ক্লাইম্বার মাঝ-আকাশে ঘটে গেল রুদ্ধশ্বাস ডাকাতি। কিন্তু তারপরেই দুর্বৃত্তদের বিমান আছড়ে পড়ল রকি পর্বতমালার উপর, একশো মিলিয়ন ডলার ভর্তি তিনটে বাক্স হারিয়ে গেল উঁচু-নিচু পর্বতশৃঙ্গের মাঝে। বেতারে পাঠানো হলো সাহায্যের আবেদন। আবেদনে সাড়া দিল দু’জন উদ্ধারকারী। ওরা এলেই আটক করা হলো তাদের। বাধ্য করা হলো ডলার-ভর্তি বাক্স খুঁজে বের করতে। কাজ শেষ হওয়ামাত্র খুন করা হবে ওদের। কিন্তু উদ্ধারকারীদের একজনের নাম মাসুদ রানা, সেটা ওদের জানা ছিল না। মরুস্বর্গ কোথায় ওই ক্যাসিনো? সব দেশের সিক্রেট সার্ভিস খুঁজছে ওটাকে। কেন? গোটা দুনিয়ার লেজে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে এক ভয়ানক দুবৃর্ত। ওই ক্যাসিনো থেকেই নাকি আসছে সেই ড্রাগ। একবিংশ শতাব্দীর অভিশাপ। পাগল হয়ে উঠেছে গোটা বিশ্বের তরুণ-যুবা। এমন নেশা যে, একবার নিলে কী মরলে! আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছে ওরা ড্রাগ না পেলে। শুধু ঢাকা শহরেই গত ছয় মাসে দেড় হাজার অ্যাডিক্ট খুন করেছে সতেরো হাজার নিরীহ মানুষকে। প্রথম সুযোগেই ঢুকে পড়ল রানা ওই ক্যাসিনোয়। জানে না, ও শিকার না শিকারী ।
প্রিয় পাঠক, মাসুদ রানার সঙ্গে আরও একবার সুমেরু অভিযানে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি আপনাকে। এবারের গন্তব্য—আর্কটিক সার্কেলের সাড়ে পাঁচশো কিলোমিটার উত্তরের নামহীন এক বরফ-দ্বীপ। দর্শনীয় অনেক কিছুই পাবেন ওখানে। দ্বীপের গভীরে আছে গোপন এক প্রাচীন গবেষণাগার… ভিতরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে অসংখ্য মানুষের লাশ! আরও কিছু চাই? পাবেন। গবেষণাগারের পাশে, জমাট বাঁধা বরফের ভিতরে রয়েছে পঞ্চাশ হাজার বছর ধরে ঘুমিয়ে থাকা একদল হিংস্র, রাক্ষুসে, প্রাগৈতিহাসিক দানব! এবে রওনা দেবার আগে জানিয়ে রাখা ভাল, ভাল করে ভেবে-চিন্তে সিদ্ধান্ত নিন। দ্বীপের দখ। নেবার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে মার্কিন সরকার। খবর পেয়ে সাবমেরিন নিয়ে রাশান এক রিয়ার অ্যাডমিরাল আসছেন ওটাকে নিউক্লিয়ার বোমা মেরে নিশ্চিহ্ন করে দিতে। শুধু তা-ই নয়, শীতনিদ্রা ভেঙে খুব শীঘ্রি জাগতে চলেছে। রাক্ষুসে দানবের দল! ভীষণ খিদে ওদের পেটে। বুঝতেই পারছেন, যেতে হবে নিজ ঝুঁকিতে। রানা অবশ্য থাকছে আপনার সঙ্গে তবে… ওর নিজেরই তো.. ভাল করে ভেবে-চিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।
দুষ্প্রাপ্য এক কালো চিতা আঁধার রাতে বতসোয়ানার বিপদসংকুল কালাহারি মরুভূমি ধরে নিঃশব্দে ছুটছে। টোপ বানানো হয়েছে পরমাসুন্দরী জুলজিস্ট ডোরা ডারবিকে। ফাঁদে আটকা পড়েছে মাসুদ রানা, এখন ওকে মোগলদের সঙ্গে খানা খেতে হবে। টেরোরিস্টদের গ্রুপটাও ছুটে এল, রক্তগঙ্গা বইয়ে দিয়ে হলেও সফল করবে নিজেদের ষড়যন্ত্র । ‘তোমাকে ভালবাসি, তাই তোমার বিপদ শুনে স্থির থাকতে পারিনি, রানাকে শুধু এই কথাটি বলার জন্যে ছুটে এল মিষ্টি কোমল মেয়ে ইভা পুনম, কিন্তু না এলেই ভাল হােত। সন্ত্রাসী ডেকা বারগাম এবার অগ্নিমূর্তি ধারণ করে নিজেই হাজির হলো রণক্ষেত্রে। ফুয়েল নেই, রসদ নেই, সঙ্গীরাও হারিয়ে গেছে-কোণঠাসা রানা আঁধার দেখছে চোখে।
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের খুদে একটি দ্বীপ, মুমুরা। তার অধিবাসীরা পাচেক ‘অসভ্য সহ অকস্মাৎ ধ্বংস হয়ে গেল একদিন। পুড়ে কয়লা হয়ে গেল। জানা গেল, এ ধ্বংসযজ্ঞের জন্যে দায়ী একটি পারমাণবিক বোমা, এবং সেটির আবিষ্কারক একজন বাংলাদেশী পরমাণু বিজ্ঞানী। যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্যের আবেদনে সাড়া দিয়ে ছুটল মাসুদ রানা। জড়িয়ে পড়ল ভয়ঙ্কর মরণপণ লড়াইয়ে।
মধ্যপ্রাচ্যের তেল-সমৃদ্ধ দেশগুলোকে গ্রাস করতে চলেছে। পশ্চিমা দুনিয়া। প্রস্তুতির কাজ শেষ। এমন সময় মাসুদ রানার হাতে এল ওদের পরিকল্পনার নীল নকশা। পৌছে গেল ওটা বাংলাদেশ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের চিফ মেজর জেনারেল (অবঃ) রাহাত খানের হাতে। ক্ষতিগ্রস্ত হতে চলেছে এমন কয়েকটি দেশের সিক্রেট সার্ভিস চিফের সঙ্গে বসে তৈরি করলেন তিনি পাল্টা পরিকল্পনা। প্রস্তুত রইল এশিয়ার বেশিরভাগ দেশের সেনাবাহিনী ঠিক হলো: ইজরায়েলের কাছ থেকে কেড়ে নেয়া হবে মার্কিন পারমাণবিক মিসাইল। ডাক পড়ল মাসুদ রানা, সোহেল আহমেদ, লিউ ফু-চুং, অনিল চট্টোপাধ্যায়, আসি ও উর্বশী দাসার। ওদের সঙ্গে সেই ধচাপচা জাহাজে করে চলেছে আরও অনেকে। জাহাজ কিন্তু আপনার খুবই চেনা… স্বর্ণ-বিপর্যয় সেই মার্ভেল অভ গ্রিস! পাঠক, এই আত্মঘাতী মিশনে যাবেন ওদের সঙ্গে?
অপারেশন বসনিয়া বসনিয়া বাহিনীর এক বিশ্বাসঘাতক কর্নেল হাত মিলিয়েছে সার্বদের সাথে, দখল করে নিয়েছে মুসলিম বাহিনীর মূল অস্ত্র-ঘাটি-বসনিয়ার মানচিত্র বদলে দিতে চায় ওরা। মানবিক সাহায্যের আবেদনে সাড়া দিয়ে ছুটল মাসুদ রানা। ওর সাথে যোগ দিল গগল ও বুরুজ আলি। টার্গেট বাংলাদেশ পাগলা কুকুর বললেই হয়, মিডিয়া সম্রাট ম্যাডক ফাউলার আগামীকালের খবর আজকের বলে চালাবার অপতৎপরতায় মেতে উঠেছেন। সঙ্গে আছে কবির চৌধুরীর ছেলে টেকনো-টেরোরিস্ট খায়রুল কবির আর জার্মান কিলিং মেশিন ডিক মেনাচেম।
পালিয়ে বেড়াচ্ছে মাসুদ রানা। সি.আই.এ এবং জিওনিস্ট ইন্টেলিজেন্সের মৃত্যু পরোয়ানা ঝুলছে ওর মাথার ওপর। কদিন বিশ্রাম নেবে মনে করে আশ্রয় নিল সে বন্ধু রেমারিকের ওখানে, ইটালীতে। তারই সুপারিশে দেহরক্ষীর চাকরি নিল ইটালীর এক ধনী পরিবারে। সেখানে ছোট্ট একটি মেয়ে মিষ্টি একটা গান উপহার দিল রানাকে। দিয়েই চিরবিদায় নিল এ পৃথিবী থেকে। খুন করেছে ওকে কিডন্যাপাররা। কিছুর সাথে নিজেকে জড়াবে না প্রতিজ্ঞা করেছিল রানা; কিন্তু কখন যে ওকে জয় করে নিয়েছিল কিশোরী মেয়েটা, টেরই পায়নি। এখন আর ঘুমাতে পারে না ও। দাউ দাউ করে জ্বলছে বুকে প্রতিশোধের আগুন
ঘনিষ্ঠ এক বন্ধুর সাহায্যের আবেদনে সাড়া দিল মাসুদরানা-বাড়াল সহযােগিতার হাত। যেতে হলাে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে, এক বিশেষ মিশন নিয়ে-উদ্দেশ্য, ওখানকার কয়েকটি দ্বীপের আশপাশের গভীর সমুদ্রে তল্লাশি চালিয়ে খুঁজে বের করবে অত্যন্ত মূল্যবান এক শিলাখণ্ডের আবিষ্কৃত মজুদ। রানা কল্পনাই করতে পারেনি এ-কাজ করতে গিয়ে কত দুঃখ ছিল কপালে । একদিকে শত্রুপক্ষ, অন্যদিকে রুদ্র প্রকৃতি, ফ্যালকন আইল্যান্ড চারদিকে একের পর এক বিস্ফোরিত হতে শুরু করেছে অসংখ্য ডুবাে আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ । ফাদে আটকা পড়ে গেছে জাকারান্ডা-দিশে হারিয়ে ফেলেছে মাসুদ রানা।
সোনা মেয়েদের অলংকার বা এমনকী অহঙ্কারও হতে পারে। কিন্তু পুরুষদের জন্য হয়ে উঠতে পারে ভয়ঙ্কর এক নেশা। অন্তত মাসুদ রানাকে এবার সেই নেশাতেই পেয়ে বসেছে। বিশ্বাস হয়, আফ্রিকার পাহাড় ঘেরা ছোট্ট এক গ্রামে মাইনারদের সাথে বক্সিং লড়ছে রানা, প্রতিদ্বন্দ্বী ধাওয়া করায় দৌড়ে পালাচ্ছে? চার্লি উডকক এমন একটি চরিত্র, নিজেকে একজন রাজা বা সম্রাট বানাবার কাজে ব্যস্ত সে। আসুন তার কথা ভুলে চোখ ফেরাই সুফিয়ার দিকে। সুন্দরী মেয়েটা ভালবাসে.. কিন্তু তার ভালবাসার পরিণতি কী? মাসুদ রানা সিরিজের দংশন রোমাঞ্চকর অ্যাডভেঞ্চার, নাটকীয় উত্থান-পতন, বিস্ময়কর প্রতিশােধ ও অতুলনীয় বন্ধুত্বের এক জলজ্যান্ত কাহিনী।
এযেন অসম্ভবকে সম্ভব করার চেষ্টা! গ্রিক পন্ডিত আর্কিমিডিসের তৈরি করা যে- ধাঁধা দুহাজার বছরেও ভেদ করতে পারেনি কেউ, সেটাই সমাধান করতে চাইছে রানা মাত্র চার দিনে! নইলে খুন করা হবে পিতৃসম অ্যাডমিরাল হ্যামিল্টনকে। পাগলের মতো ছুটে বেড়াচ্ছে ও দু’দুটো মহাদেশ। পাঠক, চলুন ওর সঙ্গে ঘোড়া ছোটাই ইংল্যান্ডের প্রান্তরে; চুরি করি গ্রিসের জাতীয় জাদুঘরের অমূল্য সম্পদ; ২০০ মাইল বেগে গাড়ি চালাই জার্মানির ফ্রী ওয়েতে; অথবা হারিয়ে যাই ইটালির ভূগর্ভস্থ প্রাচীন সুড়ঙ্গে, কিংবা আমেরিকার রাস্তায় জড়িয়ে পড়ি মরণপণ সংঘর্ষে। নিষ্ঠুর দুই শত্রু পিছু নেবে আপনার। সমস্ত বাধা-বিপত্তি ঠেলে ওর সঙ্গে এক সময় ঠিকই পৌছাবেন রাজা মাইডাসের সেই সোনার সমাধিতে। লোভ হচ্ছে? তাহলে চলুন রওনা হই!
পাঠক গ্রিক উপকথার মাইডাস টাচের গল্প জানেন তো? স্বর্ণ লোভী রাজা মাইডাসকে অদ্ভুত এক বর দিয়েছিলেন দেবতারা- শুধু স্পর্শ দিয়ে যে- কোন জিনিসকে সোনায় রূপান্তরিত করতে পারতেন তিনি। সেটা তার জন্য হয়ে দাঁড়ায় অভিশাপ। ভুল করে নিজের মেয়েকে সোনার মূর্তি বানিয়ে ফেলেন তিনি। করুন… সেইসঙ্গে সুন্দর এক কাহিনী, তাই না? কিন্তু গল্পটা যদি গল্প না হয়? যদি ওটা সত্যি হয়ে থাকে? এত বছর পর পাগলাটে কোন ভিলেন যদি সেই ক্ষমতার অধিকারী হতে চায়… খুঁজে পেতে চায় রাজা মাইডাসের সমাধি… এবং মাসুদ রানাকে ওর ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাধ্য করতে চায় সেই কাজ করে দিতে? কি ঘটবে তাহলে? না, পাঠক, কল্পনার সাগরে ভেসে যাবার কোনও দরকার নেই। এই বইয়ের ভিতরে রয়েছে সমস্ত প্রশ্নের জবাব। সেই সঙ্গে রয়েছে পাতায় পাতায় দমবন্ধ করা উত্তেজনা, রক্ত গরম করা অ্যাকশান আর বুদ্ধির মারপ্যাঁচ সহ অনেক কিছু। তাহলে আর দেরি কেন, চলুন রানার সঙ্গে যোগ দিই শ্বাসরুদ্ধকর আরেকটি অভিযানে। কথা দিচ্ছি, হতাশ হবেন না।
টেররিস্ট মানুষরূপী পিশাচ বলতে যা বোঝায়, ডেমিয়েন কেইন ঠিক তা-ই। পেশাদার টেররিস্ট সে, ইন্টারপোলের অন্যতম মোস্ট ওয়ান্টেড আসামি। ফ্লোরিডায় ধরা পরল সে। হাতকড়া পরিয়ে যাত্রীবাহী এক বিমানে করে বিচারের জন্য লস অ্যাঞ্জেলসে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাকে। কিন্তু এত সহজে হার মানার পাত্র নয় কেইন। ছদ্ম পরিচয় ওর সঙ্গী-সাথীরা উঠেছে একই বিমানে। যথাসময় আত্মপ্রকাশ করল তারা, হাইজ্যাক করল বিমান। ওফ্ফো, পাঠক, আপনাকে বলতে ভুলে গেছি, উল্লেখযোগ্য আরেকজন যাত্রী আছে এ-বিমানে। দুর্ধর্ষ এক বাঙালি যুবক- তার নাম আপনি জানেন। আদিম আতঙ্ক বিখ্যাত প্য়ালিয়োনটলজিস্ট ডক্টর নাসিম আহমেদ এর লেকচার শুনতে গ্রেগ রনসন অডিটোরিয়ামে গেল মাসুদ রানা। ভদ্রলোক প্রিয় বন্ধু সোহেলের বড় ভাই। ওখানেই প্রথম দেখলো ও জাপানি ললনা রূপসী মানামি সিনোসুকাকে। জড়িয়ে গেল ওরা আষ্টেপৃষ্ঠে। নাসিমের অনুরোধে মস্ত ঝুঁকিয়ে নিল রানা। ডুব দিল প্রশান্ত মহাসাগরের গভীরতম অঞ্চলে, যেখানে মাউন্ট এভারেস্ট কে ছেড়ে দিলে টুপ করে তলিয়ে যাবে। সত্যি কি আছে সেখানে সেই প্রাগৈতিহাসিক প্রাণী- বিশালাকায় হাঙ্গর কারকারোডেন মেগালোডন?
খুন হয়ে গেলেন জেনেটিক্স বিজ্ঞানী আহসান মোবারক। এবার খুন হবে তার মেয়ে মোনা? বোমা বিস্ফোরণে উড়ে গেল বিজ্ঞানীর বাড়ি। ইউএন অফিসে কে বা কারা দিল ভাইরাস মাখা চিঠি? এ কোন কাল্ট, লড়ছে ধর্মের বিরুদ্ধে? দুবাইয়ের বুর্জ আল আরব হোটেলের বলরুমে রানার সঙ্গে বেধে গেল মরণপণ লড়াই! সত্যিই কি অমৃত তৈরি করছিল বাপ-বেটিতে মিলে? মস্ত ঝুঁকি নিয়ে খুঁজতে গেল ও উত্তপ্ত মরুভূমিতে।…তারপর? মোনাকে উদ্ধার করতে গিয়ে ইরানের পরিত্যক্ত এক দ্বীপে রানা দেখা পেল ভয়ঙ্কর এক শত্রুর! কণ্ঠে অকৃত্রিম ঘৃণা নিয়ে সে বলল: এবার পারলে বাঁচতে চেষ্টা করো দেখি, বাঙালি গুপ্তচর! বুঝাল রানা, সত্যিই আজ বেজে গেছে ওর মৃত্যুঘণ্টা!
অসহায় প্রফেসরের স্ত্রীর নীরব কান্না বাধ্য করল রানাকে তাঁদের মেয়েকে খুঁজে দেয়ার দায়িত্ব নিতে। জানত না, জড়িয়ে যাচ্ছে কী গভীর ষড়যন্ত্রে। কোর্ফিউ দ্বীপে চোখের সামনে দেখল বোমা-বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল ওর ঘনিষ্ঠ বন্ধু মউরাস। শপথ নিল রানা, শেষ দেখে ছাড়বে। আমেরিকায় যেতেই পিছু নিল নৃশংস একদল আততায়ী। এল একের পর এক হামলা! নানান বিপদ উতরে খুঁজেও পেল ও মেয়েটিকে। কিন্তু কী আছে তার কাছে যে জন্যে এমন হন্যে হয়ে উঠেছে সিআইএ? শত্রুর জাল ছিড়ে রানা জানল, ইযরায়েল থেকে শুরু হচ্ছে মহাপ্রলয়! তৃতীয় মহাযুদ্ধে দুনিয়া হবে নরক! বিসিআই চিফের কথা শুনে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে আর একবার ঝাঁপ দিল মাসুদ রানা!
গুপ্তসংঘ এ-গল্প এতিম শিশু টম ও মিষ্টি মেয়ে জেনির। বা মাসুদ রানা ও রামিন রেযার। অথবা ইতালির কারাবিনিয়ারি, মাফিয়া এবং দ্য ডায়মণ্ড রিং-এর। সেই সঙ্গে বাংলাদেশেরও। ভয়ঙ্কর এক নরখাদক দানব মেরে ফেলেছে বলে রানার ওপর খেপে গেছে সিআইএ-র চিফ। এজেন্টদের ওপর নির্দেশ এল: নির্মূল করো বিসিআই-এর এম,আর,নাইনকে! রানা। জানত না, অনাথ টমের অনুরোধ আর লক্ষ্মী মেয়ে জেনির জন্যে নামতে হবে মাফিয়ার চেয়েও ক্ষমতাশালী, জটিল এক গুপ্তসংঘের বিরুদ্ধে। মাস্টারমাইণ্ড কিডন্যাপড বাঙালি প্রত্নতাত্ত্বিক ডক্টর লাবনী আলমকে ফেরত চাইলে অমূল্য স্টাডা কোডেক্স লুঠ করতে হবে ইউএন-এর দুর্গম ভল্ট থেকে! তাই করল রানা! লাবনী ভারতে বন্দি জেনে চলল ওখানেই। বহু কষ্টে মেয়েটিকে উদ্ধার করে পৌঁছুল রানা বরফ-ছাওয়া হিমালয়ে মহাদেবের প্রাচীন গুহায়! একদিকে শিবের বেদ রক্ষাকারী সশস্ত্র সাধু, অন্যদিকে মাস্টারমাইণ্ড অনুপম মঙ্গেলকার, তার পাষাণী স্ত্রী মাধুরী ও নিষ্ঠুর মার্সেনারিরা। বড় বিপদে আছে রানা বেচারা!
আমেরিকান প্রেসিডেন্ট চলেছেন এয়ার বেস (রেসট্রিকটেড) যিরো নাইন পরিদর্শনে। কিন্তু মন বলছে ওখানে বিপদ হতে পারে। হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানিয়ে গোপনে মাসুদ রানার সহায়তা চেয়ে বসলেন তিনি। ওদিকে রানাকে বললেন বিসিআই চিফ: ওই বেসে রয়েছে। দুনিয়ার সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বায়োলজিকাল এজেন্ট মহাচিনের তৈরি ডুমস্ ডে ভাইরাস। ‘যাও, রানা… তবে মনে রেখো, কাজটা অত্যন্ত কঠিন। সম্ভব হলে, ওই ভাইরাসের নমুনা ও অ্যান্টিডোট নিয়ে এসো।‘ চিফের নির্দেশে ওখানে চলেছে দুঃসাহসী মাসুদ রানা, সঙ্গে কয়েকজন দুর্ধর্ষ অফিসার ও সৈনিক- কিন্তু ওই এয়ার বেসে ঢুকেই ওরা টের পেল, ওখানে চলছে মস্ত ভজকট। চারপাশে একের পর এক ষড়যন্ত্র, নানা বাধা। তারপর শুরু হলো হামলা! বাঁচতে চাইলে লড়তে হবে। কিন্তু কীভাবে নিজেদেরকে রক্ষা করবে ওরা? ওই বেসে দুনিয়াসেরা পঞ্চাশজন এয়ার ফোর্স কমান্ডো খুঁজছে ওদেরকে খুন করার জন্য!
রহস্যপত্রিকা বাংলাদেশের একটি অন্যতম জনপ্রিয় মাসিক পত্রিকা। ১৯৭০ সালেই রহস্য পত্রিকা প্রথম প্রকাশিত হয়। প্রথম দফায় চারটি সংখ্যা প্রকাশ হয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৮৪ সালে সেবা প্রকাশনী থেকে এই পত্রিকা কাজী আনোয়ার হোসেন এর সম্পাদনায় এটি নিয়মিত প্রকাশিত হওয়া শুরু করে। এটি একটি রহস্য ও অ্যাডভেঞ্চারধর্মী মাসিক সাহিত্য পত্রিকা। এ পত্রিকায় পাঠকদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন প্রকারের সাহিত্যকর্মও স্থান পায়
রহস্যপত্রিকা বাংলাদেশের একটি অন্যতম জনপ্রিয় মাসিক পত্রিকা। ১৯৭০ সালেই রহস্য পত্রিকা প্রথম প্রকাশিত হয়। প্রথম দফায় চারটি সংখ্যা প্রকাশ হয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৮৪ সালে সেবা প্রকাশনী থেকে এই পত্রিকা কাজী আনোয়ার হোসেন এর সম্পাদনায় এটি নিয়মিত প্রকাশিত হওয়া শুরু করে। এটি একটি রহস্য ও অ্যাডভেঞ্চারধর্মী মাসিক সাহিত্য পত্রিকা। এ পত্রিকায় পাঠকদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন প্রকারের সাহিত্যকর্মও স্থান পায়।
রহস্যপত্রিকা বাংলাদেশের একটি অন্যতম জনপ্রিয় মাসিক পত্রিকা। ১৯৭০ সালেই রহস্য পত্রিকা প্রথম প্রকাশিত হয়। প্রথম দফায় চারটি সংখ্যা প্রকাশ হয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৮৪ সালে সেবা প্রকাশনী থেকে এই পত্রিকা কাজী আনোয়ার হোসেন এর সম্পাদনায় এটি নিয়মিত প্রকাশিত হওয়া শুরু করে। এটি একটি রহস্য ও অ্যাডভেঞ্চারধর্মী মাসিক সাহিত্য পত্রিকা। এ পত্রিকায় পাঠকদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন প্রকারের সাহিত্যকর্মও স্থান পায়।
রহস্যপত্রিকা বাংলাদেশের একটি অন্যতম জনপ্রিয় মাসিক পত্রিকা। ১৯৭০ সালেই রহস্য পত্রিকা প্রথম প্রকাশিত হয়। প্রথম দফায় চারটি সংখ্যা প্রকাশ হয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৮৪ সালে সেবা প্রকাশনী থেকে এই পত্রিকা কাজী আনোয়ার হোসেন এর সম্পাদনায় এটি নিয়মিত প্রকাশিত হওয়া শুরু করে। এটি একটি রহস্য ও অ্যাডভেঞ্চারধর্মী মাসিক সাহিত্য পত্রিকা। এ পত্রিকায় পাঠকদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন প্রকারের সাহিত্যকর্মও স্থান পায়।