দ্য হোল মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় স্ত্রীকে হারানোর পর, কোমা থেকে জেগে নিজেকে পক্ষাঘাতগ্রস্ত অবস্থায় আবিষ্কার করে ওগি! দেখভাল করার জন্য আছে একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে শোকসন্তপ্ত শাশুড়ি। কিন্তু ওগিকে অবহেলায় ফেলে রাখা হয় বিছানায়; ওর দুনিয়া সংকুচিত হয়ে পড়ে নিজের ঘর আর স্ত্রীর সাথে কলহপূর্ণ সম্পর্কের স্মৃতির ঘোরপাকে। মেয়েটা তার জীবনে সব কাজে ব্যর্থ হলেও সফলতা পেয়েছিল কেবল একটায়: উঠানের বাগান তৈরিতে। তবে শীঘ্রই ওগি আবিষ্কার করে: শাশুড়ি মেয়েটার কষ্টে গড়া বাগানটাকে উপড়ে ফেলে সেখানে খুঁড়ছে গভীর এক গর্ত! কারণ জানতে চাইলে মহিলা বলে: মেয়ের অসমাপ্ত কাজকেই পরিণতি দিচ্ছে সে! পালাতে মরিয়া ওগি আবিষ্কার করে, স্ত্রী ও শাশুড়িকে ঘিরে রাখা রূঢ় এক সত্য। ২০১৭ সালের শার্লি জ্যাকসন পুরস্কারপ্রাপ্ত হে-ইয়ঙ পিয়োনের দ্য হোল উপন্যাসটি সুচারুভাবে তুলে ধরেছে একাকীত্ব আর অবহেলার এক ভয়ংকর, নির্মম প্রতিচ্ছবি।
দ্য সিক্রেট অ্যাডভার্সারি টমি আর টাপেন্স, যুবক আর যুবতী, পয়সাকড়িতে টান পড়ায় সিদ্ধান্ত নিলো: ব্যাবসায় নামবে। তবে সেই ব্যাবসা যে খুবই বিপজ্জনক তা প্রতিষ্ঠানের নাম থেকেই বোঝা যায়: ইয়াং অ্যাডভেঞ্চারার্স লিমিটেড। কাজের খোঁজে দেওয়া বিজ্ঞাপনে ওরা বলেছে: যাবে যে কোনোখানে, করবে যেকোনো কাজ। কিন্তু প্রথমেই যে রহস্যময় মি. হুইটিংটনের খপ্পরে পড়ে জানটা খোয়াবার উপক্রম হবে, তা কি কখনও কল্পনাও করেছিল? দ্য ম্যান ইন দ্য ব্রাউন স্যুট সুন্দরী, যুবতী অ্যান বেডিংফিল্ড লন্ডনে এসেছে উত্তেজনার খোঁজে। কিন্তু উত্তেজনাই যে ওকে খুঁজে নেবে, তা তো ওর জানা ছিল না! অদ্ভুত-দর্শন আর একই রকম অদ্ভুত গন্ধধারী এক লোক ভূগর্ভস্থ প্লাটফর্মে পড়ে, রেল লাইনের সংস্পর্শে এসে বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা পড়ে। পুলিসের ফয়সালা: দুর্ঘটনাক্রমে মৃত্যু। কিন্তু লাশটাকে পরখ করে পালিয়ে যাওয়া বাদামি স্যুট পরা লোকটার ব্যাখ্যা কী দেবে তারা? মাত্র একটা দুর্বোধ্য সূত্র হাতে নিয়ে খুনির পেছনে লাগল অ্যান; জান গেলে যাক, কিন্তু অপরাধীকে বিচারের মুখোমুখি সে করাবেই! দ্য সিক্রেট অভ চিমনিস ইংল্যান্ডের এক গ্রাম্য বাড়িতে একটা পার্সেলই তো দিতে হবে, এ আর এমন কী? এই ভেবেই কাজটা হাতে নিয়েছিল অ্যান্থনি কেড। কিন্তু কেঁচো খুঁড়তে গেলে সাপের বেরিয়ে আসা যে অবশ্যম্ভাবী, তা কে না জানে? বন্ধুর হয়ে এই একটা কাজ করতে গিয়ে নিজেকে সে আবিষ্কার করল আন্তর্জাতিক এক ষড়যন্ত্রের ঠিক মধ্যখানে। অনেক দূরের দেশ, হার্জোস্লোভাকিয়ায় নতুন করে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না করে থামবে না সেই ষড়যন্ত্রকারী। হাতে হাত মেলাল স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড আর ফরাসি সুরেত। কিন্তু তারপরেও সুরাহা হলো কই? অবশেষে, চিমনিস-এ, মানে গ্রাম্য সেই বাড়িতে ঘটা হত্যাকাণ্ডের ফলে পর্দা উঠল অভাবনীয় এক রহস্যের ওপর থেকে।
পপ আইডল হিসেবে তিন বছর কাটাবার পর, কিরিগোয়ে মিমা চায় নিজেকে বদলে ফেলতে। এতদিনের নির্মল, পবিত্র ইমেজ ঝেড়ে ফেলে, নতুন এক আকর্ষণীয় মিমায় পরিণত হবার সিদ্ধান্ত নিল মেয়েটা। কিন্তু নতুন এই মিমা যখন চোখ কপালে তোলার মতো কস্টিউম পরে উপস্থিত হলো মানুষের সামনে, তখন ওর সবচাইতে মোহগ্রস্ত ভক্তদের একজন তা কোনোমতেই মেনে নিতে পারল না। উত্তেজক এক ফটোবুক প্রকাশ করে আগুনে আরও ঘি ঢালল মিমা। আত্মপ্রকাশের দিনগুলোর সেই মিষ্টি মেয়ে মিমায় ওকে ফিরিয়ে নিতে, ভয়ংকর এক পরিকল্পনা সাজালো সেই লোক...যার শেষ ধাপ: মিমার জীবনের ইতি টানা। কিন্তু মধ্যবর্তী ধাপ? যেমন গা শিউরানো, তেমনি বীভৎস!
বাবাকে মৃত্যুর মুখে রেখে ধ্যানে বসেছে কিঙ্কর। পেছনে ধেয়ে আসছে অসুরের দল, ভাইকে রক্ষা করতে লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছে বোন। এদিকে আসছেন অমর পরশুরামও, তিনি কি পারবেন সময়-মতো পৌঁছতে? নাকি তার আগেই ঘটে যাবে অঘটন? উপকূলের বুকে আঘাত হানতে চলেছে প্রকাণ্ড এক ঘূর্ণিঝড়। প্রকৃতি নির্দয়, তবে এতটা নির্মম কি? নাকি এর পেছনেও রয়েছে কোনো অপশক্তি, যার কারণে পালন-কর্তাকেই আসতে হচ্ছে বারবার এবং আরো একবার; যতদিন না তার উপযুক্ত কায়া সৃষ্টি করছেন সৃষ্টিকর্তা। শক্তি আর অপশক্তির লড়াইয়ের যুগ-যুগান্তরের উপাখ্যান: শিবোহাম।
সময় এখন... ...থমকে যাবার পথিক বেছে নেয় পথ... ...নাকি পথই বেছে নেয় পথিককে? রাশেদের কথা ভাবলে অবশ্য প্রথমটাই সত্যি বলে ধরে নিতে হয়। নিজের হাতে খোঁড়া কবরে শুয়ে যে স্বপ্ন দেখে শ্বশুরের মৃত্যুর। আবার যদি ভাবি আরিয়ানের কথা তাহলে মনে হবে, ওর ভাগ্যের পথ যেন পুতুল বানিয়ে ছেলে-খেলা করে বেচারাকে নিয়ে। চাচার রহস্যময় খুন যার সামনে খুলে দিয়েছে অমিত সম্ভাবনার দ্বার। কিন্তু কে এই এস.আই. সাব্বির? কেন দু’পাশে হাত তুলে দাঁড়িয়ে আছে সে পথ আটকে? কেন বলছে উচ্চস্বরে: সময় এখন... ...থমকে যাবার!
বাল্যবন্ধু নাসিম পারভেজের বিয়েতে অংশ নিতে কক্সবাজারে পা রাখল সাব্বির হোসেন। কিন্তু এসেই জানতে পারল—ঠিক আগের রাতেই নৃশংস ভাবে খুন হয়েছে বেচারা! সেই খুনের জন্য দায়ী মনে করা হচ্ছে তারই বাগদত্তা—মধুমতী চৌধুরীকে! স্থানীয় থানার ওসি, ফেরদৌস আহমেদের সহায়তায় খুনের তদন্তে নামল সাব্বির...যে তদন্তের সূত্র ওকে ঘোরাচ্ছে নাকে দড়ি দিয়ে! ইয়াবার বিষাক্ত ছোবল থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে চেয়েছিল নাসিম, সেজন্যই কি মরতে হলো ওকে? সাক্ষ্য-প্রমাণ তো সেদিকেই নির্দেশ করে! দৃঢ় প্রতিজ্ঞ সাব্বিরের অভিধানে পিছু হটা বলে কিছু নেই। তদন্ত করতে গিয়ে খুঁজে পেল ও প্রাক্তন মাদক সম্রাট মাহমুদ আসহাফকে, পেল বড়লোকের বখে যাওয়া পুত্র রাজীব মল্লিককে। আর পরিস্থিতিকে আরো ঘোলা করতে হাজির হয়ে গেল ডা. নিশাত তানজুম। কক্সবাজার, শ্যামলাপুর, টেকনাফের সমুদ্র সৈকত থেকে মিয়ানমারের পাহাড় পর্যন্ত বিস্তৃত এই মাদকচক্রের যতি টানতে পারবে তো সাব্বির? নাকি মাদকের বিষাক্ত ছোবলে নীল হয়ে যাওয়া মানুষদের তালিকায় যোগ হবে আরেকটা নাম?
আত্মসমর্পণ করতে এসে হঠাৎ করে মারা গেল বিখ্যাত গুণ্ডা নাহিদ হাসান। আণ্ডারগ্রাউণ্ড ডন ওয়াসির বিরুদ্ধে রাজসাক্ষ্মী হতে চেয়েছিল বলেই কি বেঘোরে প্রাণ হারাতে হলো তাকে? কিন্তু মরল কীভাবে? রক্তে তো প্রাণঘাতী কোনও ধরনের রাসায়নিক নেই! রহস্য জটিল রুপ ধারণ করল, দৃশ্যপটে ডন ওয়াসির প্রধান আততায়ী খন্দকার শুভ'র আগমনে। তাহলে কী কোনও উপায়ে এই দয়া-মায়াহীন পাষণ্ড খুনটা সেরেছে? এদিকে মৃত্যুর মাত্র কয়েকঘণ্টা আগে রহস্যময় এক নারীর সাথে নাস্তা করতে দেখা গিয়েছে নাহিদ হাসান ওরফে নাদু গুণ্ডাকে। কে এই রমণী? মাফিয়ার লোকজনের সাথে তার কী সম্পর্ক! রহস্য সমাধানের দায়িত্ব এসে পড়ল ডাক্তার থেকে পুলিশ বনে যাওয়া রাফসান ইবনে রেজার ঘাড়ে। জুনিয়র এসআই আদনান আহমেদকে সাথে নিয়ে ঢাকা শহরের এ মাথা থেকে ও মাথা ছুটে চলছে বেচারা। জলদি রহস্য সমাধান করতে না পারলে জেলে যেতে হতে পারে ওদের বস, সৈয়দ মারুফকে, নাদু গুণ্ডার খুনের দায় নিয়ে। ঘড়ির কাঁটাকে হার মানাতে পারবে তো ওরা? সমাধান হবে তো রহস্যের?
দ্য গুড সান পৃথিবীতে যদি মাত্র একজনকে বিশ্বাস করা যায়...তাহলে সে মানুষটি নিজে ছাড়া আর কে হতে পারে! অথচ নিজের ওপরেই যদি কেউ খুইয়ে ফেলে বিশ্বাস? ধাতব গন্ধের ধাক্কা নাকে নিয়ে ঘুম ভাঙল ইউ-জিনের। সিউলের জাঁকাল ডুপ্লেক্স বাড়িতে মা আর পালক ভাইয়ের সঙ্গে থাকে সে। নিজ কামরা থেকে বেরিয়ে সিঁড়ির গোড়ায় আসতেই আবিষ্কার করে-রক্তের ডোবায় শুয়ে আছে ওদের মা! রাতের স্মৃতি যেন নাগালের ঠিক বাইরে ঘোরা-ফেরা করছে! খিঁচুনির রোগী হওয়ায় প্রায়শই এমনটা হয় ইউ-জিনের। তবে একটা কথা মনে আছে পরিষ্কার-রাতে মা ডাকছিল ওকে। সাহায্যের আশায়, বাঁচার আকুতি নিয়েই কী? কার কাছ থেকে বাঁচতে চাচ্ছিল মা? খুনি কি অন্য কেউ? নাকি ইউ-জিন নিজেই? পরবর্তী তিনটি দিনের গল্প, ভয়াল সেই রাতের রহস্য উন্মোচনের আখ্যান। কিন্তু পেঁয়াজের খোসার মতো ক্রমেই ওদের পারিবারিক জীবন খুলে খুলে প্রকাশিত হচ্ছে অজানা অনেক গোপনীয়তা। মর্মন্তুদ ও মনস্তাত্ত্বিক থ্রিলারের পাশাপাশি, দ্য গুড সান-এর পরতে পরতে জড়িয়ে আছে--স্মৃতির রহস্য, মা ও ছেলের সম্পর্কের টানাপড়েন। সেই সঙ্গে অবাক করে দেয়া এক সত্যও!
দেবতা মারা গেছেন...তাই আসুন, তার ছেলেদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া যাক! মোটকু চার্লির ছাপোষা জীবনে তখনই যতি পড়ে গেছে, যখন ওর বাবা মারা গেছে ফ্লোরিডার একটা ক্যারিয়োকি স্টেজে! চার্লি জানতই না যে ওর একটা ভাই আছে...ওদের বাপ যে দেবতা—সেটা জানার তো প্রশ্নই ওঠে না। ওর সেই ভাই, স্পাইডার, দেখা দিল সদর দরজায়। বদলে যেতে লাগল মোটকু চার্লির জীবন। হয়ে উঠল মজার... ...সেই সঙ্গে বিপজ্জনকও। উত্তেজনায় ভরা, কখনও একটু ভয়ের, আর অবশ্যই মজার গল্প ‘আনানসি বয়েজ’, মূলত যৌবন, বুনো অভিযান আর অটল বিপদের মুখোমুখি হবার রঙিন এক গল্প।
শহর থেকে কিছুটা দূরের বিশেষ এক মানসিক হাসপাতাল। রোগীদের বিশেষত্ব: গুরুতর কোনো না কোনো অপরাধে অভিযুক্ত সবাই! সেই হাসপাতাল থেকে একে একে হারিয়ে যেতে শুরু করল মানুষ। রোগী, কর্মচারী এমনকী ডাক্তাররাও... কানাঘুষো ছড়িয়ে পড়েছে হাসপাতালে, অন্তর্ধানগুলোর সাথে জড়িত অশুভ কোনো আত্মা অথবা নৃশংস কোনো খুনি! হাসপাতালের সবচেয়ে শান্তশিষ্ট রোগী নজিবুর রহমান। চারটে খুনের অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হওয়ার পর, হাসপাতালে ঠাঁই হয়েছে তার। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে প্রতিনিয়ত লড়াই করে চলেছে ও। দিন-দিন কঠিন হচ্ছে সেই লড়াই। হঠাৎ আবিষ্কার করল নজিবুর: অন্তর্ধানের পেছনে থাকা লোকটার চেহারা তার পরিচিত। কিন্তু একজন মানসিক রোগীর কথা বিশ্বাস করবে কে? তাই সিদ্ধান্ত নিল, নিজেই আটকাবে খুনিকে। অথচ ভুলে গেল নজিবুর, নামে হাসপাতাল হলেও, আসলে জেলখানায় রয়েছে ও। খুনির পরবর্তী শিকারে পরিণত হওয়া ওর জন্য সময়ের ব্যাপার মাত্র! শহর থেকে কিছুটা দূরের বিশেষ এক মানসিক হাসপাতাল। রোগীদের বিশেষত্ব: গুরুতর কোনো না কোনো অপরাধে অভিযুক্ত সবাই! সেই হাসপাতাল থেকে একে একে হারিয়ে যেতে শুরু করল মানুষ। রোগী, কর্মচারী এমনকী ডাক্তাররাও... কানাঘুষো ছড়িয়ে পড়েছে হাসপাতালে, অন্তর্ধানগুলোর সাথে জড়িত অশুভ কোনো আত্মা অথবা নৃশংস কোনো খুনি! হাসপাতালের সবচেয়ে শান্তশিষ্ট রোগী নজিবুর রহমান। চারটে খুনের অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হওয়ার পর, হাসপাতালে ঠাঁই হয়েছে তার। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে প্রতিনিয়ত লড়াই করে চলেছে ও। দিন-দিন কঠিন হচ্ছে সেই লড়াই। হঠাৎ আবিষ্কার করল নজিবুর: অন্তর্ধানের পেছনে থাকা লোকটার চেহারা তার পরিচিত। কিন্তু একজন মানসিক রোগীর কথা বিশ্বাস করবে কে? তাই সিদ্ধান্ত নিল, নিজেই আটকাবে খুনিকে। অথচ ভুলে গেল নজিবুর, নামে হাসপাতাল হলেও, আসলে জেলখানায় রয়েছে ও। খুনির পরবর্তী শিকারে পরিণত হওয়া ওর জন্য সময়ের ব্যাপার মাত্র!
জুল ভার্ন তার বিখ্যাত চরিত্র, ফিলিয়াস ফগ অ্যান্ড কোং-কে আশি দিনে পুরো বিশ্ব-ভ্রমণ করিয়ে এনেছিলেন। তবে করোনার যুগে আশি দিন কেন, আশি হপ্তায়ও বিশ্ব-ভ্রমণ সম্ভব হয় নাকি...তা জানেন শুধু ওই ওপরঅলা! তবে কিনা একটা বই, তার দুই মলাটের মাঝে সারা দুনিয়াকে ধারণ করতে পারে, তাই না? না, না, আকাশ আমাদের সবাইকে দূরের পানে ডাকলেও, এই বইয়ের মাধ্যমে আপনারা সারা দুনিয়া ঘুরে আসতে পারবেন না। তবে হ্যাঁ, পনেরোটি দেশের বিখ্যাত কিছু জায়গা কল্পনার চোখে দেখতে পারবেন বটে। আকাশ আমায় ডাকে দূরের পানে আপনাকে নিয়ে যাবে মাল্টার আজুর জানালায়। আবার পরক্ষণেই নিজেকে আবিষ্কার করবেন ভেনিসের অলিতে-গলিতে কিংবা নিউ ইয়র্কের দালান কোঠার জঙ্গলে। বসনিয়ার ভাঙা দেয়াল দেখে মন খারাপ হলে তার দায় লেখকের নয়...বলে দিলাম আগেই। তেমনি জাগরেবের মিউজিয়াম অভ ব্রোকেন হার্ট যদি আপনাকে অতীতের রোমন্থনে বাধ্য করে, তার কৃতিত্বও নাহয় লেখককে না-ই দিলেন! ভালো কথা, ইউরোপের প্রাচীনতম মমি আর পেন্সিলভানিয়ার প্রাচীন ধারায় জীবন-যাপনকারী আমিশদের সম্পর্কে না জানলে কিন্তু বিশ্বায়নের যুগে পিছিয়ে যাবেন! নিজের বাড়িতে বসে অল্প একটু পৃথিবী দেখার আমন্ত্রণ রইলো আপনাদের জন্য। জুল ভার্ন তার বিখ্যাত চরিত্র, ফিলিয়াস ফগ অ্যান্ড কোং-কে আশি দিনে পুরো বিশ্ব-ভ্রমণ করিয়ে এনেছিলেন। তবে করোনার যুগে আশি দিন কেন, আশি হপ্তায়ও বিশ্ব-ভ্রমণ সম্ভব হয় নাকি...তা জানেন শুধু ওই ওপরঅলা! তবে কিনা একটা বই, তার দুই মলাটের মাঝে সারা দুনিয়াকে দারণ করতে পারে, তাই না? না, না, আকাশ আমাদের সবাইকে দূরের পানে ডাকলেও, এই বইয়ের মাধ্যমে আপনারা সারা দুনিয়া ঘুরে আসতে পারবেন না। তবে হ্যাঁ, পনেরোটি দেশের বিখ্যাত কিছু জায়গা কল্পনার চোখে দেখতে পারবেন বটে। আকাশ আমায় ডাকে দূরের পানে আপনাকে নিয়ে যাবে মাল্টার আজুর জানালায়। আবার পরক্ষণেই নিজেকে আবিষ্কার করবেন ভেনিসের অলিতে-গলিতে কিংবা নিউ ইয়র্কের দালান কোঠার জঙ্গলে। বসনিয়ার ভাঙা দেয়াল দেখে মন খারাপ হলে তার দায় লেখকের নয়...বলে দিলাম আগেই। তেমনি জাগরেবের মিউজিয়াম অভ ব্রোকেন হার্ট যদি আপনাকে অতীতের রোমন্থনে বাধ্য করে, তার কৃতিত্বও নাহয় লেখককে না-ই দিলেন! ভালো কথা, ইউরোপের প্রাচীনতম মমি আর পেন্সিলভানিয়ার প্রাচীন ধারায় জীবন-যাপনকারী আমিশদের সম্পর্কে না জানলে কিন্তু বিশ্বায়নের যুগে পিছিয়ে যাবেন! নিজের বাড়িতে বসে অল্প একটু পৃথিবী দেখার আমন্ত্রণ রইলো আপনাদের জন্য।
মর্গ উপন্যাসের একটি চরিত্র। বিভিন্ন সময়ে ঘটে যাওয়া মৃত্যুর ঘটনা কখনও ব্যক্তিগত শোককে ছাড়িয়ে রাষ্ট্রের কাছে জিজ্ঞাসা চিহ্ন হিসেবে প্রতিভাত হয়েছে। মৃত্যুর পরে মর্গই তো সেই জায়গা যেখানে শব হয়ে ঢুকতে হয়, যখন মৃত্যু আর স্বাভাবিক মৃত্যু থাকে না। আইনের নিয়মে এখানে শব-ব্যবচ্ছেদ সম্পন্ন হয়, কিন্তু মেটে না জীবনের মূল্য। এই উপন্যাসের একদল ছেলেমেয়ে মর্গের অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে নিজেদের বয়স্ক হতে দেখেছে। অভিজ্ঞ হয়েছে। নানা ধরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেখেছে কতভাবে সংঘটিত হয় মৃত্যুর মতো বেদনাবহ ঘটনা। কখনও ব্যক্তিগত শোক মর্গের ছোট ঘরটিকে বদলে দিয়েছে। কখনও পরিবারের প্রবল ব্যবচ্ছেদের পর বেওয়ারিশ হয়ে গেছে লাশ। ছেলেমেয়েরা বদলে দিচ্ছে রাষ্ট্রের সংজ্ঞা। বলছে, রাষ্ট্র নিজেই বেওয়ারিশ লাশ বহনকারী আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের গাড়ি। এতকিছুর ভেতর ছেলেমেয়েরা বেঁচে থাকার অর্থ খোঁজে। ওরা জীবনকে সহজ করে নেয়, বিচিত্র অভিজ্ঞতার তিক্ততা ওদেরকে দমাতে পারে না। এই উপন্যাসের চরিত্ররা ছোট ছোট চাওয়া-পাওয়ার ভেতরে দিন যাপন করে। বড় কিছু করার সাধ্য ওদের নেই। তেমন কিছু করার চিন্তাও ওদের নেই। ওরা ব্যক্তিগত জীবন-যাপনের মাধ্যমে শুধু দু'পা ফেলার মতো পরিসর দেখতে পায়। সেই ছোট পরিসরকে অর্থবহ করার জন্য জীবন ও মৃত্যুকে সমান্তরালে রাখে।
উইলিয়াম শার্লক স্কট হোমস—ঠিকানা ২২১বি, বেকার স্ট্রিট, লন্ডন। জন্ম ১৮৫৪ সালে। বাবা সিগার হোমস, মা ভায়োলেট শেরিনফোর্ড। হোমসের দাদি ছিলেন ফরাসি শিল্পী ভারনেটেজ গেন। ছাপার অক্ষরে শার্লক হোমসের প্রথম আবির্ভাব ১৮৮৭ সালে। আবির্ভাবে দৃষ্টি কাড়তে না পারলেও পরে ঠিকই তুমুল জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, পাল্টে দেয় রহস্য-সাহিত্যের ধারা। হোমস ছয় ফুট তিন ইঞ্চি লম্বা, চৌকো মুখ, সংগীত ও ভায়োলিনে আসক্ত। অবসরে ভায়োলিন বাজাতে পছন্দ করে। প্রখর পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণশক্তির অধিকারী, ছদ্মবেশ নিতে জুড়ি নেই। জন্ম দিয়েছে অনুমানবিজ্ঞান—অর্থাৎ সায়েন্স অভ ডিডাকশনের। অপরাধের তদন্তে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির ছোঁয়া লাগে হোমসেরই কল্যাণে। হাত-পায়ের ছাপ নিতে প্লাস্টার অভ প্যারিসের ব্যবহার, জমাট রক্তের পরীক্ষা, টাইপরাইটিঙের বৈশিষ্ট্য পরীক্ষা, অপরাধীকে অনুসরণে কুকুর ব্যবহার—এসবই প্রথম দেখা যায় হোমসের গল্পে। পরে একসময় বিভিন্ন দেশের পুলিশ বিভাগ এসব পদ্ধতি গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছে। অপরাধী শনাক্তকরণে হোমসের অবদান মাথায় রেখে, ২০০২ সালে, লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটি অভ কেমিস্ট্রি শুধু হোমসের ফরেনসিক বিদ্যার ওপর গবেষণা করে ফেলোশিপ নেওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। পৃথিবীতে কোনো কল্পিত চরিত্রের ওপর এমন বৈজ্ঞানিক গবেষণার সুযোগ এই প্রথম। আজ প্রায় দেড়শো বছর পরও হোমসকে নিয়ে তুঙ্গস্পর্শী উন্মাদনা। সেই উন্মাদনার ছোঁয়া বাংলাদেশি পাঠককে দিতে শার্লকের সবগুলো গল্প ও উপন্যাসের অনুবাদ তিন খণ্ডে প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে বিবলিওফাইল প্রকাশনী। পাঠকের সুবিধার্থে এ অনুবাদে যোগ করা হয়েছে টীকা, এবং বেশ কিছু ইলাস্ট্রেশন।