কবিতা চর্চায় জীবনানন্দ দাশ মৌলিক অভিসন্ধির অভিযাত্রী ছিলেন। কবিতার আত্মরক্ষা ও শুশ্রূষায় তিনি ছিলেন শুদ্ধতার নির্জনতম পথিক। ব্যক্তি জীবনের নানা দুর্যোগের মাঝেও কবিতাকে আশ্রয় করে প্রতিটি মুহূর্তে নবতর চেতনায় সিদ্ধ হয়েছেন। শত নৈরাজ্যেও কবি সৃষ্টির শতধারায় বিকশিত হয়েছেন। জীবনানন্দ দাশ স্বদেশের প্রতি গভীর ভালোবাসা ও মমত্ববোধ অনুভব করেছেন। এদেশের লতা,গুল্ম,বৃক্ষ,নদী,পাখি,পতঙ্গের মাঝে নৈসর্গিক অনুভূতি অনুভব করেছেন। লোকজ পুরান আর ইতিহাসের প্রবাহমানতাকে তিনি এড়িয়ে যাননি । জীবনের সাথে জীবনযোগে প্রকৃতি সংলগ্ন জীবনই তিনি প্রত্যাশা করেছেন। বাংলার রূপ প্রকৃতিতে জীবনানন্দ দাশের কবিসত্তা মিলে মিশে একাকার হয়ে আছে। শাশ্বত বাংলার শব্দরূপই জীবনানন্দের কবি প্রতিভার মূল সুর হয়ে কাজ করেছে।