সংগীত মানেই প্রাণের কথামালা। ইসলামি সংগীত মানেই বিশ্বাসী প্রাণের অনুরণন। ইসলামের মৌলিক ধর্মীয় বিশ্বাসকে উপজীব্য করে সুরের পরশ দিয়ে রচিত হয় এক একটি গান। লাখো হৃদয়ে তা এক অন্যরকম ব্যাঞ্জনা তৈরি করে। আমাদের পূর্বপুরুষরা বিশ্বাসী চেতনার চাষাবাদ করেছেন প্রতিটি লিরিকের অক্ষরে অক্ষরে। এই প্রজন্মের তরুণরাও অসাধারণ কিছু গান তৈরি করেছে। প্রবীণ-নবীণদের অসংখ্য লিরিক থেকে আমরা ১০০০ গান বাংলাভাষী পাঠকদের সামনে উপস্থপন করছি। এই গ্রন্থের বড়ো বিশেষত্ব হলো- অধিকাংশ গানেই QR CODE রয়েছে; যা আপনাকে সরাসরি ইউটিউবে নিয়ে গান শুনাবে। চলুন, হাজার গানে হৃদয়ের স্বরলিপি আঁকি।
ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা ২০১১ সালের ৩ আগস্ট দুপুরে এক মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ হারান চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ। সেদিন তিনি তাঁর নয়জন সহযাত্রীকে নিয়ে তাঁর স্বপ্নের ছবি কাগজের ফুল এর শ্যুটিং লোকেশন থেকে মাইক্রোবাসে ফিরছিলেন। শ্যুটিং মাইক্রোবাসটির দশ জনের মধ্যে পাঁচ জনকেই মৃত্যুর শীতল রাজ্যে চলে যেতে হয়। বাংলাদেশের কিংবদন্তী চলচ্চিত্র নির্মাতা তারে মাসুদ এর কাগজের ফুল এর সহকারী পরিচালকের দায়িত্বে পালন করছিলেন মনিস রফিক। দূর্ঘটনায় সৌভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে যান। তারই লেখনীতে খুব সরল ও সাবলীলভাবে উঠে এসেছে তারেক মাসুদের সাথে তার স্মৃতি ও তারেক মাসুদের কয়েকটি চলচ্চিত্রের আলোচনা।
কবি নজরুল ইসলামের পর উভয় বঙ্গে সমান সমাদৃত লেখক নিঃসন্দেহে সৈয়দ মুজতবা আলী এবং ষাটের দশকের তিনি সর্বাধিক নন্দিত বাঙালি লেখকও বটে। ‘দেশে-বিদেশে’ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই মুজতবা আলী পাঠকচিত্ত জয় করে নেন। এবং শেষদিন পর্যন্ত তাঁর খ্যাতি ছিলো অম্লান। আন্তর্জাতিক চেতনায় সমৃদ্ধ এই লেখকের বিশ্বমানবিকতা এবং অননুকরণীয় অনন্য শৈলীতে তাঁর স্বাতন্ত্র্য বিশেষভাবে লক্ষ্যযোগ্য। বাঙলা সাহিত্যে মজলিশী বা আড্ডা-রসের একটি ধারার ঐতিহ্য ছিলো,কিন্তু খোশগল্প আলী সাহেবের রচনায় শিল্পসুষমামণ্ডিত হয়ে আর্টের পর্যায়ে উন্নীত। তাঁর কৃতিত্বের মূলেও রয়েছে মজলিশী রস ও তার বাহন বাক্- নৈপুণ্য।