্ছে পরিবারের ঐশ্বর্য। আরও নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে, এক ফেয়ারিকে অপহরণ করতে চাইছে। পাতালপুরীতে বাস করে এমন একদল ভয়ঙ্কর আর প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে মানুষের চাইতে যোজন যোজন এগিয়ে থাকা ফেয়ারিদের খোঁজ পেয়েছে সে। কিন্তু তাদের ক্ষমতার প্রচণ্ডতা ঠিক ঠাহর করে উঠতে পারেনি। অপহরণ করলেই যে মিলবে না মুক্তিপণ ! তার জন্য ফেয়ারিদের মুহুর্মুহু আক্রমণ সহ্য করতে হবে! মানুষ আর ফেয়ারি, এই দুই সম্প্রদায়ের মাঝে রক্তক্ষয়ী এক যুদ্ধের সূচনা এই হলো বলে!
আর্কিওলজিস্ট নিনা ওয়াইল্ডের ধারনা, হারানো কিংবদন্তী আটলান্টিসের অবস্থান সনাক্ত করতে পেরেছে। এখন পরীক্ষা করে দেখতে হবে, তার এই অনুমান ঠিক কি না। কিন্তু কিছু মানুষ চাইছে কাজটা করার আগেই বাবা-মায়ের মতো তাকে মৃত দেখতে! সাবেক কমান্ডো বডিগার্ড এডি চেজ ও বিলিওনেয়ার-কন্যা ক্যারি ফ্রস্টের সাহায্য নিয়ে নিনাকে চষে ফেলতে হবে ব্রাজিলের বনভূমি থেকে শুরু করে তিব্বতের পাহাড়, ম্যানহাটনের অলিগলি থেকে আটলান্টিক সাগরের তলদেশ। কিন্তু পদে পদে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে ওরা কারা? রহস্যের চাদরে গা ঢাকা দেয়া ব্রাদারহুড অভ সেলাফোরসের কি স্বার্থ এসবের পেছনে? চলছে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। একের পর এক আক্রমণের মুখে দিশেহারা নিনা কি পারবে ১১,০০০ বছর ধরে কালের গর্ভে লুকানো আটলান্টিস খুঁজে বের করতে? নাকি ভুল হাতে পড়ে আবার ধ্বংস হবে প্রাচীন সেই সভ্যতা?
এক অশুভ শক্তির ছায়া পড়েছে অসাধারণ মেধাবী একটি মেয়ের ওপর। কিন্তু কেন? এই আপাত নিরীহ প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে এক সাইকায়াট্রিস্ট। নিজের জীবনের কিছু তিক্ত ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কারণে, তার অতিপ্রাকৃত ঘটনায় কোন বিশ্বাস নেই। কিন্তু খোঁজ শুরু করার পরে একসময় সে বুঝতে পারল শুধুমাত্র মনোবিজ্ঞান দিয়ে এ ঘটনার সমাধান করা অসম্ভব। তার পরিচয় হল এক আধিদৈবিক চিকিৎসকের সাথে। তাদের যুগ্ম সন্ধান ভেদ করতে থাকল একের পর এক রহস্যের জাল, নিয়ে যেতে থাকল এক অকল্পনীয় ক্ষমতাশালী, দুর্দান্ত ধূর্ত প্রতিপক্ষের দিকে। কিন্তু তা কি শুধুই তাদের খোঁজের কৃতিত্ব? নাকি তা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বুনে চলা এক জালের একটি অংশ যেখানে শিকারীরা নিজেরাই একসময় পরিণত হয় শিকারে। নীলাঞ্জন মুখার্জ্জীর ‘শতী সহস্রাননা’র প্রতিটি পৃষ্ঠায় লুকিয়ে আছে রহস্য, ইতিহাস, হত্যা, মিথ ও মাইথোলজির এক আশ্চর্য বর্ণনা যা পাঠককে শুরু থেকে শেষ অবধি চুম্বকের মতো টেনে রাখবে।
আত্মসমর্পণ করতে এসে হঠাৎ করে মারা গেল বিখ্যাত গুণ্ডা নাহিদ হাসান। আণ্ডারগ্রাউণ্ড ডন ওয়াসির বিরুদ্ধে রাজসাক্ষ্মী হতে চেয়েছিল বলেই কি বেঘোরে প্রাণ হারাতে হলো তাকে? কিন্তু মরল কীভাবে? রক্তে তো প্রাণঘাতী কোনও ধরনের রাসায়নিক নেই! রহস্য জটিল রুপ ধারণ করল, দৃশ্যপটে ডন ওয়াসির প্রধান আততায়ী খন্দকার শুভ'র আগমনে। তাহলে কী কোনও উপায়ে এই দয়া-মায়াহীন পাষণ্ড খুনটা সেরেছে? এদিকে মৃত্যুর মাত্র কয়েকঘণ্টা আগে রহস্যময় এক নারীর সাথে নাস্তা করতে দেখা গিয়েছে নাহিদ হাসান ওরফে নাদু গুণ্ডাকে। কে এই রমণী? মাফিয়ার লোকজনের সাথে তার কী সম্পর্ক! রহস্য সমাধানের দায়িত্ব এসে পড়ল ডাক্তার থেকে পুলিশ বনে যাওয়া রাফসান ইবনে রেজার ঘাড়ে। জুনিয়র এসআই আদনান আহমেদকে সাথে নিয়ে ঢাকা শহরের এ মাথা থেকে ও মাথা ছুটে চলছে বেচারা। জলদি রহস্য সমাধান করতে না পারলে জেলে যেতে হতে পারে ওদের বস, সৈয়দ মারুফকে, নাদু গুণ্ডার খুনের দায় নিয়ে। ঘড়ির কাঁটাকে হার মানাতে পারবে তো ওরা? সমাধান হবে তো রহস্যের?
দ্য গুড সান পৃথিবীতে যদি মাত্র একজনকে বিশ্বাস করা যায়...তাহলে সে মানুষটি নিজে ছাড়া আর কে হতে পারে! অথচ নিজের ওপরেই যদি কেউ খুইয়ে ফেলে বিশ্বাস? ধাতব গন্ধের ধাক্কা নাকে নিয়ে ঘুম ভাঙল ইউ-জিনের। সিউলের জাঁকাল ডুপ্লেক্স বাড়িতে মা আর পালক ভাইয়ের সঙ্গে থাকে সে। নিজ কামরা থেকে বেরিয়ে সিঁড়ির গোড়ায় আসতেই আবিষ্কার করে-রক্তের ডোবায় শুয়ে আছে ওদের মা! রাতের স্মৃতি যেন নাগালের ঠিক বাইরে ঘোরা-ফেরা করছে! খিঁচুনির রোগী হওয়ায় প্রায়শই এমনটা হয় ইউ-জিনের। তবে একটা কথা মনে আছে পরিষ্কার-রাতে মা ডাকছিল ওকে। সাহায্যের আশায়, বাঁচার আকুতি নিয়েই কী? কার কাছ থেকে বাঁচতে চাচ্ছিল মা? খুনি কি অন্য কেউ? নাকি ইউ-জিন নিজেই? পরবর্তী তিনটি দিনের গল্প, ভয়াল সেই রাতের রহস্য উন্মোচনের আখ্যান। কিন্তু পেঁয়াজের খোসার মতো ক্রমেই ওদের পারিবারিক জীবন খুলে খুলে প্রকাশিত হচ্ছে অজানা অনেক গোপনীয়তা। মর্মন্তুদ ও মনস্তাত্ত্বিক থ্রিলারের পাশাপাশি, দ্য গুড সান-এর পরতে পরতে জড়িয়ে আছে--স্মৃতির রহস্য, মা ও ছেলের সম্পর্কের টানাপড়েন। সেই সঙ্গে অবাক করে দেয়া এক সত্যও!
দেবতা মারা গেছেন...তাই আসুন, তার ছেলেদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া যাক! মোটকু চার্লির ছাপোষা জীবনে তখনই যতি পড়ে গেছে, যখন ওর বাবা মারা গেছে ফ্লোরিডার একটা ক্যারিয়োকি স্টেজে! চার্লি জানতই না যে ওর একটা ভাই আছে...ওদের বাপ যে দেবতা—সেটা জানার তো প্রশ্নই ওঠে না। ওর সেই ভাই, স্পাইডার, দেখা দিল সদর দরজায়। বদলে যেতে লাগল মোটকু চার্লির জীবন। হয়ে উঠল মজার... ...সেই সঙ্গে বিপজ্জনকও। উত্তেজনায় ভরা, কখনও একটু ভয়ের, আর অবশ্যই মজার গল্প ‘আনানসি বয়েজ’, মূলত যৌবন, বুনো অভিযান আর অটল বিপদের মুখোমুখি হবার রঙিন এক গল্প।