"অপরাজিতা ফুলের মত ঝকঝকে নীল আকাশে সাঁই সাঁই ডানা মেলে দিয়ে অবিরাম উড়তে থাকে কত ধরনের পাখি। তাদের পাখসাটে পরিবেশ মুখরিত হয়। সোনালি রোদের আলোতে তাদের পালকগুলো ঝিকিয়ে ওঠে। গাছের শাখায় বসে কিচির মিচির করে তারা বুঝি ঝণ্ডার তোলে। উড়াল দিয়ে কত দূরে চলে যায় পাখিরা। বাতাসে যখন শীতের ছোঁয়া লাগে তখন বহু দূরের পথ পেরিয়ে এদেশে বিল-হাওরে চলে আসে পরিযায়ী পাখিরা । হিমশীতল দেশ থেকে তারা আসে। জলজ উদ্ভিদের মাঝে তাদের অবাধ ওড়াওড়ি। এমনিভাবে এক নিবিড় রহস্যের ভূবন গড়ে তোলে পাখিরা। আমাদেরকে চারপাশে সে রহস্যের কাঁপন যায় ছড়িয়ে। ভিজে মেঘের দুপুরে সোনালি ডানার চিলের করুণ ডাক শুনে অনেকেই উদাসী হয়। লোক কবি আকুল হয়ে লেখেন- ’উইড়া যায়বে হংস পঙ্খি পইরা রয়বে ছায়, দেশের বন্ধু দেশে যাইব কে করিবে মায়া।’ দোয়েলের জীবন জানতে আগ্রহী হয় কেউ। জলপায়রাদের ঝাঁক গাঙ পেরিয়ে ধূধূ চরে যায়। এইতো পাখিদের নিবিড় আশ্চর্য, সুন্দর জগত। আর এভাবেই বুঝি পাখিরা আমাদের আয়েসে জানিয়ে দেয় ‘কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা...’ পাখিদের বিচিত্র ভুবনকে আবিষ্কার করতে চেয়েছেন লেখক। পাখিরা যেন তার কাছে তাদের জীবনের রহস্য প্রকাশ করেছে। লেখক সর্বদা কান পেতে থাকেন পাখিদের ডাক শোনার জন্য । পাখিরা তাকে বেঁচে থাকার আনন্দের আস্বাদ দিয়েছে। ‘পাখিদের নিয়ে’ সেই কথকতায় পূর্ণ।"