ভূতের গল্প, রাক্ষসের গল্প আমাদের সবার খুব প্রিয়। ঠাকুমার ঝুলি তো আমরা সবাই পড়েছি। আমাদের রূপকথায় কতোরকম ভূত আর রাক্ষস যে আছে! এই গল্পটি এমন একটা ছেলের যে খালি ভূতের গল্প শুনতে ভালোবাসে। তার ডাক নাম রঞ্জন। একদিন সে ঠিক করে, ভূতদের ইন্টারভিউ নেবে। তাদের গল্পগুলো একত্র করবে। তারপর সত্যি সত্যি একদিন খাতা-কলম নিয়ে বেরিয়ে গেলো ভূতেদের সাক্ষাৎকার নিতে। কিন্তু কেন? কারণ তোমরা যেন সেই মজার সব গল্পগুলো পড়তে পারো। ভাগ্যিস সেই ছেলেটি গিয়েছিলো। তা না হলে আমরা হয়তো ঠাকুমার ঝুলির দেখাই পেতাম না। চলো পড়ি সেই গল্প। আর পরিচিত হই আমাদের ভূতসমাজের সাথে।
এই বইয়ের পাতায় পাতায় মিশে আছে রহস্যের শিহরন, তন্ত্রের মারণভয়, আতঙ্কের করাল ছায়া। এই বই আপনার শিরদাঁড়ায় বইয়ে দেবে ভয়ের হিমেল স্রোত, আপনার মাথার ভেতর যেন এক আতঙ্কের বোধ কাজ করবে। তবু এই বই রহস্যের নয়, তন্ত্রের নয়, ভয়ের নয়। সব ছাপিয়ে এই বই শেষ অবধি হয়ে ওঠে অনন্য মানবিকতার দীপ্ত শিখা, শেষ অবধি শুধুমাত্র ভালোবাসার কথাই বলে – কারণ এতদিনে তো আপনারা জেনেই গেছেন, ‘ভালোবাসাই সবচেয়ে বড়ো তন্ত্র সবচেয়ে বড়ো জাদু’
ওই প্রবল ঝড় এসেছিল প্রায় সোয়া শ বছর আগে। এখন কোথায় সেই জাহাজ, সে-ঝড়ে যেটা হারিয়ে যায়? আর কোটি কোটি ডলারের হীরা? …আঁধার রাতে কঙ্গো নদীর এক পিয়ারে ভিড়ল পুরনো এক ধচাপচা জাহাজ। অস্ত্র পেয়ে খুশি হয়ে উঠল বিদ্রোহী-নেতা, ঠাণ্ডা মাথার জাত খুনি টমাস গাধাধারের দলের লোক গুলো। এখন হীরাগুলোও তাদের চাই। কিন্তু হাতে অস্ত্র পেলেই কি খুন করতে পারবে ওরা রানাকে? একটা কাজ শেষ হতে না হতেই রানার কাধে চাপল আরেক দায়িত্ব। কোথায় গেলেন বিজ্ঞানী আসিফ হায়দার চৌধুরি? কারা কিডন্যাপ করল তাঁকে? …ওই দ্রুতগামী ইয়টের ওরা কারা? খুন করতে চাইছে কাদেরকে? সাগরে দানবীয় সাপ খুঁজতে যাওয়ার আগেই একের পর এক বিপদ এসে জুটল। রানা পণ করল, এসব রহস্য ভেদ না করে ছাড়বে না। কিন্তু উপকূল থেকে দেড় শ’ মাইল দূর-সাগরে বিধ্বস্ত হলো লাইফবোট, হাড়ে হাড়ে টের পেল ও, এবার বাঁচার সম্ভাবনা নেই! অপরূপা কার্টা অস্টিনকে নিয়ে ডুবে মরতে হবে নির্ঘাত। এর পরেও কি রানার সঙ্গে যাওয়ার সাহস আছে, পাঠক?