খুনে মার্শাল শিপরকের মার্শাল টেড মার্শ। টাউন কাউন্সিলের বিচারে ওর চাকরি গেল। ওদের অভিযোগ-মার্শ একজন খুনে মার্শাল আউটলদের সে ধরে আনে বটে, কিন্তু বেশিরভাগই আসে লাশ, ঘোড়ার পিঠে উপুড় হয়ে। এক দুর্ধর্ষ আউটলর মোকাবিলা করতে শিরক ছেড়ে টেক্সাস রওনা হলো মার্শ। এখন আর ব্যাজের আড়াল নেই। সুযোগ বুঝে চারদিক থেকে ঝাপিয়ে পড়ল ওর ওপর দুর্বৃত্তের দল। নিঃসঙ্গ অশ্বারোহী ছলে, বলে, কৌশলে অসহায় মাইনারদের কাছ থেকে কার্বন ক্যানিয়ন ছিনিয়ে নিতে চাইছে অর্থলোভী বড়লোক মাইনার জিম ডার্বি। সাহায্যে এগিয়ে এল এক স্ট্রেঞ্জার। কিন্তু একা একজন কী করবে? ডার্বি ওদের শায়েস্তা করার জন্যে ভাড়া করল এক অসৎ ইউ. এস. মার্শাল আর তার ছয় ডেপুটিকে। খুন হয়ে গেল একজন মাইনার। এবার কী ঘটবে? ক্ষ্যাপা তিনজন পুরানো বন্ধু বাড় হ্যাডলের পাওনা টাকা পৌঁছে দিতে নিউ মেক্সিকোর সার্কেল এইচ র্যাঞ্চ পথে রওনা হলো রনি ড্যাশার। টের পেল র্যাঞ্চার আর তার মেয়েকে নিজের র্যাঞ্চেই গৃহবন্দি করে রেখেছে নিষ্ঠুর আউটলর একটা দল। বন্ধুকে বাঁচানোর কোন উপায় খুঁজে না পেয়ে ওদের নিয়ে দুর্গম পাহাড়ে পালাল রনি। সামনে অ্যাপাচি পিছনে ওদের খুন করা। প্রতিজ্ঞা নিয়ে ধাওয়া করছে আউটের দল। এর মধ্যে নামল তুষার ঝড়। কী করবে রনি?
কিশোর থ্রিলার তিন গোয়েন্দা রকিব হাসান হ্যালো, কিশোর বন্ধুরা আমি কিশোর পাশা বলছি, আমেরিকার রকি বিচ থেকে। জায়গাটা লস অ্যাঞ্জেলেসে, প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে, হলিউড থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে। যারা এখনও আমাদের পরিচয় জানো না, তাদের বলছি, আমরা তিন বন্ধু একটা গোয়েন্দা সংস্থা খুলেছি, নাম তিন গোয়েন্দা। আমি বাঙালি। থাকি চাচা-চাচীর কাছে। দুই বন্ধুর একজনের নাম মুসা আমান, ব্যায়ামবীর, আমেরিকান নিগ্রো; অন্যজন আইরিশ আমেরিকান, রবিন মিলফোর্ড, বইয়ের পোকা। একই ক্লাসে পড়ি আমরা। পাশা স্যালভিজ ইয়ার্ডে লোহা-লক্কড়ের জঞ্জালের নিচে পুরানো এক মোবাইল হোমে আমাদের হেডকোয়ার্টার। তিনটি রহস্যের সমাধান করতে চলেছিÑ এসো না, চলে এসো আমাদের দলে।
দস্যুর সমাধি ওই অবোধ শিশুর মত বৃদ্ধ আসলে কে? কেন বলে সাগরে তলিয়ে যাওয়া জাহাজের কথা? তদন্তে নামল কিশোর, মুসা ও রবিন। সব বাধা পেরিয়ে ঢুকে পড়ল ওরা দস্যুদের সমাধির ভেতর! আকাশদস্যু হিমালয়ের দুর্গম এক উপত্যকায় আচমকা উদয় হচ্ছে পুরানো, ভুতুড়ে এক বিমান। ফলে, নিখোঁজ হচ্ছে বৈমানিক, লাপাত্তা হচ্ছে উড়োজাহাজ। ডাকোটা প্লেনে চেপে হিরু চাচার সঙ্গে রহস্যের তদন্ত করতে চলল তিন গোয়েন্দা এবং শামিল হলো রুদ্ধশ্বাস অভিযানে। ভৌতিক মুখোশ ভৌতিক এক মুখোশ বশ করতে চাইছে মুসাকে। ওকে দিয়ে করিয়ে নিতে চাইছে নানান অপকর্ম। রুখে দাঁড়াল মুসা অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে। পাশে পেল প্রিয় দুই বিশ্বস্ত বন্ধু কিশোর আর রবিনকে। জমিদারবাড়ি হত্যা-রহস্য হত্যাকাণ্ড ঘটেছে লুনেনবার্গ ম্যানরে। খুনী ধরাছোঁয়ার বাইরে। তদন্তে নামল কিশোর। ধূর্ত হত্যাকারীকে যেভাবে হোক দাঁড় করাবে বিচারের কাঠগড়ায়। ক্রমেই জড়িয়ে গেল ও জটিল এক রহস্যে। ভয়াল দ্বীপে তিন গোয়েন্দা কে বা কারা দিল ওই অদ্ভুত ধাঁধা! পুরাকীর্তি লুঠেরা দল স্ফি, বদমাশ শুটকি টেরি না তৃতীয় কোনও পক্ষ? কী রহস্য বুকে নিয়ে অপেক্ষা করছে মাকাটাও দ্বীপ! ওখানে গেলে ফেরে না কেন কেউ? হাজারো বিপদ ডিঙিয়ে পাতাল-গুহায় ঢুকে তিন গোয়েন্দা বুঝল, এবার বুঝি মরতেই হচ্ছে ওদেরকে!
বহু দূর পাড়ি দিয়ে এসে ফ্লেচার’স হোল-এ পা রাখল জন উইলিয়ামস; এমন একজনের আহ্বানে, যাকে সে কোন ও দিন দেখিনি। লোকটা তার বাবা-মৃত্যুশয্যায় শুয়ে প্রায়শ্চিত্ত করছে ভুলের । কিন্তু সার্কেল ইউ-তে এসে শুনল জন, ইতিমধ্যেই পরপারে যাত্রা করেছে। মরিস উইলিয়ামস। এখানেই থিতু হতে চাইল জন। নতুন জীবন শুরু করবে । সম্পত্তির ন্যায্য অংশ দাবি করল সৎ-ভাইদের কাছে। প্রমাণ হিসাবে রয়েছে ওকে লেখা মিস্টার উইলিয়ামসের চিঠি। কিন্তু কুটিল বার্ট অ্যাঞ্ড্রিউ তা মানবে কেন? শুরু হলো জন, বার্ট আর পিটারের ত্রিমুখী সংঘাত । আগুনে ঘি ঢালল প্রতিশোধের নেশায় অন্ধ এক নারী। সব কিছু মিলে নরক গুলজার…
লোভের ফাঁদে/কাজী শাহনূর হোসেন হ্যাজেন ক্যারী আর তার স্ত্রী স্যালীর নির্বিঘ্ন ট্রেনযাত্রা বিঘ্নিত হলো ডাকাতদের হামলায়। বেঘোরে প্রাণ হারাল হ্যাজেন ক্যারি। লুট হয়ে গেল ট্রেনের কার্গো-সোনা। ব্ল্যাক ডায়মণ্ড মাইনিং অ্যাণ্ড মিলিং কোম্পানী তাদের হারানো সম্পদ ফিরে পেতে পুরস্কার ঘোষণা করল। ফলে শহরে এসে ভিড় জমাল প্রতিটা শকুন। সবাই-এমনকি স্যালী ক্যারিও তার স্বামীর মৃত্যুর ফায়দা লুটতে উঠে পড়ে লাগল । লোভের ফাদে জড়িয়ে পড়ছে ওরা। সামনে বিপদ/গোলাম মাওলা নঈম কার্ল রিকটারের মত চালু পিস্তলবাজের গুলি মাথায় লাগার পরও বেঁচে যাওয়া লোকটা কে? কী নাম ওর? পরিচয় কী? কেনই বা একদল লোক খুন করার জন্যে খুঁজে বেড়াচ্ছে ওকে? কে শত্রু? কেই বা বন্ধু? জানা নেই। কিছুই জানা নেই ওর। শুধু জানে পালাতে হবে, বাঁচতে হলে অনেক দূরে চলে যেতে হবে। অচেনা শত্রুর হাতে খুন হওয়ার আগেই নিজের পরিচয় জানতে হবে…স্মৃতি ফিরে পেতে হবে… কিন্তু যাওয়া হলো না ওর। একদল আউট-লর মাঝখানে অসহায় অ্যাঞ্জেলা জ্যাকসনকে কীভাবে ফেলে যায়? জেনে-শুনেই বিপদ মাথায় নিল । ক’জন আসবে শত্রুরা? আসুক না! একটা কোল্ট আছে ওর, আর আছে অসংখ্য বুলেট… ষড়যন্ত্রের জাল/সায়েম সোলায়মান বয়েডের দোষ দুটো-মেজাজটা চড়া এবং পিস্তলে দারুণ চালু হাত। ফলাফল: আট বছরের কারাদণ্ড। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ফিরে দেখল, বলতে গেলে কিছুই নেই ওর। হঠাৎ করেই ওকে পরপারে পাঠানোর জন্য শশব্যস্ত হয়ে উঠেছে কারা যেন। শেরিফ কলিন্স নির্বিকার, বন্ধু স্টিভ ছাড়া পাশে দাড়ানোর মত কেউ নেই। ভেবেছিল নিরীহ গরু-ব্যবসায়ী হিসেবে বাকি জীবন কাটাবে, ভুলেও হাত দেবেন না পিস্তলে। হলো না!