"অবরুদ্ধ বাংলাদেশ ১৯৭১। আজ ৪০ বছর পর এই তিনটি শব্দ দু-তিন জেনারেশনের কাছে অর্থহীন। কিন্তু আমরা যারা এখন পৌঢ় বা বৃদ্ধ, তখন ছিলাম যুবক বা মধ্য বয়সী, তাদের কাছে এই তিনটি শব্দের অর্থ ভয়, হত্যা, লুট, গ্রেপ্তার, ধর্ষণ। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ প্রথম অবরুদ্ধ হয় ঢাকা শহর। প্রথম এক সপ্তাহ, প্রতিদিন রাতে দেখা যেত লেলিহান আগুনের শিখা আর শোনা যেত গুলির শব্দ। সকালে দেখা যেত ভস্মীভূত ঘরবাড়ি, ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা লাশ। কারফিউ তো বলবত্ ছিলই, কিন্তু যখনই একটু শিথিল হতো, তখনই দেখা যেত রাজপথ ভরে উঠছে মানুষে। হাজার হাজার মানুষ ছুটছে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে। খোঁজ করছে আত্মীয়স্বজনের। আবার কারফিউ, আগুন, গুলি।"
মানুষের মুখে মুখে বা কলমে কলমে অর্থে, ব্যঞ্জনায়, বানানে, প্রয়োগে যেসব শব্দ নিজেদের প্রকৃত জায়গা থেকে সরে এসেছে, ক্ষুদ্র এই অভিধানে সে রকম ৬২টি শব্দের বিচ্যুতি সহজ ভাষায় ধরিয়ে দিয়েছেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। এ যেন জীবনের শেষ বেলায় এক প্রখর অধ্যাপকের মনের আনন্দে বাংলা ভাষাসমুদ্রে নির্ভার অবগাহন।
জনপ্রিয় লেখক আসিফ মেহ্দীর বিজ্ঞান কল্পগল্পের বই ‘মাছিম্যান’। জীবনঘনিষ্ঠতা ও রম্যের সমন্বয়ে লেখা তাঁর বিজ্ঞান কল্পগল্পগুলো একটু আলাদা। বইটিতে আছে আসিফ মেহ্দীর লেখা থেকে বাছাইকৃত ১৪টি বিজ্ঞান কল্পগল্প। তাঁর লেখা প্রকাশিত হচ্ছে ‘কিশোর আলো’, ‘বিজ্ঞানচিন্তা’সহ দেশের স্বনামধন্য বিভিন্ন পত্রিকায়; এছাড়াও দেশের বাইরে থেকে প্রকাশিত বাংলা সংবাদপত্রে। ‘মাছিম্যান’-এর গল্পগুলো পাঠককে আনন্দ দেবে, খোরাক যোগাবে নতুন নতুন ভাবনার। সাই-ফাই জগতে সবার আমন্ত্রণ। আসিফ মেহ্দী। পড়ালেখা বুয়েটে এবং পরবর্তীতে যুক্তরাজ্যে। পেশা সরকারি চাকরি, কিন্তু নেশা লেখালেখি। দেশসেরা দুই ফান ম্যাগাজিন ‘উন্মাদ’ ও ‘রস+আলো’তে লেখার সুবাদে আসিফ মেহ্দী পাঠকের কাছে সুপরিচিত। তাঁর প্রকাশিত প্রতিটি বই পেয়েছে পাঠকপ্রিয়তা, উঠে এসেছে সর্বাধিক বিক্রিত বইয়ের তালিকায়। তাঁর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৩০
বাংলাদেশের অভ্যুদয় ছিল ইতিহাসের এক অনিবার্যতা। ইয়াহিয়াসহ পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ও ভুট্টোর একগুঁয়েমি, অপরিণামদর্শিতা ও উচ্চাভিলাষ আসলে সেই অনিবার্যতাকেই ত্বরান্বিত করেছে। মুক্তিযুদ্ধ কেন অনিবার্য ছিল বইটিতে আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধের পটভূমি, বিশেষ করে যুদ্ধ শুরুর পূর্ববর্তী দিনগুলোর ঘটনাপ্রবাহের একটি অন্তরঙ্গ ও বস্ত্তনিষ্ঠ বিবরণ পাওয়া যাবে। বইটির লেখক ড. কামাল হোসেন ছিলেন আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষের অন্যতম কৌঁসুলি। প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান আহূত গোলটেবিল বৈঠকেও আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিদলের একজন আইনি পরামর্শদাতা হিসেবে তিনি যোগ দেন। ১৯৭১-এর মার্চে ঢাকায় ইয়াহিয়া, ভুট্টো ও তাঁদের সহযোগীদের সঙ্গে আলোচনায়ও বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের পক্ষে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। অসহযোগ আন্দোলন চলাকালীন অনেক নীতি ও সিদ্ধান্ত প্রণয়নের সঙ্গেও তিনি সরাসরি যুক্ত ছিলেন। মোটকথা আমাদের ইতিহাসের ওই কালপর্বের অনেক ঘটনারই তিনি ছিলেন একাধারে প্রত্যক্ষদর্শী, সাক্ষী ও সক্রিয় অংশীদার। সেদিক থেকে ড. কামালের এই বইটির একটি ঐতিহাসিক মূল্য বা তাৎপর্য আছে। তৎকালে সংবাদপত্রে এসেছে এবং যা একান্তই ভেতরের ঘটনা—উভয়ই লেখক বিশ্বস্ততার সঙ্গে এ বইয়ে তুলে ধরেছেন।
পাকিস্তানি সৈন্যরা বন্দী করে নিয়ে যাচ্ছে শেখ মুজিবকে। নিয়ে যাচ্ছে অজানার উদ্দেশে। ৩২ নম্বরের বাড়ি থেকে দেয়াল টপকে বেগম মুজিব আশ্রয় নিয়েছেন পাশের বাড়িতে। হত্যাকাণ্ড চলেছে বাংলাজুড়ে। প্রতিরোধ গড়ে তুলছে বাঙালি সৈন্য, পুলিশ, ইপিআর, আনসার আর ছাত্রজনতা। শেখ মুজিবকে নেওয়া হলো পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে, গোপন সামরিক আদালতে তাঁর মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার আয়োজন চলছে। সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে গঠিত হলো প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার। লাখ লাখ মানুষ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিল ভারতের মাটিতে। মুক্তিবাহিনী গঠিত হলো। মুজিবনগর সরকারের বিরুদ্ধে চলছে নানা ষড়যন্ত্র। এরই মধ্যে মুক্তিযোদ্ধারা সারা দেশে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নাভিশ্বাস তুলে ফেলেছে। পারমাণবিক অস্ত্রবাহী মার্কিন সপ্তম নৌবহর রওনা হয়েছে বঙ্গোপসাগরের দিকে। মুক্তিবাহিনী মিত্রবাহিনী এগিয়ে চলেছে ঢাকা অভিমুখে। বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম ও যুদ্ধ এক অনিঃশেষ মহাকাব্য। আনিসুল হকের উপন্যাসধারা যারা ভোর এনেছিল-এর ষষ্ঠ ও শেষ পর্ব রক্তে আঁকা ভোর সেই মহাকাব্যিক বিশালতা ধরার প্রয়াস।
"‘খালি কলস বাজে বেশি’—তাই না? কিন্তু কেন বলুন তো? জোয়ার-ভাটার সঙ্গে চাঁদের সম্পর্ক কী? মাধ্যাকর্ষণ বল মোমবাতির শিখা টেনে নামায় না কেন? মঙ্গলে কি মানববসতি তৈরি করা সম্ভব? মহাবিশ্বের সব গ্রহ গোল কেন? নক্ষত্রগুলোকে তারকা আকৃতিতে দেখা যায় কেন? টিয়া পাখি এত মরিচ খায়, তাদের ঝাল লাগে না কেন? কফির সঙ্গে দুধ মেশালে অনেক সময় তেতো লাগে কেন? মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন কীভাবে সম্ভব হয়? ভিডিও গেম কি মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ায়? এসব কী ও কেন-এর উত্তর কী? পড়ুন বিজ্ঞানের এই ব্যতিক্রমী বইটি। আমাদের পরিচিত বন্ধুদের অনেকের ডান হাত বা ডান পা বেশি চলে কেন? আবার কারও বাঁ পাশের হাত-পা বেশি দক্ষ কেন? আসল ঘটনাটি ঘটে মস্তিষ্কে। শরীরের ডান পাশের হাত-পা-চোখ প্রভৃতি কাজ করে মূলত তার মস্তিষ্কের বাঁ অংশের সক্রিয়তার কারণে। আবার অনেকের বাঁ হাতও সমান দক্ষতাসম্পন্ন। তাঁদের মস্তিষ্কের ডান পাশ হাতের সক্রিয়তার ব্যাপারে বেশি সক্রিয়। ব্যাপারটা ব্যক্তিবিশেষের ইচ্ছা-অনিচ্ছা নয়, মস্তিষ্কের সক্রিয়তার ব্যাপার। এ রকম অনেক প্রশ্নের উত্তর জানার আগ্রহ রয়েছে তরুণদের। যেমন কম্পাসের কাঁটা কেন উত্তর-দক্ষিণমুখী হয়ে থাকে? পিরামিড তৈরির কৌশলটি কী ছিল? এগুলোর উত্তর হতে হবে বিজ্ঞানসম্মত। সচেতন থাকতে হবে, যেন আমরা কেউ ভুল উত্তরের চক্করে না পড়ি। তরুণ প্রজন্মের শত শত প্রশ্নের বিজ্ঞানসম্মত উত্তর জানার জন্য এ বই বিশেষ অবদান রাখবে। আজকের তরুণই হবে আগামী দিনের বিজ্ঞানী। ওরাই হবে আধুনিক বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের উজ্জ্বল তারকা। "