তানহার কিউট বিড়ালছানার গল্প কি তোমরা জানো? এক বৃষ্টির দিনে বিড়ালছানা ক্যাকটাসকে রাস্তা থেকে কুড়িয়ে আনে তানহা। তার আগে অবশ্য কোনো নামই ছিল না, তানহার মা নাম দিলেন ক্যাকটাস। পরিবারের একজন সদস্যই যেন হয়ে গেল সে। দিনে দিনে বড়ো হতে থাকে সে। লাল ফিতায় বাঁধা ঘণ্টি নিয়ে ক্যাকটাস টুংটাং করে ঘোরে এদিক-ওদিক। তারপর একদিন... কী হলো? সে কথাই জানতে পারবে এই গল্পটি পড়লে। রূপকথার লেখক সোফিয়ার কুকুর ক্যাপির গল্প জানলে তোমরা সত্যিই অবাক হবে। একইভাবে খুশি হবে রবিনের মিষ্টি টিয়াপাখির কাণ্ডকারখানা জেনে! তোমরা বিজ্ঞানের খুঁটিনাটি বিষয়ে আগ্রহী হবে জিনিয়াসের আবিষ্কার সম্পর্কে জানলে কিংবা রাতুলের মজার আইডিয়াটির খোঁজ পেলে। রকমারি বিষয়ে ভরা এই বইতে আছে ষোলটি মজার ও শিক্ষামূলক গল্প। গল্পগুলো তোমাদের প্রিয় লেখক আসিফ মেহ্দী লিখেছেন শুধু তোমাদের জন্য। দেশসেরা দুই ফান ম্যাগাজিন ‘উন্মাদ’ ও ‘রস+আলো’তে লেখার সুবাদে আসিফ মেহ্দী লাভ করেন তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয়তা। তারপর একে একে প্রকাশিত তাঁর প্রতিটি বইয়ে ব্যঙ্গ আর হাসির সঙ্গে গভীর জীবনবোধের প্রতিফলন ঘটিয়ে তিনি শুধু পাঠকপ্রিয়তাই লাভ করেননি, তাঁর বইগুলো উঠে এসেছে বেস্ট সেলার বইয়ের তালিকায়। সেগুলোর মধ্যে মায়া, বধির নিরবধি, অপ্সরা, তরু-নৃ, আড়াল অন্যতম। তাঁর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা পঁয়ত্রিশ। এসএসসি ও এইচএসসি দুই পরীক্ষাতেই ঢাকা বোর্ডে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্ট্যান্ড করেছেন আসিফ মেহ্দী। বুয়েট-এ ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করেছেন। ভালো ফলাফলের স্বীকৃতিস্বরূপ ছাত্রজীবনে পেয়েছেন নানাবিধ পদক ও সম্মাননা। সম্প্রতি তিনি সরকারি স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাজ্যের সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘স্ট্র্যাটেজিক ইনোভেশন ম্যানেজমেন্ট’-এর ওপর এমএসসি সম্পন্ন করেছেন; অর্জন করেছেন ডিস্টিংশনসহ ফার্স্ট ক্লাস। ৩৩তম বিসিএস পরীক্ষায় নিজ ক্যাডারে ১ম স্থান অধিকার করে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন আসিফ মেহ্দী। অতঃপর জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট আয়োজিত তিন মাসব্যাপী কঠোর পেশাগত বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ শেষে লাভ করেছেন ডিজি অ্যাওয়ার্ড (মেধা তালিকায় ১ম)। তাঁর সহধর্মিনী ডা. মৌবীণা জ্যাকলিন বারি পেশায় ডাক্তার।
"অপরাজিতা ফুলের মত ঝকঝকে নীল আকাশে সাঁই সাঁই ডানা মেলে দিয়ে অবিরাম উড়তে থাকে কত ধরনের পাখি। তাদের পাখসাটে পরিবেশ মুখরিত হয়। সোনালি রোদের আলোতে তাদের পালকগুলো ঝিকিয়ে ওঠে। গাছের শাখায় বসে কিচির মিচির করে তারা বুঝি ঝণ্ডার তোলে। উড়াল দিয়ে কত দূরে চলে যায় পাখিরা। বাতাসে যখন শীতের ছোঁয়া লাগে তখন বহু দূরের পথ পেরিয়ে এদেশে বিল-হাওরে চলে আসে পরিযায়ী পাখিরা । হিমশীতল দেশ থেকে তারা আসে। জলজ উদ্ভিদের মাঝে তাদের অবাধ ওড়াওড়ি। এমনিভাবে এক নিবিড় রহস্যের ভূবন গড়ে তোলে পাখিরা। আমাদেরকে চারপাশে সে রহস্যের কাঁপন যায় ছড়িয়ে। ভিজে মেঘের দুপুরে সোনালি ডানার চিলের করুণ ডাক শুনে অনেকেই উদাসী হয়। লোক কবি আকুল হয়ে লেখেন- ’উইড়া যায়বে হংস পঙ্খি পইরা রয়বে ছায়, দেশের বন্ধু দেশে যাইব কে করিবে মায়া।’ দোয়েলের জীবন জানতে আগ্রহী হয় কেউ। জলপায়রাদের ঝাঁক গাঙ পেরিয়ে ধূধূ চরে যায়। এইতো পাখিদের নিবিড় আশ্চর্য, সুন্দর জগত। আর এভাবেই বুঝি পাখিরা আমাদের আয়েসে জানিয়ে দেয় ‘কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা...’ পাখিদের বিচিত্র ভুবনকে আবিষ্কার করতে চেয়েছেন লেখক। পাখিরা যেন তার কাছে তাদের জীবনের রহস্য প্রকাশ করেছে। লেখক সর্বদা কান পেতে থাকেন পাখিদের ডাক শোনার জন্য । পাখিরা তাকে বেঁচে থাকার আনন্দের আস্বাদ দিয়েছে। ‘পাখিদের নিয়ে’ সেই কথকতায় পূর্ণ।"
গভীর সমুদ্রের নিচে নিকম কালো অন্ধকার। সূর্যের আলো সেখানে পৌছায় না। সেই ঘন অন্ধকারে দেখা যায় আলােজুল মাছদের। এদের বলে দীপক মাছ। সমুদ্রের ২০০ থেকে ৭০০ মিটার গভীরতায় এই ধরনের মাছ দেখতে পাওয়া যায়। সমুদ্রের নিচের নিকক্ষ অন্ধকারের মাঝে বিচিত্র আকৃতির প্রাণীরা ঘুরে বেড়ায়। তাদের একটি। হলাে আলােড়লা মাছ। এদের দেখলে মনে হয় আলাের বাতি জ্বালিয়ে ঘুরছে মাছগুলাে। আলাের মালা যেন ভাসছে। এসব মাছদের চোখের নিচে, পেটের নিচে এবং লেজের কাছে আলাে জ্বলতে দেখা যায়। ঘন অন্ধকারে খাদ্য শিকারের জৈবিক প্রয়ােজনেই তাদের দেহে এমন করে আলাে জ্বলে।