এক এঞ্জিনিয়ার মারা যাওয়ার পর ভুল করে দোজখে চলে গেছেন। দোজখের পরিবেশ পছন্দ না হওয়ায় অচিরেই তিনি ওখানে এয়ার কন্ডিশনার, এস্কেলেটার, ফ্লাশ-ট্যালেট ইত্যাদি সমস্ত সর্বাধুনিক আরাম আয়েশের ব্যবস্থা করে ফেললেন। একদিন স্যাটানকে ফোন করলেন গড়, জানতে চাইলেন দোজখের হালচাল। ‘ওহ, অপূর্ব।’ বলল শয়তান, “সব অসুবিধা দূর করে দিয়েছেন আমাদের এঞ্জিনিয়ার সাহেব।” “অ্যা?” চমকে গেলেন গড়। তারপর গর্জে উঠলেন, ‘এভিনিয়ারটা আবার ওখানে গেল কি করে? ওর তো বেহেস্তে আসার কথা। এক্ষুণি ওকে এখানে পাঠিয়ে দাও, নইলে তোমার নামে মামলা ঠুকব আমি!” “তাই নাকি? ফিক ফিক করে টিটকারীর হাসি হাসল শয়তান, “মামলা যে ঠুকবেন, স্যার, উকিল পাবেন কোথায়?? এমনি আরও পাঁচ শতাধিক কৌতুক নিয়ে এক কৌতুক সংকলন) বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে আড্ডায় কি পারিবারিক মজলিশে এগুলো বলতে পারবেন নির্মল আনন্দের খোরাক হিসেবে। পরিবারের সবাই উপভোগ করতে পারবেন, লজ্জিত বা বিব্রত হতে হবে না। সংগ্রহে রাখার মত নির্দোষ একটি কৌতুক সংকলন।
শায়েস্তা বন্ধুর খুনীকে অনুসরণ করে সুদূর কলোরাডোতে এল রে জনসন, সিডার শহরের সেলুনে অন্যায় ভাবে পেটানো হলো ওকে। ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে কারা এরা? ওর বন্ধুর খুনীটা কে আসলে? চারদিকে ছড়িয়ে আছে শত্রু। তেতে উঠছে পরিস্থিতি, এমনি সময় পাল্টা ছোবল দিল রে জনসন। সাহস করে ওর পাশে দাড়াল কয়েকজন। শুরু হলো লড়াই। সমন-১+২ ব্যাগলে আর বোন, দুই বন্ধু। অস্থায়ী রেঞ্জার ওরা; দুর্ধর্ষ, বেপরোয়া, সাহসী অথচ সহজ-সরল মানুষ। বিপজ্জনক সব অ্যাসাইনমেন্টে ব্যস্ত। বোন গেছে রেড রিভারে এক ব্যাঙ্ক ডাকাতকে ধরতে। গভর্নর ডুক ব্যাগলেকে পাঠালেন মেক্সিকোর গভীরে ঢুকে ব্ল্যাক শ্যাডো নামের এক ভয়াবহ দস্যুকে ধরে আনতে। ওরা কি জানত জীবনের সবচেয়ে কঠিন অ্যাসাইনমেন্টে জড়িয়ে যাবে? শেষ পর্যন্ত বেনন আর ব্যাগলে বন্দি হলো। ব্যাগলের তৈরি অস্ত্র দিয়েই বেননকে খুন করতে চায় প্রাক্তন রাজনীতিবিদ গ্রিফিন। অস্ত্রটা না বানিয়ে উপায় নেই ব্যাগলের। বেননকে দু’একদিন বেশি বাচাতেই খুন করার যন্ত্র তৈরি করল ব্যাগলে!
প্রহসন অন্যায়ের প্রতিবাদ করে ফ্রেসনো সিটির সেলুনে প্রচণ্ড মার খেল কার্ল বোর্ডার। পরদিন শহরে স্টেজ থেকে নামল সশস্ত্র এক আগম্ভক-ম্যাক্স ব্র্যাণ্ড। খুনের দায়ে ফাঁসিয়ে দেয়া হলো তাকে, ওকে কি মরতে হবে বিনা অপরাধে? দূরের পথ চলেছে চব্বিশশো অভিযাত্রী। দুহাজার মিসৌরি থেকে অরিগনে মাইল দীর্ঘ পথ। দুর্গম। তার ওপর রয়েছে ইণ্ডিয়ানদের আক্রমণের ভয়। বাবা-মার সাথে ব্রায়ান ও তার ছোট ছয় ভাই-বোন চলেছে এই দূরের যাত্রায়। পথে হলো বিপর্যয়। পরিবারের সবার দায়িত্ব এসে পড়ল তেরো বছর বয়সী ব্রায়ানের ওপর। কী করবে সে? ফিরে যাবে? পরবাসী গৃহযুদ্ধের দু’বছর পর মনের ভিতর অনেক দ্বিধা-দ্বন্দ্ব নিয়ে নিজের এলাকায় ফিরল জেসন মার্কাস। দেখল, বদলে গেছে সবই। প্রতিবেশী আর বন্ধুবান্ধব ওকে এড়িয়ে চলে, তাদের ধারণা ও বিশ্বাসঘাতকদের একজন। হেরে যাওয়া বঞ্চিত একদল টেক্সানের পক্ষ নিতে হলো ওকে। তারপর শুরু হলো সত্যিকার বুনো সেই কক্ষ কিন্তু অবারিত পশ্চিমের এক শ্বাসরুদ্ধকর, মর্মস্পর্শী কাহিনী।
শয়তানের আখড়া: শান্তিপ্রিয় মানুষ জন ব্র্যাডলি। গোল্ড টাউনে চলেছে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে। ঘোড়া কেনা নিয়ে আস্তাবলের মালিকের সঙ্গে বিরোধ হলো ওর। পরিণতি: প্রচণ্ড মার খেল ব্র্যাডলি ভয়াবহ এক অপরাধী সংগঠনের সদস্যের হাতে। রিং নামের সংগঠনের ভয়ে তটস্থ সবাই। ব্র্যাডলি সিদ্ধান্ত নিল রিঙের শেষ দেখে ছাড়বে। অধিকার: পিতৃসম চাচার আদেশে আঠারো বছর পর নিজের রানশে ফিরছে যুবক পিট মিলার্ড। পথে বিশ্রাম নিতে থামতেই অ্যাম্বুশের শিকার হলো ও। বেঁচে গেল একটুর জন্য। ওদের বিশাল রানশ ঘিরে ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করছে স্বার্থান্বেষী প্রতিপক্ষ। ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করতে পারবে পিট? পারবে বাবার রেখে যাওয়া রানশে নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে? উত্তপ্ত কারাগার: ইউমা কারাগার, আস্ত একটা নরক-পালিয়ে বাঁচতে পারেনি যেখান থেকে আজও কেউ। ইউমা মরুভূমি। দুর্গম, বিরান এক অতি তপ্ত উনুন। সেই জেলখানা থেকে পালাল চার কয়েদী। তাদের সঙ্গে জুটে গেল অপূর্ব সুন্দরী লিনিয়া টেইলর। পরস্পরের প্রতি অবিশ্বাস আর প্রতিযোগিতা মধ্য দিয়ে টিকে থাকতে হবে জ্বলন্ত মরুতে। সোনাগুলোর কী হবে? আগে কখনও নিশ্চিত মৃত্যুর আগমনী ধ্বনি এত স্পষ্টভাবে শোনেনি রক বেনন।
ধাওয়া দুই চিরশত্র মার্শাল জো মিলার্ড আর ব্যাংক ডাকাত বিগ জিম ম্যাকেনলি। অবশেষে পরস্পরের দেখা পেল ওরা। শোডাউন হলো, তবে ওদের মধ্যে নয়। ব্যাংক ডাকাতি ঠেকাবার আর কেউ নেই, অপকারী মেয়রের উপকার করতে চুটল জো মিলার্ড। সঙ্গী হলো কে? বোঝা গেল ব্যাংক নয়, ট্রেন ডাকাতি হতে যাচ্ছে। পনেরো-ষোলো জন নৃশংস আউট-লর সাথে লড়তে হবে। মিলার্ড কি পারবে একা? মৃত্যু উপত্যকা মুখোমুখি হয়ে আবারও অনুভব করল জিম কার্সন, বার্ড কেলটন আসলে পুরানো আমলের জলদস্যুদের মতই বেপরোয়া, উদ্ধত এবং দুর্বিনীত এক সত্যিকারের স্বয়ংসম্পূর্ণ পুরুষ। উপত্যকার র্যাঞ্চারদের রাসলিং করে ফতুর করে দিচ্ছে সে। সাধারণ মানুষ জিম কার্সন। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়া যে ওর স্বভাববিরুদ্ধ। রুখে দাঁড়াতেই হলো ওকে। খুনে ক্যানিয়ন খুঁজে বের করতে হবে খুনে ক্যানিয়ন। ওখানে আস্তানা গেড়েছে ভয়ঙ্কর দস্যু বেন স্টার্ক এবং তার দলবল। খুনে ক্যানিয়ন খুঁজতে গিয়ে জীবিত ফেরে না কেউ। দুর্ধর্ষ ইউ এস ডেপুটি মার্শাল রন জনসনকে দায়িত্ব দিয়ে পাঠাতে চাইতেই স্রেফ জানিয়ে দিল মরার শখ নেই তার। জেল থেকে কৌশলে পালাল রক বেনন। সীমান্তের কাছাকাছি বেন স্টার্কের সঙ্গে দেখা হলো বেননের। কী হবে এখন?
মর্নিং স্টার রানী নেতের-তুয়া প্রাচীন মিশরীয় দেবরাজ আমেন-এর কন্যা। ছেলেবেলার খেলার সাথী রামেসকে ভালোবাসি বড় হলো, বাবা ফারাওয়ের ইচ্ছায় হলো রানী। রামেসের দেহে রাজরক্ত থাকলেও তুয়া আর রামেসের মিলনের পথে বাধা দুস্তর মরুভূমি সম কিন্তু কোন বাধা মানতে রাজি নয় আমেনের ভােরের তারা নেতের-তুয়া । এদিকে নাফিসের কুমার আবি বিয়ে করতে চায় তুয়াকে। থিবি থেকে বাবা ফারাওয়ের সাথে মেম্ফিস বেড়াতে এসেছিল তুয়া, ঘৃণ্য কৌশলে তাদের বন্দি করল আবি। ফারাওকে হত্যা করল জ্যোতিষী কাকুর জাদুর সহায়তায়, নেতের-তুয়া আর তার দাই মা আসতিকে করল না খাইয়ে মারার ব্যবস্থা। স্নেহধন্য কন্যাকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলেন দেবরাজ আমেন। চাইল্ড অভ স্টর্ম এ কাহিনি আপনাদের চেনা সেই দুর্ধর্ষ শিকারী অ্যালান কোয়াটারমেইনের তরুণ বয়সের। প্রথমে মনে হবে শিকার কাহিনি, আফ্রিকার দুর্গম বনে অভিযানের কাহিনি, অথবা হাসির উপন্যাস। কিন্তু আরও কয়েক পাতা এগোলে পাঠক বুঝবেন প্রেম, বিরহ, চাতুরি, বিশ্বাসঘাতকতা, যুদ্ধ, স্নেহ, ভালবাসা আর আশাভঙ্গের এক অপূর্ব উপাখ্যান লিখে গেছেন হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড।