ম্যাজিক শো রকিব হাসান রকি বীচে খেলা দেখাতে এসেছে জাদুকর গ্রেট ক্ল্যাণ্ডর। প্রতি শো-তে একজন করে ছেলে কিংবা মেয়েকে সহকারী হিসেবে স্টেজে ডেকে নেয় ও। জাদুর বাক্সে ঢুকিয়ে কিছুক্ষণ পর আবার ফেরত নিয়ে আসে। অদ্ভুতভাবে বদলে যায়। তখন ছেলেমেয়েগুলো । রহস্য উদঘাটনে ঝাপিয়ে পড়ল তিন গোয়েন্দা। কালঘুম শামসুদ্দীন নওয়াব মা’র কথা না শুনলে মানুষের যা হয়, তা-ই হলো মুসার। অন্য দুনিয়ায় চলে যেতেই হলো। ওয়ার্প পুলিশ-বাহিনী। ওকে খুন করতে এল। মুসা বাঁচবে কী করে? বাঁচবার কোনও পথই নেই। নাকি আছে? মঞ্চনাটক শামসুদ্দীন নওয়াব জাদুর ট্রী-হাউসে চড়ে কিশোর আর জিনা এবার প্রাচীন লণ্ডনে। ঘটনাচক্রে মঞ্চনাটকে অভিনয় করতে হলো ওদেরকে। পরিচয় হলো। কালজয়ী এক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে। বন্দি এক ভালুককে মুক্ত করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠল জিনা। বাধা হয়ে দাঁড়াল ভালুকটার মালিক। তারপর?
খনিতে বিপদ কে যেন তছনছ করেছে তিন গোয়েন্দার বন্ধু রেমনের অ্যাপার্টমেন্ট। কিন্তু কিছুই খোয়া গেল না কেন? তদন্ত করতে নামল কিশোর-মুসা-রবিন। রেমনের বোনকে কি কিডন্যাপ করা হয়েছে? কোথায় তিনি? মুক্তিপণ হিসাবে একটা নোটবুক চাওয়া হলো। কী আছে তাতে? হাতে কোন সূত্র নেই। আসলে ঘটছে কী? পাতালের সরু সুড়ঙ্গে নামল ওরা। ধেয়ে এলো পাগলা ট্রেইন! এখনই চাপা দেবে ওদের! গুহ-রহস্য গুহার মুখে পাহারা থাকা সত্ত্বেও রহস্যময়ভাবে উধাও হয়ে যায় জিনিসপত্র। ভূত, না মানুষ? কিশোরের দৃঢ় বিশ্বাস, মানুষ। শুরু হলো তদন্ত। ধীরে-ধীরে জট খুলল জটিল এক রহস্যের। কিশোরের নোটবুক পোষা পশু-পাখিদের নিয়ে প্রতিযোগিতা। বিজয়ী মনিব ও পোষ্য টিভি অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার সুযোগ পাবে। বাঘাকে নিয়ে প্রতিযোগিতায় যোগ দিল কিশোর। কিন্তু একী! বাঘা খেলা দেখাচ্ছে না কেন? এর পিছনে কি কারও কারসাজি আছে? তদন্তে নামল তিন গোয়েন্দা।
ওপার থেকে নতুন স্কুলবিল্ডিঙে ক্লাস করছে তিন গোয়েন্দা । কিন্তু একের পর এক ক্ষতি করা বিল্ডিংটার । কে বা কারা করছে অপকর্মগুলো ? রবিনের ধারণা এসব ভূতের কান্ড । স্কুলটাকে রক্ষা করতে নামল তিন গোয়েন্দা । জ্যান্ত ভূত গ্রিনহিলসের বন্ধু রেমন্ডের সঙ্গে ক্যাম্প মুনলাইট-এ ঢুকেই ধাক্কা খেল রবিন । একদম নির্জন । তবে একটু পরেই একে একে হাজির হলো । রহস্যময় ওদের আচরণ । বিচিত্র ওদের চালচলন । ক্যাম্পের পরিচালক আংকেল গ্রেগ তো আরও রহস্যময় । কারা ওরা ? ধীরে ধীরে জটিল এক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ল ওরা । প্রাণ বাঁচানোই দায় । দেবতার শহর জাদুর ট্রী হাউসে চড়ে কিশোর আর জিনা এবার প্রাচীন পম্পেই শহরে । এখানে পৌছনোর খানিক পরেই বিস্ফোরিত হলো মাউন্ট ভিসুভিয়াস । প্রাণ নিয়ে টানাটানি পড়ে গেল ওদের । এসময় আলৌকিকভাবে সাহায্যের হাত বাড়াল – কে ?
হিমগিরিতে সাবধান তিন গোয়েন্দা স্কি করতে এসেছে ম্নাশু মাউন্টেন স্কি লজে। কিন্তু নানা কারণে ওদের ছুটিটা মাটি হতে বসেছে। রহস্যজনকভাবে হারিয়ে গেল মুসার পয়মন্ত লকেট। শুধু তাই না, পাহাড়ী ঢালে বিপজ্জনকভাবে ধাক্কা দেওয়া হলো-কে যেন সরিয়ে দিতে চায় ওকে প্রতিযোগিতা থেকে। কেউ একজন মেতে উঠেছে নোংরা খেলায়। কে? সাগরে শঙ্কা ডিটেকটিভ ইন্সপেক্টর ডিক কার্টারকে খুন করবে বলে লোক লেগেছে পিছনে। অফিস থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে: হারিয়ে যাও। রবিনের অনুরোধে তিন গোয়েন্দা ও জিনাকে নিয়ে সান্তাক্রজ আইল্যাণ্ডের আশপাশের কোনও দ্বীপে গিয়ে নিখোঁজ হতে রাজি হলেন তিনি। সেখানে গিয়ে তিন দিনের মাথায় সত্যিই নিখোঁজ হয়ে গেলেন আঙ্কেল ডিক। ধরে নিয়ে গেছে তাঁকে কারা! পরদিন প্রচণ্ড ঝড়ে ভেঙে চুরমার হয়ে গেল ওদের মোটর-বোট সীগাল। অজানা, অচেনা দ্বীপে আটকা পড়ল ওরা। আঙ্কেলকে কীভাবে মু্ক্ত করবে ওরা ভয়ঙ্কর সেই দস্যুদলের কবল থেকে? খেপা জাদুকর লোকে বলে হানাবাড়ি। ওখানে ঘাঁটি গেড়ে বসল খেপাটে এক বুড়া। তার বাড়িতে কাগজ দিতে গিয়ে ফ্যাসাদে পড়ে গেল মুসা। আশ্চর্য ক্ষমতাবলে ওর উপর প্রভাব বিস্তার করে চলেছে বুড়ো জাদুকর। মতলবটা কী তার? তিন গোয়েন্দা আর মলি ধীরে ধীরে জড়িয়ে পড়ল জটিল এক ষড়যন্ত্রের জালে।
হ্যালো, কিশোর বন্ধুরা আমি কিশোর পাশা বলছি, আমেরিকার রকি বীচ থেকে। জায়গাটা লস অ্যাঞ্জেলেসে, প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে, হলিউড থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে। যারা এখনও আমাদের পরিচয় জান না, তাদের বলছি, আমরা তিন বন্ধু একটা গোয়েন্দা সংস্থা খুলেছি, নাম তিন গোয়েন্দা। আমি বাঙালী। থাকি চাচা-চাচীর কাছে। দুই বন্ধুর একজনের নাম মুসা আমান, ব্যায়ামবীর, আমেরিকান নিগ্রো; অন্যজন আইরিশ আমেরিকান, রবিন মিলফোর্ড, বইয়ের পোকা। একই ক্লাসে পড়ি আমরা। পাশা স্যালভিজ ইয়ার্ডে লোহা-লক্কড়ের জঞ্জালের নিচে পুরানো এক মোবাইল হোম-এ আমাদের হেডকোয়ার্টার। তিনটি রহস্যের সমাধান করতে চলেছি এসো না, চলে এসো আমাদের দলে।
বুদ্ধির খেলা সাধারণ একটা কুকুর চুরির ঘটনা । কিন্তু সাধারণ থাকল না । কারণ, ওটা কোটিপতি হার্বার্ট রকফেলারের প্রিয় কুকুর । তার উপর তিন গোয়েন্দার কাছ থেকে রাফিয়ানকেও ছিনিয়ে নিয়ে গেল কুকুর-চোর । সূত্র ধরে ধরে এগিয়ে যাচ্ছে ওরা । এমনি সময়ে ওদেরকে হুমকি দিল কুকুর-চোরঃ হয় তদন্ত বন্ধ করো, নয়তো লাশ পাবে রাফিয়ানের । এখন ? কী করবে ওরা ? অরণ্যের প্রতিশোধ; সামনে হ্যালোউইন । কিশোরের নতুন কস্টিউম দেখে চমকে যাচ্ছে সবাই । কিন্তু কেউ বুঝতে চাইছে না এটা নকল নয়, আসল । ওদিকে ওর সারা শরীর ক্রমেই গাছ হয়ে যাচ্ছে । এখন ? ভুতুড়ে বিমান: অস্ট্রেলিয়া থেকে বদলি ছাত্র হিসেবে এসেছে মার্ক । কিশোরদের বাসায় উঠেছে । ও আসার পর থেকেই ঘটতে শুরু করল অদ্ভুত সব ঘটনা । কিশোরের উপর নেমে আসছে একের পর এক বিপদ । আসলে কে এই মার্ক ? ওর হাত থেকে কীভাবে নিস্তার পাবে কিশোর ?