তিনজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুর একজন খুন হয়ে গেছে, একজন আছে জেলে, আর অন্যজন সত্য সন্ধানে মরিয়া হয়ে খুঁজছে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে। চৌদ্দ বছর পর অ্যাঞ্জেলা ওয়াংয়ের দেহাবশেষ পাওয়া যায় জিওদের বাড়ির কাছের জঙ্গলে, মাটির নিচে। কাইজার এখন সিয়াটল পুলিশের গোয়েন্দা, শেষ পর্যন্ত সত্যটা বের করতে পারে সে-অ্যাঞ্জেলা ওয়াং ছিলো কেলভিন জেমসের শিকার। এই কেলভিন জেমস আরও তিনটি মেয়েকে হত্যা করে সিরিয়াল কিলার হিসেবে পরিচিত। কিন্তু কোনোভাবেই তাকে ধরা যাচ্ছে না। নিজের প্রথম ভালোবাসা ত্যাগ করে এগিয়ে আসে জিও-ধরিয়ে দেয় তাকে, বের হয়ে পড়ে এক রোমহর্ষক ঘটনা। সবাই যখন মনে করে অবশেষে সত্যিটা জানা গেছে; তখনই বেরিয়ে আসে আরও গভীর ষড়যন্ত্র-ভয়ঙ্কর এক সত্য চাপা পড়ে আছে তখনও। সেই দুর্ভাগ্যজনক রাতের ঘটনা ফিরে এসেছে ভয়ঙ্কর আর রোমহর্ষক হয়ে। ঘুমন্ত দানব আবির্ভূত হয়েছে, একের পর এক খুন করা হতে থাকে নির্দিষ্ট শ্রেণির কিছু মানুষকে। কেন? কেন নির্দোষ-নিঃষ্পাপ বাচ্চাদেরও খুন করা হচ্ছে?.কতটা নির্মম হলে মা তার সন্তানকে ঊনিশ বছর পর প্রথমবার দেখা হওয়ার পরেই পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেয়ার কথা চিন্তা করতে পারে? কতটা নির্মম হলে একটা মানুষ চৌদ্দ বছর নিজের যন্ত্রণা লুকিয়ে রাখতে পারে?. মানুষের বাঁচার লড়াই, উত্থান-পতন, চাহিদা, ভালোবাসা-রোমান্স-যৌনতা, হিংস্রতা, ভয়ঙ্কর সব দিকই তুলে এনেছেন লেখিকা।. জেনিফার হিলিয়ার তার সাইকোলজিক্যাল ক্রাইম থৃলার জার অব হার্টস-এ দেখিয়েছেন, আমরা যা দেখতে চাই, তাই দেখি। কিন্তু যা দেখি তা-ই সব নয়!
তরুণ স্পাই আহাদ উত্তরাখন্ড না গিয়ে দার্জিলিং গেল কেন? কী করবে সে ওখানে, যেটা বদলে দেবে সবকিছু? অনেকগুলাে পক্ষ নেমে পড়েছে নাটকের শেষ অঙ্কে। দ্য অক্টোপাস জাল গুটিয়ে আনছে বাংলাদেশে। কার্ল সেভার্স উধাও নিখোঁজ মাস্টার সিফাতও সিরিয়া থেকে ফিরছে। আইএসে যােগ দেওয়া সাবেক বাজিকর সমশের সাবেক এজেন্ট রােখসানার শান্তি তছনছ। কাপ্তান গৌতম ফিরতে চায়, জানে না কিভাবে ফিরবে। ট্রাভিস নেমে পড়েছে জীবনের সবচেয়ে বড় যুদ্ধে। আহাদ দেখছে কিভাবে সব ভেঙে পড়ছে, আর তার মাঝেই খুঁজে ফিরছে নিজের রহস্যময়ী মা’কে। তুরুপের তাস অনেকের হাতেই, অনেকের আস্তিনেই রুমাল লুকানাে, কিন্তু বাজিমাত করবে শুধু একজনই। আর এসবের রঙ্গমঞ্চটা কোথায়, জানেন? নিউক্লিয়ার। ওয়্যারহেডবাহী এক বিশাল এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ারে!। নাবিল মুহতাসিমের বাজিকর ট্রিলােজির শেষ খন্ড বাজিমাত পাঠককে হাজির করবে। বহুদিন ধরে লুকোনাে এক সত্যের সামনে।
আমেরিকান ঔপন্যাসিক নিক পিরোগের জন্ম ১৯৮৪ সালে । পড়াশোনা করেছেন কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসা প্রশাসনে ।বেস্টসেলার ১১টি থৃলার উপন্যাসের রচয়িতা তিনি। আমাজনে প্রতিটি উপন্যাসই অন্যতম বেস্টসেলার হিসেবে স্বীকৃত। হেনরি বিনস তার সৃষ্ট ব্যতিক্রমি একটি চরিত্র। ব্যাপারটা আমার প্রতিদিনকার রুটিনের অংশেই পরিণত হয়ে গেছে বলতে গেলে। মাঝে মাঝে শুধু নজর বুলাই, কিন্তু প্রায়ই খোলার উদ্দেশ্যে হাতে নিয়ে বসে থাকি। এভাবেই দুই তিন মিনিট চলে যায় প্রতিদিন। কিন্তু আমার জন্যে ঐ দুই তিন মিনিটই বিশাল ব্যাপার। কারণটা জানেন বোধহয়, প্রতিদিন আমার জন্যে মাত্র ষাট মিনিট বরাদ্দ থাকে। এই সময়টা হয়ত আমি ইনগ্রিডের সাথে কাটাতে পারতাম কিংবা ল্যাসির পেটে একটু হাত বুলিয়ে দিতে পারতাম। বাবার সাথে কার্ড খেলেও পার করা যেত সময়টা। মোটকথা আমার দৈনন্দিন জীবন থেকে মহামূল্যবান দুই-তিন মিনিট নষ্ট করছি প্রতিদিন। কিন্তু খামটা খোলার সাহস হয় না। তাই এমুহূর্তে ভেতরের লেখা আর ছবিগুলো কল্পনা করা ছাড়া আর উপায় নেই কোন। “আমাদের বেরুতে হবে এখন। এয়ারপোর্টে যেতে বিশ মিনিট লাগবে,” ইনগ্রিডের গলার আওয়াজ ভেসে এলো লিভিং রুম থেকে। পটোম্যাক এয়ারফিল্ড এখান থেকে দশ মাইলের মতন দূরে হবে, নদীর ওপারে। আমরা যদি চারটা বাজার আগেই ওখানে পৌছাই, তাহলে সবার জন্যেই সুবিধা। যদিও আমি এ ব্যাপারে নিশ্চিত, ইনগ্রিড আগে থেকেই একটা হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা করে রেখেছে। যদি দরকার পড়ে।
বাংলাদেশের ছেলে প্রলয়, বয়স তার চৌদ্দ বছর। বাবা-মা ছােটবেলায় মারা যাওয়ায় লন্ডনে চাচার সাথে থাকে। সেখানে আর দশজন সমবয়সির মতই কাটছিল তার জীবন। কিন্তু একদিন মাথার ওপর থেকে সরে যায় শেষ আশ্রয়টুকুও। চাচার মৃত্যু সংবাদ শুনতে হয় তাকে, সেই সাথে জানতে পারে তার চাচা ছিল বিশ্বের সবচেয়ে চৌকশ গুপ্তচরদের একজন। ঘটনার পরিক্রমায় প্রলয় জড়িয়ে পড়ে সেই গুপ্তচর সংস্থার সাথে, যেতে হয় রহস্যময় অ্যাকাডেমি ব্যাক এলিটসের অভ্যন্তরে। পড়াশােনার নামে কী চলছে সেখানে? যা চলছে তা কি বদলে দিতে পারে পুরাে পৃথিবীর চেহারা?
এগারােজন মানুষসহ গায়েব হয়ে গেল যাত্রিবাহী একটি প্লেন। বেঁচে গেল ভাগ্যবিড়ম্বিত এক চিত্রশিল্পী আর মিডিয়া-মুঘল পরিবারের শেষ সদস্য চার বছরের এক শিশু। দুর্ঘটনা পরবর্তি ট্র্যাজেডি, মৃতযাত্রি এবং ক্রুদের অতীত সামনে চলে আসতে লাগলাে একে একে-ওয়াল স্ট্রিটের এক ধনকুবের আর তার স্ত্রী, এক মার্কিন সিনেটরের ঔদ্ধত্যপূর্ণ ভাগ্নে, জীবন নিয়ে দ্বিধান্বিত এক তরুণী এবং একজন পাইলট। এতগুলাে প্রভাবশালী ব্যক্তির মৃত্যু কি নিছকই কোনাে দুর্ঘটনা? নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে অন্য কোনাে রহস্য? নাগালের বাইরে চলে যেতে থাকে পরিস্থিতি। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মিডিয়া, চলে কাদা ছােড়াছুঁড়ি। আর এসবের মাঝেই পাঠকের সামনে ধীরে ধীরে উন্মােচিত হতে থাকে সত্যিকারের ঘটনাটি। টিভি সিরিজ ‘ফাগো’খ্যাত নােয়া হলি’র বিফোর দ্য ফল গতানুগতিক কোনাে থৃলার উপন্যাস নয়। নিউ ইয়র্ক টাইমসের বেস্টসেলার এবং এডগার অ্যাওয়ার্ড বিজয়ি এই। থৃলারটি পাঠককে ভাগ্য, মানবপ্রকৃতি আর এক অলঙ্ঘ্য বন্ধন নিয়ে ভাবাবে।