বনফুল রয়েছে আমাদের চোখের সামনে, কিন্তু কাছের এই ফুলগুলো খুব ভালোভাবে দেখা বিশেষ হয়ে ওঠে না। পথের ধারে, মাঠে-প্রান্তরে, বাড়ির আঙিনায় কতোরকম গাছে কতো ধরনের বনফুলই না ফোটে। যত্ন করে কেউ এসবের পরিচর্যা করে না, নিজের শক্তিতেই তাদের জন্ম আর বিকাশ। অথচ আমাদের জীবনে নানা উপকারে আসে এইসব বনফুল। বিশেষ করে বিভিন্ন রোগ উপশমে বনফুলের রয়েছে বহু ধরনের কার্যকারিতা। তাই বনফুল মোটেই অবহেলা করার নয়। বাংলার অজস্র বনফুল থেকে মাত্র চব্বিশটিকে বাছাই করে এখানে একটা স্তবক তৈরি করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এমনি আরো কতক স্তবক ক্রমে ক্রমে কিশোর-কিশোরীদের হাতে তুলে দেয়া হবে। এই পরিচিতি যদি তাদের মনোযোগী করতে পারে বনফুলের প্রতি, যত্ন নিতে শেখায় বনফুলের এবং সর্বোপরি প্রকৃতির প্রতি দরদ ও ভালোবাসায় মন ভরিয়ে তুলতে পারে তবেই সার্থক হবে লেখকের পরিশ্রম। তাই আমরা আশা করবো আরো গভীরভাবে কিশোর- কিশোরীরা তাকাবে বনফুলের দিকে, জানতে চাইবে এর পরিচয় আর বৈশিষ্ট্য, দেখবে এর গড়ন আর বাহার। তাহলেই তো বুঝতে পারবে প্রকৃতি আমাদের কতো পরম বন্ধু, আর কতোই-না আনন্দ ও শিক্ষা মেলে ধরেছে আমাদের সবার জন্য। বনফুল বিষয়ে বাংলায় অনন্য এই বইয়ের ছবি ও লেখা সাজিয়েছেন নওয়াজেশ আহমদ, নিজে যিনি প্রকৃতি-বিজ্ঞানী ও নিসর্গপ্রেমী এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলোকচিত্রগ্রাহক। এমন বইয়ের তুলনা আর কোথায় মিলবে।"
প্রাণিবৈচিত্র্যে ভরা আমাদের পৃথিবীর পরিবেশ বদলে যাচ্ছে। কিছু মানুষের অনৈতিক আাশের শিকার গাছপালা, নদীনালা, পশুপাখি। আজকের শিশু-কিশোরদের মাঝে পরিবেশের প্রতি ভালোবাসা বাড়ানোর জন্য, পশুপাখি, কীটপতঙ্গ ও গাছপালা সম্পর্কে সচেতন করার জন্য বইটি লেখা হয়েছে। আশা করি বইটি সবার ভালো লাগবে।
"বিস্ময়কর ব্যাকটেরিয়া বইটি ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া স্যার কর্তৃক রচিত অনুজীব বিষয়ক বই। বইটিতে অতি ক্ষুদ্র এক একটি ব্যাকটেরিয়া নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। কোথায় নেই ব্যাকটেরিয়া সেটিই বড়ো প্রশ্ন। কারণ পৃথিবীর সর্বত্রই এদের দেখা মেলে। মাটি বলি, পাথর বালি, নদনদী কিংবা সমুদ্র বালি এবং এমনকি মেরু অঞ্চলের বরফেও এদের উপস্থিতি দেখা যায়। মরুভূমির তপ্ত বালু কিংবা উষ্ণ ঝরনাধারায় এদের কোনো কোনোটার বাস, কোনো কোনোটা বাস করে অন্য জীবের দেহের উপর কিংবা দেহের ভেতরও। গাছপালা, প্রাণী কিংবা মানুষের দেহের মধ্যেও এদের উপস্থিতির কথা জানা গেছে। কেবল উপস্থিতি নয় রীতিমতো সেখানে বাস করে ব্যাকটেরিয়া। মানুষের দেহে যত কোষ আছে তারও দশ গুণ বেশি আছে ব্যাকটেরিয়ার কোষ। প্রচুর সংখ্যক ব্যাকটেরিয়া বাস করে মানুষের পরিপাক নালিতে। থাকে এরা এমনকি জাবর কাটা পশুর অন্ত্রেও। পৃথিবী পৃষ্ঠের নিচে বেশ গভীরে বাস করে কোনো কোনো ব্যাকটেরিয়া। কিছু ব্যাকটেরিয়া বাস করে মাটিতে কিংবা মৃত জীব বা গাছপালার মধ্যে। এক গ্রাম মাটিতে থাকতে পারে ৪০ মিলিয়ন ব্যাকটেরিয়ার কোষ। আর বিশুদ্ধ পানযোগ্য এক মিলিলিটার পানিতে থাকতে পারে এক মিলিয়ন ব্যাকটেরিয়া।"
প্রাচীনকাল থেকে মানুষের মনে মীমাংসাহীন এক প্রশ্ন, মহাকাশের পর আর কী আছে? মহাকাশের সীমানা ছাড়িয়ে অন্য কোনো জগৎ তো থাকতেও পারে। আশার আলো জ্বেলে এগিয়ে যাচ্ছে বিজ্ঞান। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে এবং অন্য গ্রহ-গ্রহান্তরেও তা থাকার সম্ভাবনা আছে। নাসার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ২০১৮ সাল নাগাদ মঙ্গলে মানব-মিশনের কাজের অগ্রগতি হবে। আমরাও ক্রমে নিশ্চিত হতে থাকব, মহাবিশ্বে আমরা একা নই, রয়েছে আমাদের আরও দোসর, সহোদর। এসব বিষয় নিয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক পর্যালোচনাই এ বইয়ের মূল প্রতিপাদ্য।
আমাদের পৃথিবী কত বিচিত্র। পাহাড়-পর্বত, সাগর-মহাসাগর, মরুভূমি, বনভূমি, অদ্ভুত জীবজন্তু ইত্যাদির সমাহার। পৃথিবীকে জানতে হলে আমার পৃথিবী' সিরিজের বইগুলো পড়া দরকার। বইগুলো হতে পারে শিশুদের জন্য সেরা উপহার। ৬-১২ বছর বয়সের শিশুদের জন্য উপযোগী। যারা সবেমাত্র পড়তে শিখেছে এবং যারা পড়ে বুঝতে শিখেছে। বইগুলোর উদ্দেশ্য দেখে ও পড়ে পৃথিবী সম্পর্কে জানা। বইগুলো পড়ার ক্ষেত্রে শিক্ষক ও অভিভাবকদের সাহায্য প্রয়োজন। বেশ কিছু শব্দ ও স্থাননাম শিশুরা নাও বুঝতে পারে। তবে দৃষ্টিনন্দন আজব স্থান ও জীবজন্তুর ছবি শিশুদের কৌতূহল অবশ্যই বাড়িয়ে তুলবে। যা ভবিষ্যতে তাদের মনন বিকাশে সহায়ক হবে।"
"সুন্দরবনে বাঘের সন্ধানে" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ চিড়িয়াখানায় গিয়ে বাঘের চোখের দিকে তাকিয়েছেন কখনো? কল্পনা করুন, ওই বাঘ আর আপনার মাঝখানে কোনো লোহার বেড়া নেই। শুধু একজোড়া জ্বলজ্বলে সোনালি চোখ তাকিয়ে আছে আপনার দিকে। সে চাউনির যে কী মহিমা-একমাত্র বাঘের নিজের রাজ্যে দাড়িয়ে দেখলে তা বুঝতে পারবেন। সুন্দরবনের বাঘ নিয়ে কাজ করতে গিয়ে লেখক মনিরুল খান অনেকবার গিয়েছেন সে রাজ্যে। মুখোমুখি হয়েছেন সুন্দরবনের রাজাধিরাজের। শৈশবে বাবা সাদত আলী খানের মুখে বুনো বাঘ দেখার অভিজ্ঞতা শুনে রোমাঞ্চিত হয়েছেন বারবার। এখন মানুষ তার কাছে বাঘ দেখার গল্প শুনতে চায়। গল্পের মতো অভূতপূর্ব সব স্মৃতিচারণা মূলত সেই বাঘেরই মহিমাকীর্তন।