ফ্ল্যাপে লিখা কথা পাকিস্তান মিলিটারি রাত একটায় যে অপারেশন শুরু করে তার নাম 'অপারেশন সার্চলাইট'। ব্রিগেডিয়ার আরবাবের ৫৭ ব্রিগেড ছিল ঢাকা অপারেশনের দায়িত্বে। অধিনায়ক মেজর জেনারেল ফরমান আলি। তিনি শায়েস্তা করবেন ঢাকা নগরী। মেজর জেনারেল খাদেমের উপর দায়িত্ব পড়ল ঢাকা ছাড়া বাকি দেশ শায়েস্তা করার। জোছনা ও জননীর গল্প যাত্রীদের প্রায় সবার হাতেই কিছু-না-কিছু বই। বেশ কয়েকজনের হাতে কোরান শরীফ। অনেকের হাতে প্রচ্ছদে কায়দে আযমের ছবিওয়ালা বই। এইসব বই এখন খুব বিক্রি হচ্ছে। এইসব বই হাতে থাকলে একধরনের ভরসা পাওয়া যায়। মনে হয়, বিপদ হয়তোবা কাটবে। অনিল বাগচীর একদিন একমাত্র মহাপুরুষদের কাছেই ব্যক্তিগত দুঃখের চেয়েও দেশের দুঃখ বড় হয়ে ওঠে। আমরা মহাপুরুষ না- আমাদের কাছে আমাদের কষ্টটাই বড় কষ্ট। সূর্যের দিন
হ্যামলেট বা দ্য ট্র্যাজেডি অফ হ্যামলেট, প্রিন্স অব ডেনমার্ক সংক্ষেপে হ্যামলেট নামে বহুল পরিচিত একটি শেক্সপিয়রীয় ট্র্যাজেডি যা ১৫৯৯ এবং ১৬০১ সালের মাঝে কোন একসময় রচিত হয়েছিল। এটি ২৯,৫৫১ টি শব্দ নিয়ে শেক্সপিয়র রচিত সবচেয়ে দীর্ঘতম নাটক। ডেনমার্ক সাম্রাজ্যের পটভূমিতে রচিত নাটকটি যুবরাজ হ্যামলেট ও তার চাচা ক্লদিয়াসের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ স্পৃহাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে যিনি সিংহাসন দখলের জন্য হ্যামলেটের পিতাকে হত্যা করেছিলেন এবং হ্যামলেটের জন্মদাত্রী মাকে বিয়ে করেছিলেন। হ্যামলেট কে বিশ্ব সাহিত্যের একটি অন্যতম শক্তিশালী এবং প্রভাব বিস্তারকারী সৃষ্টিকর্ম হিসেবে বিবেচনা করা হয় যার গল্পটি অসংখ্যবার বলবার পরও এর মাধুর্য অনিঃশেষ। অনেকেই তাদের লেখনীতে এর গল্পকে নানাভাবে ধারণ বা আত্মীকরণ বা এডাপ্ট করেছেন।
ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা এই কাহিনীর সঙ্গে বাস্তব জীবনের কোন মিল নেই। নীল অপরাজিতার মূল চরিত্রে আছেন-একজন ঐপন্যাসিক। পাঠক-পাঠিকারা যদি আমাকেই সেই ঔপন্যাসিক ভেবে বসেন তাহলে আমার জন্যে খুব অস্বস্তির ব্যাপার হবে। হুমায়ূন আহমেদ শহীদুল্লাহ হল। ঢা.বি।
"প্রিয়তমেষু" বইয়ের থেকে নেয়া: নিশাত আর জহিরের সংসার চলছিলো বেশ। হঠাৎ একদিন সকালে পাশের বাসার বাচ্চাটা এসে ঢুকে পড়লো তাদের মধ্যে যখন জহির অফিস যাবার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলো। তারপর তার মা এলো বাচ্চাটাকে নিতে। জহির অফিস চলে গেলো কিন্তু অন্যদিনের মতো না। কিছু একটা গোলযোগ বেঁধেছে ভেতরে। সম্পর্ক ক্রমশ মোড় নিতে থাকে অন্য এক মেরুতে।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিতর্কিত কিন্তু স্বাপ্নিক, অস্পষ্ট কিন্তু বর্ণাঢ্য এক নাম কর্নেল তাহের। শাহাদুজ্জামান ‘ক্রাচের কর্নেল’ বইয়ের কেবল লেখকই নন, বরং তিনি বাংলাদেশের রাজনীতির একজন কৌতূহলী পর্যবেক্ষকও বটে। রাজনৈতিক চাদরে ঢেকে রাখা একটি চরিত্রকে লেখক পাঠকের দ্বারে টেনে তুলে এনেছেন অপার সাহসিকতা আর সামগ্রিকতায়। বাংলাদেশের ইতিহাসকে পতিত করে অবিরাম জন্ম দেয়া হয়েছে ধোঁয়াচ্ছন্নতা আর মিথ্যার বেসাতি। লেখক প্রায় সম্পূর্ণভাবে নির্মোহ থেকে তুলে ধরেছেন সিনেম্যাটিক অভিযানের মধ্য দিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানের ক্যান্টনমেন্ট থেকে পালিয়ে যোগদান করা মুক্তিযোদ্ধা, দুর্ধর্ষ কামালপুর অপারেশনে পা হারানো সেক্টর কমান্ডার, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে ক্রাচে ভর দেয়া এক স্বাপ্নিক নাগরিক, বিরল আর আপাত ব্যর্থ এক সেপাই অভ্যুথানের নায়ক এবং সর্বোপরি ক্ষুদিরামের পথের অভিযাত্রী কর্নেল তাহের ও সেই ঘোর লাগা সময়ের কুশীলবদের।