"এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হয়ে তুমি কীভাবে করো স্বাধীনতাবিরোধীদের সংগঠন?’ ‘স্যার, আমি করি না। কেউ প্রমাণ দিতে পারলে যে শাস্তি দেন মাথা পেতে নেব।’ প্রক্টর স্যার হুংকার দিয়ে ওঠেন। ‘কী প্রমাণ চাও তুমি? তোমার ফোন পরীক্ষা করেছে ছেলেরা। অবশ্যই তুমি স্বাধীনতাবিরোধীদের লোক।’ আমি চিৎকার করে উঠি, ‘এসব সত্যি না, স্যার।’ ‘তুমি আমাকে চ্যালেঞ্জ করো! আবার তোমার এত বড় সাহস, তুমি ফোন করো আমাকে!’ ‘স্যার!’ আমি কেঁদে ফেলি এবার। ‘তাহলে কার কাছে যাব, স্যার?’ তিনি তিক্ত কণ্ঠে পাকিস্তানের নাম বলেন, সেখানে চলে যেতে বলেন। পাকিস্তানের সাথে আমার কী সম্পর্ক, কেন সেখানে যাব, কিছুই বুঝতে পারি না। বিস্মিত হয়ে বলি, ‘কই যাব, স্যার!’ ‘পাকিস্তান! পেয়ারা পাকিস্তান!’ নাটুকে ভঙ্গিতে এটা বলেই তিনি ফোন কেটে দেন। আমি আবু বকর এই সময়ের বিব্রতকর কাহিনি। "
বাংলাদেশের ১৯৭২ সালের সংবিধানটি রচিত হয়েছিল গণপরিষদের ৮ মাসের প্রচেষ্টায়। সে সময় বঙ্গবন্ধু, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী, এ এইচ এম কামারুজ্জামান, ড. কামাল হোসেন, সুরঞ্জিত সেনগুপ্তসহ চার শতাধিক গণপরিষদ সদস্যের আলোচনা ও বিতর্ক লিপিবদ্ধ হয়েছিল পরিষদের কার্যবিবরণী ও অন্যান্য দলিলপত্রে। এই গ্রন্থে প্রথমবারের মতো এসব দলিল বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এই বিশ্লেষণ বলে দেয়, মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হওয়ার পর আমরা কেমন বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলাম, আমাদের ভুলটা কোথায় হয়েছে,আর কোথায়ই-বা আমাদের সম্ভাবনা।