The Siliguri Conference held on 5 and 6 July 1971, is an entirely undiscussed chapter of the Liberation War of Bangladesh. This conference eliminated much of the confusion and aided in the formulation of the policies used during the war. This, in turn, generated cohesion, expedited the war, and led to a swifter victory. Detailed descriptions and official proceedings of the conference have not been conserved anywhere. This book, for the first time, contains along with a detailed introduction a crucial part of the formal meetings proceedings and informal discussions which took place during the conference.
ঈদ নিয়ে আসুক মিলনের আনন্দ দরজায় ঈদের কড়া নাড়ার শব্দ শোনা যাচ্ছে। ঈদ মানে মিলন, ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে উৎসব। ঈদ মানে ভেদ ভুলে, মানুষের বিভিন্নতা মেনে সবাইকে নিজেদের করে নেওয়ার তৃপ্তি। বিশ্বজুড়েই সময়টা ভালো নেই। মাত্র কয়েক বছর আগেই প্রবল নাড়া দিয়ে সারা পৃথিবীকে এলোমেলো করে গিয়েছিল কোভিডের অতিমারি। তার ইতি ঘটলে আমরা ভেবেছিলাম, এবার হাঁপ ছেড়ে বাঁচলাম। কিন্তু ইউক্রেনে হামলা করল রাশিয়া। বিপুল উত্তেজনায় শক্তিধর দেশগুলো তৎপর হয়ে উঠল। সংকুচিত হয়ে পড়ল জ্বালানি আর পণ্য চলাচলের বিশ্বব্যাপী ছড়ানো পথগুলো। ডলারের দাম আকাশ ছুঁল। বিশ্বমন্দা হানা দিল মানুষের ঘরে ঘরে। এই আবহে দেশে দেশে ঘটছে মানুষের সামাজিক গ্রন্থির ক্ষয়। উগ্রতা আর প্রতিক্রিয়াশীলতা অতি দ্রুত গ্রাস করে নিচ্ছে সত্য, সুন্দর ও শুভকে। দু-একটি ব্যতিক্রম বাদে বিভিন্ন দেশে গত কয়েক বছরে নির্বাচিত সরকারপ্রধানদের আদর্শ আর ভাবনাই বলে দিচ্ছে, পৃথিবীর এখন গভীর গভীরতর অসুখ। তবু এরই মধ্যে ঈদ আসছে। এ যেন দীর্ঘ মরুপথ পার হয়ে মরূদ্যানে পৌঁছানো। ঈদ সেই বিরল মুহূর্তগুলোর একটি, যা আমাদের বলে, মানুষের নিয়তি অশুভে আবদ্ধ থাকার মধ্যে নয়। সুন্দরের দিকে এগিয়ে যাওয়াই তার চিরন্তন দায়। কানা ছেলের নাম সে পদ্মলোচন রাখে, কারণ সন্তানের অন্ধত্ব নয়, সেটিকে পেরিয়ে এগিয়ে যাওয়াকেই সে পবিত্রতম কর্তব্য বলে মনে করে। তাই আমাদেরও প্রচেষ্টা এই ঈদকে পাঠকদের কাছে আরও আনন্দময় ও অর্থবহ করে তোলা। দেশের সেরা লেখকদের লেখা দিয়ে ঈদসংখ্যার এই প্রকাশনা আমাদের সেই দায়মোচনের বিনীত প্রচেষ্টা। সবাইকে ঈদ মোবারক। - সাজ্জাদ শরিফ
১৯৭৫ সাল বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে এক অস্থির সময়। বাকশাল গঠন, সেনা অভ্যুত্থানে বঙ্গবন্ধুর সপরিবার নির্মমভাবে নিহত হওয়া, নভেম্বরে আবার সামরিক অভ্যুত্থান, জাতীয় চার নেতার হত্যা, পাল্টা সামরিক অভ্যুত্থান—সব মিলিয়ে বছরটি ছিল বাংলাদেশের একটি গভীর সংকটের কাল। এত অল্প সময়ে এত সব তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসে আর ঘটেনি। ঘটনাগুলো নিয়ে লেখা হয়েছে অনেক। কিন্তু কোথাও এই সময়ের একটি পুরো চিত্র পাওয়া যায় না। এ বইয়ে ১৯৭৫ সালের নভেম্বর মাসের ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ ও মতামত তুলে ধরা হয়েছে। সঙ্গে আছে দেশি ও বিদেশি নানা দলিল। সংশ্লিষ্টদের জবানবন্দি, সাক্ষাৎকার ও কাছ থেকে দেখা ব্যক্তিদের স্মৃতিকথা হিসেবে লেখাগুলো বহু সময় ধরে বহু চেষ্টায় সংগ্রহ করা হয়েছে। পঁচাত্তরের অস্থির সময়ের পুরো চিত্র তুলে ধরেছে এ বই।
খ্যাতিমান সাহিত্য সম্পাদক আবুল হাসনাত যে ‘মাহমুদ আল জামান’ নামে কবিতা লিখতেন, এ তথ্য যেমন অনেকের অজানা, তেমনি বহু অজানা তথ্যের সমাবেশ ঘটেছে তাঁকে নিয়ে লেখা কিছু আন্তরিক রচনার এ সংকলনে। ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী থেকে আবুল হাসনাতের কন্যা দিঠি হাসনাত পর্যন্ত ১৯ জন কবি ও গদ্যকারের লেখায় ফুটে উঠেছে সদ্য প্রয়াত কবি-শিশুসাহিত্যিক, চিত্রসমালোচক, সম্পাদক ও সংস্কৃতিকর্মী আবুল হাসনাতের ব্যক্তিস্বরূপ ও শিল্পসাধনা। নানা ভূষণের অন্তরালে যে সহজ-প্রাণোচ্ছল-অসাধারণ মানুষ ছিলেন আবুল হাসনাত, তার পরিচয় পাওয়া যাবে নিবেদিত এই কটি লেখায়। বিরূপ বিশ্বে নিয়ত একাকী মানুষের সংকট-সংগ্রাম আর স্বপ্ন ফুটে উঠেছে সবার স্মৃতিতে, অনুভবে। সেই সঙ্গে আবুল হাসনাতের নিজের কবিতা ও গদ্যের সংযোজন পাঠকের সঙ্গে তাঁর লেখনশৈলী ও সাহিত্যভুবনের পরিচয় ঘটাবে। আপনজনদের একান্ত আবুল হাসনাতের প্রতিকৃতি এ বইয়ের সূত্রে সবার কাছে বিশ্বস্তভাবে ফুটে উঠবে নিঃসন্দেহে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতীয় ইতিহাসের শোকাবহ রক্তরঞ্জিত দিন। দেশের পরবর্তী ইতিহাসের ওপর এর প্রভাব গভীর ও সুদূরপ্রসারী। সে সম্পর্কে বিশদ তথ্যাদি আজও পুরোপুরি উদ্ঘাটিত হয়নি। ১৫ আগস্টের ঘটনার পূর্বাভাস দেশি-বিদেশি কোনো সূত্রে পাওয়া গিয়েছিল কি না, বঙ্গবন্ধু নিজে সে সম্পর্কে কতটা অবহিত ছিলেন কিংবা তিনি বিষয়টিকে কীভাবে নিয়েছিলেন—সাংবাদিক, কূটনীতিক ও প্রত্যক্ষদর্শীদের রচনা ও সাক্ষাৎকার থেকে তা আজ ক্রমপ্রকাশমান। বইটিতে সংকলিত স্মৃতিকথা, দলিল ও গবেষণাধর্মী রচনার মাধ্যমে ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ও পূর্বাপর ঘটনাসম্পর্কিত তথ্য এবং সত্যের সঙ্গে পাঠকের পরিচয় ঘটবে। আগস্ট ট্র্যাজেডি সম্পর্কে মতামত ও বিশ্লেষণধর্মী রচনা এ বইকে অমূল্য করেছে।
১৯৫১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের কাছে লেখা চিঠিপত্রের সংকলন এ বই। স্বজন-বন্ধু থেকে শুরু করে বিখ্যাত সব ব্যক্তিদের এই পত্রাবলির মধ্য দিয়ে উঠে এসেছে একটি জাতির জাগরণ, নিজস্ব রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম, সংগ্রামে বিজয় এবং সেই বিজয়কে ধরে রাখার প্রয়াসের ইতিহাস।