দীর্ঘদিন পর দেশে ফিরতে হলো তুষারকে, অচেনা একটা ফোন কল পেয়ে, দেখা হলো পুরানো বন্ধুদের সাথে, জানা গেল অচেনা নাম্বার থেকে ফোন কল তারাও পেয়েছে। তারপর এক এক করে খুন হতে লাগল বন্ধুরা। কোথাও কোন ক্লু নেই, নেই কোন মোটিভ।দূর্ঘটনায় মারা গেল দেশ সেরা এক লেখক। দিশেহারা হয়ে পড়ল হোমিসাইড ডিপার্টমেন্ট। আবু জামশেদ তার নতুন যোগ দেয়া সহকারিদের নিয়ে নেমে পড়েছেন মাঠে। হার না মানা আবু জামশেদ দিশেহারা, এই কেসের উপর নির্ভর করছে পুরো ডিপার্টমেন্টের ভবিষ্যত, তার দীর্ঘদিনের সুনাম।
শুভপুর গ্রামে অদ্ভুতভাবে খুন হল একজন । গ্রামের চেয়ারম্যানের মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল অস্বাভাবিকভাবে। তার চিকিৎসার জন্য ঢাকা থেকে আসলাে একজন তরুন ডাক্তার। প্রচলিত পদ্ধতির বাইরে শুরু হল চিকিৎসা। এর মাঝে গ্রাম থেকে কিছুদিনের জন্য নিরুদ্দেশ হয়ে গেলেন এক লােক। তার অন্তর্ধানের মাঝেই খুন হল আরও একজন। খুন হয়ে যাওয়া মানুষদের শরীরে মিলল বিশেষ এক চিহ্ন, আর তা তদন্ত করতেই শুভপুর এলাে ডিবি’র অফিসার। নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া ব্যাক্তিটি গ্রামে ফিরে এলেন নতুন এক কাজের দায়িত্ব নিয়ে, যা শেষ করতে পারলেই তিনি লাভ করবেন অসীম ক্ষমতা। সময়ের সাথে উন্মােচিত হতে লাগলাে, চেয়ারম্যানের মেয়ের অসুস্থ হওয়া এবং খুনগুলাের সাথে রয়েছে হারিয়ে যাওয়া এক মেয়ের সম্পর্ক। আর এই সম্পর্কের সূচনা আরও গভীরে, এক অন্ধকারময় জগতে।
রহস্যময় এক ডক্টর, নিজের চারপাশে রহস্য তৈরি করে রাখেন সব সময়। জাতীয় দৈনিকে অদ্ভুত একটি চাকরির বিজ্ঞাপন দিলেন তিনি, প্রার্থি হিসেবে হাজির হলো মাত্র দু-জন। একেবারেই ভিন্ন প্রকৃতির সেই দুই তরুণ-তরুণীকে হতবুদ্ধিকর একটি রহস্য সমাধান করার ‘অ্যাসাইনমেন্ট’ দেয়া হলো। তদন্তে নামতেই বোঝা তারা বুঝে গেলো ঘটনাটি যেমন প্রহেলিকাময় তেমনি অব্যাখ্যাত। বিজ্ঞান আর অতিপ্রাকৃতের দোলাচলে দুলতে লাগলো তাদের সমস্ত হিসেব-নিকেশ। সব কিছুর কি ব্যাখ্যা আছে? নাকি শেষ কথা বলে কিছু নেই? মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের মৌলিক-থৃলার উপন্যাস পেন্ডুলাম পাঠককেও দোলাচলে দুলতে দুলতে নিয়ে যাবে সেই রহস্যময়তার গভীরে।
গভীর জঙ্গলের ভেতর দিয়ে ছুটে চলছে মেয়েটা। চারদিক অন্ধকার। গভীর রাত, পুরাে জঙ্গল ঘন কুয়াশায় আবৃত। এক হাত দূরের কোন কিছুও দেখা যাচ্ছে না ঠিকমতাে। খুব শীত লাগছে তার, পরনে শুধু নীল রঙের পাতলা সুতি কাপড়ের ফ্রক। খালি পা। জঙ্গলে গাছের সারির মাঝ দিয়ে জোরে ছুটে চলছে সে। মেয়েটার হাতে একটা ছােট পুতুল। খুব শক্ত করে আঁকড়ে ধরে রেখেছে সেটা, যেন খুব মূল্যবান কোন বস্তু। দৌড়াতে গিয়ে পায়ের কয়েক জায়গায় ছিলে গেছে, রক্ত ঝরছে সেখান থেকে। কিন্তু মেয়েটার সেদিকে খেয়াল নেই, সে দৌড়াচ্ছে প্রাণপণে.....
অত্যন্ত সাধারণ জীপনযাপনে অভ্যস্ত ইফতির জীবনটা আকস্মিক বদলে যায় একটি ঘটনায়। সাইকেল চালিয়ে অফিসে যাবার পথে সাক্ষি হয়ে যায় ভয়ঙ্কর এক অপরাধের। কী করবে সেটা ঠিক করার আগেই জড়িয়ে পড়ে সে। একদিকে নষ্ট রাজনীতির ক্ষমতায় মদদপুষ্ট ক্ষমতাবান প্রতিপক্ষ, অন্যদিকে নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তাহীনতার দুশ্চিন্তা-এমন অবস্থায় সবকিছু নির্ভর করছে একজন সাধারণ সাইকেল আরােহীর ব্রেক, পেডাল আর গতির ওপরে। আরােহীর আসনে আপনাকে স্বাগতম। দেশের অন্যতম প্রভাবশালী পরিবারের একমাত্র ছেলেকে ব্ল্যাকমেইল করতে গিয়ে নিজেদের বিপদ ডেকে আনে দুই যুবক। ঘটনার ধারবাহিকতায় তাদের সাথে জড়িয়ে পড়ে আরাে অনেকেই। একটি অপরাধের প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্টি হয় আরাে অপরাধ। কিছু মানুষের ভুল-ভ্রান্তি, লােভ-লালসা আর অপরাধের বিস্তৃত ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্টি হয় এক জটিল সমীকরণের-যে-সমীকরণের সমাধান নিহিত আছে অন্ধ প্রহর-এ।