একের পর এক রোগী অপারেশন থিয়েটারে কোমায় আক্রান্ত হচ্ছে। সুজান হুইলার হাসপাতালে তার প্রথম কর্মদিবসেই জড়িয়ে পড়ে সেই ঘটনার রহস্য উদঘাটনে। কিন্তু অদৃশ্য একদল লোক তার জীবননাশের জন্যে মরিয়া হয়ে ওঠে। এ কাজ থেকে তাকে বিরত রাখতে চায় তারা। অদম্য সুজান যখন সেই রহস্য উদঘাটনে সফল হলো তখন দেখা গেলো তার নিজের জীবনটাই বিপন্ন হতে বসেছে। কিন্তু অন্য আরেকজন শেষ মুহূর্তে সমস্ত হিসেব নিকেশ পাল্টে দেয়। মেডিকেল থৃলারের জনক রবিন কুকের এই উপন্যাসটি বর্তমানে একটি ক্লাসিক হিসেবে স্বীকৃত।
তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে মুশকান জুবেরিকে খুঁজে যাচ্ছে নুরে ছফা। তবে সে একা নয়, প্রবল ক্ষমতাবান আরেকজনও মরিয়া হয়ে উঠছে রহস্যময়ি এই নারীকে খুঁজে পেতে। সেই ক্ষমতাবানের সাহায্য নিয়ে নতুন উদ্যমে নেমে পড়ে ছফা, দ্রুতই আবিষ্কার করে মুশকান সম্পর্কে এতোদিন যা জানতো সবটাই মিথ্যে। বরং এখনকার গল্পটি অনেক বেশি যৌক্তিক আর বাস্তব। সত্য-মিথ্যার এক গোলকধাঁধায় ঢুকে পড়ে সে। কিন্তু তার কোন ধারণাই নেই, মুশকানের মুখোখুখি হলে কোন সত্যটি জানতে পারবে। এতোদিন এই রহস্যময়ি কোথায় ছিলো-এ প্রশ্নের চেয়েও বড় হয়ে ওঠে, কিভাবে ছিলো! আর পাঠক যখন সেটা জানতে পারবে তখন আরেকবার শিহরিত হবে, আবিষ্কার করবে মুশকানের প্রহেলিকাময় জগত।
বিয়ের অনুষ্ঠানে অনেকদিন পর দেখা হয়ে যায় পুরনো বন্ধুদের, দুই বন্ধু নৃতাত্ত্বিক মারুফ এবং পত্রিকার ফিচার এডিটর রুমি কথা প্রসঙ্গে জানতে পারে তাদেরই আরেক বন্ধু পেশা হিসেবে নিয়েছে ভেন্ট্রিলোকুইজম। কৌতূহলী হয়ে সেটার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে ওরা জড়িয়ে পড়ে দারুণ রহস্যময় এক অনুসন্ধানে, বেরিয়ে আসে ভয়ংকর আর শিউরে উঠবার মত সব সত্য, সাধারণ মানুষকে কখনোই জানতে দেয়া হয় না এমন সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা আর বহু বছর আগে হারিয়ে যাওয়া এক সম্প্রদায়ের কথা। যার পদে পদে ওদের জন্য ওৎ পেতে আছে মৃত্যুগামী বিপদ, অভাবনীয় বিস্ময়, জড়িত আছে ঘনিষ্ঠ কিছু মানুষের জীবন, এক ভয়ংকর ষড়যন্ত্র । ভেন্ট্রিলোকুইস্ট শুধু একটি উপন্যাসই নয়, পাঠকদের জন্য ইতিহাস, স্থাপত্য, গণিত, ধর্মতত্ত্ব আর বিজ্ঞানের এক অভূতপূর্ব যাত্রা।
ব্যালকনি থেকে আছড়ে পড়ে মারা গেলেন রিয়েল স্টেট মােঘল ম্যাথু স্টার। খুন নাকি আত্মহত্যা—প্রশ্নটার জবাব পাওয়ার আগেই ঘটতে শুরু করল একের পর এক নাটকীয় ঘটনা। তদন্তের দায়িত্ব পড়ল ডেটেক্টিভ নিকি হিটের ওপর। পেছনে ছায়ার মত লেগে রইল বিখ্যাত সাংবাদিক জেমসন রুক। পুরােদমে তদন্ত এগিয়ে যেতে থাকে। পরিপূর্ণ পুলিশওয়ার্ক বলতে যা বােঝায়, তাই করে চলল ডিটেক্টিভ হিট। ধীরে ধীরে প্রকাশিত হতে থাকল সত্য আর মিথ্যের ফারাক। পার্সন অফ ইন্টারেস্ট হিসেবে চিহ্নিত মানুষগুলাে মিথ্যে বলছে কেন? ম্যাথু স্টারের প্রকৃত পরিচয় কি? ব্যবসায়িক কারণে খুন হয়ে গেলেন, নাকি এর পেছনে আরও কিছু কারণ আছে? পার্সন অব ইন্টারেস্টদের সাথে ভিক্টিমের সম্পর্ক কি ছিল? এক্ষেত্রেও প্রশ্নগুলাের উত্তর পাওয়ার আগেই ডিটেক্টিভ হিট এবং জার্নালিস্ট রুকের সম্পর্কে এল নাটকীয় পরিবর্তন। সত্য অনুসন্ধানের লক্ষ্যে রেইড চলছে, চলছে একের পর এক ইন্টারভিউ, হাতকড়া উঠছে একের পর এক অপরাধীর হাতে, বাতাসে শিস কাটছে বুলেট, কিন্তু প্রমাণ জুটছে না। নাগালের বাইরেই রয়ে যাচ্ছে খুনি। নিকি হিট কি পারবে সত্যিকারের খুনিকে ধরতে?
এক রাতে আমেরিকার সুপৃমকোর্টের দু’জন বিচারক খুন হলে তদন্ত কাজ শুরু হয়। আইনের এক ছাত্রি নিতান্তই কৌতুহল আর একাডেমিক কারণে জড়িয়ে পড়ে সেই ঘটনায়। তার পিছু নেয় ভয়ঙ্কর এক খুনি। নিজের জীবন বিপন্ন দেখে আত্মগোপনে চলে যায় সে। আরো অনেকগুলো হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। কিন্তু শেষে পাঠক যা জানতে পারবে তা একেবারেই ভিন্ন একটি ঘটনা।