১. আকিদা হলো এক বৃক্ষের মতো, আর আমলগুলো তার ডালপালা। বৃক্ষ ছাড়া যেমন ডালের অস্তিত্ব কল্পনাতীত, ঠিক তেমনি আকিদাবিহীন আমলও পুরোপুরি মূল্যহীন। ২. যদি দেখেন মৃত্যুর পর আপনার কোনো আমলই আর কাজে আসছে না, তখন কেমন লাগবে আপনার? হ্যাঁ, ভ্রান্ত আকিদা আমাদের সব আমল নিঃশেষ করে দেয়। ৩. আমল তখনই কবুল হবে, যখন আকিদা হবে বিশুদ্ধ। আর বিশুদ্ধ আকিদা গড়ে তুলতে এবং সে অনুযায়ী আমল করতে আজই পড়ে ফেলুন চমৎকার এ বইটি। ৪. আকিদার দুটি অংশ—মৌলিক ও শাখা-প্রশাখা। শাখাগত অংশে মতপার্থক্য থাকলেও মৌলিক অংশে কারো কোনো দ্বিমত নেই। এ বইটি আকিদার সেই মৌলিক অংশ নিয়েই রচিত।
কালের ঘূর্ণাবর্তে সবকিছুর পালাবদল ঘটছে। পরিবর্তন আসছে জীবনের রূপ ও রঙে। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে নতুন চিন্তা এসে গ্রাস করছে পুরােনাে চিন্তার জগৎ। এভাবেই চলছে গ্রহণ-বর্জনের নিরন্তর চক্র। কালের এই চক্রে সবকিছুতে পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগলেও একমাত্র ইসলাম-ই চৌদ্দশত বছর ধরে চিন্তা-চেতনা ও জ্ঞান বিকাশের অবিকৃত ও পরিপূর্ণ ধারায় রয়েছে বিরাজমান। মানবজাতির জন্য নির্দেশিকা হিসেবে নাযিল হওয়া ইসলামের বার্তাসমূহের রয়েছে সমসাময়িক ও আগামী জীবনের উপযােগিতা। ইসলামের সুমহান সেই বার্তাগুলাে-ই বিশ্বাসী মানুষষের দ্বারে পৌছে দেওয়ার লক্ষ্যে সমকালীন প্রকাশনের পথচলা।
‘মেঘ কেটে যায়’ বইয়ের কিছুকথাঃ মেঘগুলো কেমন যেন! দলবেঁধে এসে ছেঁয়ে ফেলে আকাশটাকে। মেঘের আড়ালে ফিকে হয়ে যায় আকশের নীল। মেঘেরা তৈরি করে এক বিদঘুটে পরিবেশ। নীল আকাশ ছেঁয়ে যায় এক গুমোট আবহাওয়ায়। থমথমে। নীরব। নিস্তব্ধ। হঠাৎ কোথা থেকে যেন এক টুকরো আলোক রশ্মি এসে মূহুর্তেই পাল্টে দেয় সব। কেটে যায় মেঘ। ফিকে হয়ে যাওয়া নীল ফিরে পায় তার রঙ। আলোতে আলোতে আবার ভরে উঠে আকাশ। আমাদের হৃদয়টাও নীল আকাশের মতোন। আর, সন্দেহগুলো হলো কালো মেঘের প্রতিচ্ছবি। সেই প্রতিচ্ছবিগুলো যখন হৃদয়ের আকাশে এসে জমাট বাঁধতে শুরু করে, তখন হৃদয়ের পরিবেশ হয়ে ওঠে অশান্ত। তাতে ভর করে অবিশ্বাস। সন্দেহ আর অবিশ্বাসের দোটানায় ভাসতে থাকা হৃদয়, আস্তে আস্তে ভঙ্গুর হয়ে পড়ে।এরপর? এরপর একদিন তাতে এক টুকরো আলো এসে পড়ে আর মূহুর্তেই কেটে যায় হৃদয়ের সকল অন্ধকার। সেই আলোতে পরিশুদ্ধ হয়ে আমাদের হৃদয় আবার বিশ্বাসের পথে চলতে শুরু করে। সকল সন্দেহ, অবিশ্বাস আর জড়তার বন্ধন ছিন্ন করে হৃদয়ের গহীন থেকে কেবল বিশ্বাসের সুর প্রতিধ্বনিত হয়।হৃদয়ের মেঘ কেটে যাওয়ার সেই উপাখ্যান দিয়েই সাজানো হয়েছে ‘মেঘ কেটে যায়’।
মুসলিম হিসেবে হালাল-হারামের ব্যাপারে আমাদের সর্বোচ্চ সতর্কতা আবশ্যক। অবশ্য কিছু বিষয়ের হালাল-হারাম হওয়া নিয়ে কখনো কখনো বেশ দ্বন্দ্বে পড়ে যাই আমরা। এটা হালাল হলে ওটা হারাম কেন, এভাবে হারাম হলে ওভাবে হালাল কেন—এ জাতীয় নানা প্রশ্ন আমাদের মাথায় ঘুরতে থাকে। দিশেহারা হয়ে পড়ি আমরা। অথচ কোনো কিছুর হালাল কিংবা হারাম সাব্যস্ত হওয়ার যে সামান্য কিছু মূলনীতি রয়েছে, সেগুলো জানা থাকলে এ অবস্থা থেকে অনেকাংশেই বেঁচে থাকা সম্ভব। একজন মুসলিমের জন্য কোন কাজটি হালাল আর কোনটি হারাম, কোন কাজ এক জায়গায় জায়িয হলেও অন্য জায়গায় বা অন্য সময়ে নাজায়িয, কোনো কাজ জায়িয এবং নাজায়িয হওয়ার কারণগুলোই বা কী? ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক-জীবনঘনিষ্ঠ এমন অসংখ্য বিষয়ের বাস্তবধর্মী আলোচনা নিয়ে ড. ইউসুফ আল-কারযাবি রাহিমাহুল্লাহর বিশ্বজুড়ে সাড়াজাগানো গ্রন্থটি প্রকাশিত হলো ‘হালাল-হারামের বিধান’ নামে।
জান্নাত এমন এক শান্তিসুখের চিরস্থায়ী নিবাস, যা আমরা কখনো কল্পনাও করতে পারি না। জান্নাতের শুরু আছে, শেষ নেই। সেখানে জীবন আছে, মৃত্যু নেই। যৌবন আছে, বার্ধক্য নেই। এমন সব নিয়ামত রয়েছে সেখানে, যা কোনো চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো হৃদয়ও কখনো কল্পনা করেনি। আর জাহান্নাম হচ্ছে চিরস্থায়ী শাস্তিভোগের এমন এক আবাস, যার কল্পনা করাও আমাদের সাধ্যের বাইরে। শাস্তির ভয়াবহতায় মানুষ সেখানে মরে যেতে চাইবে। মৃত্যুকে সেখানে সবার সামনে জবাই করা হবে। তাই চাইলেও কেউ আর মরে যেতে পারবে না। জাহান্নামের শাস্তি এতটাই প্রলয়ংকরী যে, এর বর্ণনা শুনলেও অন্তরাত্মা কেঁপে ওঠে। জান্নাত-জাহান্নামের স্বরূপ না জানলে আমরা আমাদের করণীয় নির্ধারণ করতে পারব না। তাই জান্নাতের অফুরন্ত নিয়ামত আর জাহান্নামের প্রচণ্ড ভয়াবহতার বিস্তারিত বিবরণ নিয়ে আমাদের এবারের আয়োজন—‘জান্নাত-জাহান্নাম’