আমেরিকা কারো কাছে স্বপ্নপুরী। কারো কাছে দূঃস্বপ্ন। এই দুইয়ের মধ্যে অপসৃয়মান একটি হালকা ব্যবধান-রেখা হয়ত আছে, কিন্তু সে রেখা অনায়সে বদলে যায়, যেতে পারে। আদনান সৈয়দের “আমেরিকানামা”-য় সেই স্বপ্ন-দুঃস্বপ্নের আমেরিকাই ধরা পড়েছে স্বপ্নতাড়িত একদল মানুষের নিকট অভিজ্ঞতার আয়নায়। এই গ্রন্থে সংকলিত প্রতিটি কাহিনী আদনানের কাছ থেকে দেখা ও শোনা। এখানে তিনি একাধারে সাংবাদিক ও শিল্পী। তথ্য সংকলিত করেছেন সাংবাদিকের অভিনিবেশ ও নিবিষ্টতায়। কিন্তু সে কাহিনী গেঁথেছেন প্রকৃত শিল্পীর সহমর্মিতায়। ফলে এই গ্রন্থ হয়ে উঠেছে যথার্থ সাহিত্যে।
“ঔপনিবেশিক ভারতে বিলাতি নারীরা” বইয়ের ফ্ল্যাপের কথা: নথিপত্র অনুযায়ী ১৬১৭ সালে মিসেস হাডসন এবং তার কাজের মেয়ে ফ্রান্সেস ওয়েব প্রথম ভারতে আসা দুই বিলাতি নারী । তবে আঠারাে শতকের শুরু থেকেই বিলাতি নারীরা বিভিন্ন কারণে ভারতে পারি জমান। ভারতে তারা কখনাে কারাে স্ত্রী, কখনাে প্রেমিকা, কখনাে হাসপাতালের সেবিকা হিসেবে, আবার কেউ মিশনারির কাজ, আবার কেউ রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পরেছিলেন সরকারি এবং বেসরকারি বিভিন্ন কাজের সাথেও যুক্ত ছিলেন ভারতে অবস্থানরত এই বিলাতি নারীরা ছিলেন ঠিক আমাদের মতই রক্তমাংসের মানুষ। বিভিন্ন রকম ছল-চাতুরী, লােভ-হিংসা-বিদ্বেষ, কাম-প্রেম-ভালােবাসায় তাদের জীবন ছিল সিক্ত। এক চিলতে সুখের খোজে এই বিলাতি নারীরা যখন ভারতে পারি জমান তখন তাদের চোখ ভরা ছিল স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন কারাে জীবনে সত্য হয়ে ধরা দিয়েছিল আবার সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তরিত করতে গিয়ে কেউ কেউ জীবনসংগ্রাম থেকে ছিটকেও পরেছিলেন। তবে এ কথা বলা যায় যে, তাদের জীবন ছিল নানান মাত্রায় বৈচিত্রতায় ভরপুর। ঔপনিবেশিক ভারতে বিলাতি নারীরা গ্রন্থটিতে ঔপনিবেশিক ভারতে বিলাতি নারীদের জীবন চিত্রটি অঙ্কন করার চেষ্টা হয়েছে।