মুসা আলাইহিস সালাম এতগুলো সাপ দেখে কিছুটা ভড়কে গেলেন। আল্লাহ তখন মুসা আলাইহিস সালামকে বললেন- ‘মুসা! ভয় পেয়ো না। তোমার হাতের লাঠিটা ছেড়ে দাও। এটা সাপ হয়ে বাকিগুলোকে গিলে ফেলবে। জাদুকরদের করা জাদু একধরনের প্রতারণা মাত্র। নিশ্চয় জাদুকরেরা তোমার ওপরে বিজয়ী হতে পারবে না।’ মুসা আলাইহিস সালাম তা-ই করলেন। তিনি হাতের লাঠি ছেড়ে দিলেন। মুহূর্তেই লাঠিটা বিরাট বড়ো এক অজগর সাপ হয়ে গেল। সে সাপ মাঠে থাকা আর সব ছোটো সাপ, বড়ো সাপ, সাদা সাপ, রঙিন সাপ- সবগুলোকে হা করে গিলে ফেলল। মাঠে থাকা মানুষেরা সব থ হয়ে গেল। নিজের চোখকে কেউ বিশ্বাস করতে পারছিল না। যা দেখল, একি সত্যি নাকি স্বপ্ন? এ যে অবিশ্বাস্য! সারা মাঠ চুপ। কারও মুখে কোনো কথা নেই। সবাই যেন কথা বলতেই ভুলে গেছে। বেশি অবাক হলো জাদুকরেরা। তারা ভাবতেই পারেনি, এমন কিছু ঘটবে। তারা ভেবেছিল, তারা সব নামকরা জাদুকর। মুসা আলাইহিস সালাম তাদের কাছে নস্যি। তারা হেসে-খেলেই মুসা আলাইহিস সালামকে হারিয়ে দেবে। আর অনেক অনেক পুরস্কার নিয়ে বাড়ি ফিরবে।
নুহ আলাইহিস সালাম তাদের সুন্দর করে বোঝানোর চেষ্টা করলেন। বললেন-‘দেখ, আল্লাহ কাকে নবি করে পাঠাবেন-এটা তাঁর ইচ্ছা। কেউ চাইলে নিজে নিজে নবি হতে পারে না। কিছু সাধারণ মানুষ আমার কথা শোনে। আল্লাহর কথা মানে। তাঁরা আল্লাহর প্রিয় বান্দা। অথচ তোমরা তাঁদের গরিব বলে বিদ্রুপ করো। জেনে রেখ, আল্লাহর কাছে ধন-সম্পদের কোনো দাম নেই। তোমরা যদি আল্লাহর কথা না শোনো, তবে তোমাদের ধন-সম্পদ, টাকা-পয়সা কোনো কাজে আসবে না। আল্লাহর আজাব এসে পড়লে কেউ তোমাদের বাঁচাতে পারবে না।’ নুহ আলাহিস সালাম আরও বললেন-‘আর তোমরা যে বলছো বাপ-দাদাদের কথা... বাপ-দাদাদের আমল থেকে কোনো কিছু চালু থাকলেই কি তা ঠিক হয়ে যায়? বাপ-দাদারা ভুল করলে তোমরাও কি ভুল করবে? দিনের পর জেনে-বুঝে একই ভুল করে যাবে? এটা কি কোনো যুক্তির কথা হলো?’ নুহ আলাইহিস সালামের কথা শুনে তাদের মুখ বন্ধ হয়ে গেল। তারা আর কথা খুঁজে পেল না। আর পাবেই-বা কী করে, তাদের সব যুক্তিই যে ভুল!
ইউরোপের রুগ্ন দেশ তুরস্ক হঠাৎ করেই বদলে গেল। উসমানি ঘোড়ার খুর আবার শব্দ করে ছুটতে শুরু করল। বিশ্বব্যবস্থার নতুন শক্তি হয়ে ওঠা তুরস্ক নিয়ে বাংলাভাষী পাঠকদের অনুসন্ধিৎসু চোখের চাহনি আমরা উপলব্ধি করতে পারি। বাংলাদেশী তরুণ হাফিজুর রহমান বদলে যাওয়া তুরস্কের ভেতর-বাহিরের স্কেচ এঁকেছেন।
আপনার শিশু নিশ্চয়ই গল্প শোনার বায়না ধরে, কখনো-বা কিছু পড়তে চায়। তখন আপনি কী করেন? কী গল্প শুনিয়ে দেন? আচ্ছা, তাদের হাতে কি রূপকথার কোনো গল্পের বই তুলে দেওয়া কথা ভাবছেন? তাহলে নিশ্চিত থাকুনÑমনের অজান্তেই শিশুর মনে শিরক ও কুফরের বীজ বপন করে দিচ্ছেন! অথচ, পবিত্র কুরআনে রয়েছে অসংখ্য চমৎকার কাহিনি, ভ্রমণবৃত্তান্ত, সেরা ব্যক্তিদের জীবনী, মন্দ লোকদের করুণ ইতিহাস, বহু শিক্ষামূলক ঘটনা, জীবনকে সঠিক পথে পরিচালনা করার দিকনির্দেশনা, দুআ ও প্রার্থনা। এ সবই আমাদের আলোর পথ দেখিয়ে দিতে পারে। কুরআনুল কারিমের অনুপম কাহিনিগুলো পড়ে আমাদের শিশুরা তাদের জীবনের দিশা খুঁজে পাবে। শিশুমনে বিশ্বাসের পরশ বুলিয়ে দিতেই ‘গল্পে গল্পে আল কুরআন’ সিরিজ। এ সিরিজ শিশুদের জন্য দারুণ এক উপহার। এই সিরিজ শিশুদের সাহসী, আত্মবিশ্বাসী ও সত্যবাদীরূপে গড়ে উঠতে সহায়তা করবে। যাতে তারা মা-বাবার জন্য সাদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে, ইনশাআল্লাহ।
আবদুল্লাহ (রা.)-এর কবিতা শুনে উমর (রা.) চটে যান। ধমক দিয়ে বলেন-‘থামো! রাসূলুল্লাহর সামনে এ পবিত্র স্থানে কবিতা পাঠ?’ কিন্তু কবিতা তো সবার। সর্বজনীন। একজনের হৃদয় উৎসারিত হলেও সকলের হৃদয়গ্রাহী। কবিতা মায়ের বুলি। তাতে জাতপাত নেই। কাঠিন্য নেই। দর্শন নেই। প্রেম আছে। কবিতা আরশে মোয়াল্লার ভাষা। ফেরেশতার বিশুদ্ধ সুর। কাওসারের কুলুকুলু ধ্বনি। আয়িশা (রা.)-এর ঘরে মৌ মৌ গুঞ্জন। কবিতা রাসূলের মসজিদের আলাদা মিম্বর। ক্ষুরধার তার শব্দশৈলী। ইবনে রাওয়াহা (রা.)-এর তলোয়ার।
একটি ধর্মীয় চুক্তি, একটি সামাজিক সম্পর্ক। একে ঘিরে দুজন মানুষ, দুটি পরিবারে কত , কত স্বপ্ন! সম্পর্কটিকে সুন্দর করার জন্য প্রয়োজন সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। তাই এই বইটি কেবল বিবাহেচ্ছু, নববিবাহিত বা বিবাহিতাদের জন্য নয়; বরং তাদের বাবা-মা, শ্বশুর-শাশুড়ি, আত্মীয়স্বজনদের জন্যও। এখানে বিয়ের স্বরূপ, দায়িত্বসমূহ, করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়াদি নিয়ে কিছু আলোচনা রয়েছে; যা হয়তো চিন্তার দিগন্তে নতুনত্ব আনতে পারে। রয়েছে কিছু গল্প; যা জীবনের বাস্তবতার প্রতিফলন।