হেমা এক পা এগিয়ে নয়নের গা ঘেঁষে দাঁড়াল । তারপর প্রায় ফিসফিস করে বলল, “জগতের প্রতিটি মানুষই তার বুকের ভেতর একান্ত নিজস্ব কিছু কষ্ট বয়ে বেড়ায়। সেই কষ্ট সে আর কারও কাছেই বলতে চায় না। কিংবা পারে না। কারণ সে জানে, তার এই কষ্ট বুঝবার ক্ষমতা সে ছাড়া আর কারও নেই । আর কেউ তার ওই অনুভূতি ছুঁতেও পারবে না । হয়তো এ কারণেই হাজার হাজার মানুষের ভিড়েও মানুষ আসলে দিনশেষে একাই । তাই না ?' নয়নের হঠাৎ কী হলো কে জানে! সে আচমকা হেমাকে জড়িয়ে ধরল। তারপর কাঁদতে লাগল শিশুর মতো । হেমা মুহূর্তকাল স্থবির দাঁড়িয়ে রইল । তাকে জড়িয়ে ধরে শিশুর মতন কাঁদতে থাকা এই মানুষটাকে সে এর আগে কখনো দেখে নি । তার সঙ্গে পরিচয়ের এই দীর্ঘ ছয় বছরেও না । কী এমন গোপন দুঃখ এই মানুষটার ? কী হয়েছে তার ? হেমা জানে না । তবে সে শক্ত করে নয়নকে বুকের সঙ্গে জড়িয়ে রাখল । আচ্ছা, ক্রন্দনরত ওই মানুষটাকে জড়িয়ে ধরে সে নিজেও কি কাঁদছে ?