দেবতা মারা গেছেন...তাই আসুন, তার ছেলেদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া যাক! মোটকু চার্লির ছাপোষা জীবনে তখনই যতি পড়ে গেছে, যখন ওর বাবা মারা গেছে ফ্লোরিডার একটা ক্যারিয়োকি স্টেজে! চার্লি জানতই না যে ওর একটা ভাই আছে...ওদের বাপ যে দেবতা—সেটা জানার তো প্রশ্নই ওঠে না। ওর সেই ভাই, স্পাইডার, দেখা দিল সদর দরজায়। বদলে যেতে লাগল মোটকু চার্লির জীবন। হয়ে উঠল মজার... ...সেই সঙ্গে বিপজ্জনকও। উত্তেজনায় ভরা, কখনও একটু ভয়ের, আর অবশ্যই মজার গল্প ‘আনানসি বয়েজ’, মূলত যৌবন, বুনো অভিযান আর অটল বিপদের মুখোমুখি হবার রঙিন এক গল্প।
কাযানের দেহে বইছে কুকুর ও নেকড়ের রক্ত। চারটা বসন্ত দেখেছে ও। এই চার বছরে অভিজ্ঞতার ঝুলি ভারি হয়েছে অনেক। ক্ষুধার যাতনা কী, ভাল করেই জানে কাযান। আর্কটিক থেকে ভেসে আসা শীতল হাওয়ার হুঙ্কার বড় পরিচিত প্রাণীটার। দেহের একপাশ আর গলায় বহন করে চলেছে লড়াইয়ের ক্ষতচিহ্ন। মানব প্রভুদের স্লেজ নিয়ে ছুটে চলে জমাট বাঁধা পৃথিবীর বুকে। প্রভুপত্নীকে রক্ষা করতে গিয়ে খুন করে বসল একজনকে। পলাতক জীবনে দেখা হলো একদল নেকড়ের সঙ্গে। ওদের নেতা বনে গেল কাযান। জীবনে এল প্রেম। কিন্তু অরণ্যের টান…নাকি মানুষের ভালোবাসা-কোনটাকে বেছে নেবে ও?