জুল ভার্ন তার বিখ্যাত চরিত্র, ফিলিয়াস ফগ অ্যান্ড কোং-কে আশি দিনে পুরো বিশ্ব-ভ্রমণ করিয়ে এনেছিলেন। তবে করোনার যুগে আশি দিন কেন, আশি হপ্তায়ও বিশ্ব-ভ্রমণ সম্ভব হয় নাকি...তা জানেন শুধু ওই ওপরঅলা! তবে কিনা একটা বই, তার দুই মলাটের মাঝে সারা দুনিয়াকে ধারণ করতে পারে, তাই না? না, না, আকাশ আমাদের সবাইকে দূরের পানে ডাকলেও, এই বইয়ের মাধ্যমে আপনারা সারা দুনিয়া ঘুরে আসতে পারবেন না। তবে হ্যাঁ, পনেরোটি দেশের বিখ্যাত কিছু জায়গা কল্পনার চোখে দেখতে পারবেন বটে। আকাশ আমায় ডাকে দূরের পানে আপনাকে নিয়ে যাবে মাল্টার আজুর জানালায়। আবার পরক্ষণেই নিজেকে আবিষ্কার করবেন ভেনিসের অলিতে-গলিতে কিংবা নিউ ইয়র্কের দালান কোঠার জঙ্গলে। বসনিয়ার ভাঙা দেয়াল দেখে মন খারাপ হলে তার দায় লেখকের নয়...বলে দিলাম আগেই। তেমনি জাগরেবের মিউজিয়াম অভ ব্রোকেন হার্ট যদি আপনাকে অতীতের রোমন্থনে বাধ্য করে, তার কৃতিত্বও নাহয় লেখককে না-ই দিলেন! ভালো কথা, ইউরোপের প্রাচীনতম মমি আর পেন্সিলভানিয়ার প্রাচীন ধারায় জীবন-যাপনকারী আমিশদের সম্পর্কে না জানলে কিন্তু বিশ্বায়নের যুগে পিছিয়ে যাবেন! নিজের বাড়িতে বসে অল্প একটু পৃথিবী দেখার আমন্ত্রণ রইলো আপনাদের জন্য। জুল ভার্ন তার বিখ্যাত চরিত্র, ফিলিয়াস ফগ অ্যান্ড কোং-কে আশি দিনে পুরো বিশ্ব-ভ্রমণ করিয়ে এনেছিলেন। তবে করোনার যুগে আশি দিন কেন, আশি হপ্তায়ও বিশ্ব-ভ্রমণ সম্ভব হয় নাকি...তা জানেন শুধু ওই ওপরঅলা! তবে কিনা একটা বই, তার দুই মলাটের মাঝে সারা দুনিয়াকে দারণ করতে পারে, তাই না? না, না, আকাশ আমাদের সবাইকে দূরের পানে ডাকলেও, এই বইয়ের মাধ্যমে আপনারা সারা দুনিয়া ঘুরে আসতে পারবেন না। তবে হ্যাঁ, পনেরোটি দেশের বিখ্যাত কিছু জায়গা কল্পনার চোখে দেখতে পারবেন বটে। আকাশ আমায় ডাকে দূরের পানে আপনাকে নিয়ে যাবে মাল্টার আজুর জানালায়। আবার পরক্ষণেই নিজেকে আবিষ্কার করবেন ভেনিসের অলিতে-গলিতে কিংবা নিউ ইয়র্কের দালান কোঠার জঙ্গলে। বসনিয়ার ভাঙা দেয়াল দেখে মন খারাপ হলে তার দায় লেখকের নয়...বলে দিলাম আগেই। তেমনি জাগরেবের মিউজিয়াম অভ ব্রোকেন হার্ট যদি আপনাকে অতীতের রোমন্থনে বাধ্য করে, তার কৃতিত্বও নাহয় লেখককে না-ই দিলেন! ভালো কথা, ইউরোপের প্রাচীনতম মমি আর পেন্সিলভানিয়ার প্রাচীন ধারায় জীবন-যাপনকারী আমিশদের সম্পর্কে না জানলে কিন্তু বিশ্বায়নের যুগে পিছিয়ে যাবেন! নিজের বাড়িতে বসে অল্প একটু পৃথিবী দেখার আমন্ত্রণ রইলো আপনাদের জন্য।
সমুদ্রের পানিতে যখন বসে ছিলাম, একটা অদ্ভুত উপলব্ধি হয়েছিল। সমুদ্রের পানি এসে গায়ে জোরে বাড়ি দিচ্ছে। আমাকে উলটে-পালটে ঘুরিয়ে ফেলে দিচ্ছে। গায়ে বালু আর শ্যাওলা লেগে যাচ্ছে। লবণাক্ত পানি নাক, মুখ, চোখে গিয়ে জ্বালাপোড়া করছে। আর আমি খিলখিল করে হাসছি। তখন মনে হলো, সমুদ্র কত বিশাল আর আমি কত ক্ষুদ্র! সমুদ্রের বিশালতার মাঝে আমার মনের সকল কষ্ট ও সমস্যা যদি ফেলে দেই, তা কত ক্ষুদ্র, নগণ্য! এক নিমিষেই তলিয়ে যাবে। এরপরেও জীবনে চলার পথে আমরা আমাদের সমস্যাগুলোকে অনেক বড় মনে করি। মনে করি যেন ঝড়ের মত আসা বিপদ আমাদের খেয়ে শেষ করে ফেলবে। অথচ দুইদিন পর ঠিকই সেই বিপদ বুদবুদের মত উড়ে যায়। কেন তাহলে আমরা ধৈর্যহারা হই? কারণ মহাপ্রকৃতির মাঝে আমরা যে মানুষ, নিজেকে অনেক বড় কিছু ভাবি। সমুদ্র যেন আমার সেই অহংকারকেই ভেঙ্গে চুরমার করে দিচ্ছিল। আবার একটু পর সমুদ্র এসে আমার সারা শরীর ভিজিয়ে দিয়ে আমাকে পরম মমতায় আলিঙ্গন করে যেন কানে ফিসফিস করে বলল, “তুমিই তো সমুদ্র"!