মহাজাতক শহীদ আল বোখারী মহাজাতক বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক মেডিটেশন চর্চার পথিকৃৎ। জাগতিক ও মানবিক সমস্যা সমাধানের জন্যে জীবনযাপনের বিজ্ঞান কোয়ান্টাম মেথডের উদ্ভাবক ও প্রশিক্ষক। ১৯৯৩ সাল থেকে বিরতিহীনভাবে দেশের সর্বত্র এখন পর্যন্ত (মার্চ, ২০১৫) অনুষ্ঠিত এ কোর্সের ৩৮৫ টি ব্যাচে তিনি একাই প্রশিক্ষণ প্রদান করেছেন। বিশ্বের মেডিটেশন চর্চার ইতিহাসে যা এক অনন্য দৃষ্টান্ত। দুই যুগ ধরে বাংলাভাষায় সর্বাধিক পঠিত গ্রন্থ কোয়ান্টাম মেথড ছাড়াও তার রচিত আত্মনির্মাণ, চেতনা অতিচেতনা নিরাময় ও প্রশান্তি, জীবন বদলের চাবিকাঠি অটোসাজেশন ও এর ইংরেজি সংস্করণ “1001 Autosuggestions to change your life’, আলোকিত জীবনের হাজার সূত্র কোয়ান্টাম কণিকা এবং সর্বশেষ আল কোরআন বাংলা মর্মবাণী পাঠকের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। কোয়ান্টাম কোয়ান্টাম এক গতিময় প্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়া জীবনকে স্বপ্নের রঙে রাঙানোর, শূন্য থেকে শুরু করার, সংকটকে সম্ভাবনায় রূপান্তরের, সাফল্যের সোনালি স্তরে উত্তরণের, সেবা আর মানবিকতায় চারপাশ আলোকিত করার। লাখো মানুষের মতো তাই আপনিও একাত্ম হোন জীবনের চাওয়াকে পাওয়ায় রূপান্তরের এই চিরায়ত বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ায় । আপনিও বলুন, যা চাই তা-ই পাব। আমি পারি আমি করব।
চেতনা, অতিচেতনা, নিরাময় ও প্রশান্তি আপনাকে নিয়ে যাবে চেনা জগতের বাইরে এক ভিন্ন ভুবনে। কৃস্টাল বলের মাধ্যমে আপনি পেতে পারেন অতীন্দ্রিয় ক্ষমতা, টেলিপ্যাথির মাধ্যমে লাভ করতে পারেন অতিচেতনা, আঙুলের পরশেই আপনি নিরাময় করতে পারেন ব্যথা বেদনা, ৩টি মাত্র মুদ্রা ৬ বার নিক্ষেপ করলেই আই চিং-এ পেতে পারেন আপনার যে কোনও প্রশ্নের নির্ভুল জবাব। আর শিথিলায়ন ও মেডিটেশনের মাধ্যমে আপনি অবগাহন করতে পারেন প্রশান্তির মহাসাগরে।
আধুনিক মানুষের জীবনযাপনের বিজ্ঞান কোয়ান্টাম। সঠিক জীবনদৃষ্টি প্রয়োগ করে মেধা ও প্রতিভার পরিপূর্ণ বিকাশের মাধ্যমে প্রতিটি মানুষকে অনন্য মানুষে রূপান্তরিত করাই এর লক্ষ্য। স্ব-উদ্যোগ, স্ব-পরিকল্পনা ও স্ব-অর্থায়নে সৃষ্টির সেবায় সঙ্গবদ্ধভাবে কাজ করে বাংলাদেশকে বিশ্বের নেতৃস্থানীয় জাতিতে রূপান্তরিত করাই এর মনছবি। কোয়ান্টাম মেথড অনুশীলন করে সমাজের সর্বস্তরের লাখো মানুষ অশান্তিকে প্রশান্তিতে, রোগকে সুস্থতায়, ব্যর্থতাকে সাফল্যে, অভাবকে প্রাচুর্যে রূপান্তরিত করেছেন। কোয়ান্টাম চর্চার মাধ্যমে আপনিও বদলে দিতে পারেন আপনার জীবন। কর্মব্যস্ত সুখী জীবন ভোগবাদী পণ্য-আগ্রাসন আর নিত্যনতুন প্রযুক্তির অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের ফলে আজ বিশ্বজুড়ে বাড়ছে লক্ষ্যহীন, নিষ্ক্রিয়, হতাশ, একাকী ও পরিবার-বিচ্ছিন্ন মানুষের সংখ্যা। সেইসাথে ফেসবুক-ইউটিউব-অনলাইন গেমের মতো ভার্চুয়াল ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তারা ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে আত্মধ্বংসী গোলকধাঁধায়। ডুবে যাচ্ছে বিভ্রান্তির চোরাবালিতে। বৈশ্বিক এ সমস্যার সমাধান খুঁজতে গিয়ে মূলধারার পত্রিকা ও খ্যাতনামা চিকিৎসা-সাময়িকীগুলো বলছে-লক্ষ্য-সচেতনতা, ইতিবাচক জীবনদৃষ্টি, পারিবারিক সম্প্রীতি ও সক্রিয় জীবনাচারই পারে দুর্দশার এই বৃত্ত থেকে একজন মানুষকে মুক্তি দিতে। সে বিবেচনায় আমরা বলতে পারি কোয়ান্টামের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রকাশিত কর্মব্যস্ত সুখী জীবন একটি সময়পযোগী সংকলন। যার ৩২টি নিবন্ধজুড়ে রয়েছে জীবনকে কর্মমগ্নতায় উদযাপন করার কল্যাণ-আহ্বান। বিষয়বৈচিত্র্যে তাই বইটি হয়ে উঠতে পারে আধুনিক মানুষের যুগ-যন্ত্রণার অন্যতম প্রতিষেধক।
মহাজাতক শহীদ আল বোখারী মহাজাতক বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক মেডিটেশন চর্চার পথিবৃৎ। জাগতিক ও মানসিক সমস্যা সমাধানের জন্য জীবনযাপনের বিজ্ঞান কোয়ান্টাম মেথডের উদ্ভাবক ও প্রশিক্ষক। পরম করুণাময়ের অনুগ্রহ ২৬ বছর ধরে তিনি একনাগাড়ে দেশের সর্বত্র কোয়ান্টাম মেথড কোর্সে প্রশিক্ষন প্রদান করছেন। মেডিটেশন চর্চার ইতিহাসে উদ্ভাবক কর্তিক এককভাবে ক্লাস নিয়ে ৪৪৮টি কোর্স সম্পন্ন করা বিশ্বে এই প্রথম। দুই যুগ ধরে বাংলা ভাষায় সর্বাধিক পঠিত গ্রন্থ কোয়ান্টাম মেথড ছাড়াও তার রচিত ‘আত্মনির্মাণ’, ‘চেনা অতিচেতনা নিরাময় ও প্রশান্তি’, জীবন বদলের চাবিকাঠি অটোসাজেশন” এ এর ইংরেজি সংস্করণ 1001 Autosuggestions to change your life, আলোকিত জীবনের হাজার সূত্র কোয়ান্টাম কণিকা’ এবং কোয়ান্টাম ॥ হাজারো প্রশ্নের জবাব পর্ব ১, পর্ব ২; পর্ব ৩ পাঠকের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। ২০১৪ সালে প্রকাশিত হওয়ার পর আল কোরআন বাংলা মর্মবাণী’র লক্ষাধিক কপি মুদ্রণ এই পাঠকপ্রিয়তারই প্রকাশ। কোয়ান্টাম কোয়ান্টাম আধুনিক মানুষের জীবনযাপনের বিজ্ঞান। সঠিক জীবনদৃষ্টি প্রয়োগ করে মেধা ও প্রতিভার পরিপূর্ণ বিকাশের মাধ্যমে প্রতিটি মানুষকে অনন্যা মানুষে রূপান্তরিত করাই এর লক্ষ্য। স্ব-উদ্যোগ স্ব-পরিকল্পনা ও সব-অর্থায়নে সুষ্টির সেবায় সঙ্গবদ্ধভাবে কাজ করে বাংলাদেশকে বিশ্বের নেতৃস্থানীয় জাতিতে রূপান্তরিত করাই এর মনছবি। কোয়ান্টাম মেথড অনুশীলন করে সমাজের স্ররবস্তরের লাখো মানুষ অশান্তিকে প্রশান্তিতে, রোগকে – সুস্থতায়, ব্যার্থতাকে সাফল্যে, অভাবকে প্রাচুর্যে রূপান্তরিত করেছেন। কোয়ান্টাম চর্চার মাধ্যমে আপনিও বদলে দিতে পারেন আপনার জীবন।
আধুনিক মানুষের জীবনযাপনের বিজ্ঞান কোয়ান্টাম। সঠিক জীবনদৃষ্টি প্রয়োগ করে মেধা ও প্রতিভার পরিপূর্ণ বিকাশের মাধ্যমে প্রতিটি মানুষকে অনন্য মানুষে রূপান্তরিত করাই এর লক্ষ্য। স্ব-উদ্যোগ, স্ব-পরিকল্পনা ও স্ব-অর্থায়নে সৃষ্টির সেবায় সঙগবদ্ধভাবে কাজ করে বাংলাদেশকে বিশ্বের নেতৃস্থানীয় জাতিতে রূপান্তরিত করাই এর মনছবি। কোয়ান্টাম মেথড অনুশীলন করে সমাজের সর্বস্তরের লাখো মানুষ অশান্তিকে প্রশান্তিতে, রোগকে সুস্থতায়, ব্যর্থতাকে সাফল্যে, অভাবকে প্রাচুর্যে রূপান্তরিত করেছেন। কোয়ান্টাম চর্চার মাধ্যমে আপনিও বদলে দিতে পারেন আপনার জীবন।
বাংলা উপন্যাসের জগতে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের আগমন সম্পর্কে বলতে গিয়ে ড. অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বাংলা সাহিত্যের সম্পূর্ণ ইতিবৃত্ত গ্রন্থে বলেছেন, শরৎচন্দ্রের আকস্মিক আবির্ভাবের কথা সেকালের পাঠকসমাজের মনে পড়বে। যখন একদিকে রবীন্দ্রনাথের গল্প-উপন্যাসের বিচিত্র ঐশ্বর্য ও সূক্ষ্ম তাৎপর্য এবং প্রভাতকুমারের রচনার প্রসন্ন মাধুর্য নিয়ে পাঠক সমাজ নিজ নিজ প্রকৃতি ও প্রবণতা অনুসারে খুশি হয়েছিলেন, তখন তারা বুঝতে পারেননি কোন গগনে, কোন বনান্তরালে ঔষধিনাথ চন্দ্রের উদয় হয়েছে। বাংলা কথাসাহিত্যে অপরাজেয় কথা-সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৭৬-১৯৩৮)। তাঁর সরব পদচারণায় বাংলা উপন্যাস জনপ্রিয়তার শিখরে পৌছে। বাংলা উপন্যাসের ধারায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর চোখের বালি উপন্যাস ও নষ্টনীড় গল্প প্রভৃতিতে যে সমাজ সচেতনতার পরিচয় দিয়েছিলেন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সেই রীতির বিকাশ ঘটালেন। বাংলা সাহিত্যে তার আবির্ভাব আকস্মিকতায় এবং অতুলনীয় লেখনী নির্মাণের দ্বারা স্বল্প সময়ে বাংলা সাহিত্য জগতে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌছালেন তিনি। নিষিদ্ধ সমাজ বহির্ভূত প্রেমানুভূতির বিশ্লেষণে তিনি যে অপরিসীম সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন তাতে তিনি বাঙালি সুলভ সঙ্কীর্ণ মনোবৃত্তি অতিক্রম করে আধুনিক পাশ্চাত্য সাহিত্যের সঙ্গে নিবিড় সংযোগ সাধন করলেন। শরৎচন্দ্রের উপন্যাস যখন প্রথম দিকে প্রকাশিত হলো তখন তার প্রভাবে তথাকথিত ভদ্র সমাজ যেন শিউরে উঠেছিল। অনেকে তাদের বাড়ির মেয়েদের তার বই পড়া বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু শরৎচন্দ্রের মত বাংলার জন-জীবনকে বিক্ষুব্ধ করে তুলতে আর কোনও সাহিত্যিক পারেননি তা বোধহয় নিঃসঙ্কোচে বলা যায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিকে জাগ্রত করে আমাদের মুক্তিচেতনাকে আলোকিত করে তুললেন বটে, কিন্তু রবীন্দ্রনাথের মননশীলতা, রূপক ও অলঙ্করণ প্রবণতা এবং সূক্ষ্ম ভাবপরিক্রমতার ফলে তার সাহিত্য প্রত্যক্ষ ও প্রবলভাবে সমাজসত্তাকে আঘাত করতে পারেনি। কিন্তু শরৎচন্দ্র সোজাভাবে, স্পষ্ট ভাষায় ও দুঃখ-বেদনার কারুণ্যে সিক্ত করে সমাজের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরলেন এবং আমাদের প্রচলিত সংস্কার, নীতিবোধ ও ধর্মবোধের অন্যায় ও জবরদস্তি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন। এর ফলে আমাদের বদ্ধ অচলায়তনের দ্বার যেন হঠাৎ খুলে গেল এবং সেই মুক্ত দ্বার দিয়ে আলো-বাতাস এসে মুক্তির আনন্দে চঞ্চল করে তুলল আমাদের। নারীর সতীত্বের যে ধারণা এতদিন আমাদের মনে বদ্ধমূল ছিল তা বিচলিত করে তুলল । উপেক্ষিত ও অবজ্ঞাত মানুষ সম্বন্ধে এক নতুন মূল্য ও মর্যাদাবোধ আমাদের মনে জাগ্রত হলো। দরিদ্র ও দুর্গত কৃষক ও শ্রমিক সমাজের মধ্যে তিনি বিদ্রোহের আগুন জ্বেলে দিলেন। শরৎচন্দ্রের পরবর্তীকালে যে সমাজ-প্রগতি এবং রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক আন্দোলন দেখা দিয়েছিল তার মূলে যে শরতসাহিত্যের প্রেরণা অনেকখানি ছিল তাতে কোনও সন্দেহ নেই।