পিতার সন্তান থেকে সন্তানের পিতা হয়েছি। সন্তান হিসেবে আমাকে নিয়ে পিতামাতার পেরেশানী উপলব্ধি করতে পারি আজ মধ্যবয়সে এসে পৌঁছে। মা-বার বুকের ভেতরটা পড়তে পারছি কলিজার টুকরো মেয়েদের দিকে তাকালেই। একটা বিশ্বাসী জীবনবোধের মধ্য দিয়ে বড়ো হয়েছি। আমার জীবনবোধে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন এবং তার প্রিয় রাসূলুল্লাহ সা.-এর উপস্থিতি। এমন এক বিশ্বাসের দেয়াল ছুঁয়ে আজ এখানে এসে পৌঁছেছি, যেখানে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র নিয়ে কমপ্লিট সলিউশন প্যাকেজ রয়েছে। একজন প্রফেশনাল ব্যাংকার হিসেবে আমার জগতটা হিসাব ও কারবার নিয়ে। সেই অভ্যাসেই কিনা, আমি প্রতিনিয়ত আমার সন্তানদের নিয়ে হিসাব করি, ভাবনার রাজ্যে হারিয়ে যাই। সেই ভাবনাগুলোই কলমের ছোঁয়াতে কাগজে সংরক্ষণ করেছিলাম। একজন বাংলাদেশী মুসলিম পিতার প্যারেন্টিং ভাবনা। এই ভাবনাগুলো ছাপার অক্ষরে হাজারো পিতামাতার কাছে পৌঁছবে ‘প্যারেন্টিংঃ সন্তান প্রতিপালনে সফল হওয়ার উপায়’ বইয়ের মাধ্যমে।
"আমি হতে চাই 'সিরিজ' " বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা: আজকের শিশু আগামী দিনের দেশের কর্ণধার। শিশুদের সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে নৈতিক শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। ‘আমি হতে চাই’ সিরিজের গল্পগুলো শিশুদের সত্যবাদিতা, পরোপকারিতা, উদারতা, সহনশীলতা, পরিচ্ছন্নতা, কৃতজ্ঞতাবোধ, দায়িত্ববোধ, মানুষের প্রতি ভালোবাসা ইত্যাদি মানবিক গুণাবলি অর্জনে উৎসাহিত করবে। গল্পগুলোর ভাষা সহজ ও সাবলীল। ছবিগুলো গল্পের সাথে মানানসই ও চমৎকার। ৬ খণ্ডের এই সিরিজের গল্পগুলো শিশুদের হৃদয়ে মানবীয় মূল্যবোধের ভিত গেঁথে দেবে এবং নরম মনের ক্যানভাসে এঁকে দেবে সুন্দর মানুষ হওয়ার দৃঢ় প্রত্যয়।
হামাস। বিশ্বব্যাপী পরিচিত এক মুক্তি আন্দোলনের নাম। হামাসের চোখ দিয়ে সারা পৃথিবীর মুসলমানরা আল কুদুস মুক্তির স্বপ্ন দেখে। জাতির বেঈমান বড়ো একটা অংশ যখন জয়োনবাদীদের সঙ্গে গোপন সমঝোতা ও আপসকামীতায় ব্যস্ত, ঠিক তখনই ঈমানী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দুরন্ত সাহসে গর্জে ওঠে আমৃত্যু লড়াকু হামাস যোদ্ধারা। মজলুম জননেতা শেখ আহমাদ ইয়াসিনের হাত ধরে জন্ম নেওয়া হামাস এখন রক্তাক্ত জনপদ ফিলিস্তিনের মুক্তির লড়াইয়ে আশা-ভরসার একমাত্র প্রতীকে পরিণত হয়েছে। আজকের এই অবস্থানে পৌঁছতে অসংখ্য শাহাদাত এবং ত্যাগের নজরানা পেশ করতে হয়েছে। ইজরাইলের মতো ঘৃণ্য অপশক্তির মোকাবিলায় হামাস যে দুঃসাহসিতার পরিচয় দিচ্ছে, তা অবিশ্বাস্য, অভাবনীয়। ভারতীয় উপমহাদেশের বাংলাভাষী পাঠকবৃন্দ হামাস নিয়ে বেশ অনুসিন্ধুৎসু। বাস্তবে বাংলা ভাষায় এই বৈপ্লবিক মুক্তি আন্দোলন নিয়ে সেই অর্থে কোনো একাডেমিক কাজ হয়নি। বর্তমান বিশ্বের অন্যতম আলোচিত এই মুক্তি আন্দোলনকে বাংলাভাষীদের কাছে তুলে ধরার প্রয়াস নিয়েছেন তরুণ লেখক ও অনুবাদক জনাব আলী আহমদ মাবরুর। অনেক পরিশ্রম করে তুলে এনেছেন হামাস সম্পর্কিত অনেক আজানা তথ্য ও ঘটনা। দৃশ্যমান-অদৃশ্যমান অনেক ঘটনা পড়ে পাঠকবৃজন্দ কখনো অশ্রুসিক্ত হবেন, কখনো রিক্ত হবেন, কখনো-বা শিহরণ জাগবে রক্তকণিকায়।
বৈবাহিক জীবনবোধ, রোমাঞ্চ ও ভালোবাসার সাবলীল বোঝাপড়া দাম্পত্য রসায়ন সঙ্গীর মনের প্রতিটি ভাঁজে বিচরণ ও উপলব্ধি এবং তার হৃদয়-পাতাকে অধ্যয়ন করা দাম্পত্য সুখের অপরিহার্য শর্ত। স্বামী-স্ত্রীর শারীরিক ও মানসিক বৈশিষ্ট্য ও গঠন সৃষ্টিগতভাবেই ভিন্ন। এই দুই ভিন্ন সত্তা যখন একই ধ্যানের মৃণাল ধরে জীবন সাজাতে সংকল্পবদ্ধ হয়, তখন পরস্পরের গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে অবগত হওয়া আবশ্যক হয়ে পড়ে। অন্যথায় দাম্পত্যজীবনের উষ্ণ লেনাদেনাকে যান্ত্রিক ও আরোপিত বলেই মনে হয়। ‘দাম্পত্য রসায়ন’ পাঠকের চিন্তা ও বোঝাপড়ায় এমন এক বোধ দিতে চায়, যা সঙ্গীর মনের ভাষা পড়তে সহায়ক হবে। দাম্পত্য সম্পর্ক প্রাণোচ্ছল করতে ‘দাম্পত্য রসায়ন’ পুস্তিকাটি হতে পারে স্বামী-স্ত্রীর দারুণ এক টোটকা।
মুসলিম চরিত্র - সুন্নাহর চোখে চরিত্র গঠনের অবকাঠামো দীর্ঘ সময় ধরে তামাম দুনিয়ায় তাদের ঘোড়ার খুর ছুটত। গৌরবান্বিত মুসলিম জাতির আজকের দিনে ক্রমান্বয়ে ক্ষয়িষ্ণু শক্তিতে পরিণিত হওয়ার অন্যতম মৌলিক কারণ নৈতিক চরিত্রের চরম অবনতি। মুসলিম জাতিসত্তার অতীত শৌর্যবীর্য ও নেতৃত্বের প্রধান হাতিয়ার ছিল এক আল্লাহতে বিশ্বাস আর দৃঢ় চারিত্রিক শক্তি। একঝাঁক নৈতিকতাসম্পন্ন মানুষের চারিত্রিক ছোঁয়ায় অসভ্য পৃথিবী সভ্য হয়ে উঠেছিল; পুরো দুনিয়া তাদের বরণ করে নিয়েছিল। কালের আবর্তে পার্থিব মোহে ঢিলে হয়ে যায় এই শক্তির বাঁধন, ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে মুসলিম উম্মাহ। সেখানে জন্ম নেয় নানা চারিত্রিক রোগ-জীবাণু, আর তাতে আক্রান্ত হয়ে পড়ে মুসলিম বিশ্ব। এক সময়ের প্রতাপশালী জাতি ক্রিড়নক হয়ে পড়ে অধঃপতিত জাতিসমূহের বহুডোরে। বিশৃঙ্খলতার সমুদ্রমাঝে ডুবে থাকা সত্ত্বেও আমরা অতীতের সোনালি অধ্যায় ফিরে পাওয়ার লড়াই করতে চাই। এই লড়াইয়ের মোক্ষম অস্ত্র- চরিত্র। নৈতিক চরিত্রে বলিয়ান হওয়া ছাড়া আমাদের ঘুরে দাঁড়ানো একেবারেই অসম্ভব। আমাদের চরিত্রের মডেল সাইয়্যেদুল মুরসালির রাসূলুল্লাহ (সা.) এবং সাহাবায়ে আজমাইন। এই গ্রন্থে আমরা সুন্নাহর চোখে চরিত্র গঠনের অবকাঠামো দেখব।
মধ্যমপন্থা - মধ্যমপন্থা কী, কেন, কীভাবে- ড্ড কঠিন সময় পাড়ি দিচ্ছে মুসলিম উম্মাহ। প্রান্তিকতার এই অস্থির সময়ে তাই মধ্যমপন্থার আলোকমশাল জ্বালিয়ে দিতে হবে প্রতিটি অন্তরে। চরম কিংবা নরম-দুটোই বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। প্রান্তিকতার দেয়াল ভেঙে মুক্তির নতুন সূর্য আনতে ‘মধ্যমপন্থা’ হতে পারে সফল মাধ্যম। মধ্যমপন্থার ব্যাখ্যা, ক্ষেত্র, পরিসীমা ও প্রয়োগবিধি নিয়ে শাইখ ইউসুফ আল কারজাভির চমৎকার উপস্থাপনা ‘মধ্যমপন্থা’ (ওয়াসাতিয়্যাহ) পড়ে নতুন করে ভাবার খোরাক পাওয়া যাবে, ইনশাআল্লাহ।
মহাপ্রতিপালক মনিব তাঁর সৃষ্ট বান্দাদের অনন্ত জীবনে জান্নাতে নিতে চান। তিনি জানেন- বান্দা ভুল করে, অপরাধ করে; আর তিনি অপেক্ষা করেন ক্ষমা আর দয়া নিয়ে। তিনি চান- বান্দারা তাঁর কাছে মুক্তির আর্জি পেশ করুক, ক্ষমা প্রার্থনা করুক। রবের কাছে যেভাবে বান্দারা কিছু চায়, তা অপর্যাপ্ত ও অপূর্নাঙ্গ হতে পারে, তাই তিনি নিজেই আবেদন প্রক্রিয়া শিখিয়ে দিয়েছেন কুরআনুল কারিমে। কোন ভাষায়, কোন শব্দে, কোন কথামালায় চাইতে হবে, তা আমাদের শিখিয়েছেন নিজেই। এই গ্রন্থে আমরা এমন সব কুরআনিক দুআ নিয়ে জানব, যা বান্দা হিসেবে রাব্বুল আলামিনের সাথে আমাদের সম্পর্ক এক অনন্য মাত্রায় নিয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ।
আতাতুর্ক এবং এরদোয়ান- দুটি বিপরীত আদর্শের মানুষ। দুই কিংবদন্তি। এই দুজন মানুষ তুরস্কের একশো বছর সময়কালের দুই প্রান্তে বসে ইতিহাস গড়েছেন। দুটি ভিন্ন ধারার, ভিন্ন চিন্তার ইতিহাস। একজন ছিলেন খিলাফত পরবর্তী তুরস্ককে চরম জাতীয়তাবাদ এবং ধর্মহীন সমাজব্যবস্থা গড়ার কারিগর। আর অপরজন উদারপন্থী জাতীয়তাবাদ এবং ইসলামি মুল্যবোধ ফিরিয়ে আনার রূপকার। এই দুই কিংবদন্তির মধ্যখানে রয়েছে বহু উত্থান-পতনের গল্প। রয়েছে আদনান মেন্দেরেস এবং মিল্লিগুরুশের জনক নাজিমুদ্দিন আরবাকানের সংগ্রামী জীবনের গল্প। একশত বছর আগে যে বিশ্বাসী মানুষদের আশা ভঙ্গের সূচনা হয়েছিল, ঠিক তার একশত বছর পর নতুন করে বিশ্বাসের নির্মাণ শুরু হয়েছে। ষাট এবং নব্বইয়ের দশকে প্রত্যাশিত স্বপ্নের শুরু হলেও দ্রুতই তা কালো মেঘের আড়ালে চাপা পড়ে যায়। কিন্তু বিশ্বাসীদের স্বপ্ন তো শেষ হওয়ার নয়। কেবল দরকার ছিল একজন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নাবিকের। তাইতো কালো মেঘের ঘনঘটা কাটিয়ে নায়ক এরদোয়ানের হাত ধরে শুরু হয় মূল্যবোধ নির্মাণের পুনযাত্রা। উসমানি খেলাফতের উর্বরভূমি তুরস্ক- স্বভাবতই ইতিহাস সমৃদ্ধ। বিশেষ করে আতাতুর্কের হাত ধরে জন্ম নেওয়া সেক্যুলার তুরস্ক খিলাফতপ্রেমী মানুষদের যেন দীর্ঘশ্বাসের প্রতিচ্ছবি। বসফরাসের পানি যেন সেই মানুষদের অশ্রজিলে বয়ে চলা স্রোতধারা। আশাভঙ্গের ঠিক একশত বছর পরে বসফরাসের তীর নতুন স্বপ্নের হাতছানি দিচ্ছে ।
সম্পর্ক (পেপারব্যাক) - ভালোবাসা, বিয়ে ও যৌনতা বিষয়ে সুন্নাহ নির্ধারিত সতর্কতা ও সীমা আমাদের সম্পর্কগুলো কেন কখনো কখনো কঠিন হয়ে যায়? অথচ রাসূল (সা.)-এর যাবতীয় সম্পর্ক ছিল কোমল, মধুর। এই বই সম্পর্ক নির্ধারণে সুন্নাহর সৌন্দর্য কতটা গভীর, তা নতুন করে দেখতে সাহায্য করবে। মানবিক দুর্বলতার ফলে এবং শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে যৌনতা বিষয়ে অনেকই অনেক বড়ো বড়ো ভুল পদক্ষেপ নেন। এই বই যাবতীয় দ্বিধামুক্ত সুন্দর সম্পর্কের সুস্পষ্ট নির্দেশনা পেতে সাহায্য করবে। সুখী দাম্পত্য জীবনের পূর্বশর্ত কী? একক কোনো শর্ত আছে কি? না, সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য কোনো শর্ত নেই। দাম্পত্য জীবনের সৌন্দর্য নির্ধারণে সুন্নাহর রয়েছে চমৎকার দৃষ্টিভঙ্গি। এই বই সেটি নতুন দৃষ্টিতে দেখতে সাহায্য করবে।
১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির মাত্র পাঁচ বছর পর বিশ্বকাপজয়ী ক্যাপ্টেন ইমরান খানের জন্ম। পাকিস্তানের ইতিহাসের সাথেই তাঁর জীবন আবর্তিত হয়েছে। অর্থ ও ক্ষমতার মোহে অন্ধ অভিজাত শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক অবদমিত পাকিস্তান বর্তমান বিশ্বের একমাত্র পারমাণবিক শক্তিধর মুসলিম দেশ। তবুও সন্ত্রাসীগোষ্ঠী আর বর্তমান মিত্র আমেরিকার নিয়মিত বোমা হামলা থেকে নিজ জনগণকে রক্ষা করতে অক্ষম। ‘পাকিস্তান ব্যর্থ রাষ্ট্র’-এ ধারণা দিনদিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। কীভাবে পাকিস্তান অবিচার ও অস্তিতিশীলতার শেষ প্রান্তে এমন এক বিপর্যয়কর পরিণতিতে পৌঁছাল? ইমরান খান তাঁর আপন স্মৃতি-প্রিজমে প্রতিসরিত আলোয় দেখা ইতিহাস বর্ণনা করেছেন অনুপম ভঙ্গিমায়। শুরু করেছেন পতনোন্মুখ ব্রিটিশ রাজের সময়কালে রচিত দেশের বুনিয়াদি ধারণা থেকে। মুসলিম বিশ্বকে নাড়িয়ে দেওয়া বিভিন্ন মন্তব্য তুলে ধরেছেন। তিনি ঐতিহাসিক ঘটনাবলিকে পাশ্চাত্যের চোখ দিয়ে দেখার পাশাপাশি সাধারণ পাকিস্তানিদের দৃষ্টিকোণ থেকেও দেখেছেন। পাকিস্তান : আমার ইতিহাস বইয়ে পাশ্চাত্যের কাছে অপরিচিত ভিন্ন এক পাকিস্তানকে তুলে ধরেছেন ইমরান খান। ইতহিাসের এই বুনন থেকে আমরা ইমরানের ব্যক্তিগত জীবন, লাহোরের স্মৃতিময় শৈশব, অক্সফোর্ড-এর শিক্ষাজীবন ও অসাধারণ ক্রিকেট ক্যারিয়ার, জেমিমা গোল্ডস্মিথের সঙ্গে বিয়ে, তাঁর জীবনে মায়ের প্রভাব আর ইসলামি বিশ্বাস সম্পর্কে জানতে পারব। এই গ্রন্থে আমরা ইমরানের চোখে আল্লামা ইকবালকে দেখব। পরিশিষ্ট অংশে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সর্বশেষ আপডেট জানব।
মুমিন জীবনে সময় - মুসলিম মানসে অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের ভাবনা যা এইমাত্র অতীত হলো, সেটাই সময়। এখন যে মুহূর্ত অতিক্রম করছি, সেটাই সময়। কিছুক্ষণ পরে যেখানে প্রবেশ করব, সেটাই সময়। সময় নামের অক্টোপাস থেকে কে, কখন, কবে মুক্তি পেয়েছে বলুন? সফল তিনি, যিনি এই সময়কে ঠিকঠাক উপলব্ধি করতে পারেন। বিশেষত মুমিন জীবনে সময় মানেই নিজের মুক্তি ও পুরস্কার নিশ্চিত করে নেওয়ার মওকা! সময় নিয়ে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গির বোঝাপড়া তাই অতীব জরুরি আলাপ। সেই আলাপ খুঁজে নেব এই গ্রন্থে।
দুআ বিশ্বাসীদের হাতিয়ার (হার্ডকভার) - দুআর মর্যাদা, নিয়ম এবং কবুলের আদবকেতার প্রামাণ্য গ্রন্থ দুআ কি কোনো জাদুমন্ত্র? সব দুআই কি কবুল হয়? কী করলে দুআ কবুলের সম্ভাবনা বাড়ে? কী করলে দুআ বিফল হয়? দুআর মাধ্যমে কি তাকদির বদলানো যায়? তা হলে আগে থেকে সব লিখে রাখার মানে কী? দুআ করতেও কি কিছু আদবকেতা মানা লাগে? হামেশাই এই প্রশ্নগুলো আপনাকে পেয়ে বসে, তাই না? দুআ নিয়ে আমাদের মনে যত প্রশ্ন আছে, সন্দেহ আছে, তার বেশিরভাগেরই জবাব মিলবে এ বইতে ইনশাআল্লাহ্। বাড়বে আ কবুল হওয়ার আত্মবিশ্বাস। দূর হবে দুআ নিয়ে প্রচলিত কিছু ভ্রান্তিবিলাস। দুআ শুধু বিড়বিড় করে পড়ে যাওয়া কিছু অবোধ্য শব্দকণা নয়। দুআ মানে সুমহান আল্লাহর সঙ্গে নিবিড় কথপোকথন। বিশ্বাসীদের অব্যর্থ হাতিয়ার।
বেবিজ ডায়েরি (হার্ডকভার) - শৈশবের স্মৃতি অ্যালবাম মায়ের কোল থেকে পৃথিবী নামক গ্রহে পা ফেলে নবজাতক শিশু। গর্ভাবস্থা থেকে জন্ম, জন্মের দিনের শিহরণ জাগানো ঘটনাপ্রবাহ, জন্মের পরে আদর-স্নেহ-মমতায় বেড়ে ওঠা, হাঁটতে শেখা, কথা বলতে শেখা-এভাবেই শৈশবের গল্পগাঁথা তৈরি হয়। পৃথিবীর প্রত্যেকজন বনি আদমের জীবনের শুরুর ঘটনাপ্রবাহ আমাদের কাছে অতি গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেক শিশুর শুরুর গল্পটা আমরা ভবিষ্যতের তথ্য দুনিয়ার জন্য সংরক্ষণ করতে চাই। বড় হয়ে একজন শিশু যেন জানতে পারে, কীভাবে সে আজ এখানে এসে পৌঁছেছে। আমাদের এবারের আয়োজন ‘বেবিজ ডায়েরি’। মুজাহিদ শুভ’র সম্পাদনায় এই ডায়েরি আপনার সন্তান/অনাগত সন্তানের জন্মদিনের সেরা উপহার।
ইতিহাসের ছিন্নপত্র (১ম খণ্ড) (হার্ডকভার) - ঔপনিবেশিক শাসন থেকে আজাদী আন্দোলন ইতিহাস বিমুখতা ও রাষ্ট্র-নিয়ামকদের আর্থ-রাজনৈতিক স্বার্থের যুগল গ্রাসে ঘনিয়ে আসে যে গ্রহণ-আঁধার, তা থেকে মুক্তি পেতে ফিরে যেতে হয় অনুদ্ঘাটিত ইতিহাসের কাছে। পুনর্পাঠ অনিবার্য হয়ে ওঠে অতীতের বিতর্কিত প্রশ্নসমূহের খণ্ডিত আখ্যানের পরিপ্রেক্ষিতে। খুঁজে দেখতে হয় বিরোধের উৎস এবং কারণগুলোকে। এই সংকলনে লেখকের প্রত্যয়ী অনুসন্ধানে আলোকপাত করা হয়েছে তেমনই কিছু ঐতিহাসিক ঘটনায়। ইতিহাস বিনির্মাণের ধারায় এ নিঃসন্দেহে এক উল্লেখযোগ্য সংযোজন।
জনপ্রিয় দা’ঈ ইলাল্লাহ ওমর সুলেইমান ‘The Beginning & The Ending’ শিরোনামে ৭০ পর্বের একটি সিরিজ বক্তব্য প্রদান করেন। ইবনে কাসিরের বিখ্যাত ‘আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া’ গ্রন্থের ওপর ভিত্তি করে এই সিরিজ বক্তব্য তিনি এক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে উপস্থাপন করেছেন। হাশরের দিন, হাশরের দিন সম্পর্কিত বিজ্ঞান, জান্নাত, জাহান্নামের বিষয়গুলো খুবই চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। কীভাবে মানুষ, বিশাল পৃথিবী, ভূমণ্ডল, নভোমণ্ডল, ফেরেশতা, জিন, প্রাণিকুল সৃষ্টি হলো, সে প্রসঙ্গে অত্যন্ত প্রাণবন্ত আলোচনা করা হয়েছে। রাসূল ﷺ-এর জীবনের নানা অধ্যায় তুলে ধরা হয়েছে অনুপম ভঙ্গিতে। রাসূল ﷺ-এর ওফাতপরবর্তী শতাব্দীগুলোতে ঘটে যাওয়া বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা; বিশেষত সেই শতাব্দীতে উল্লেখযোগ্য ঘটনাসমূহের সাথে ইসলামের ইতিহাস কীভাবে আবর্তিত হলো, তাও আলোচিত হয়েছে। তার সাথে যোগসূত্র স্থাপন করে খুবই সাবলীল ভাষায় বর্তমান সময়টাকেও পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।
বাতিঘর (হার্ডকভার) - পারিবারিক বন্ধন এবং পারস্পারিক দায়িত্ববোধ সম্পর্কিত, ন্যায়সঙ্গত অধিকার আদায়ে, সংকীর্ণ ও দাসত্বমূলক মনোভাব পরিহার করে সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব সৃষ্টিতে জীবনঘনিষ্ঠ চিন্তাধারার সহযোগী বই। জীবনের একটি বড়ো প্রকল্পের নাম পরিবার; যার অন্যতম প্রধান চরিত্র নারী। ধারণা করা হয়, পরিবারের সামগ্রিক শান্তি, শৃঙ্খলা ও সৌহার্দ্যরে অনেকাংশই নারী সদস্যদের ভূমিকার ওপর নির্ভরশীল। তাদের কাঁধে চাপানো থাকে সবার মন জোগানোর দায়িত্বটাও। তাই নারীকে হতে হয় বিচক্ষণ ও নেতৃত্বের গুণে গুণান্বিত। অপরিহার্য হয়ে পড়ে পরিবারের অভ্যন্তরীণ সম্পর্কোন্নয়নের; আপন সঙ্গী, শ্বশুর, শাশুড়ি, ননদের সঙ্গে বোঝাপড়ার, পরস্পরের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও খুঁটিনাটি বিষয়ে সমঝোতার। কিন্তু কীভাবে? এর সমাধান খোঁজা হয়েছে অর্ধশত বছরের তীক্ষ্ম অভিজ্ঞতা থেকে; পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘ যাত্রায় পরিশ্রান্ত চোখের ক্লান্ত চাহনি থেকে। পারিবারিক বন্ধন এবং পারস্পরিক দায়িত্ববোধ সম্পর্কিত এই ভাবনাগুলো প্রত্যেকের মনোজগৎকেই আলোড়িত করবে। ন্যায়সংগত অধিকার আদায়ে প্রত্যেকেই সচেতন হবে। সংকীর্ণ ও দাসত্বমূলক মনোভাব পরিহার করে সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব সৃষ্টিতে জনপ্রিয় লেখিকা মাসুদা সুলতানা রুমির জীবনঘনিষ্ঠ চিন্তাধারা সহযোগিতা করবে ইনশাআল্লাহ। পথ চলা শুরু হোক সেই অনন্ত ভালোবাসার পথে…
ফিলিস্তিনের বুকে ইজরাইল (হার্ডকভার) - উদার ফিলিস্তিনে জায়োনিস্ট বিশ্বাসঘাতকতা ও দখলদারিত্বের পুর্বাপর ইতিহাস ধরণির বুকে ইহুদি জাতির শুরুটা হয়েছিল মহিমান্বিত মানুষের হাত ধরেই। ইউসুফ (আ.)-কে হত্যা প্রচেষ্টার মাধ্যমে তাদের সাদা দেয়ালে প্রথম কালো দাগ লাগে। হিংসা ও ষড়যন্ত্রের শুরু সেখান থেকেই। উত্থান-পতনের নানান ইতিহাস পেরিয়ে ভাগ্য তাদের নিয়ে আসে ফিলিস্তিনের উর্বর ও সিগ্ধ প্রান্তরে। অবাধ্যতা ও বিশ্বাসঘাতকতা যাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে, তারা কি নীরবে বসে থাকতে পারে? চলতে থাকে একের পর এক ঘৃণ্য কার্যক্রম। কর্মফল তাদের বিতাড়িত করে ফিলিস্তিনের পবিত্র ভ‚মি থেকে; তবুও থেমে থাকে না ষড়যন্ত্রের চাকা। সভ্যতার চিরায়ত নিয়মে ফিলিস্তিনের মুতায়াল্লিয়াত চলে আসে বিশ্বাসীদের হাতে। প্রবাহিত হয় সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বারিধারা। কয়েক শতাব্দী পেরিয়ে সেখানে আবারও শুরু হয় নির্মম পৈশাচিকতা। আশ্রয়ীরা বনে যায় দখলদার হিংস্র দানবে, ভ‚লুণ্ঠিত হতে থাকে মানবতা। এর প্রতিক্রিয়ায় রচিত হতে থাকে হাজারো ত্যাগ ও সাহসের গল্প, লক্ষ প্রাণে যা এঁকে দেয় মুক্তির রক্তিম স্বপ্ন।
বিশ্বায়ন ও আধুনিকায়নের নাম দিয়ে আমাদের পরিবারগুলো ভেঙে ফেলার আয়োজন করেছে জাহেলিয়াত। অথচ ইসলামি জীবনব্যস্থার মূল ভিত্তি পরিবার। যেখানে সুদৃঢ় পারিবারিক কাঠামো অনুপস্থিত, সেখানে সুস্থ জীবন গঠন এবং নৈতিক সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন অলীক কল্পনা-বিলাস! ইসলাম সর্বাত্মকভাবে একটা সুখী ও প্রশান্তচিত্ত ‘পরিবার’ নির্মাণে তৎপর। এই গ্রন্থে ইসলামের সেই আকাঙ্ক্ষা ও করণীয় বিবৃত হয়েছে। চলুন, দেখে নিই...