নিতান্ত গ্রাম্য কিশোর থেকে বেড়ে ওঠা তরুণ নিতাই চান। সরল, প্রাকৃত-অতিপ্রাকৃত ঘটনাবহুল সময়ের সাক্ষী সে। নানান সংস্কার, গ্রামীণ ও ধর্মীয় মিথ, স্বদেশ ও বৈশ্বিক রাজনীতি, যুদ্ধ-বিগ্রহের অভিজ্ঞতা গ্রামের সহজসরল কৈশোরোত্তীর্ণ তরুণকে ঠেলে দেয়। অতল খাদে। মঙ্গল রাষ্ট্রের খোঁজ করতে গিয়ে নিতাই আবিষ্কার করে আরো জটিল এবং বুর্জোয়া এক বিশ্ব। গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, পুঁজিবাদ, রাজতন্ত্র এসব কোনো তন্ত্রই নিজস্ব অবস্থানে নেই। সোভিয়েত ভেঙে পনেরো টুকরো হওয়ার ঘটনা থেকে জেনে যায় সমাজতন্ত্র বা কমিউনিজম নিজস্ব অবস্থান থেকে যোজন দূরে। গণতন্ত্রের নিজস্ব কোনো শক্তি নেই, সে পুঁজিবাদ চালিত! কৈশোরে যে রাজনৈতিক ভাবনার উচ্ছলতা নিয়ে নিতাই বেড়ে উঠেছিল, তারুণ্যে এসে সে জেনে যায়। বাস্তবতার সাথে তাত্ত্বিক ভাবনার মাঝে যোজন দূরত্ব। উপন্যাসের কাহিনি এগিয়েছে নতুন রাজনীতির সন্ধানে। এক গ্রাম্য কিশোর কীভাবে এই বৈশ্বিক রাজনীতির অংশ হয়ে যায় এবং শেষ পরিণতিতে সিআইএ-এর লক্ষ্যে পরিণত হয় তাই বিধৃত হয়েছে এ উপন্যাসে। জাদুবাস্তবতা, রূপক এবং জটিল দর্শন চিন্তার অশ্ববেগি এক উপন্যাস অগ্নি সারসেরা।
শুধুমাত্র বাংলা নয়, বিভিন্ন ভাষাভাষী জ্যোতির্ময় সাহিত্যিকদের বিষয়ে রচিত এই গ্রন্থের সব ক'টি প্রবন্ধ। প্রতিটি রচনায় রয়েছে সম-সাময়িকতার দীর্ঘ ছাপ। বাংলাসাহিত্যের তান্ত্রিকগণের সাথে বিশ্বসাহিত্যের আলোবিস্তারি তান্ত্রিকগণও এই গ্রন্থভূক্ত। প্রবন্ধগুলোর মধ্যভাগ দখল করেছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, হুমায়ুন আজাদ- এর সাথে স্থান পেয়েছে গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ, টেড হিউজ, সিলভিয়া গ্লথ-এর মতো বিশ্বসাহিত্যের শাসকগণ।