মানুষের মনের চেয়ে বেশি রহস্যময় আর কিছু কি এই পৃথিবীতে আছে? কোথাও তাজমহলের শুভ্রতাকেও ম্লান করে মন, আবার কোথায় হিমালয়কেও হার মানায় মনের উচ্চতা। কোথাও-বা আবার তা মিশরের মমির অজানা রহস্যকেও ছাড়িয়ে যায়। মানুষের মন আটলান্টিকের গভীরতাকেও লজ্জা দেয়। প্রতিটি মানুষেরই একটা করে মন আছে, আছে একটা করে বিচিত্র জগৎ। আমরা কয়টা মন চিনি, কজনকে জানি? যাদের জানি বলে মনে করি, আসলেই কি তাদের জানি? মানুষের মনের গভীরে নামতে পারা, তার গভীরতা মাপতে পারা, সেই গভীরতার চিত্র-বিচিত্র রূপ দেখতে পাওয়া কি এতটাই সহজ? না, সহজ নয়। কারণ, মানুষ বড়োই দুর্বোধ্য আর বড়োই রহস্যময় এক প্রাণী! মন যা দেখায়, তার পেছনেও দেখার অনেক থাকে। যা জানায়, তার পেছনেও জানার অনেক কিছু থেকে যায়। মন তো কখনোই নিজেকে পুরোটা মেলে ধরে না। কারণ, নিজের পৃথিবীর এ সিংহাসনে মন নিজেই রাজা। এখানে আর কাউকেই সে ভাগ বসাতে দিতে রাজি নয়। এ জন্যই সে একা, বড়ো একা! কী বৈচিত্র্যময় বৈপরীত্য দেখুন তো। এই বৈচিত্র্যময় বৈপরীত্যই মানুষকে রহস্যময় করেছে। এখানেই তার আলাদা স্বকীয়তা। এই স্বকীয়তার সে আগলে রাখে পরম যতনে। আর আগলে রাখতে গিয়ে সে নীরবে হাসে, গোপনে কাঁদে। আপনার আশেপাশে যারা আছেন, চেয়ে দেখুন- ভিন্ন কিছু দেখতে পাচ্ছেন? হাসির পেছনে লুকোনো কান্না কিংবা কান্নার পেছনে লুকোনো হাসি? এ এক অপার রহস্যই বটে! এই রহস্যটা ধরতে পারাটাই হলো বিশ্বকে পড়তে পারা। আসনু, বিশ্বটাকে পড়ে দেখি...
যে কোন নির্মাণকাজের জন্য নির্মাতাকে পূর্ব প্রস্তুতকৃত কোন মডেল অনুসরণ করতে হয়। মডেল যত নিখুঁত ও সুন্দর হয়, নির্মাণকাজও তত সুন্দর ও অনুপম হয়। বস্তুগত কোন অবকাঠামো নির্মাণের জন্য যেমন মডেল অনুসরণ করতে হয়, ঠিক তেমন একজন মানুষকে মানুষ হিসেবে নির্মাণ করতেও মডেল মানুষের দরকার হয়। সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত, মানুষ নির্মাণের অনুপম মডেল ‘উসওয়াতুন হাসানা’ বিশ্বনবী মুহাম্মাদ (সা.)। যারা নিজেদের সত্যিকারের মানুষ হিসেবে বিনির্মাণ করতে চান, তাদের অবশ্যই বিশ্ব মানবতার মডেল রাসূলুল্লাহ (সা.)-র অনুসরণ ও অনুকরণ করতে হবে। রাসূল জীবনের পরিপূর্ণ আয়না হচ্ছে সীরাত গ্রন্থ। আলহামদুলিল্লাহ্, দুনিয়াব্যাপী রাসূল সা. এর সীরাত নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, লেখালিখি হচ্ছে, প্রবন্ধ হচ্ছে, গ্রন্থ রচিত হচ্ছে। বাংলা সাহিত্যেও সীরাত নিয়ে প্রচুর কাজ হয়েছে। অনেক সম্মানিত শায়েখ ও ওলামায়ে কিরাম সীরাত গ্রন্থ লিখেছেন। পৃথিবীর সেরা সীরাত গ্রন্থগুলোর বাংলা অনুবাদও হয়েছে। বিভিন্ন মুহতারাম শায়েখবৃন্দ রাসূলের জীবনীর ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষাপটকে সামনে এনে লিখেছেন। প্রত্যেকটি প্রেক্ষাপটে লিখা সীরাত গ্রন্থ উম্মাহর জন্য অতি মূল্যবান হীরকখণ্ড। সীরাত নিয়ে শত কাজের ভিড়ে ‘প্রশ্নোত্তরে সীরাতুন্নবী (সা.)’ গ্রন্থটি একটি নতুন সংযোজন। প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে রাসূল (সা.)-এর জীবনী অধ্যয়নের এই ভিন্ন ধাঁচের গ্রন্থ সীরাতপ্রেমী মানুষদের হৃদয়ে নতুন করে দোলা দিবে ইনশাআল্লাহ। ‘প্রশ্ন’ হলো কৌতূহলের বহিঃপ্রকাশ। আর ‘উত্তর’ হলো উদ্ভূত কৌতূলের নিবৃত্তি। প্রশ্ন এবং তার উত্তর খুঁজে বের করার মাধ্যমে মূলত টেকসই জ্ঞান অর্জিত হয়। যেসব কৌতূহলী পাঠক রাসূল (সা.)-এর জীবন প্রণালী থেকে জ্ঞান অর্জন করতে চান, এ গ্রন্থটি তাঁদের জন্য সহায়ক হিসেবে কাজ করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
মুসা আলাইহিস সালাম (পেপারব্যাক) - নবিদের গল্প-১: মুসা আলাইহিস সালাম। আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন কর্তৃক মনোনীত নবি। উপাধি কলিমুল্লাহ। কুরআনুল কারিমে মুসা আলাইহিস সালাম সম্পর্কে খুব গোছানো কথা আছে।বাংলাভাষী শিশু-কিশোরদের জন্য আমরা সেই কথামালাকে সাজিয়ে বই আকারে তুলে ধরছি। আগামীদিনের ভবিষ্যৎ শিশুদের কাছে নবিদের ব্যাপারে কিছু তথ্য তুলে ধরার একটা প্রচেষ্টা দেখতে পাবেন এই সিরিজে। গল্পে গল্পে নবিজিদের সম্পর্কে জানবে আমাদের শিশুরা ইনশাআল্লাহ্।
আর্মেনিয়ার দিভিন উপত্যকায় দশ হাজার সদস্যের একটা মুসিলম জনপদ আজ বিপন্ন। সুলতান সালাহ উদ্দিন আইয়ুবির বংশধরদের সর্বশেষ শাখা এরা। অদৃশ্য এক ষড়যন্ত্র এসে ঘিরে ধরেছে তাদের। তদন্ত করতে গিয়ে চার দক্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তারা নির্মমভাবে নিহত। আহমদ মুসা ছুটল আর্মেনিয়া সীমান্তে। দিভিন সংকটের সমাধান শেষে আহমদ মুসা ছুটল সব ষড়যন্ত্রের হোতা সেন্ট সেমভেলের সন্ধানে। সবচেয়ে সুরক্ষিত, ভয়ংকর বিপজ্জনক সে ঘাঁটিতে আহমদ মুসার অভিযান। কী ঘটবে সেখানে? দুই লাখ মানুষের নিউ ট্রেজার আইল্যান্ড- গুপ্তধন সঞ্চিত নতুন রত্ন দ্বীপ। বিভিন্ন ধর্মের মানুষের দ্বীপটা যেন শান্তি, সমৃদ্ধি ও গণতন্ত্রের প্রতি”ছবি। ধীরে ধীরে শুরু হলো অবিশ্বাস আর বিভেদ। সামনে এগোতে গিয়ে আহমদ মুসা দেখল অদৃশ্য ষড়যন্ত্র অনেক গভীরে! ওদের দেশ নেই, নাম নেই, পরিচয় নেই। ছায়ার সঙ্গে শুরু হলো ভয়ংকর লড়াই। রত্নদ্বীপের ওপর ঘনিয়ে এলো মহাবিপদ, যে বিপদ ধুলায় মিশিয়ে দেবে রত্নদ্বীপকে। ঘটনাস্রোত আহমদ মুসাকে আবার নিয়ে এলো হুই-উইঘুরদের দেশে। মৈত্রী ও সমঝোতার অবস্থা ভেঙে পড়ায় উইঘুররা আবার সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। ভয়ংকর শক্তিশালী সন্ত্রাসীরা চীনা রাজতন্ত্রের উত্তরসূরি এবং বাইরের সমর্থনপুষ্ট। এদের লক্ষ্য নৈরাজ্য সৃষ্টি করা। এরা একদিকে উইঘুরদের উসকানি দিচ্ছে, অন্যদিকে সরকারকে উইঘুরদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে। কীভাবে হুই-উইঘুরদের রক্ষার মিশন নিয়ে এগোচ্ছে আহমদ মুসা?
‘থ্রি জিরো’ নামের ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠী টার্গেট করেছে ওআইসির গোপন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘আইআরটি’-কে। আইআরটি আবিষ্কার করেছেন ‘সোর্ড’ নামের একটি মানবিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। থ্রি জিরোর টার্গেট সোর্ড-এর ফর্মুলা হাত করা। আহমদ মুসা এই ষড়যন্ত্রের কণ্ঠরোধে যে ডালেই বসেছে, সে ডালই ভেঙে পড়ছে। সোর্ড অস্ত্রের জনক বিজ্ঞানী আন্দালুসিকে কিডন্যাপ করার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর তারা প্রেসিডেন্টকে পণবন্দি করার পরিকল্পনা করল। তারপর... টার্কিস ‘আরা আরিয়াস’ এলাকায় পাঁচশো পরিবারের বাস। হঠাৎ করেই এই এলাকায় মাফিয়া-সন্ত্রাসের উদ্ভব। আজদা আয়েশা জার্মানি থেকে পিএইচডি করে দেশে ফিরে দেখল তার ভাই আতা সালাহ উদ্দিনের যাবজ্জীবন জেল। ঘটনার গভীরে গিয়ে দেখা গেল গভীর ষড়যন্ত্রের এক গুঞ্জন। অন্যদিকে পূর্ব আনাতোলিয়া ঘিরে একটা ষড়যন্ত্র নিয়ে এগোচ্ছে গোপন সংগঠন হোলি আরারাত গ্রুপ। সেনাবাহিনীর এক জেনারেল ষড়যন্ত্রের গোড়ায়। সংঘাত-সংঘর্ষ পাড়ি দিয়ে সেখানে আবারও ফিরে এলো আহমদ মুসা। ওদের ষড়যন্ত্র কি সফলতার দ্বারপ্রান্তে? প্রতিভাধর কিছু মানুষ প্রতিনিয়ত নিখোঁজ হচ্ছে দুনিয়া থেকে। এ নিয়ে হইচই হচ্ছে, কিন্তু কোনো প্রতিকার নেই। এগিয়ে এসেছে আহমদ মুসা। কিন্তু চারদিকে শুধুই অন্ধকার? ‘ব্ল্যাক সান সিন্ডিকেট’-এই নামটাই সে শুধু পেয়েছে। গোটা দুনিয়ায় ওদের হাত, ওদের উপস্থিতি। অবশেষে সে জানতে পারল, কোনো এক ‘অ্যাটল দ্বীপ’ তাদের ঠিকানা। কোথায় সে দ্বীপ, তারই সন্ধানে আহমদ মুসার নতুন যাত্রা।
তাকফির নিয়ে বাড়াবাড়ি (পেপারব্যাক) - কাফির ঘোষণার শরঈ দৃষ্টিভঙ্গি; এতদ্সংক্রান্ত ভুল বোঝাবুঝি ও সীমালঙ্ঘন: একজন দাঈ ও বিচারকের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য আছে। বিচারককে অবশ্যই মানুষের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে খুঁটিনাটি অনুসন্ধান করতে হয়, যেন পক্ষে বা বিপক্ষে রায় দিতে পারেন। সেজন্য বিচারককে বিচারাধীন মানুষজন সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের বিশ্লেষণ প্রয়োগ করতে হয়, তাদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে হয়। কারণ, অভিযুক্ত ব্যক্তি নির্দোষ হলে বিচারক তাদের নির্দোষ ঘোষণা করতে কিংবা দোষী হলে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে পারেন। অন্যদিকে একজন দাঈর কর্তব্য হলো-তিনি সবাইকে আহ্বান করবেন, সবার কাছে তাঁর বার্তাগুলো পৌঁছে দেবেন, সবাইকে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসবেন। একজন দাঈ ইসলামের বাণীকে সমগ্র মানবজাতির কাছে সাধ্যমতো ছড়িয়ে দেওয়ার বন্দোবস্ত করবেন-যাতে একজন পথভ্রষ্ট ব্যক্তি পথ খুঁজে পায়, পাপিষ্ঠ ব্যক্তি তওবা করে ফিরে আসে, মূর্খ ব্যক্তি শেখার সুযোগ পায়; এমনকী একজন অমুসলিম ব্যক্তিও যেন ইসলামকে সাদরে গ্রহণ করার আগ্রহ অনুভব করে। কোনো ভুলকারীর শাস্তি কী হবে, সেটি নিয়ে কখনো দাঈ কাজ করে না; বরং কীভাবে সেই ভুলকারী ব্যক্তিকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা যায়, সে বিষয় নিয়েই দাঈ কাজ করে। একজন দাঈ কখনো মৃত্যুদণ্ড প্রয়োগ করার জন্য মুরতাদ খুঁজে বেড়ায় না; বরং একজন মুরতাদকে ইসলামের সংরক্ষিত আঙিনায় ফিরিয়ে আনার প্রয়াস চালানোকেই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব মনে করে।
মুহাম্মাদ ﷺ দ্যা ফাইনাল ম্যাসেঞ্জার (হার্ডকভার) - বিশ্ব সিরাত প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অধিকারী সর্বাধিক আলোচিত সিরাতগ্রন্থ: প্রিয় নবিজিকে নিয়ে দুনিয়াব্যাপী প্রতিটি মুহূর্তে আলাপ চলমান এবং কিয়ামত পর্যন্ত তা অবিরাম চলতেই থাকবে। নবিজির শানে গান-কবিতার মালা গাঁথা হয়েছে কত শত। নবিজীবনের ছবি আঁকতে কলম রাঙিয়েছে কত হাজার পৃষ্ঠা! তবুও যেন শেষ হয় না তাঁর বর্ণনা। তবুও ফুরোয় না তাঁকে আরও গভীরভাবে জানার আকুতি! তাঁর জীবন-পাতায় পরিভ্রমণের অর্থ—একজন অনুপম চরিত্র ও কোমল হৃদয়ের অধিকারী, শান্তিকামী, অধিকার সচেতন, পরমত সহিষ্ণু, বিশ্বস্ত বন্ধু, সুহৃদ বাবা, সোহাগি ও মনোযোগী স্বামী, স্নেহবৎসল নানা, ধৈর্যের উপমা, প্রেরণার উৎস, ইস্পাতকঠিন দৃঢ়তার অধিকারী, লক্ষ্যজয়ী, সফল সমরনায়ক ও দূরদর্শী নেতার সাথে সাক্ষাৎ করা। তাঁকে পাঠের অর্থ হলো—একটি সার্থক বিপ্লব ও সোনালি সভ্যতার নির্মাণকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখা। তাঁকে খোঁজার অর্থ হলো নিজেকে ভেঙে নববি ছাঁচে নতুন করে গড়ার আকাক্সক্ষা। সেই আকাক্সক্ষা থেকেই আয়োজিত হয়েছিল বিশ্বে সিরাতগ্রন্থ রচনা প্রতিযোগিতা—১৯৭৬। রাবেতায়ি আলামে ইসলামি কর্তৃক আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় সারা বিশ্বের প্রথিতযশা সিরাতবেত্তাগণ জমা দিয়েছিলেন ১১৮২টি সিরাত গবেষণাকর্ম। বিশ্বে আয়জনের সেই বিশাল সমাহার থেকে দ্বিতীয় স্থান অধিকারী সিরাত গ্রন্থের নাম ‘খাতামুন-নাবিয়্যিন (Muhammad ﷺ The Final Messenger)। সেই অমূল্য রত্নেরই বাংলা অনুবাদ ‘মুহাম্মাদ ﷺ দ্যা ফাইনাল ম্যাসেঞ্জার’।
হোটেল ডায়মন্ড ড্রপ-এর অ্যাপে· রেস্টুরেন্টে বন্দি হলো আহমদ মুসা। ‘মতু’ শব্দ থেকে মতুতুংগা অ্যাটল দ্বীপের সন্ধান পেল সে। এর অভ্যন্তরেই ব্যাক সান সিন্ডিকেট-এর হেড কোয়ার্টার। সুরক্ষিত ভয়ংকর সে দুর্গে আহমদ মুসাকে প্রবেশ করতে হবে সম্পূর্ণ একা। কিন্তু কীভাবে? ক্লোন ষড়যন্ত্র- বিজ্ঞানের এক ভয়ংকর অপব্যবহার। বছরের পর বছর ধরে চলা এ ষড়যন্ত্র ধরা পড়ল এক নারীর চোখে। মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তে সেই নারী তার ডায়েরি তুলে দেয় আহমদ মুসার হাতে। কী করবে আহমদ মুসা? একটা ক্ষীণ সন্দেহ সামনে রেখে অ্যারেন্ডসি যাত্রা। উন্মুক্ত হবে কি ভয়াবহ ক্লোন ষড়যন্ত্র? আহমদ মুসা যখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে, সেই সময় খবর এলো আমেরিকায় তার পরিবারের ওপর ভয়াবহ বিপদ। পুরোনো শত্রুরা একজোট হয়েছে তার স্ত্রী-সন্তানকে গিনিপিগ বানিয়ে কঠিন প্রতিশোধ নেওয়ার। আহমদ মুসা ছুটল ওয়াশিংটনে। সামনে এলো নতুন এক ষড়যন্ত্র? সন্ত্রাসী ‘এইচ থ্রি’-র কবল থেকে মুক্তি পেয়েছে আহমদ মুসা। এই মুক্তিটাই আবার সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে তার এবং আমেরিকান সরকারের জন্য। আহমদ মুসা সব গোপন তথ্য আমেরিকান সরকারকে জানিয়ে দিলে আমেরিকা অ্যাকশনে আসবে এই ভয়ে ‘এইচ থ্রি’ আমেরিকার ওপর ভয়ংকর গোপন অস্ত্র প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। এ যেন মরার ওপর খাড়ার ঘা। ...এরপর আমেরিকার ওপর তিন দিনের আল্টিমেটামের মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি। শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা। কী করবে আহমদ মুসা?
শাহ আলমগিরের সন্ধানে রস দ্বীপে এসে বন্দি হলেন আহমদ মুসা। পালাতে গিয়ে আহত আহমদ মুসা গ্যাসের প্রভাবে সংজ্ঞা হারিয়ে পড়ে গেলেন জঙ্গলে। এসময় হাজির ড্যানিশ দেবানন্দ ও ডা. সুস্মিতা বালাজি। এদিকে মহাগুরু সংকরাচার্যের আল্টিমেটাম। বারো ঘণ্টার মধ্যে আহমদ মুসা আত্মসমর্পণ না করলে শাহ বানু ও শাহারা বানুর ভাগ্যে জুটবে লোমহর্ষক পরিণতি। এক ডুবো পাহাড়ের কারণে শাহ আমলগিরকে উদ্ধারে পা বাড়াতেই পারছে না সে। তাহলে কি উদ্ধার হবে না শাহ আলমগির? একদিকে শাসকশ্রেণি, অন্যদিকে অজানা সন্ত্রাসী- এ দুয়ের মধ্যে পড়ে দক্ষিণ থাইল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী শাহ পরিবারের নির্মম বিপর্যয়। বন্দি হন পরিবারের শীর্ষ ব্যক্তি জাবের জহির উদ্দিন। কোনো উপায় না দেখে পাত্তানি শাহজাদি জয়নব জোবায়দা আল্লাহর নামে সাগরের বুকে এক খোলা চিঠি ভাসিয়ে দিলো। শুরু হলো অপরূপ এক কাহিনি... জাবের জহির উদ্দিনকে উদ্ধার করতে গিয়ে থাই গোয়েন্দাপ্রধানের সঙ্গে বন্ধুত্ব। ষড়যন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দু ব্ল্যাক ইগল। তাদের নির্মূলে ঘটনার গভীর স্রোতে হাবুডুবু খেতে থাকল আহমদ মুসা। টিআইটির নিরাপত্তাবলয় দুর্বল হয়ে পড়ছে। রহস্যজনকভাবে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মারা যাচ্ছে। এ অবস্থায় ডাক পড়ে আহমদ মুসার। আসতে না আসতেই উপর্যুপরি আক্রমণে দিশেহারা তিনি। শুরু হলো অন্ধকারের যাত্রা। অবশেষে সন্ধান পেল ঘরের শত্রু বিভীষণ আয়েশা আজিমার। সব মিলিয়ে ভয়ংকর ষড়যন্ত্রের এক কালো থাবা।
মহান আল্লাহ একদিন ফেরেশতাদের ডেকে বললেন-‘আমি পৃথিবীতে আমার প্রতিনিধি পাঠাতে চাই।’ অর্থাৎ এমন প্রাণী, যারা আমার বিধিবিধান মেনে চলবে। ফেরেশতারা আল্লাহর উদ্দেশ্য বুঝতে পারেননি। তাঁরা ভাবলেন, আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগি করার জন্য তো তাঁরাই আছেন। আবার আলাদা করে মানুষ বানানোর কী দরকার? তাই তাঁরা জানতে চাইলেন-‘আপনি কি পৃথিবীতে এমন কাউকে পাঠতে চাইছেন-যারা রক্তারক্তি করবে, কাটাকাটি করবে, হানাহানি করবে? অথচ আপনার ইবাদত করার জন্য তো আমরাই আছি।’ আল্লাহ বললেন-‘আমি যা জানি, তোমরা তা জানো না।’ অর্থাৎ আমার পরিকল্পনা সম্পর্কে তোমাদের কোনো ধারণাই নেই। আর ধারণা থাকবেই-বা কী করে! আল্লাহ অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ সবই জানেন। এ ক্ষমতা যে আর কারও নেই!
জেনারেল শ্যারন হাতে বন্দি আহমদ মুসাকে বাঁচাতে নিজ ধর্ম আর পিতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় সাগরিকা সেন। শেষ মুহূর্তে আহমদ মুসার পাশে এফবিআই প্রধান জর্জ আব্রাহামকে দাঁড়াতে দেখে পাগলপ্রায় শ্যারন ছোবল হানল সারা জেফারসনের ওপর। মার্কিন কোর্টের রায় শ্যারন-জোনস চক্রের বিরুদ্ধে যাওয়ায় আমেরিকা থেকে অক্টোপাসের বিদায় ঘণ্টা বেজে ওঠে। ‘মাসুস’ এবং ‘সুরিনাম পিপলস কংগ্রেস’ সুরিনামে মুসলমানদের মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত করেছে। একদিকে ফাতিমা নাসমুন আত্মসমর্পণ না করলে তার হবু স্বামীকে হত্যার হুমকি, অপরদিকে নির্দিষ্ট তারিখে নমিনেশন পেপার জমা না দিলে মুসলিমশূন্য হয়ে পড়বে সুরিনামের রাজনীতি। এমতাবস্থায় আহমদ মুসার আহমদ হাত্তাকে নিয়ে সুরিনামে প্রবেশ। সামনে আসে ঐতিহ্যবাহী টেরেক পরিবারের গুপ্তধনের স্বার্থ। নির্বাচনে আহমদ হাত্তার বিজয় এবং স্বর্ণ উদ্ধারের নৈপথ্যের নায়ক আহমদ মুসাকে ধ্বংস করতে চায় মাসুস। ভাড়া করে মাফিয়াদের। সংঘাতের চ‚ড়ান্ত পর্যায়ে লিন্ডা লেরেন নামের এক নিষ্পাপ বালিকাকে বাঁচাতে গিয়ে বন্দি হয় আহমদ মুসা। কে এই লিন্ডা লেরেন? সুরিনাম মিশন শেষ হতেই ট্রাসবার্গে আহমদ মুসা। উদ্দেশ্য টুইন টাওয়ার ধ্বংসের প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনকারী সাত গোয়েন্দাসহ স্পুটনিক ধ্বংসের শিকড়ে যাওয়া। কিন্তু সেখানে ঘটতে থাকে এক রক্তক্ষয়ী ঘটনা। এসব মাড়িয়ে আহমদ মুসা কি পারবে স্পুটনিক ধ্বংসের গোড়ায় পৌঁছতে?
এবার সাউথ টার্কস দ্বীপে হোয়াইট ইগলের মুখোমুখি আহমদ মুসা। টার্ক দ্বীপ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পেলেও হোয়াইট ইগলের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে বন্দি হলো সে। বন্দি আহমদ মুসাকে বিলিয়ন ডলারে ইজরাইলি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে বিক্রি করে করে দিতে চায় হোয়াইট ইগল। একদিকে হোয়াইট ইগল, ক্লু-ক্ল্যাক্স-ক্লান ও সিনবেথ অন্যদিকে আহমদ মুসা, শিলা সুসান, মেরি রোজ ও সান ওয়াকার। শুরু হলো নতুন চমক। লায়লা জেনিফা ও মার্গারেটকে উদ্ধারের পূর্বেই আহমদ মুসাকে ছুটতে হলো নিউ মেক্সিকোর সবুজ পাহাড়ে। বন্দি কারসেন ঘানেমকে উদ্ধার করতে গিয়ে নিজেই বন্দি হয়ে এক নতুন রহস্য ও সংকটের মুখোমুখি আহমদ মুসা। এমন ঘোর অমানিশায় পরিচয় ঘটে সান্তা আনা পাবলো এবং ‘ফ্রি আমেরিকান’ নেতা বেঞ্জামিন বেকনের সঙ্গে। আর আত্মরক্ষা নয়, এবার আক্রমণের পালা। পালটা আক্রমণের অস্ত্র শানিয়েই আহমদ মুসা অগ্রসর হয় চরম শত্রু হয়ে উঠা র্জজ আব্রাহামকে বন্ধু বানানোর জন্য। তার দেওয়া তথ্যে ইহুদিদের বীভৎস রূপ দেখে কেঁপে উঠে মার্কিন প্রশাসন। শুরু হয় ইহুদিবাদীর বিরুদ্ধে আরেক যুদ্ধ। অপরদিকে মন্টিসলোতে বিপদের সম্মুখীন সারা জেফারসন। আবার শ্যারনের শেষ ছোবল গিয়ে আঘাত হানে মার্কিন প্রশাসনকে। কে জিতবে এই দ্বন্দ্বে? ষড়যন্ত্র নাকি দেশপ্রেম?
আহমদ মুসা সন্ধান পেল আন্টালিকের নতুন গুলাগ খ্যাত সাও তোরাহর। যেখানে স্পুটনিকের সাত গোয়েন্দাসহ শত মুসলিম বন্দি। আহমদ মুসার লক্ষ্য সাও তোরাহর যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম সাবমেরিন দখল। অপরদিকে আজর ওয়াইজম্যানের বন্দিদের হত্যা করে সাও তোরাহ থেকে সরে পড়ার আয়োজন সম্পন্ন। আহমদ মুসা কি পারবে তাদের উদ্ধার করতে? একজন পাগল ইহুদি রাব্বিকে খুঁজছে আহমদ মুসা, যার কাছে রয়েছে অনেক প্রমাণ। এ কাজে তাকে সাহায্য করছে স্পুটনিকের কয়েকজন গোয়েন্দা, নতুন-পুরাতন কিছু বন্ধু এবং জর্জ আব্রাহাম। বিপদের ঘনঘটায় মদিনায় সদ্য প্রসূত সন্তানকেও দেখতে যেতে পারেনি সে। তার সামনে একটাই লক্ষ্য, টুইন টাওয়ার ধ্বংসের মিথ্যার ধ্বংসস্ত‚প থেকে সত্যকে উদ্ধার করা। কিন্তু তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে নিজেই ফাঁদে পড়ল আহমদ মুসা। এসময় আলোকশিখা হয়ে হাজির হন আয়েশা আহমদ ও মরিস মরগ্যান। একের পর এক উদ্ঘাটিত হতে থাকে টুইন টাওয়ার ধ্বংসের সকল তথ্য প্রমাণ। আন্দামানের অপদেবতার কালো থাবায় অনেকের মতো হারিয়ে গেছে শাহজাদা আলমগির শাহ। পুলিশ, সিবিআই নিষ্ক্রিয়। অবশেষে দ্বীপের মুসলমানদের আত্মচিৎকার পৌঁছে আহমদ মুসার কানে। ছুটে আসে আন্দামানে। সন্ধান পেলেন গভর্নর বালাজির কন্যা সুষমা রাওয়ের। আন্দামানের মুসলমানরা এই কালো থাবা হতে মুক্তি পাবে কি?
নেতৃত্বের প্রাথমিক বোঝাপড়া (পেপারব্যাক) - পারিবারিক, পেশাগত, সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনের জন্য: নেতৃত্বের প্রাথমিক বোঝাপড়া" বইয়ের কিছু কথা: আঁধার রাতের মুসাফির অনুসন্ধিৎসু চোখে শুধুই আলো খুঁজে ফিরে। কাফেলাকে মঞ্জিলে পৌঁছাতে আলোক মশাল তখন অনিবার্য দিশা। নিকষ আঁধারের দুনিয়া এখন বড্ড দিশেহারা। মুক্তি কোথায়? টলোমলো জাহাজকে কে তীরে ভিড়াবে? আজ বড় প্রয়োজন একঝাঁক দক্ষ নাবিকের। প্রত্যাশিত নাবিকদের উদ্দ্যেশ্যে ‘নেতৃত্বের প্রাথমিক বোঝাপড়া’
সিক্রেটস অব ডিভাইন লাভ (হার্ডকভার) - ইসলামের আধ্যাত্মিক পথের পাথেয়: আল্লাহ তাঁর সৃষ্টিজগতের সকলকে নিঃশর্তভাবে ভালোবাসেন। এ ভালোবাসা আকাশের চেয়েও বিশাল, সমুদ্রের চেয়েও গভীর। যখন জগতের সবাই ঘুমিয়ে পড়ে, তখনও মহান আল্লাহ আপনার পাশে জেগে থাকেন। আপনার হাসির আড়ালে লুকিয়ে থাকে যে কান্না, আল্লাহ তাও দেখেন। আপনার যে কষ্টের কথা জগতের কেউ জানে না, আল্লাহ তাও জানেন। আপনার পাপের চাইতে আল্লাহর ভালোবাসা অনেক বড়ো। আপনার কাঁটাযুক্ত যে অংশের ব্যাপারে আপনি নিশ্চিত যে কেউ তা গ্রহণ করবে না, আল্লাহর স্নেহপূর্ণ ভালোবাসা তাও গ্রহণ করতে প্রস্তুত। এ গ্রন্থ আপনাকে আল্লাহর সেই চিরন্তন ভালোবাসার সাথে পরিচয় করিয়ে দেবে-যা আপনি নিজের ভেতর বহন করে চলেছেন, কিন্তু যার গভীরতা আপনি আজও অনুভব করতে পারেননি।
"সাহসের মন্ত্র " বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা: একজন লড়াকু সৈনিক কেবল গায়ে-গতরে শক্তিমান হয় না; মগজটাকেও কাজে লাগায়। জাহেলিয়াতকে রুখে দিতে হলে প্রথমে মনুষ্য মগজে প্রোথিত করে নিতে হয় জ্ঞানের আলোকবর্তিকা। কী করছি, কেন করছি, কীভাবে করছি তার এক পূর্ণাঙ্গ চিত্র মানসপটে সদা জাগরুক রাখতে হয়। বুদ্ধি-বিবেক, মেধা ও মননের সর্বোচ্চ ব্যবহারই আগামীর মুক্তির ইশতেহার তৈরি করবে। আমাদের স্বকীয় শিক্ষা, সংস্কৃতি আর জাতিসত্তা নিয়ে কিছু মৌলিক বোঝাপড়া সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। সেই বোঝাপড়ায় আমাদের ভাবনা তুলে ধরার একটা প্রয়াস সাহসের মন্ত্র।
The present book, Science of Da’wah (علم الدعوة), is a new dimension of thought process which has not been mentioned in the Islamic literature. However, the most high Allah Rabbul ‘Alamin has introduced the matter of Da’wah (Invitation) in a scientific way in the verse 125 of Nahal. In this verse, the philosophical terms Wisdom (Hikmah – حكمة), Sermonizing (المواعظ) and Argument (جادل) are connected in a logical fashion. Therefore, in the present book the wisdom tringle, wisdom process tringle, Da’wah methodology, structure of a Da’wah organization, decision making process of a Da’wah organization, perspectives of sermon, sermonizing technique, science of argument, appearance and approach of arguer (Daa’ee), and few selected topics of argument that are usually a Daa’ee faces during Islamic Da’wah works are explained.
টাইমলেস অ্যাডভাইস (হার্ডকভার) - মুহাম্মাদ ﷺ, ইবনে তাইমিয়া, ইবনুল কাইয়্যিম, ইবনুল জাওজিসহ বিখ্যাত কিছু মনীষীর নসিহা: টাইমলেস অ্যাডভাইস মূলত মহানবি মুহাম্মাদ ﷺ, ইবনে তাইমিয়া, ইবনুল কাইয়িম, ইবনুল জাওজিসহ আরও কিছু মনীষীর মহামূল্যবাণ কিছু উক্তির সংকলন, যেখানে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ঠাঁই পেয়েছে পবিত্র কুরআনের কিছু অমূল্য বাণী। এ বাণীগুলোতে জীবন ও জগত সম্পর্কে যে অন্তর্দৃষ্টির বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে তা যুগ যুগান্তরের মানুষের কাছে মূল্যবাণ পাথেয় হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।
এক পশলা বৃষ্টির পর পুব আকাশে হেসে উঠা ‘রংধনু’আমাদের মন ভরে দেয়। ভিন্ন ভিন্ন সাতটি রংয়ের মিশেলে রংধনু হয়ে উঠে অপরুপ, রঙিন। আমাদের এই জীবনটাও ঠিক রংধনুর মত। হাসি-আনন্দ, দুঃখ-কান্না, প্রেম-ভালোবাসা, বিরহ-মিলন, চিন্তা, বোধ, দর্শন...জীবনের এত এত রুপ প্রতিনিয়ত আমাদের দোলা দেয়। শিহরণ জাগায়। জীবনের রকমফের’কালির ক্যনভাসে আঁকা জীবনের ছবি। ফিচার, রম্য, গল্পের মিশেলে এতে আছে জীবনের ভিন্ন ভিন্ন অনুভুতির স্বাদ। প্রিয় পাঠক, প্রেম-ভালোবাসা, হাসি-কান্না, চিন্তা-বোধের এই জগতে আপনাকে স্বাগতম। তবে আর দেরি কেন? চলুন, ডুব দেওয়া যাক...
একদিন সবাই মিলে মিশরে রওয়ানা দিলেন। হাজির হলেন ইউসুফ আলাইহিস সালামের রাজদরবারে। ইউসুফ আলাইহিস সালাম তাঁর বাবাকে দেখতে পেয়ে আনন্দে জড়িয়ে ধরলেন। অনেক অনেক বছর পরে পিতা-পুত্রের মিলন হলো। ইউসুফ আলাইহিস সালাম এখন মিশরের বাদশাহ। সারা দেশে তাঁর কত সম্মান, কত প্রতিপত্তি! ইউসুফ আলাইহিস সালামকে সম্মান জানাতে তাঁর বাবা-মা, এগারো ভাই তাঁকে একসাথে সিজদা করলেন। সে সময় কাউকে সম্মান জানাতে সিজদা করার নিয়ম ছিল। কিন্তু এখন আল্লাহ ছাড়া আর কাউকে সিজদা দেওয়া নিষিদ্ধ। তোমাদের নিশ্চয় ইউসুফ আলাইহিস সালামের স্বপ্নের কথা মনে আছে। ওই যে তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন-১১টি তারা, চাঁদ আর সূর্য তাঁকে সিজদা করছে। ১১টি তারা হলো তাঁর ১১ ভাই। চাঁদ আর সূর্য হলো তাঁর মা-বাবা।