স্বর্গে বিপদ সাগরে ছোট্ট এক বাচ্চা সিলমাছ পেয়ে, ওটাকে চিড়িয়াখানায় দিতে গিয়ে ভয়ঙ্কর এক লোকের ষড়যন্ত্রের জটিল জালে জড়িয়ে গেল কিশোর, মুসা ও রবিন। ঠিক করল, ওই খুনে লোককেই তুলে আনবে ওদের শক্ত জালে। পারল কি শেষে? অপারেশন ডেমন ধনকুবের মি. রচেস্টারের মেয়ে টিনা কিশোরের বান্ধবী। ওকে কিডন্যাপ করল একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ। তাদের দাবি মি. রচেস্টারকে তাঁর হেভি-ওয়াটার প্ল্যাণ্টের উদ্বোধন বন্ধ করতে হবে। রাজি হলেন না তিনি। টিনা-উদ্ধারে তদন্তে নামল পুলিস। হাত গুটিয়ে বসে থাকল না কিশোরও। ফলে, জড়িয়ে পড়ল ভয়ঙ্কর বিপদে। রহস্য যখন জটিল দারুণ ফুর্তির পার্ক মুভি কিংডমে একের পর এক অন্তর্ঘাত হতেই তিন গোয়েন্দার সাহায্য চাইল বন্ধু রন। কিন্তু শুরুতেই ওদের পিছু নিল কারা? শোধ নেবে দুর্ধর্ষ দস্যু গ্যাব্বার কাম্বারসন? পার্কের গহীন জঙ্গলে ওটা কি সত্যিই পৌরাণিক দানব ম্যানটিকর, না আর কিছু? কীভাবে ঠেকাবে ওরা ভয়ঙ্কর নিষ্ঠুর স্যাবোটারকে? ক্রমেই জটিল হলো রহস্য! …তারপর?
ডাইনোসরের হাড় জাদুঘরে গেছে তিন গোয়েন্দা। কিশোর আবিষ্কার করল প্রাগৈতিহাসিক ডাইনোসর সিলোফিসিসের তিনটে হাড় খোয়া গেছে। কর্তৃপক্ষকে জানাল ওরা। তারা বিশ্বাস করল না। অগত্যা তদন্তে নামতে বাধ্য হলো তিন গোয়েন্দা। কার্নিভাল মার্লিনের নির্দেশে জাদুর ট্রী-হাউসে চেপে প্রাচীন ভেনিসে গেল কিশোর আর জিনা। এবারের মিশন; লেগুনের গ্র্যান্ড লেডিকে রক্ষা করা। কিন্তু এজন্য দরকার সাগরের শাসকের সাহায্য। ঘটনাচক্রে, কারাগারে বন্দি হলো কিশোর আর জিনা। অন্যকে উদ্ধার করবে কি, আগে নিজেরা বাঁচুক তো! জলদানব রাশেদ পাশার সঙ্গে পাহাড়ী এলাকায় বেড়াতে গেছে তিন গোয়েন্দা। জানতে পারল ওখানকার হ্দে জলদানবী বাস করে। সন্দেহ হলো ওদের। কেউ কি লুসিল লজ-এর অতিথিদের তাড়াতে চাইছে? ভয় দেখিয়ে বন্ধ করে দিতে চাইছে শ্যারনের ব্যবসা? এক পর্যায়ে বেলাভূমিতে ওরা আবিষ্কার করল বিশাল এক সারি পদচিহ্ন। ওগুলো কি জলদানবীর পায়ের ছাপ? নতুন রহস্যে জড়িয়ে গেল তিন গোয়েন্দা।
ক্যামেলটের জাদুকর নতুন লাইব্রেরি সহকারী মিস্টার মার্লি আসলে কে? রাজা আর্থারের সেই বিখ্যাত জাদুকর মার্লিনের সঙ্গে তাঁর চেহারার এত মিল কেন? বিশাল মাছের ট্যাঙ্কের ওটা কি সত্যিই গোল্ডফিশ, নাকি…? এসব প্রশ্নের জবাব পেতে চাইল তিন গোয়েন্দা। কয়েন-রহস্য শেলী আন্টির সঙ্গে টিম্বারউলফ লেকে ক্যানু ট্রিপে বেরিয়েছে তিন গোয়েন্দা। জঙ্গলে প্রকাণ্ড এক পাথরের গায়ে লেখা রহস্যময় এক ধাঁধা আবিষ্কার করল ওরা। ধাঁধাটার সঙ্গে কি বছর খানেক আগে চুরি যাওয়া দুষ্প্রাপ্য কয়েনগুলোর কোন যোগসূত্র আছে? সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে তদন্ত শুরু করল তিন গোয়েন্দা। মৃত্যুকূপ গণ্ডগোল বেধেছে হিরু চাচার সোনার খনিতে। সরেজমিনে তদন্ত করতে কিশোরকে নিয়ে প্লেনে করে রওনা দিল সে। শুরু হলো পদে-পদে বিপদ। স্বর্ণখনির ভিতরে দস্যুদলের মুখোমুখি হলো চাচা-ভাতিজা। ডাকাতদের টেক্কা দিয়ে, রুদ্ধশ্বাস অভিযান শেষে, জলদস্যুর বহুমূল্য মুকুটটা কি উদ্ধার করতে পারল ওরা?