ট্রেজার আইল্যান্ড জাহাজে চেপে চলল জিম গুপ্তধনের দ্বীপে । এমন সব অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করল, যা বর্ণনা করে অমর হয়ে গেছেন রবার্ট লুই স্টিভেনসন। রক্তবীজ কাউন্ট ড্রাকুলার তৃতীয় পুত্র মিচলিনো শোনাচ্ছে এক আশ্চর্য পিশাচ কাহিনি। গা ছমছমে এক অনবদ্য উপন্যাস । স্যামসন-ডেলায়লা ইহুদি সমাজপতিদের কথা কানে তুলল না স্যামসন। পুড়ে মরল পুতুল -পূজারিণী ফিলিস্তিনি কন্যা রূপসী ডেলায়লার প্রেমে। দৈববাণী ছিল, মদ স্পর্শ করতে পারবে না স্যামসন। কিন্তু সে কথাও আমান্য করল ও। কী হলো তার পরিণতি?
হার্ড টাইম্স্: যান্ত্রিক শহর কোকটাউন। সত্য আর ন্যায় এখানকার চালিকাশক্তি। মানুষের সুকুমার মনোবৃত্তির কোন স্থান এখানে নেই। কিন্তু শহরের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা আসলে কতটা সত্যবাদী আর ন্যায়নিষ্ঠ? ক্যাপ্টেন গ্র্যাণ্ট’স চিলড্রেন:সাগরে ধরা পড়ল প্রকা- হাঙর। হাঙরের পেটে মিলল এক বোতল। ওটার ভেতরে পাওয়া গেল বার্তা। নিখোঁজ হওয়ার আগে তিনটি ভাষায় এস.ও. এস. পাঠিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন গ্র্যাণ্ট। স্বদেশী ক্যাপ্টেনের খোঁজে, জাহাজ নিয়ে সদলবলে বেরিয়ে পড়লেন লর্ড এডওয়ার্ড। শুরু হলো রুদ্ধশ্বাস, রোমাঞ্চকর অভিযান। হেইডি:পাঁচ বছরের এতিম মেয়ে হেইডি। খালার কাছে মানুষ। ওকে পাহাড়ে দাদুর কাছে রেখে এল খালা। দাদু অসামাজিক, অমিশুক। পরে আবার খালা এসে হেইডিকে নিয়ে গেল ফ্র্যাঙ্কফুর্ট শহরে। ওখানে কী-কী ঘটল? নিজের সুখ-দুঃখময় জীবনে কীভাবে মানুষকে মায়ার বাঁধনে বাঁধল ছোট্ট, নিষ্পাপ মেয়েটা?
অ্যানি ফ্র্যাঙ্কের ডায়েরী ছোট্ট মেয়ে অ্যানি ফ্র্যাঙ্ক। জন্মদিনে পাওয়া সবুজ একখানা ডায়েরীর পাতায় লিখেছে দিনপঞ্জী। কিন্তু ছোট্ট সেই মেয়েটির ডায়েরীটি বিশ্ববিখ্যাত হলো কী কারণে? কেন অনেকগুলো ভাষায় অনুবাদ করা হলো সেটি? কেন কেঁদে-কেটে আকুল হয়ে গেল গোটা পৃথিবীর মানুষ? কারণ, এতে স্পষ্ট ছবি পাওয়া যায়। যুদ্ধের সময় জার্মানদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে গিয়ে মানুষ যে কী কষ্ট করেছে, পাওয়া যায় তার প্রামাণ্য চিত্র। সান্স অ্যাণ্ড লাভার্স জারট্রুডে মোরেল একজন অসুখী মহিলা। সংসারে গরীবানা হাল তাঁর, স্বামীর সঙ্গে সদ্ভাব নেই। ফলে মিসেস মোরেল নিতান্ত বাধ্য হয়ে স্বামীর বদলে আঁকড়ে ধরলেন সন্তানদের, বিশেষ করে তিন ছেলেকে। মিসেস মোরেলের মেঝ ছেলে পলের মার প্রতি যেমন অন্ধ ভালবাসা, তেমনি অনুরাগ দুই বান্ধবী মিরিয়াম ও ক্লারার প্রতি। কাকে খুশি রাখবে সে, মাকে নাকি বান্ধবীদের-পলের এই টানাপড়েনের কাহিনিই লরেন্স ফুটিয়ে তুলেছেন তাঁর “সান্স অ্যাণ্ড লাভার্স” নামে সুবিখ্যাত বইটিতে।
আ টেল অভ টু সিটিজ প্যারিস ও লণ্ডন-দুই নগরীর কাহিনি নিয়ে এই বিশ্ববিখ্যাত বই। অভিজাত শ্রেণীর অনাচার ও অত্যাচারে বীতশ্রদ্ধ তাদেরই একজন, চার্লস এভরেমঁদে, ফ্রান্স থেকে চলে এসেছে ইংল্যান্ডে। এরপরেই ঘটল ফরাসী বিপ্লবের। অভিজাতদের ধরে ধরে চড়ানো হচ্ছে গিলোটিনে। এমনি সময়ে চিঠি এল, সে না ফিরলে ফাঁসী হয়ে যাবে চার্লসের এক নিরপরাধ কর্মচারীর। কাউকে কিছু না বলে ফ্রান্সে ফিরে এল এভরেমঁদে। কিন্তু প্যারিস পৌছবার আগেই ধরা পড়ে গেল বিপ্লবীদের হাতে। এবার? টম জোনস পালক পুত্র টম জোনসকে ভারি ভালবাসেন মি, অলওয়ার্দি। টমও তাঁকে সাঙ্ঘাতিক শ্রদ্ধা করে। কিন্তু মুশকিল হলো, একটা না একটা ঝামেলা সব সময় বাধিয়েই রাখে টম। তার দুরন্তপনায় লোকে অতিষ্ঠ। ভাগ্নে ব্লিফিলের প্ররোচনায় মি. অলওয়ার্দি একদিন বাড়ি থেকে বের করে দিলেন টমকে। অকূল পাথারে পড়ল টম। কারণ, ইতোমধ্যে সে প্রতিবেশীর কন্যা সোফিয়া ওয়েস্টার্নকে ভালবেসে ফেলেছে। কিন্তু ওর মত এক কপর্দকহীন যুবকের কাছে কিছুতেই মেয়ের বিয়ে দেবেন না সোফিয়ার বাবা। তিনি মেয়ের বিয়ে দিতে চান মি, অলওয়ার্দির ভাগ্নে ব্লিফিলের সঙ্গে। কিন্তু এ বিয়েতে সোফিয়ার বিন্দুমাত্র মত নেই। কী করে ঠেকাবে সে ব্লিফিলকে? কিংকং বিখ্যাত চিত্রপরিচালক ডেনহ্যাম তাঁর দর্শকদের ভিন্নধর্মী অ্যাডভেঞ্চার সিনেমা উপহার দেয়ার জন্য চলে এলেন ‘খুলি দ্বীপ’ নামে সুমাত্রার এক প্রাগৈতিহাসিক দ্বীপে। ওই দ্বীপে বাস করে এক মহাদানব-কিংকং। একে নিয়েই ছবি বানানোর পরিকল্পনা করেছেন ডেনহ্যাম। কিন্তু মূর্তিমান আতঙ্কটির হাতে বন্দি হলো ছবির নায়িকা অ্যানডোরা। জীবনবাজি রেখে অ্যানডোরাকে শুধু উদ্ধারই নয়, কিংকংকে কৌশলে নিউ ইয়র্কে ধরে নিয়ে এলেন দুঃসাহসী ডেনহ্যাম। তারপর? সে এক রুদ্ধশ্বাস কাহিনি।
বোতল শয়তান/ রবার্ট লুই স্টিভেনসন আজব এক বোতল, দারুণ তার ক্ষমতা। অনেক দিতে পারে যেমন, তেমনি কেড়েও নেয়- ওটা বেচে দিতে না পারলে। আর নিজের ইচ্ছেমত দামে বেচলে চলবে না, কমে বেচতে হবে।… বিপদে পড়ে গেল এক দম্পতি। সাইলাস মারনার/ জর্জ এলিয়ট সৎ পথে থাকতে চেয়েছিল মারনার, তবে সে জন্য চরম মূল্য দিতে হলো তাকে। কে চুরি করল তার এতদিনের জমানো সোনা? ক্যাপ্টেন ব্লাড/ রাফায়েল সাবাতিনি ডাক্তার পিটার ব্লাডকে অন্যায় ভাবে বন্দি করে ওয়েস্ট ইন্ডিজে বেঁচে দেয়া হলো। ক্রীতদাস হিসেবে। মনিবের জুলুম সইতে পারল না সে। সহবন্দীদের সহায়তায় একটি স্পানিশ জাহাজ দখল করে জলদস্যু বলে গেল। কিন্তু এমন জীবন তো চাইনি ক্যাপ্টেন ব্লাড ।গভর্নরের ভাতিজিকে দিকে ভালোবেসেছে সে। মেয়েটিকে কীভাবে বোঝাবে বোম্বেটে জীবন বাধ্য হয়ে বেছে নিতে হয়েছে তাকে? অ্যারাবেলা কি আদৌ বুঝবে ব্লাডকে? ভালবাসবে? ওল্ড র্যামন/ জ্যাক শেফারবুড়ো র্যামনের সঙ্গে কিশোর ছেলেকে পাঠিয়েছে বাবা হাতে কলমে শিক্ষা নেয়ার জন্য। এক পাল এক পাল ভেড়া নিয়ে পার হতে হবে দুস্তর মরু। কিন্তু ওত পেতে থাকা ধূলিঝড়, নেকড়ে আর র্যাটলস্নেক আর অন্যান্য বিপদ-আপদ বিনা বাধায় কেন পেরোতে দেবে ওদের? দিল না। এবং প্রতি পদে পদে ঠেকে শিখতে হলো কিশোরটিকে। যুদ্ধক্ষেত্রে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ল বুড়ো র্যামন আর দুঃসাহসী দুটি কুকুর। অ্যাডভেঞ্চার, ভালোবাসা ও প্রকৃতির এক চলমান চিরন্তন উপাখ্যান।
সী উলফ জ্যাক লণ্ডন/নিয়াজ মোরশেদ ফেরিডুবির পর বরফের মত ঠাণ্ডা পানিতে ভাসতে লাগল লেখক-সমালোচক নিরীহ হামফ্রে। তিমি শিকারী জাহাজ গোস্টে আশ্রয় পাবার পর কেবিন-বয় হিসেবে কাজ করতে বাধ্য হলো সে। তারপর সে এক বিচিত্র অভিজ্ঞতা! কালো তীর রবার্ট লুই স্টিভেনসন/নিয়াজ মোরশেদ নাবালক ডিক শেলটনের পিতাকে হত্যা করে অভিভাবক হয়ে বসল পাদ্রী অলিভার। প্রতিশোধ নেয়ার জন্য পাগল হয়ে উঠল দুঃসাহসী তরুণ ডিক। প্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস জেন অস্টেন/কাজী শাহনূর হোসেন মিসেস বেনেটের পাঁচ মেয়ে। ভাল ঘর ভাল বর দেখে মেয়েদের বিয়ে দেয়াই তাঁর প্রধান লক্ষ্য। মিসেস বেনেটের মনের আশা কি পুরল শেষ পর্যন্ত? সূক্ষ্ম রসিকতা, অহংবোধ, ভুল ধারণা এবং প্রেম এই জগদ্বিখ্যাত উপন্যাসটির উপজীব্য।