মুসলিম হিসেবে হালাল-হারামের ব্যাপারে আমাদের সর্বোচ্চ সতর্কতা আবশ্যক। অবশ্য কিছু বিষয়ের হালাল-হারাম হওয়া নিয়ে কখনো কখনো বেশ দ্বন্দ্বে পড়ে যাই আমরা। এটা হালাল হলে ওটা হারাম কেন, এভাবে হারাম হলে ওভাবে হালাল কেন—এ জাতীয় নানা প্রশ্ন আমাদের মাথায় ঘুরতে থাকে। দিশেহারা হয়ে পড়ি আমরা। অথচ কোনো কিছুর হালাল কিংবা হারাম সাব্যস্ত হওয়ার যে সামান্য কিছু মূলনীতি রয়েছে, সেগুলো জানা থাকলে এ অবস্থা থেকে অনেকাংশেই বেঁচে থাকা সম্ভব। একজন মুসলিমের জন্য কোন কাজটি হালাল আর কোনটি হারাম, কোন কাজ এক জায়গায় জায়িয হলেও অন্য জায়গায় বা অন্য সময়ে নাজায়িয, কোনো কাজ জায়িয এবং নাজায়িয হওয়ার কারণগুলোই বা কী? ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক-জীবনঘনিষ্ঠ এমন অসংখ্য বিষয়ের বাস্তবধর্মী আলোচনা নিয়ে ড. ইউসুফ আল-কারযাবি রাহিমাহুল্লাহর বিশ্বজুড়ে সাড়াজাগানো গ্রন্থটি প্রকাশিত হলো ‘হালাল-হারামের বিধান’ নামে।
জান্নাত এমন এক শান্তিসুখের চিরস্থায়ী নিবাস, যা আমরা কখনো কল্পনাও করতে পারি না। জান্নাতের শুরু আছে, শেষ নেই। সেখানে জীবন আছে, মৃত্যু নেই। যৌবন আছে, বার্ধক্য নেই। এমন সব নিয়ামত রয়েছে সেখানে, যা কোনো চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো হৃদয়ও কখনো কল্পনা করেনি। আর জাহান্নাম হচ্ছে চিরস্থায়ী শাস্তিভোগের এমন এক আবাস, যার কল্পনা করাও আমাদের সাধ্যের বাইরে। শাস্তির ভয়াবহতায় মানুষ সেখানে মরে যেতে চাইবে। মৃত্যুকে সেখানে সবার সামনে জবাই করা হবে। তাই চাইলেও কেউ আর মরে যেতে পারবে না। জাহান্নামের শাস্তি এতটাই প্রলয়ংকরী যে, এর বর্ণনা শুনলেও অন্তরাত্মা কেঁপে ওঠে। জান্নাত-জাহান্নামের স্বরূপ না জানলে আমরা আমাদের করণীয় নির্ধারণ করতে পারব না। তাই জান্নাতের অফুরন্ত নিয়ামত আর জাহান্নামের প্রচণ্ড ভয়াবহতার বিস্তারিত বিবরণ নিয়ে আমাদের এবারের আয়োজন—‘জান্নাত-জাহান্নাম’