গ্যালাক্সির এক বর্বর সভ্যতা আউরেউরগথদের মহাকাশযান অনুসরণ করছে আন্তারেস জাহাজকে। আউরেউরগথ আক্রমণ থেকে বাঁচতে পারবে কি আন্তারেসের মহাকাশ-নাবিকেরা, যাদের মধ্যে রয়েছে বহু কিশোরী ও কিশোর? এই অল্পবয়স্ক অভিযাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করছে অপ্রত্যাশিত সব আবিষ্কার যা আন্তারেসকে নিয়ে যাবে এক নতুন পথে। রোমাঞ্চকর এই আন্তঃনাক্ষত্রিক অভিযানে পাঠককে আমন্ত্রণ।
কোনো এক অজানা সময়ে চিতা সামরিক বাহিনী দখল করে রেখেছিলো সমতল ভূমি। তাদের নির্মমতায় ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিলো বিজ্ঞানী, মনিষীদের তিলে তিলে গড়ে তোলা সভ্য এক লোকালয়। চিতা সামরিক বাহিনীর হাত থেকে সমতলকে রক্ষা করতে তরুন প্রটাগনিস্ট ত.যে পথে এগোয় তাতে এক মহাবিশ্ব ভাগ হতে পারে কয়েকটি মহাবিশ্বে। এ রহস্যের মধ্যে দিতা ও তার ঘড়ি। ভিন্ন স্বাদের এই বিজ্ঞান-কল্পকাহিনির রহস্যের বিভিন্ন স্তর উন্মোচন করে পাঠক আনন্দ পাবেন।
আমরা পৃথিবীর যেখানেই থাকি না কেন, আকাশের দিকে তাকালেই সবাই জ্যোতির্বিদ হয়ে যাই। এর জন্য দুরবিন লাগবে না, টাকা খরচ করতে হবে না। লাগবে না বড় ডিগ্রি, যেতে হবে না বিদেশে। শুধু থাকতে হবে ভালো চোখ। জানতে হবে আকাশের উজ্জ্বল তারার নাম। তাদের হাত তুলে চিহ্নিত করতে হবে। এর মধ্যে যে আনন্দ, তা নির্দোষ ও ঈর্ষাবিহীন। সেই আনন্দের মাঝে আমরা সবাই পাব পর্যবেক্ষকের তকমা। আর এই তকমা মহাবিশ্বের মাঝে আমাদের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অবস্থানকে বুঝতে সাহাঘ্য করবে। এখানে পেশাদারি ও অপেশাদারির মধ্যে কোনো তফাত নেই। বইটি জ্যোতির্বিদ্যা, জ্যোতিঃপদার্থবিদ্যার নয়। এখানে আকাশের তারা, নীহারিকা, গ্যালাক্সি ও গ্রহদের চিহ্নিত করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে, তাদের পদার্থবিদ্যার ওপর নয়। আকাশ চেনানো, আর সেই চেনা থেকে আনন্দ পাওয়াই বইটির উদ্দেশ্য। সেই আনন্দের জগতে পাঠককে আমন্ত্রণ।